30/12/2023
গল্প #বধু_সুন্দরী
পর্ব---০৩
কাহিনীতে:✍️ #ইউসুফ_শাহ
---বিশ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসিব সেখানে চলে আসে। বলতে থাকে।
হাসিব : এইইইই কি হলো তোর? সত্যি সত্যি কি বিশ খেয়ে ফেল্লি।
"কথাটি শেষ হওয়ার সঙ্গে রিতু উত্তর দেয়"
রিতু : নাহ এখন পযর্ন্ত বিশ সত্যিকারের বিশ খাইনি একটু অভিনয় করলাম। দেখতে চাইছিলাম আপনি আমার কাছে আসেন কি না।
হাসিব : আসলেই তোদের মতো ছোট লোকদের চেনা বড় দায়। তোরা অভিনয়ে সেরা।
রিতু : এইবার কিন্তু সত্যি সত্যি খাবো। যদি আমাকে সঙ্গে নিয়ে না যান। আর আমি বিশ খাইলে আপনার কি হবে একবার ভেবে দেখছেন।
"রিতুর মুখে এমন কথা শুনে হাসিব বেশ ঘাবরে যায়। কারন কখন যে কি করে বসে তার ঠিক নাই। তাই হাসিব বলে।
হাসিব : এতোই যখন আমার বউ হবার শখ তোর তাহলে চল আমার সঙ্গে।
রিতু : হুমমমম আমি তো যাইতে চাই।
হাসিব : চল।
"এর পরে হাসিব বাদ্ধ হয়ে রিতুকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় চলে আসে। এই দিকে আবার হাসিবের বাবা মা নতুন বউকে বরন করে নেয়ার জন্যে বাহিরের দরজায় দারিয়ে আছে।
"বাসায় ডুকা মাত্রই সবাই নতুন বউকে বরন করে নেয়। তো বরন করা শেষে যেইনা বউয়ের মুখে থেকে ঘোমটা সরায় তখন সবাই আশ্চর্য হয়ে যায়। কারন এই কাইল্লা ভুত আবার কে।
"হাসিব এটা কাকে নিয়ে এসেছিস তুই। ( হাসিবের মা)
"হাসিব নিশ্চুপ?
"কি হলো আমার কথার উত্তর দে। এই মেয়েটা কে? (মা)
হাসিব : মা ভুমির বাবা মা আমাদের সঙ্গে বাটপারি করছে। ভুমির বদলে এই কাজের বুয়ার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছে।
"কিইইইইই ভুমি কোথায় তবে। (মা)
হাসিব : ভুমি ৩ মাসের গর্ভবতী। ওর একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে।
"কি বলিশ এইসব আমার তো বিশ্বাস হচ্ছেনা।ওরা আমাদের এতো বড় মিথ্যা লুকিয়েছে। (মা)
হাসিব : আমি বাদ্ধ হয়ে এই কাজের মেয়েকে নিয়ে এসেছি।
"ওখানেই রেখে আসতে পারিশনাই এই কালা মেয়েটাকে। (মা)
হাসিব : চেষ্টা কি কম করেছি। অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশ খাওয়ার চেষ্টা করতে ছিলো তাই নিয়ে এসেছি। সমস্যা নেই আমাদের বাসায় কাজের মেয়ে নাই ও সব কাজ করবে।
"কিন্তু মানুষ কি বলবে শুনি একটু। কাল বউ দেখার জন্যে কতো সন্মানিয় লোক আসবে। তাদের আমি কি বলবো? (মা)
"এই কথা শুনে রিতু বলে "
রিতু : কেনো আমাকে দেখাবেন। আমি কি দেখতে অসুন্দর নাকি।
"রিতুর এই কথা শুনে সেখানে সবাই হাহাহ হাহহা হাহা করে হাসতে থাকে "
হাসিব : কিইইইই তুই সুন্দরী। আরে তুইতো কাইল্লা ভুত।
রিতু : নিজের বউকে এমন করে বলতে নেই।
হাসিব : এইইইই ক/ত্তা/র বা/চ্ছা আর একবার বউয়ের অধিকার কথা বললে তোকে এখানে শেষ করে দিবো।
রিতু : তুমি ঘুঘু হলে আমি ঘুঘুর ফাদ। এই কথাটি মাথায় রাখিও শুধুমাত্র।
হাসিব : দেখলে মা ও কাজের মেয়ে হলে হবে কি। কথা বার্তা সব কোটিপতির সন্তানের মতো।
"সেটাই তো দেখতেছি। হাসিব আমার মনে হচ্ছে এইটা প্লান করে বিয়ে দিয়েছে ওরা। (মা)
