RAMU buddhist online channel

RAMU buddhist online channel বুদ্ধের কীর্তন ও অমৃতবাণী প্রচার ও প্রসারের মূল লক্ষ এবং মানুষের সৎচরিত্র গঠনের অভিপ্রায়ে।

আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ করতে গিয়ে গৃহী সমাজের  শ্রদ্ধা হারাচ্ছেন ভিক্ষুরা। আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করলে আর্থিক সচ্ছল হয়...
08/12/2023

আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ করতে গিয়ে গৃহী সমাজের শ্রদ্ধা হারাচ্ছেন ভিক্ষুরা। আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করলে আর্থিক সচ্ছল হয় এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরনে সহায়ক হলেও শীল,সমাধি, প্রজ্ঞার যথার্থ অনুশীলনের ঘাটতি থাকায় মুলত শ্রদ্ধার পরিহানি হচ্ছে। বর্তমানে ভিক্ষুরা সামান্য মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্য অনেক সময় সামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার অনুশীলন অনেকটা কমে গেছে, ফলে ভিক্ষুদের প্রতি গৃহী সমাজের শ্রদ্ধা কমে গিয়ে আলোচনা সমালোচনা বেড়ে গেছে। গৃহী সমাজ ভিক্ষুদের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে। এর কারন বর্তমানে গৃহীদের কাজ ভিক্ষুরা করতেছে। আমার দেখা মতে প্রয়াত দ্বাদশ সংঘরাজ ভান্তে, রামুর প্রয়াত উপসংঘরাজ সত্যপ্রিয় মহাথেরো ভান্তে, গুরুভান্তে প্রয়াত প্রজ্ঞামিত্র মহাথেরো ভান্তে, প্রয়াত শাসনবংশ মহাথেরো ভান্তে ইত্যাদি আমাদের পুর্বে মহাপুরুষেরা অর্থাৎ গুনী ভান্তেরা, কখনো সামাজিক কাজের দায়িত্ব নিতেন না। আরো বলতেন এগুলো আমাদের ভিক্ষুদের কাজ নয়, আমাদের কাজ হচ্ছে শীল, সমাধি, প্রজ্ঞা অনুশীলন করা।বর্তমানে গৃহী সমাজের কাজ ভিক্ষুরা করছে যেমন বিহার উন্নয়ন,আশ্রম,স্কুল,আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কোন ছেলেকে বিদেশ গমনে উৎসাহিত করা, শ্রদ্ধায় প্রব্রজিত না হলে তাঁদের প্রব্রজ্যা প্রদান, সাংবাদিকতা, আনুষ্ঠানিকতা ইত্যাদি এগুলোর দায়িত্ব নিতেন না। বর্তমানে এই দায়িত্ব গুলো ভিক্ষুরা নিজের কাঁধে নিতে গিয়ে যতদিন মানুষের কাছে এক প্রকার ভিক্ষুকের মত অর্থ খুঁজে খুঁজে কাজ করতে পারবেন ততদিন প্রশংসা পাচ্ছেন আর করতে না পারলে আবার নিন্দিত হচ্ছেন। আবার যাঁরা একদম কিছুই না করে তাঁদের এখন বিহারে রাখতে চাই না। আরো সমালোচনা করে আমাদের ভান্তে শুধু ছোয়াইং খেয়ে খেয়ে দক্ষিণার টাকা জমানো ছাড়া আর কোন কাজ নাই। একদিন আমার কাছে এক বিহারের কয়েকজন দায়ক এসে বললেন ভান্তে আমাদের বিহারের জন্য একটা ভাল ভান্তে দেন। আমি বললাম কি রকম ভালো? তখন ওরা বললেন আমাদের বিহারটা এখনো ভাঙ্গা তাই যেন বিহারটা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে উন্নয়ন করতে পারে তেমন একজন ভান্তে চাই। এর থেকে বুঝা যায় গৃহীরাও ভান্তেদের ব্যবহার করে বিহার উন্নয়ন করতে চাই। তবে বিহার বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন করার জন্য গৃহী সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা যায়। এযাবৎ কখনো কোন দায়কদের কাছ থেকে শুনি নাই আমাদের তেমন ভান্তেদের কাজের প্রয়োজন নাই একজন শীলবান গুনী ভান্তে চাই। সুতরাং এই গৃহী সমাজের কাজ গুলো করতে গিয়েও ভিক্ষুদের প্রতি শ্রদ্ধার পরিহানি হতে শুরু করেছে। আবার এইভাবে গৃহী আর ভিক্ষুর মধ্যে মন মালিন্য, আলোচনা সমালোচনার কারনে প্রজন্ম আদর্শিক ভিক্ষু সংঘ সৃষ্টি হচ্ছে না। তাই আমি মনে করি ভিক্ষুদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বা গৃহী সমাজের কাজ গুলো না করে শীল,সমাধি, প্রজ্ঞা অনুশীলন করা প্রয়োজন।

(আমি নিজেও শীল,সমাধি,প্রজ্ঞা অনুশীলনের পাশাপাশি অনেক গৃহী সমাজের কাজ নিজ দায়িত্ব করেছি এবং করছি, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে অনুভূতি প্রকাশ)

সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হউক

- শীলমিত্র ভিক্ষু, রামু

01/12/2023

ধর্মসব মনোজাত,মনের শাসিত,
মনোময় হয়ে তারা হয় নিস্পাদিত;
প্রদুষ্ট-মানসে যদি কভু কোনো জন
বাক্যে কিংবা কার্যে কিছু করে সম্পাদন;
তবে সে কারণে দুঃখ অনুসরে তারে,
চক্র যথা বলীবর্দ-পদ অনুসরে।

