Kashem

Kashem Lifestyle blog post and idea

ভাগিনা শেখ নুরুল বশরের *মা* আজ বিকাল ৫ টার সময় নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন।"ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।আগামী...
25/08/2025

ভাগিনা শেখ নুরুল বশরের *মা* আজ বিকাল ৫ টার সময় নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন।

"ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আগামীকাল সকাল ১০ ঘটিকার সময় পারিবারিক কবরস্থান মাঠে মরহুমার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

24/08/2025

🩺 রোগ অনুযায়ী কোন ডাক্তার দেখাবেন

🔹 মাথা, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সমস্যা

মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, পক্ষাঘাত, স্নায়ুর ব্যথা → নিউরোলজিস্ট (Neurologist)

মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার, টিউমার → নিউরোসার্জন (Neurosurgeon)

---

🔹 চোখের সমস্যা

চোখের ঝাপসা, লাল হওয়া, ছানি, গ্লুকোমা → চক্ষু বিশেষজ্ঞ (Ophthalmologist)

---

🔹 কান, নাক ও গলার সমস্যা

কানে কম শোনা, কানে পুঁজ পড়া, টনসিল, সাইনাস, নাক দিয়ে রক্ত পড়া → ইএনটি বিশেষজ্ঞ (ENT Specialist)

---

🔹 দাঁত ও মুখের সমস্যা

দাঁতের ব্যথা, মাড়ির সমস্যা, দাঁত তোলা/ব্রেস → ডেন্টিস্ট (Dentist)

---

🔹 হৃদরোগ ও রক্তচাপ

বুক ধড়ফড়, হার্ট ব্লক, হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ/নিম্ন রক্তচাপ → কার্ডিওলজিস্ট (Cardiologist)

হার্টের অপারেশন লাগলে → কার্ডিয়াক সার্জন (Cardiac Surgeon)

---

🔹 শ্বাসকষ্ট / ফুসফুস

হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, যক্ষ্মা → মেডিসিন / চেস্ট বিশেষজ্ঞ (Pulmonologist)

---

🔹 পেট ও হজমের সমস্যা

গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যথা, লিভারের সমস্যা, আলসার → গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট (Gastroenterologist)

---

🔹 কিডনি / প্রস্রাবের সমস্যা

কিডনির পাথর, প্রস্রাবে জ্বালা, ইউরিন ইনফেকশন → নেফ্রোলজিস্ট (Nephrologist)

অপারেশন লাগলে → ইউরোলজিস্ট (Urologist)

---

🔹 হাড়, জয়েন্ট ও মেরুদণ্ড

কোমর ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, হাড় ভাঙা, বাত → অর্থোপেডিক সার্জন (Orthopedic Doctor)

---

🔹 ত্বক ও যৌন রোগ

চুলকানি, চুল পড়া, ফুসকুড়ি, যৌন রোগ → ডার্মাটোলজিস্ট (Skin & VD Specialist)

---

🔹 নারী রোগ

মাসিকের সমস্যা, গর্ভাবস্থা, সন্তান জন্ম → গাইনোকলজিস্ট (Gynecologist & Obstetrician)

---

🔹 শিশু রোগ

শিশুদের জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া → পেডিয়াট্রিশিয়ান (Child Specialist)

---

🔹 মানসিক রোগ

দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন, ঘুম না আসা, সিজোফ্রেনিয়া → সাইকিয়াট্রিস্ট (Psychiatrist)

---

🔹 সাধারণ অসুখ

সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, শরীর ব্যথা → মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (Medicine Specialist)

জরুরি বা ছোটখাটো সমস্যা → MBBS ডাক্তার (General Physician)

14/08/2025

আপনি নিজেই হতে পারেন একটি ব্র‍্যান্ড 🤩

👉 শুরুতেই কিছু প্রশ্ন করি আপনাদের :

🌟 আচ্ছা আপনি কি জামসেদ মজুমদারকে আগে চিনেন নাকি ঘরের বাজারকে আগে চিনেন?

🌟 আপনি কি ইলন মাস্ককে আগে চিনেন নাকি টেসলা কম্পানিকে আগে চিনেন?

🌟 আপনি কি বিল গেটস কে আগে চিনেন নাকি মাইক্রোসফট কে আগে চিনেন?

আমি জানি আপনাদের মাক্সিমাম এর উত্তর হচ্ছে ব্যক্তি গুলো। কিন্তু কেনো?