হাসিব : মিথ্যা বলোনাই।
রিতু : অনেক রাত হয়েছে বেশি কথা বলতে পারবোনা। তোমার রুম কোনটা বলো ঘুমাবো আমি।
"রিতুর এমন ঠাস ঠাস করে কথা শুনে সবাই বেশ আশ্চর্য হয়।
হাসিব: কিইইই তুই আমার রুমে ঘুমাবি।
রিতু : অবশ্যই। কারন তুমি আমার স্বামী তোমার রুমেই তো ঘুম যাবো।
হাসিব : তুই ঘুমাবি আমাদের অন্য কাজের বুয়া গুলার সঙ্গে।
রিতু : ঠিক আছে যেখানে ইচ্ছে সেখানেই ঘুমাইতে দাও। তবে কাল আমার মৃত লাশ পাবে। তখন বুজবে।
হাসিব : ধমক দিস আমাকে।
রিতু : ধমক দিবো কেনো। এই রিতু যেটা বলে সেটাই করে।
"এমন সময় হাসিবের মা হাসিবকে একটু সাইডে নিয়ে কিছু কথা বলে। যা শুনে হাসিব রিতুকে বলে।
হাসিব : ঠিক আমার রুমেই ঘুমাবি চলে।
"ওয়েট তার আগে আমি কিছু কথা বলতে চাই। কথাটি হচ্ছে কাল আমাদের বাসায় অনেক মেহমান আসবে নতুন বউ দেখার জন্যে। কিন্তু আমাদের পোরা কপাল যাকে বউ হিসেবে দেখতে চাইলাম তাকে পেলাম না। তাই কাল সারা দিন হাসিব তোর বউ যেনো রুম থেকে বের না হয়। কারন আমি অন্য একটি মেয়েকে বউ সাজিয়ে সবার সাথে পরিচয় করে দিবো। না হলে আমাদের মান সন্মান সব শেষ হবে। (মা)
হাসিব : ঠিক আছে মা সমস্যা নেই।
"যা রুমে যা কালা ভুতটারে সঙ্গে নিয়ে? (মা)
"মায়ের কথা মতো হাসিব রিতুকে নিজের রুমে নিয়ে যায় বাদ্ধ হয়ে ''
"রুমে এসেই"
2
রিতু : বাহ কি সুন্দর করে বাসর ঘরটী সাজিয়েছে আমাদের জন্যে।
হাসিব : তোর জন্যে না। আমার আর ভুমির জন্যে ছিলো বুজেছিস।
রিতু : আচ্ছা একটি কথা বলি আপনাকে। সরি এখন থেকে তুমি করে বলবো। আচ্ছা একটি কতা বলি তোমাকে।
হাসিব : বল কি বলতে চাস।
রিতু : তুমি যদি বিয়ের পরে জানতে ভুমির পেটে ৩ মাসের একটি নভজাত বেরে উঠতেছে সেটাও আবার অন্য কারোর। তখন তুমি কি করতা।
হাসিব : কি আর করতাম তাকে ডিভোর্স দিতাম। না হলে বাচ্চা টি নষ্ট করতাম।
রিতু : আচ্ছা। কিন্তু তার পরেও যদি ভুমি তার boyfriend সঙ্গে মেশা মেশা করতো তখন।
হাসিব : সোজা ডিভোর্স দিতাম।
রিতু : আচ্ছা ভালোবাসা মন থেকে হয়না দেখ থেকে হয়।
হাসিব : মন থেকে ভালোবাসা হয়। কিন্তু তুই এই সব আমাকে বলতেছিস কেনো।
রিতু : আমি জানি আমি দেখতে সুন্দর না। অন্য মেয়েদের মতো শিক্ষিত না। ভালো জামা কাপর নেই। মানুষ বাড়িতে কাজ করে খাই। তাই বলে কি আমার কোন স্বপ্ন নেই। আমার ভালোবাসার শখ নেই।
হাসিব : হুমমম আছে।
রিতু : কোই তুমি তো আমাকে একবার ও সন্মান দিয়ে কথা বললেনা। আমার সম্পর্কে জানতে চাইলেনা।
হাসিব : তোরা আমার সঙ্গে নাটক করেছিস। আমাকে ধোক দিয়েছিস।
রিতু : কেনো এমন করলাম একবাও জানতে চাইছো।
হাসিব : না।
রিতু : শোন তাহলে। ভুমি ওর মা মিলে এই প্লান করেছে। ওর বাবার কোন দোশ নেই এই সব। আসলে ওরা আমাকে ব্লাকমেইল করেছে।
হাসিব : মানে।
রিতু : ভুমি আপু প্লান করে বিয়ের আসরে এমন ভাবে কাউকে ঘোমটা দিয়ে লাখবে যাতে মনে হয় ওখানে ভুমি আছে। কিন্তু কেউ এতে রাজি হচ্ছিলো না। তখন ওরা আমাকে টাকার লোভ দেখায়। বলে তুই এই কাজ করলে ৩ লক্ষ টাকা দিবো। আর সেই টাকা দিয়ে তোর মায়ের চিকিৎসা করতে পারবি। বিশ্বাস করো হাসিব তখন আমি রাজি হয়ে যাই কারন আমার মা অসুস্থ। তাকে সুন্দর করতে অনেক টাকা লাগবে।