ধর্মপদের
যমকবর্গ

বর্তমান সময়ে শ্রদ্ধেয় গুরুভান্তের যুগোপযোগী কথা গুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনতা রয়েছে,,,🙏🙏🙏
01/12/2023

বর্তমান সময়ে শ্রদ্ধেয় গুরুভান্তের যুগোপযোগী কথা গুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনতা রয়েছে,,,🙏🙏🙏

পরম পূজনীয় গুরুভান্তে শীলমিত্র স্থবির মহোদয়ে'র  ১৪ জন প্রিয় শিষ্য থের পদে উপনীত হওয়ায় অভিনন্দন ও পুষ্পিত বন্দনা, শ্রদ্ধে...
01/12/2023

পরম পূজনীয় গুরুভান্তে শীলমিত্র স্থবির মহোদয়ে'র
১৪ জন প্রিয় শিষ্য থের পদে উপনীত হওয়ায় অভিনন্দন ও পুষ্পিত বন্দনা, শ্রদ্ধেয় ভান্তে'দের ভবিষ্যত জীবন উজ্জ্বল এবং আলোকিত হউক। যেন গুরু ভান্তের ন্যায় শীল,সমাধি,প্রজ্ঞা অনুশীলনের মাধ্যমে শাসন সদ্ধর্মের অবদান রাখতে পারেন এই প্রত্যাশা করছি। পূজনীয় ভান্তে'দের আবারও বন্দনা নিবেদন করছি,, 🙏🙏🙏

বন্দনাত্বেঃ রামু বুডিস্ট অনলাইন চ্যানেল

 # সকলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।  # আগামীতে এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকুক। # ধন্যবাদ সবাইকে।SSC সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বে...
01/12/2023

# সকলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
# আগামীতে এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকুক।
# ধন্যবাদ সবাইকে।SSC সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ায়,আমাদের রামু বুডিস্ট অনলাইন চ্যানেলের এর পরিবারের পক্ষ হতে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সকলের উত্তরোত্তর শ্রী-বৃদ্ধি উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করছি।

# সকলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
# আগামীতে এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকুক।
# ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️❤️❤️
❤️❤️❤️

 #অভিনন্দন  আমাদের রামু উপজিলার গর্ব,,  #বাবু_রবীন্দ্র_শ্রী_বড়ুয়া বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক পদে পদোন্নতিতেরামু বুডিস্ট...
01/12/2023

#অভিনন্দন
আমাদের রামু উপজিলার গর্ব,,
#বাবু_রবীন্দ্র_শ্রী_বড়ুয়া
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক পদে পদোন্নতিতে

রামু বুডিস্ট অনলাইন চ্যানেল এর পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।❤️❤️❤️

 #গুরুদেব শীলমিত্র থের মহোদয়ের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য। ★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★যো হবে দহরো ভিক্খু, যুঞ্জতি বুদ্ধসাসনে। সোমং ...
01/12/2023

#গুরুদেব শীলমিত্র থের মহোদয়ের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য।

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★

যো হবে দহরো ভিক্খু, যুঞ্জতি বুদ্ধসাসনে। সোমং লোকং পভাসেতি,অব্ভা মুত্তোব চন্দিমা!

পবিত্র ত্রিপিটকের অন্তর্গত ধর্মপদ গ্রন্থ। গ্রন্থের ২৫তম বর্গের নাম ভিক্খো বর্গ,এই বর্গের আছে মোট ২২টি পালি গাথা তার সর্বশেষ গাথা হলো উপরোক্ত গাথা,যার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়াই, #নিতান্ত তরুণ হইলেও যে ভিক্ষু বুদ্ধের শাসনে আত্মনিয়োগ করেন,তিনি মেঘমুক্ত চন্দ্রের ন্যায় এই জগৎকে আলোকিত করেন।

উক্ত গাথার আলোকে, একজন আলোকিত ব্যক্তির দু-চারটি লেখনী, ঊনি হলেন,তরুণ আলোকিত, সংঘপুরুষ,শাসন দরদী, বহু আদর্শিক শিষ্যের জনক,বিনয়শীল, বিদর্শনচার্য্য,আচারিয় ধর্মপিতা গুরুদেব ভদন্ত শীলমিত্র থের। জন্মস্থান কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত রম্যভূমি রামু পূর্ব রাজারকুল। শত শত মেধাবী,কৃতি সন্তানের জন্মভূমি এই পূর্ব রাজারকুল গ্রাম তার দৃষ্টান্ত গুরুদেব একজন।

ছোটকাল থেকেই ছিল শান্ত,শিষ্ট,ভদ্রতা ও শিষ্টাচার সম্পন্ন গুরুদেব এই শীলমিত্র থের। ছিল তারঁ যথেষ্ট মাতৃভক্তি ও পিতার প্রতি অনুগত। শান্ত,শিষ্ট, ও ভদ্র স্বভাব ছিল গুরুদেব ভান্তের বৈশিষ্ট্য। ভান্তে যখন ছোট ছিল তখন ভান্তের মাতা প্রয়াত পারুলী বড়ুয়া ছিল গুরুতর অসুস্থ। পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র ছিলেন আজকের এই শীলমিত্র থের। দ্বিতীয় কোন ভাই বোন ছিল না,তাই মায়ের অসুস্থতার পাশে সার্বক্ষণিক ভাবে পাশে থেকে সেবা দান করত সব সময়।

পূজ্য গুরুদেব ভান্তের পিতা বাবু রনজিৎ বড়ুয়ার ( প্রজ্ঞা লংকার ভিক্ষু'র) মুখে শুনেছি মা যখন অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর মুখে ধাবিত অবস্থায় তখন মা তারঁ একমাত্র সন্তানকে বলেছিল বাবা, তুই আমার মৃত্যুর পর শ্রামণ হয়ে থাকবি। আবাল্য ব্রহ্মচারী হয়ে বুদ্ধের নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলে মানবতার কাজ করবি। তখন মাকে কথা দিয়েছিল তার আদরের সন্তান, হ্যাঁ, মা তুমি নিশ্চিত থেকো আমি আজীবন বুদ্ধের শাসনে থেকে মানবতার কাজ করব।

