17/11/2024
আপনি কি কখনো ভেবেছেন, আপনার জীবনের শেষ ঠিকানা কোথায়?
যে ব্যক্তি জীবনের ব্যস্ততায় কবরের কথা ভুলে গেছে, তার অন্তরে দুনিয়ার মায়া আরও জেঁকে বসবে। তার মনে পাপের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়বে। যে ব্যক্তি জানে কবর জীবনের চূড়ান্ত ঠিকানা, তবুও সেটাকে এড়িয়ে চলে, সে সহজেই আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল হয়ে যায়।
কবরের কথা স্মরণ না করা মানে আখিরাতের প্রস্তুতি ভুলে যাওয়া। যে লোক প্রতিদিনের জীবনে কবরের ভয়াবহতা নিয়ে একবারও ভাবে না, তার পক্ষে পাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখা খুব কঠিন। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়—এসব কাজ তাকে আরও গভীর অন্ধকারে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, কবরের কথা বেশি বেশি স্মরণ করা আমাদেরকে ভালো কাজের দিকে তাড়িত করে।
যে ব্যক্তি কবরের একাকীত্ব, অন্ধকার, এবং জিজ্ঞাসাবাদের ভয় নিয়ে ভাবে, তার পক্ষে কোনো গুনাহ করা সহজ হয় না। যে লোক মনে করে, এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, আর কবরের অন্ধকারে তার নেক আমলই একমাত্র সঙ্গী হবে, সে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
যে ব্যক্তি রাস্তা থেকে কাঁটা সরিয়ে দেয়, গরীবের হাতে সাহায্যের টাকা তুলে দেয়, বা দোয়া পড়ে ঘুমাতে যায়, তার মনে থাকে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি।
আমাদের প্রতিদিনের চিন্তাভাবনা, কাজকর্ম—সবই নির্ভর করে আমাদের কীসের পাল্লা ভারি তার উপর। গুনাহের পাল্লা নাকি ভালো আমলের পাল্লা। কবরের কথা বেশি বেশি স্মরণ করলে, ভালো কাজ করার ইচ্ছা বাড়ে, আর গুনাহের পথ থেকে ফিরে আসার শক্তি পাওয়া যায়।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
"তোমরা কবরের কথা অধিক পরিমাণে স্মরণ করো, কারণ এটি পাপ থেকে বিরত রাখে এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করায়।"
—(জামে তিরমিজি, হাদিস: ২৩০৭)
তাই, আসুন কবরের কথা স্মরণ করে নিজের জীবনকে সংশোধন করি। আল্লাহ আমাদের গুনাহ মাফ করুন এবং কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিন। আমিন।
Shahab Uddin Tuhim - শাহাব উদ্দিন তুহিম