এর কারণ হচ্ছে এই ব্যক্তিগুলো নিজেকেই একটা ব্র‍্যান্ড হিসেবে তৈরি করেছেন। মানুষের কাছে তাদের ব্র‍্যান্ড এর তুলোনায় তাদের পরিচিতি বেশি। আর একেই বলা হয় পার্সোনাল ব্র‍্যান্ডিং।

পার্সোনাল ব্র‍্যান্ডিং কীভাবে করবেন এটি জানার আগে আসুন আগে জেনে নেই এর সুবিধাগুলো কী কী?

👉 আপনি যদি নিজেকে একটা পজিটিভ পার্সোনাল ব্র‍্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার পরিচিতির কারণে আপনার ব্র‍্যান্ড মানুষের সামনে পরিচিতি পাবে।

👉 আপনাকে সেলিব্রেটি হায়ার করে বিজ্ঞাপন তৈরি করা লাগবে না। আপনি নিজেই আপনার প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন।

👉 যদি আপনি মানুষের মাঝে একটা গুড ইম্প্যাক্ট তৈরি করে থাকেন তাহলে মানুষ সহজেই আপনার প্রোডাক্ট কিনে নিবে।

👉 পার্সোনাল ব্র‍্যান্ডিং আপনার ব্র‍্যান্ডকে আপনার প্রতিযোগীদের ব্র‍্যান্ড এর থেকে আলাদা করবে। একটা উদাহরণ দেই : টিশার্ট আমাদের সকলের পছন্দ এখন আমরা সকলেই টিশার্ট যাদের থেকে কিনি তারা কেউই আমাদের পরিচিত না। এখন যদি শাকিব খান বা তাহসান খান একটা ব্র‍্যান্ড লঞ্চ করেন যেখানে তারা শুধু টিশার্ট সেল করবে আর তারা নিজেরাই যখন এটির বিজ্ঞাপন দিবে মানুষ তখন অন্য দোকানে যাবে? অবশ্যই না তারা শাকিব খান বা তাহসান খানের দোকান থেকেই টিশার্ট কিনবে কারণ তাদের পরিচিতি রয়েছে।

👉 যারা যারা আপনার কন্টেন্ট সব সময় ফলো করে তারা আপনার প্রোডাক্ট এর সাথেও দীর্ঘদিন যুক্ত থাকে। এখন আপনি কন্টেন্ট তৈরি করেন যে কীভাবে শরীর সুস্থ রাখা যায় এই বিষয়ের আর আপনার যখন একটা পরিচিতি তৈরি হলো তখন আপনি একটা শরবত তৈরি করলেন যেটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এখন আপনি যদি আপনার প্রতিটা কন্টেন্টে আপনার প্রোডাক্ট এর কথা একবার করে বলেন তাহলে ১০০ জন এই কথা শুনলে এর মধ্যে ২০ জন আপনার প্রোডাক্ট কিনবে। এভাবেই তারা আপনার পাশাপাশি আপনার প্রোডাক্ট এর সাথেও যুক্ত থাকবে।

এরকম আরও অনেক সুবিধা আছে পার্সোনাল ব্র‍্যান্ডিং এর যা বলে শেষ করার মতো না।

এখন আসুন কিছু ধাপে ধাপে জেনে নেই কীভাবে আপনি নিজেকে একটা পার্সোনাল ব্র‍্যান্ড হিসবে তৈরি করবেন :

✅ সবার আগে নিজেকে আবিষ্কার করুন। আপনার কোন বিষয়ে অনেক প্রতিভা রয়েছে সেই বিষয়টিকে খুজে বের করুন। যেমন :

🖌️ আপনি কি ভালো ছবি আকতে পারেন?

🎤আপনি কি ভালো গান গাইতে পারেন?

🎙️আপনি কি ভালো উপস্থাপন করতে পারেন?

📖 আপনি কি ভালো কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন?

মূল কথা আপনার স্কিল কোন বিষয়ে বেশি সেটা আবিস্কার করুন।

✅ আপনি যে বিষয়ে স্কিলফুল সে বিষয় নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে কন্টেন্ট বানানো শুরু করুন। আপনি যদি ভালো গান গাইতে পারেন তাহলে সুন্দর করে একটা ভিডিও ধারণ করুন এবং সেটি সোশাল মিডিয়াতে আপলোড করুন। এখানে সোশাল মিডিয়া মানে শুধু ফেসবুক নয় এছাড়াও রয়েছে ইউটিউব, টিকটক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম। আপনাকে সকল মিডিয়াতেই এক্টিভ থাকতে হবে।

✅ সব সমই একই রকম থাকুন। অর্থাৎ আপনি গানের ভিডিও আপলোড করেন তাই সব সময় গানের ভিডিও তৈরি করুন হঠাৎ করে গাড়ি চালানোর কন্টেন্ট দেওয়া যাবে না এর ফলে আপনার ব্র‍্যান্ডিং নষ্ট হবে। আর যখন কেউ একটি স্পেসিফিক বিষয় নিয়েই কন্টেন্ট বানানো শুরু করে তখন মানুষ ওই বিষয়ে চিন্তা করলে সবার আগে উক্ত ব্যক্তির নামই মাথায় আসে। যেমন : হানি নাটস মানেই জামসেদ মজুমদার ভাই।