মায়ের মৃত্যুর সাপ্তাহিক সংঘদান অনুষ্ঠানে শ্রামণ হয়ে যায়,পূর্ব রাজারকুল সদ্ধর্মোদ্বয় বৌদ্ধ বিহারে। নাম রাখা হয় শীলানন্দ শ্রামণ। গুরু ছিলেন তৎকালীন সেই সময়ের শ্রীকুল মৈত্রী বিহারের পরম পূজনীয় অধ্যক্ষ, বিচিত্র ধর্মকথিক ভদন্ত বিজয়রক্ষিত মহাথের ও এই সময়ের প্রাঞ্জল ধর্মদেশক ভদন্ত এস.ধর্মমিত্র মহোদয়ের কাছে। পরবর্তী এস. ভদন্ত ধর্মমিত্র থেরো হাজারীকুল বিহারে নিয়ে গিয়ে সান্নিধ্যে রেখে সুত্র ও বিনয় শিক্ষা দান করেন এবং শীলানন্দ থেকে শীলমিত্র নামকরণ করেন।

দীর্ঘ শ্রামণ জীবন অতিবাহিত করার পর এস. ধর্মমিত্র থেরো'র তত্ত্বাবধানে ২০০৬ সালে রামু উত্তর মিঠাছড়ি বন বিহারের অধ্যক্ষ পরম শ্রদ্ধেয় বুদ্ধাংকুর প্রয়াত প্রজ্ঞামিত্র মহাথেরোর কাছে উপসম্পদা গ্রহণ করেন শীলমিত্র ভিক্ষু। তারপর থেকে গুরুর সান্নিধ্যে থেকে গুরুর সেবা করে যাচ্ছিল এই শীলমিত্র ভিক্ষু এবং বিদর্শনচার্য্য ভদন্ত করুণাশ্রী মহাথেরো'র ভান্তের সান্নিধ্যে কয়েক বছর অতিবাহিত করে বিদর্শন ধ্যান শিক্ষা অর্জন করেন, ১০০ ফুট ভূবন শান্তি বুদ্ধ মূর্তির প্রতিষ্টাতা ও বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালক,ভদন্ত করুণাশ্রী মহাথেরো'র কাছ থেকে। পাশাপাশি কোটবাজার শাসনতীর্থ সু-দর্শন বিহারে থেকেও সমাজ সংস্কারক, শাসনবংশ মহাথের ভান্তের সেবা করত। তাই মা -বাবা ও গুরুজনের আর্শীবাদ নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছিল। মাতাকে যেমন কথা দিয়েছিল তেমন কাজ করেই যাচ্ছেন। আমি নিজেও মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যায় এই ভেবে যে, লোকালয়ের ভেতর থেকে বিনয়কে আঁকড়ে ধরে কিভাবে শাসন সদ্ধর্মের কাজ করে তা ভেবে। শ্রদ্ধেয় ভান্তের মতো মানুষ সত্যিই বিরল। খুব কমই দেখা যায়।