হাসিব : ওহ। বুজলাম তুই তোর জায়গা থেকে কাজটি ঠিক করেছিস। কিন্তু একবার ও ভেবে দেখেছিস এর পরে কি ঘটতে পারে।
রিতু : আমাকে মাপ করে দাও হাসিব। সত্যি তখন এই চিন্তা মাথায় আসেনি আমার।
হাসিব : মাপ করলেই কি ঠিক হবে সব কিছু।
রিতু : তুমি চাইলে আমাকে ডিভোর্স দিতে পারো। আমি কোন একশন নিবোনা। শুধুমাত্র আমার মায়ের চিকিৎসা জন্যে ১ লক্ষ টাকা দিলেই হবে।
"রিতুর মুখে এই কথাটি শুনে হাসিবের মুখে একটু যেনো হাসির ছাপস ফুটে উঠলো"
হাসিব : সত্যি বলছিস।
রিতু : হুমমমম সত্যি সত্যি সত্যি।
হাসিব : কিন্তু ৩ মাসের আগে তো ডিভোর্স হবেনা। তাই আমাদের এই ৩ মাস এক সঙ্গে থাকতে হবে।
রিতু : হুমমমম।
হাসিব : এই কথাই থাকলো ৩ মাস পরে এক লক্ষ টাকা নিয়ে ডিভোর্স হবে।
রিতু : হুমমম এখন ঘুমাই তবে।
হাসিব : শোন কাল আমাদের বাসায় অনেক মেহমান আসবে তুই কাউকে পরিচয় দিবিনা তোর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। এক কথায় এই রুম থেকে বাহিরে যাবিনা। অন্য একটি মেয়েকে বউ সাজিয়ে পরিচয় করিয়ে দিবো নাহলে আমাদের মান সন্মান থাকবেনা।
রিতু : ঠিক আছে।
হাসিব : ঘুমাও এখন।
রিতু : তুমি ঘুমাবেনা। অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পরো তুমি ও।
হাসিব : আমার দেরি আছে। তুই ঘুমাও। আমি একটু পরে এসে সোপায় ঘুমাবো।
রিতু : আমি সোপায় ঘুমাই তুমি খাটে ঘুমাইও।
হাসিব : তুই ঘুমাও খাটে।
"এই বলে হাসিব সেখানে থেকে বাহিরে চলে যায়। রিতুও আর কিছু না বলে খাটেই ঘুমিয়ে পলে।
"তো পরের দিন সকালে বেলায় রিতু উঠতে না উঠতেই বাড়িতে অনেক মানুষের চিৎকার শোনা যাচ্ছিলো যারা সবাই নতুন বউ দেখার জন্যে এসেছ।
"এর পরে রিতু ঘুম থেকে উঠে জানালার এক পাশ দিতে বাহিরে দেখছিলো। একটি মেয়ে বউয়ের সাজে সজিয়ে হাসিবের পাশে বসে আছে। আর সাই ওদের ছবি তুলে নিচ্ছে।
"এটা দেখে রিতু ভাবে থাকে ইশশশ কেনো যে বড়লোকের ঘরে জন্ম নিলামনা। আল্লাহ্ কেনো যে সুন্দরী করে বানালোনা। আজ যদি সুন্দর হতাম তাহলে নিজর স্বামীর পাশে থাকতাম।
"এই সব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ রিতুর পেটটা ভিষন ব্যথা করতে শুরু করে। কি কারনে করে সেটাও সে জানেনা।
"বেশ কিচ্ছুক্ষন সজ্য করার পরে যখন আর নিজেকে কন্টল বলতে পাচ্ছিলোনা তখন রিতু দরজাটি খুলে বাহিরে চলে আসে হাসিবের সামনে।
যেটা দেখে হাসিব বেশ আশ্চর্য হয়?
রিতু : হাসিব আমাকে বাছাও আমার পেট ভিষণ ব্যথা করতেছে। বুজতেছিনা কি হয়েছে।
হাসিব : এইই কে আপনি। আপনার পেট ব্যথা করতেছে তো আমি কি করবো শুনি। যান এখান থেকে চলে যান।
রিতু : প্লিজড হাসিব ডাক্তার ডাকো আমি সজ্য করতে পাচ্ছিনা।
হাসিব : আপনাকে চিনিনা জানিনা আমি কেনো ডাক্তার ডাকবো শুনি।
রিতু : আমাকে চিনোনা আরে আমি তোমার বিয়ে করা বউ রিতু। এখন চিনছো আমাকে।
এই কথাটি শুনেই সেখানে হাসিব______
চলবে,,,,
---- পরবর্তী পর্বে কি ঘটতে পারে কমেন্ট করুন সবাই ধন্যবাদ।