✅ হতাশ হওয়া যাবে না। আপনার কন্টেন্ট দেখে অনেকে নানান ভাবে নেগেটিভ কথা বার্তা বলবে সেসবে কান দেওয়া যাবে না। আপনাকে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে। ভিউ আসছে না, লাইক হচ্ছে না, কমেন্ট নেই এসব ভাবলে চলবে না আপনাকে লেগে থাকতে হবে।

✅ পজিটিভ কন্টেন্ট বানান। আপনার কন্টেন্টে যেনো মানুষ উপকৃত হয় সেই সকল কন্টেন্ট বানান আর যদি নেগেটিভ কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে আপনি পার্সোনাল ব্র‍্যান্ড হবেন তবে সেটা হবে হিরো আলমের মতো।

✅ একটা বোনাস টিপস দেই : যদি আপনাদের কোনো স্কিল না থেকে থাকে তাহলে জামসেদ মজুমদার ভাই এর মতো আপনার প্রোডাক্ট নিয়েই কন্টেন্ট বানান। আপনার প্রোডাক্ট এর গুনাগুন এটা কত % খাটি ইত্যাদি নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন আর ভিডিওতে আপনার পরিচয়টা তুলে ধরুন।

🔥 আজ থেকেই শুরু করুন!

আপনার স্কিল বা প্রোডাক্ট নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি শুরু করুন, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করুন, আর ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তুলুন একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড হিসেবে।

💬 প্রশ্ন: আপনি কোন স্কিল বা প্রোডাক্ট নিয়ে নিজের ব্র্যান্ড গড়তে চান? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।