সমাজের ভেতরে থেকে বিনয় রক্ষা করাটা এতো সহজ ব্যাপার না হলেও পর ভান্তে তা খুব সহজ করেই মেনে চলে। ভিক্ষুদের প্রাণ "পাতিমোক্ষ গ্রন্থ" এর ক্ষুদ্র শীলও রক্ষা করতে গিয়ে এখনো কোন টাকা স্পর্শ করে না। বিভিন্ন আচার-অনুষ্টানে গিয়ে কয়েক টাকা পেলে তা দিয়ে বুদ্ধের শাসন সদ্ধর্মের উন্নতিরকল্পে এটা করবে নাকি ঐটা করবে ভেবে না পাই। তাই একটার পর একটা লাগাতর শাসনিক কাজ করেই যাচ্ছেন। আর মানবতা? মানবতার কথা যদি বলতে হয়,নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের একটি মূল কেন্দ্র " প্রজ্ঞামিত্র বৌদ্ধ ভিক্ষু শ্রামণ প্রশিক্ষণ ও সাধনা পরিবেণে অবস্থানরত অর্ধ-শতাধিক ভিক্ষু শ্রামণের দায়িত্ব নিজে নিয়ে স্বয়ং সম্পূর্ণ দিয়ে সমস্ত কিছু দিয়ে মাতা-পিতার মতো আদর স্নেহ করে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে ভিক্ষু শ্রামণদের মধ্যে বেশীভাগই অনাথ। আজ পর্যন্ত শ্রদ্ধেয় ভান্তের নিজ হাতে গড়া সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান ও শিষ্য সংঘের তালিকাসহ শাখা বিহার সমূহঃ
১. প্রজ্ঞামিত্র বৌদ্ধ ভিক্ষু শ্রামণ প্রশিক্ষণ ও সাধনা পরিবেণ, ফারিকুল,রামু,কক্সবাজার। (২০০৮ সাল)
২. প্রিয়সেন প্রভাতী সদ্ধর্ম শিক্ষা নিকেতন,রামু,ফারিকুল। যেখান থেকে প্রতি বছর কক্সবাজার জেলার সকল বৌদ্ধ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বৃত্তি প্রদান করা হয় (২০০৮)
৩. প্রিয়সেন- তিক্খাঞানা উপাসিকা সংঘ (২০০৮)
৪. প্রজ্ঞামিত্র অরণ্য বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান, পার্বত্য জেলা। (২০০৯)
৫. অহিংসা সেবক সেবিকা সংঘ,ফারিকুল, রামু। (২০০৯)
৬. প্রজ্ঞা প্রকাশনা পরিষদ, ফারিকুল, রামু। (২০১১)
৭. সংঘশক্তি মানব কল্যাণ ট্রাষ্ট, ফারিকুল, রামু। (২০১৩)
৮. ত্রৈমাসিক বিবেক পত্রিকা, ফারিকুল,রামু। (২০১৩)
৯. উমখালী তপোবন বৌদ্ধ বিহার,রামু। ( ২০১৪)
১০. কক্সবাজার প্রজ্ঞালোক বৌদ্ধ বিহার ও ধ্যান কেন্দ্র,কক্সবাজার। (২০১৫)
১১. বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার মিশন, (২০১৮)
১২. U.A.E বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার ও ধ্যান কেন্দ্র, আরব,আমিরাত, দুবাই। (২০২০)
১৩. কোটবাজার শাসনবংশ- শীলমিত্র বৌদ্ধ বিহার (২০২০)
শিষ্যদের নাম সমূহঃ
১. প্রজ্ঞাপাল থের,পরিচালক, কক্সবাজার প্রজ্ঞালোক বৌদ্ধ বিহার ও ধ্যান কেন্দ্র, কক্সবাজার।
২. প্রজ্ঞা প্রিয় থের অধক্ষ্য, U.A.E. বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার ও ধ্যান কেন্দ্র, আরব, আমিরাত দুবাই।
৩. প্রজ্ঞাতিলোক থের, অধ্যক্ষ,শ্রীকুল মৈত্রী বিহার,রামু।
৪. প্রজ্ঞাকরুণা থের, পরিচালক , নাইক্ষ্যংছড়ি অরণ্য বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, বান্দরবান।
৫. প্রজ্ঞাকুশল ভিক্ষু, ভারত।
৬. প্রজ্ঞামুদিতা ভিক্ষু ভিক্ষু, অধ্যক্ষ,চকরিয়া কেন্দ্রীয় জেতবন বৌদ্ধ বিহার, প্রতিষ্ঠাতা, লামা শীলালংকার- শীলমিত্র সেবা সদন। চকরিয়া,কক্সবাজার।
৭. প্রজ্ঞাশাক্য ভিক্ষু, অধ্যক্ষ, চৌধুরীপাড়া আর্য্য উপসনা বৌদ্ধ বিহার, উখিয়া।
৮. প্রজ্ঞাসুমন ভিক্ষু, প্রতিষ্ঠাতা, রামু, প্রজ্ঞামিত্র বৌদ্ধ বিহার ও ধ্যান কুঠির, রামু, কক্সবাজার।
৯. প্রজ্ঞাসত্য ভিক্ষু, প্রতিষ্ঠাতা, চারিমহাতীর্থ আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্র, রামু, কক্সবাজার।
১০. প্রজ্ঞাআর্য্য ভিক্ষু, উপাধ্যক্ষ, মধুখালি বন বিহার, চকরিয়া , কক্সবাজার।
১১. প্রজ্ঞাদত্ত ভিক্ষু,অধ্যায়নরত, ভারত।
১২. প্রজ্ঞাসুভদ্র ভিক্ষু, আবাসিক, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার ,রামু, কক্সবাজার।
১৩. প্রজ্ঞাকৌন্ডন্য ভিক্ষু, অধ্যক্ষ,পহঁরচাদা সংঘরাজ সারমেধ বৌদ্ধ বিহার,চকরিয়া,কক্সবাজার।
১৪. প্রজ্ঞাসেন ভিক্ষু, অধ্যায়নরত, ফ্রান্স।
১৫. প্রজ্ঞাবিনয় ভিক্ষু,অধ্যক্ষ, পূর্ব রাজারকুল সদ্ধর্মোদ্বয় বৌদ্ধ বিহার,রামু,কক্সবাজার।
১৬. প্রজ্ঞাশ্বর ভিক্ষু,অধ্যায়নরত, শ্রীলংকা।
১৭. প্রজ্ঞা সুমঙ্গল ভিক্ষু,অধ্যক্ষ,চন্দনাইশ সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার,চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।
১৮. প্রজ্ঞাজিৎ ভিক্ষু,ভারত।
১৯. প্রজ্ঞালংকার ভিক্ষু(গুরুদেব এর পিতা) অন্তেবাসী, প্রজ্ঞামিত্র বৌদ্ধ ভিক্ষু শ্রামণ প্রশিক্ষণ ও সাধনা পরিবেণ,রামু,কক্সবাজার।
২০. প্রজ্ঞাক্ষান্তি ভিক্ষু, অধ্যক্ষ,উত্তর বড়বিল ধর্মপাল বৌদ্ধ বিহার।
২১. প্রজ্ঞাব্রত ভিক্ষু,আবাসিক,উমখালী তপোবন বিহার,রামু।
২২. প্রজ্ঞাদর্শন ভিক্ষু,অধ্যক্ষ,আলীপুর অশোক ক্লাব বৌদ্ধ বিহার, ভারত, রিষড়া ধর্মোদ্বয় বৌদ্ধ বিহার, হুগলী ভারত।
২৩. প্রজ্ঞাদর্শী ভিক্ষু,অধ্যায়নরত, থাইল্যান্ড।
২৪. প্রজ্ঞা অগ্র ভিক্ষু ভিক্ষু, অন্তেবাসী, প্রজ্ঞামিত্র ট্রেনিং সেন্টার, রামু, কক্সবাজার।
২৫. প্রজ্ঞাসুরিয়া ভিক্ষু, অন্তেবাসী, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার, রামু ,কক্সবাজার।
২৬. প্রজ্ঞালোক ভিক্ষু,থাইল্যান্ড।
২৭. প্রজ্ঞামৈত্রী ভিক্ষু,অধ্যক্ষ,মানিকপুর বিজয়ানন্দ বৌদ্ধ বিহার,চকরিয়া, কক্সবাজার।
২৮. প্রজ্ঞা শ্রদ্ধা ভিক্ষু,অধ্যক্ষ, কুঞ্জবন বৌদ্ধ বিহার,নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।
২৯.প্রজ্ঞা চন্দ্র ভিক্ষু, অন্তেবাসী, প্রজ্ঞামিত্র বৌদ্ধ ভিক্ষু শ্রামণ প্রশিক্ষণ ও সাধনা পরিবেণ, রামু,কক্সবাজার।
৩০. প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু, পরিচালক, লামা শীলালংকার - শীলমিত্র সেবা সদন, লামা।
৩১. প্রজ্ঞাকাশ্যপ ভিক্ষু, অধ্যাক্ষ, শাসনবংশ - শীলমিত্র বৌদ্ধ বিহার, উখিয়া, কক্সবাজার।
৩২. প্রজ্ঞারত্ন ভিক্ষু, চন্দনাইশ
৩৩. প্রজ্ঞা রক্ষিত ভিক্ষু,অধ্যক্ষ হারবাং নবরত্ন সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার,চকরিয়া,কক্সবাজার।
৩৪. প্রজ্ঞাপূর্ণ ভিক্ষু ভিক্ষু,অধ্যক্ষ, সোনাইছড়ি বৌদ্ধ বিহার।
৩৫. প্রজ্ঞাউপেক্ষা ভিক্ষু, অধ্যক্ষ মধুখালি বন বিহার চকরিয়া, কক্সবাজার ।
৩৬. প্রজ্ঞা শ্রী ভিক্ষু, অন্তেবাসী, চৌধুরী পাড়া আর্য্য উপসনা বৌদ্ধ বিহার।
৩৭ এইচ. প্রজ্ঞা কল্যাণ ভিক্ষু, অন্তেবাসী, শ্রীকুল মৈত্রী বিহার, রামু কক্সবাজার।
৩৮. প্রজ্ঞা তাপস ভিক্ষু, অন্তেবাসী, রাজারকুল সদ্ধর্মদয় বৌদ্ধ বিহার, রামু, কক্সবাজার।
৩৯. প্রজ্ঞা কুশল ভিক্ষু, অন্তেবাসী, প্রজ্ঞামিত্র বৌদ্ধ ভিক্ষু শ্রামণ প্রশিক্ষণ ও সাধনা পরিবেণ, রামু, কক্সবাজার।
৪০. প্রজ্ঞা জয় ভিক্ষু, বড়বিল ধর্মপাল বৌদ্ধ বিহার।
৪১. প্রজ্ঞা সমাধি ভিক্ষু, অন্তেবাসী, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার।
৪২. প্রজ্ঞা সার ভিক্ষু, অন্তেবাসী, প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার।
৪৩. প্রজ্ঞা জ্যোতি ভিক্ষু, অন্তেবাসী, প্রজ্ঞামিত্র ট্রেনিং সেন্টার, রামু, কক্সবাজার

