18/06/2025
কলেজ থেকে বাসায় আসতে প্রায় বিকেল ৩টা বেজে গিয়েছে। সকালে না খেয়েই কলেজের গিয়েছিলাম। এতো বেশি ক্ষুধা লেগেছে, কোনো রকম ফ্রেশ হয়েই খাবার খেতে গেলাম। প্লেটে খাবার তুললাম, ভাত আর এক পিস রোস্ট নিলাম। প্লেটে খাবার তুলে রুমে আসতে গিয়ে কিভাবে যেনো হাত থেকে খাবারের প্লেট পরে গেলো। মনটা এতো খারাপ হলো।
খাওয়া তো হলোই না আবার এইসব এখন পরিষ্কার করতে হবে। কিছুক্ষন মেঝেতে পড়ে থাকা খাবার গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকলাম এরপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলাম এই খাবার আমার রিজিকে ছিলো না।
এরপর ভাত গুলো তুলে উঠানে মুরগির জন্যে ছিটিয়ে দিলাম। মুরগির সাথে দেখি কিছু পাখিও উড়ে এসে ভাত খাচ্ছে।
রোস্টের পিসটা ধুয়ে বাসার বিড়ালটাকে দিলাম। এরপর হাত মুখ ধুয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। আর খেতে মন চাচ্ছে না। মা বারবার বললো খেয়ে নিতে। বললাম ক্লান্ত লাগছে পরে খাবো।
এরপর ঘন্টা খানেক রেস্ট নিয়ে ৪:৩০/৫:০০টায় উঠে ফ্রেশ হয়ে আবার টেবিলে খাবার নিতে গেলাম। এইবার আর রুমে আনবো না। টেবিলে বসেই খাবার খাবো। যা ভাবা তাই কাজ। টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছি।
হঠাৎ চোখ পড়লো, টেবিলের পাশে অনেক গুলো পিপড়া দল বেধে ভাত নিয়ে যাচ্ছে। বুঝতে বাকি রইলো না। এইটা কিছুক্ষন আগে আমার হাত থেকে পড়া সেই ভাত। হয়তো ভাতের কিছুদানা পড়েই ছিলো কোনো কোণায়।
হঠাৎ একটা কথা ভেবে চোখে পানি চলে এলো, আমার হাত থেকে ভাতের প্লেট পরে যাবার পরে, এইখান থেকে মুরগি, পাখি,বিড়াল এমন কি এই ছোট্ট প্রানী পিপড়াও খাবার পেলো।
আল্লাহ কত মহান তাইনা? এই ক্ষুদ্র-অতিক্ষুদ্র প্রানীর রিজিকের ব্যাবস্থা কি সুন্দর ভাবে করে দেন তিনি। সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ মহান💖