ইহা ছাড়া, শতাধিক শ্রামণ ও সেবক রয়েছে বিভিন্ন শাখা বিহার ও প্রতিষ্ঠানে।
পূজ্য গুরুদেব শীলমিত্র থের মহোদয় বিভিন্ন শাখা বিহারে ও দূর্গম এলাকায় ধর্মপ্রচার করে যাচ্ছেন অকাতরে। অনেক সময় দেখেছি রাত ১২ টা বাজে রামু থেকে মানিকপুরে গিয়ে সমস্যা সমাধান করতে ছুটে যেতে নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে। জাতির ও জন্য সার্বক্ষণিক চিন্তা মগ্ন থাকতে আমি এই রকম বৌদ্ধ ভিক্ষু খুব কমই দেখেছি। শ্রদ্ধেয় ভান্তের বর্তমানে পনের তম বর্ষাবাস যাপনে আমি লক্ষ্য করেছি একেক বর্ষাবাসে একেক ধুতাঙ্গব্রত পালন করতে। যেমন,নৈসজ্জিক ধুতাঙ্গ, পিন্ডপাতিক ধুতাঙ্গ, ত্রি-চীবরিক ধুতাঙ্গ, শশ্মানিক ধুতাঙ্গ,একাসনিক ধুতাঙ্গ। বর্তমানে কঠিন সময়ের মধ্যেও বুদ্ধের শাসন দীর্ঘস্থায়ীর লক্ষ্যে শাসনিক কাজ করেই যাচ্ছেন,চলমান কাজের মধ্যে চৌধুরীপাড়া আর্য্য উপসনা বৌদ্ধ বিহারের মধ্যে ৮০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন ধ্যান মুদ্রা বুদ্ধ মূ্র্তি,রামু, ফারিকুল স্কুল ও ছাদের উপর দন্ডায়মান অবস্থায় ২১ ফুট বুদ্ধ মূর্তি সহ কুটির নির্মাণ কাজ এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ভাবনা কেন্দ্রে বুদ্ধ মূর্তি ও ভবন নির্মাণ মানিকপুর নতুন মন্দির নির্মাণ কাজ চকরিয়া, পাষাণ সীমা ও উপগুপ্ত মহাথেরো'র আসন সহ কোটবাজার রাস্তা সংলগ্ন আরেকটি নতুন সাংঘিক প্রতিষ্ঠান। শ্রদ্ধেয় ভান্তে প্রতি বছর বিভিন্ন জায়গায় ধ্যান শিক্ষা দিয়ে থাকেন তা আজ অবধি প্রায় ২৫/ ৩০ কোর্স পর্যন্ত। পূজ্য গুরুদেব এর প্রতি শ্রদ্ধাম্বিত হয়ে জিঙ্গেস করেছিল শ্রদ্ধেয় ভান্তে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে যে ধর্মপ্রচার করে যাচ্ছেন সেখানে তো ভান্তের অনেক টাকা গাড়িতে চলে যায় বিনিময়ে তা পাই কিনা তার উত্তরে একজন ভিক্ষু বলে যে, যাদেঁর যতটুকু সামর্থ্য ততো টুকুই দান করে আর বেশীভাগ ক্ষেত্রে যখন বিভিন্ন শাখা বিহারে যায় সেখানে অনেক সময় দেখা যায় ভান্তের অর্থ ব্যয় করে মানুষের সমস্যা সমাধান করে, তখন উক্ত উপাসক,(দুবাই প্রবাসী) বাবু সুজন বড়ুয়য় বলে আমি প্রতিমাসে ভান্তের গাড়ির জন্য ১০,০০০ হাজার টাকা করে দান দিব। এভাবে আরো অনেকেই ভান্তের কর্মকান্ড দেখে অতি প্রসন্ন মনে ভান্তেকে দান দেই, যে দানের অর্থ দিয়ে শ্রদ্ধেয় ভান্তে শাসন সদ্ধর্মের কাজ চলমান রাখতে ও বহু শ্রামণদের পড়ালেখার যাবতীয় খরচ বহন করে যাচ্ছে। এতোসব করার পরেও ভান্তে সাহিত্য রচনার কাজও করে যাচ্ছেন,যেমন ভান্তের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে লৌকিক লোকোত্তর হিতোপদেশ নামক জীবন যুদ্ধে কীভাবে জয়ী হবে বুদ্ধের আলোকে সুন্দর ব্যাখা দিয়ে সমাজে উপহার দিয়েছে পাশাপাশি আরো কই একটা পান্ডলিপি করা আছে, এমন কীর্তিমান পুরুষ জন্ম হোক প্রতি ঘরে ঘরে। আমি শ্রদ্ধেয় ভান্তের নিরোগ ও শতায়ু কামনা করে সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য ইতি টানলাম। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।

☸️☸️☸️☸️এড়িয়ে যাবেন না☸️☸️☸️☸️থাইল্যান্ডে সামাজিক যোগাযোগ এবং  সোশাল মিডিয়ায় বেপক ভাবে প্রচার হচ্ছে, পূর্ব থাইল্যান্ডের ...
01/12/2023

☸️☸️☸️☸️এড়িয়ে যাবেন না☸️☸️☸️☸️

থাইল্যান্ডে সামাজিক যোগাযোগ এবং সোশাল মিডিয়ায় বেপক ভাবে প্রচার হচ্ছে, পূর্ব থাইল্যান্ডের ছনবুড়ি প্রদেশের নংস্যাং প্রাচা বামরুং বিহার মাঠে প্রাচীন আম গাছটি যখন বিহার প্রাঙ্গণের মধ্যে কেটে ফেলা হয়েছিল, তখন মানুষ অবাক হয়ে গিয়েছিল গাছের ভিতরে পান্না দিয়ে তৈরি একটি ছোট বুদ্ধ মূর্তি ছিল, ধারনা করা হচ্ছে এই বুদ্ধ মূর্তিটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরানো, যা একই সময়ে আবির্ভূত হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। বুদ্ধ এই বিহারে জীবনের প্রথম স্তম্ভ।

সকলেই সাধুবাদ দিয়ে পূণ্য সঞ্চয় করুন,শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন☸️🙏

★★মারবিজয়ী জীবন্ত অরহত উপগুপ্ত মহাথেরোকে ফাং ও পুজা করার নিয়মাবলীপুর্বশর্ত:--যেকোন পুণ্যময় সভা সমাবেশ ও ধর্মীয় বা শু...
01/12/2023

★★মারবিজয়ী জীবন্ত অরহত উপগুপ্ত মহাথেরোকে ফাং ও পুজা করার নিয়মাবলী

পুর্বশর্ত:--

যেকোন পুণ্যময় সভা সমাবেশ ও ধর্মীয় বা শুভ কার্যের অনুষ্ঠানাদিতে ঝড়,বৃস্টি,নানাবধি অন্তরায়, নানাবিধ উপদ্রব,অমনুষ্য উপদ্রব,যারের উপদ্রব, যে কোন দুর্ঘটনা মুক্ত হয়ে নিরাপদে কার্য সম্পাদনের জন্য বর্তমানে জীবন্ত ২২০০ বছরের বয়সী মহাঋদ্ধিযান যার বিজয়ী অর্হৎ উপগুপ্ত ভান্তের প্রয়োজনীয়তা সম্রাট অশোকের ৮৪ হাজার ধর্মচৈত্য(ধাতু চৈত্য) উৎসর্গের দিন থেকে প্রচলিত। বর্তমানে ধর্মে অল্পশিক্ষিত অন্ধবিশ্বাসী কিছু ভিক্ষু ও দায়ক মিলে জীবন্ত অর্হত উপগুপ্ত ভন্তের অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে বসেছেন এবং প্রচারও করছেন।যে কোন আর্যশ্রাবক বা ভিক্ষুর ন্যায় জীবন্ত অরহত উপগুপ্ত ভান্তেকে ফাং কিংবা আমন্ত্রণ করতে হয় ইহা তারা জানে না। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ,মনুষ্য সৃস্ট দুর্যোগ,যুদ্ধ-বগ্ৰিহ, ধ্বংস কার্য, রোধ করতে উপগুপ্ত মহাথেরো কে ফাং করে পুজা করলে রোধ করা যায় । মারবিজয়ী অরহত উপগুপ্ত ভন্তেকে আমন্ত্ৰণ করে পুজা ও বন্দনা শ্রীলংকা, বার্মাতে ব্যাপক ভাবে প্রচলিত।

পুর্জাহ যার বিজয়ী জীবন্ত অর্হত উপগুপ্ত মহাথেরো মহোদয়কে পারিবারিক ভাবে হলেও অন্ততপক্ষে মাসে একবার ফাং(আমন্ত্রণ) করে পুজা দেওয়া অতি উত্তম।ঠিক সেরূপ বুদ্ধ পুজা সহ আটাশ বুদ্ধ, দশ অনাগত বুদ্ধ,অরহত গণ সহ মার্গফললাভী আর্যবিদ্যাধর গুরু বৃন্দের ফাং ও পুজা করা অতি পুণ্যকর্ম এবং নিজের ও অপরের জন্যমঙ্গলজনক ও নির্বাণ শান্তিসুখ প্রদায়ী।কারন মঙ্গল সুত্রে বলা হয়েছে পুজনীয় ব্যক্তির পুজা করা উত্তম মঙ্গল।আর্যশ্রাবক ঋদ্ধিমান গণের পুজা করিলে বিবিধ ভয়-অন্তরায়,দুঃখ-উপদ্রব,রোগ-ব্যধি উপশম হয় লৌকিক ও লোকত্তর সুখে পৌছানো যায়। ---*********-অরহৎ উপগুপ্ত ভান্তের আমন্ত্ৰণ

(ফাং)করার নিয়মাবলী-*****----- পুজা করার দিন অথবা কিংবা পুজা করার পুর্বদিন স্নানকৃত্য সম্পাদন করে হাতে কিছু ফুল এবং ধুপকাঠি নিয়ে বুদ্ধমুর্তি বা বুদ্ধাসনের সম্মুখে ত্রিরত্ন বন্দনাদি করার পর পানিতে নেমে উপগুপ্ত ভান্তেকে আমন্ত্রণ করতে হয়।

(নমো তস্স ভগবতো অরহতো সম্মা সম্বুদ্ধস্স) ৩বার

মহাপুণ্যবান যারবিজয়ী অর্হৎ উপগুপ্ত মহাথেরো মহোদয়কে নমস্কার ( ৩বার) +++শ্রদ্ধেয় ভন্তে, দেব মনুষ্য তথা সর্ব জীবের হিত সুখার্তে আমার/ আমাদের অনুষ্ঠান কার্যাদি(_আপনাদের কার্য-হেতু উল্লেক করিবেন---) সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার মারের অশুভ শক্তি, ভয় অন্তরায়,দুঃখ-উপ দ্রব,অমনুষ্য উপদ্রব,রোগ-ব্যধা,ঝড় বৃস্টি,প্রাকৃতিক দুর্যোগ,মানব সৃস্ট যুদ্ধ-বিগ্রহ,নিজেদের ভুল বুঝাবুঝি --তথা অবিদ্যা, অন্ধকার হতে মুক্ত হয়ে বুদ্ধ শাসন প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করার জন্য এবং যথাকালে বারিবর্ষণ করে আমাদের ধনধান্যে পরিপুর্ণ করার জন্য আমি/আমরা আগামী....ইং তারিখ হতে......... . ইং তারিখ পর্যন্ত.........বিহারে /নিজগৃহে/উপযুক্ত স্হানের নাম.... শ্রদ্ধেয় ভান্তেকে ফাং(আমন্ত্ৰণ ) করছি। পুজনীয় ভান্তে, অনুকম্পা বশত আমার/আমাদেরআমন্ত্রণ গ্রহন করুন। (দ্বিতীয়বার ..... তৃতীয়বার ...... ঐ)।

(বি:দ্র: মহাপুণ্যবান মারবিজয়ী শ্রদ্ধেয় উপগুপ্ত মহাথেরো মহোদয়কে আমন্ত্রণ (ফাং) করার পুর্বে নদী(গাঙ),পুকুর,ছড়া কিংবা উপযুক্ত জায়গায় পানির উপর ভাসমান অথবা পানি হতে কয়েকহাত উপরে পানিতে ভাসমান থাকে যত বিহারাকৃতির একটি ছোট ঘর (মাচাং)তৈরী করতে হবে।তথাই উপগুপ্ত ভন্তের ছবি বা প্রতিমুর্তি (যদি থাকে) স্থাপন পুর্বক বিভিন্ন উপকরণাদি যেমন ফুল দেওয়ার জন্য পাত্র, পানি দেওয়ার জন্য গ্লাস,প্রদীপদানী, ধুপদানী,পিন্ডদান দেওয়ার জন্য প্লেট(পাত্র) ইত্যাদি সাজিয়ে রাখা প্রয়োজন।যতদিন পর্যন্ত ফাং করা হয়েছে ততদিন পর্যন্ত সকাল-বিকাল শ্রদ্ধেয়্য উপগুপ্ত ভন্তেকে আহার, ফুল,প্রদীপ,ধুপ ইত্যাদি পুজাপকরণাদি দ্বারা পুজা করার যাতে কোন ব্যতিক্রম না হয়। যেদিন আমন্ত্রণ (ফাং) করা হবে, সেদিন হতে প্রার্থনাকারীকে অস্টসীল গ্রহন করতে হবে এবং যতদিন পর্যন্ত শ্রদ্ধেয় ভন্তে আমন্ত্রিত ততদিন পর্যন্ত অস্টশীল পালন করা বাঞ্চনীয়। পুণ্যানুষ্ঠানে যা অন্তরায় হবে বলে ধারণা তা উল্লেখ পূর্বক তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রার্থনা কারীকে প্রার্থনা করতে হবে।তাছাড়া উপরিক্ত প্রার্থনা পানিতে নেমে সম্পন্ন করা বিধেয়।

***

******পুজা উৎসর্গ ও প্রার্থনা****** ইতিপি সো মহা ইদ্ধিসম্পন্নো উপগুপ্ত অরহং তমহং ভগবন্তং সধম্মংসসঙ্ঘং ইমেহি আহরেছি,ইমেহি নানা বিধেহি ফলমুলেহি,ইযেহি পুফেহি,ইযেহি পদীপেহি,উদকেহি,সুগন্ধেহি (ধূপেহ)ি নানাবিধেহি অগ্গরসেহি পুজোপচারে হি। তমহং ভগবন্তং সধম্মং সসঙ্ঘং উপগুপ্ত নাম অরহংমহাথেরস্স পুজেমি পুজেমি পুজেমি। ইদং নানা বিধেহি পুজাপচারেহি পুজানু ভাবেন অরহন্তন সদ্ধিং যহাইদ্ধিযন্তো,জ্যাতিমন্তো,মহামার পযদ্দনো উপগুপ্ত মহাথেরং স্বভাবসীলং ।অহম্‌প তেসং অনুবত্তকো হোমি । ইমিনা বন্দনা মনন পুজাপটিপত্তি অনুভাবেন আসবখায় বহং হোতু সব্ব দুক্খা,সব্ব ভয়া,সব্ব রোগা,সব্ব অন্তরায়া,সব্ব উপদ্দবা, সব্ব দলিদ্দ পঞ্চন্ত,নির্ বানস্স পচ্চায় হোতু'তি।

মহাসমুদ্র গর্ভে সর্বদা অস্ট সমাপত্তি ধ্যানে নিরত মহান পুজ্য,মহান অলৌকিক ঋদ্ধিশক্তির অধিকারী অর্হৎ ভন্তে উপগুপ্ত মহাথেরো মহোদয়কে গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি বিনম্র চিত্তে পুজা অর্চনার প্রভাবে আমার/আমাদের যেন সকল প্রকার অন্ধ কুসংস্কার ও বিভ্রান্তিমুলক নীতি নিয়ম পরিহার পুর্বক করুণাঘন তথাগত বুদ্ধের মহান আর্য অস্টাঙ্গিক নীতি পথে নিজেকে পরিচালিত করে সংসার দুঃখের সকল বন্ধন ছিন্ন করার হেতু হোক। এই পুণ্যময় পুজার ফলে সদ্ধর্ম পথে পরিচালিত থেকে পাপযিত্র ও নীচ ব্যক্তির সাথে যেন সংসর্গ না হয় এবং সর্বদা যেন কল্যাণমিত্র ও সাধু ব্যক্তির সঙ্গ লাভ হয়।জন্ম জন্মান্তরে অনির্বাণ কাল যেন সকল ধর্মে সুশিক্ষিত,সাগরের মত গম্ভীর, প্রজ্ঞাবান ও তেজস্বী হই।কঠিন শিলাময় পর্বত যেমন শক্তিশালী বায়ুতে বিচলিত হয় না তেমনি আমি/আমরাও যেন নিন্দা-প্রশংসা তথা অস্ট লোক ধর্মে অবিচলিত থেকে আর্য পুরুষদের আচরিত পথ অনুসরণ করে পরমামৃতের অনুপম আস্বাদ চিরসুখশয় নির্বাণ লাভের হেতু হোক। সাধু-সাধু-সাধু আমন্ত্রণ বা ফাং না করেও প্রতিদিন যার বিজয়ী অর্হৎ

উপগুপ্ত মহাথেরোর ছবি বা মুর্তি বুদ্ধের আসনেএকপাশে স্থাপন করে স্বাভাবিক বুদ্ধ পুজার সঙ্গে পুজা সম্পাদন করা যায়। সন্ধায় ফুল,পানীয় জল, প্রদীপ -ধুপকাঠি বা বিবিধ সুগন্ধ দ্রব্যাদি দিয়ে পুজা প্রার্থনা করা প্রয়োজন।

---সংক্ষিপ্ত পুজা প্রার্থনা গাথা------

ইদ্দিযন্তো,জ্যোতিমন্তো,মহামার পযোদ্দনো,সাসনে রকিখতো সন্তো কল্পকালো অধিষ্ঠিতা, লোকালয়ং বজ্জিতোয়া,মহাসমদ্দে বসিতো মুণি, ত উপগুপ্তং পুজিতো,অহং বন্দামি সব্বদা। ইদং পুজা অনুমোদিত্বা,মহাথেরো কারুণিকো, সব্ব যারং পযদ্দন্দো অন্তরায়ং বিনস্পাতি।

সাধু-সাধু-সাধু

বাংলা----সেই ঋদ্ধিমান,জ্যোর্তিমান, যার দমনকারী,বুদ্ধ শাসন রক্ষার তরে কল্পকাল অধিষ্ঠান কারী, মুনি উপগুপ্ত মহাথেরোকে পুজা উপকরনে সর্বদা বন্দনা করছি।এই পুজা অনুমোদন করে মহাথেরো কারুণিক আমাকে সকল প্রকার মারের অন্তরায় থেকে মুক্ত রাখুন।
---সংগৃহিত

01/12/2023

সঠিক ধ্যানের মাধ্যমে মন থেকে শরীর পর্যন্ত জাগতিক আবরণ দূর হয় এবং ভেতরের পর্দা আসে।
_গৌতম বুদ্ধ 🙏💐

ধন সম্পত্তি নয়, মানুষের প্রয়োজন হল মানসিক শান্তি।🙏🙏🙏
01/12/2023

ধন সম্পত্তি নয়,
মানুষের প্রয়োজন হল মানসিক শান্তি।🙏🙏🙏

Address

Cox's Bazar

Telephone

+8801837013636

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RAMU buddhist online channel posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to RAMU buddhist online channel:

Share