সম্পুর্ন লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🥰।

08/08/2025

সেভ করে রাখুন কাজে লাগবে। পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১০০টি শব্দের অর্থের তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত অনেক শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ রয়েছে। কিছু শব্দ খুব কম ব্যবহৃত হয়। যারা পুরাতন দলিলের শব্দের অর্থ বোঝেন না, তাদের জন্য বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো —
১) মৌজা: গ্রাম
২) জে.এল. নং: মৌজা নম্বর/গ্রামের নম্বর
৩) ফর্দ: দলিলের পাতা
৪) খং: খতিয়ান
৫) সাবেক: আগের/পূর্বের
৬) হাল: বর্তমান
৭) বং: বাহক (যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লেখেন)
৮) নিং: নিরক্ষর
৯) গং: অন্যান্য অংশীদার
১০) সাং: সাকিন/গ্রাম
১১) তঞ্চকতা: প্রতারণা
১২) সনাক্তকারী: বিক্রেতাকে চিনেন এমন ব্যক্তি
১৩) এজমালি: যৌথ
১৪) মুসাবিদা: দলিল লেখক
১৫) পর্চা: প্রাথমিক খতিয়ানের নকল
১৬) বাস্তু: বসতভিটা
১৭) বাটোয়ারা: সম্পত্তির বণ্টন
১৮) বায়া: বিক্রেতা
১৯) মং: মোট
২০) মবলক: মোট পরিমাণ
২১) এওয়াজ: সমমূল্যের বিনিময়
২২) হিস্যা: অংশ
২৩) একুনে: যোগফল
২৪) জরিপ: ভূমি পরিমাপ
২৫) চৌহদ্দি: সীমানা
২৬) সিট: মানচিত্রের অংশ
২৭) দাখিলা: খাজনার রশিদ
২৮) নক্সা: মানচিত্র
২৯) পিং: পিতা
৩০) জং: স্বামী
৩১) দাগ নং: জমির নম্বর
৩২) স্বজ্ঞানে: নিজের জ্ঞানের ভিত্তিতে
৩৩) সমুদয়: সব কিছু
৩৪) ইয়াদিকৃত: পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু
৩৫) পত্র মিদং: পত্রের মাধ্যমে
৩৬) বিং: বিস্তারিত
৩৭) দং: দখলকারী
৩৮) পত্তন: সাময়িক বন্দোবস্ত
৩৯) বদলসূত্র: জমি বিনিময়
৪০) মৌকুফ: মাফকৃত
৪১) দিশারী রেখা: দিকনির্দেশক রেখা
৪২) হেবা বিল এওয়াজ: বিনিময়সূত্রে জমি দান
৪৩) বাটা দাগ: বিভক্ত দাগ
৪৪) অধুনা: বর্তমান
৪৫) রোক: নগদ অর্থ
৪৬) ভায়া: বিক্রেতার পূর্বের দলিল
৪৭) দানসূত্র: দানকৃত সম্পত্তি
৪৮) দাখিল-খারিজ: মালিকানা পরিবর্তন
৪৯) তফসিল: সম্পত্তির বিবরণ
৫০) খারিজ: পৃথক খাজনা অনুমোদন
৫১) খতিয়ান: ভূমির রেকর্ড
৫২) এওয়াজসূত্র: বিনিময় সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি
৫৩) অছিয়তনামা: উইল/মৃত্যুকালীন নির্দেশ
৫৪) নামজারি: মালিকানা হস্তান্তরের রেকর্ড
৫৫) অধীনস্থ স্বত্ব: নিম্নস্তরের মালিকানা
৫৬) আলামত: মানচিত্রে চিহ্ন
৫৭) আমলনামা: দখলের দলিল
৫৮) আসলি: মূল ভূমি
৫৯) আধি: ফসলের অর্ধেক ভাগ
৬০) ইজারা: নির্দিষ্ট খাজনায় সাময়িক বন্দোবস্ত
৬১) ইন্তেহার: ঘোষণাপত্র
৬২) এস্টেট: জমিদারি সম্পত্তি
৬৩) ওয়াকফ: ধর্মীয় কাজে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি
৬৪) কিত্তা: ভূমিখণ্ড
৬৫) কিস্তোয়ার জরিপ: কিত্তা ধরে ভূমি পরিমাপ
৬৬) কায়েম স্বত্ব: চিরস্থায়ী মালিকানা
৬৭) কবুলিয়ত: স্বীকারোক্তি দলিল
৬৮) কান্দা: উচ্চভূমি
৬৯) কিসমত: ভূমির অংশ
৭০) খামার: নিজস্ব দখলীয় ভূমি
৭১) খিরাজ: খাজনা
৭২) খসড়া: প্রাথমিক রেকর্ড
৭৩) গর বন্দোবস্তি: বন্দোবস্তবিহীন জমি
৭৪) গির্ব: বন্ধক
৭৫) জবরদখল: জোরপূর্বক দখল
৭৬) জোত: প্রজাস্বত্ব
৭৭) টেক: নদীর পলি জমে সৃষ্টি ভূমি
৭৮) ঢোল সহরত: ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা
৭৯) তহশিল: রাজস্ব এলাকা
৮০) তামাদি: নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত
৮১) তফসিল: সম্পত্তির বিবরণ
৮২) নামজারি: মালিকানা হস্তান্তর
৮৩) নথি: রেকর্ড
৮৪) দেবোত্তর: দেবতার নামে উৎসর্গকৃত
৮৫) দখলী স্বত্ব: দখলের ভিত্তিতে মালিকানা
৮৬) দশসালা বন্দোবস্ত: দশ বছরের বন্দোবস্ত
৮৭) দাগ নম্বর: জমির ক্রমিক নম্বর
৮৮) দরবস্ত: সব কিছু
৮৯) দিঘলি: নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানকারী
৯০) নক্সা ভাওড়ন: পূর্ব জরিপের মানচিত্র
৯১) নাম খারিজ: পৃথককরণ
৯২) তুদাবন্দি: সীমানা নির্ধারণ
৯৩) তরমিম: সংশোধন
৯৪) তৌজি: চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রেকর্ড
৯৫) দিয়ারা: নদীর পলিতে গঠিত চর
৯৬) ট্রাভার্স: জরিপের রেখা পরিমাপ
৯৭) খাইখন্দক: জলাশয় বা গর্তযুক্ত ভূমি
৯৮) চর: নদীর পলি জমে গঠিত ভূমি
৯৯) চৌহদ্দি: সম্পত্তির সীমানা
১০০) খাস: সরকারি মালিকানাধীন জমি
বিঃদ্রঃ
এই শব্দগুলো পুরাতন দলিল পড়ার সময় আপনাকে দারুণ সহায়তা করবে। সেভ করে রেখে দিন — প্রয়োজনে অমূল্য হয়ে উঠবে।

প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন,"বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে"....ব্যপারটাআসলেই চিন্তা করার মত।সত্য বলতে কি ...
01/08/2025

প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন,
"বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে"....

ব্যপারটা
আসলেই চিন্তা করার মত।

সত্য বলতে কি বাংলা ভাষার সাথে চট্টগ্রামের ভাষার ৭০ ভাগই নূন্যতম মিল নেই!!

যেমন টা ধরেন:👇🏻

মুরগী কে চট্টগ্রামের ভাষায় বলে "কুরো"...

মোরগ কে বলে " লাতা কুরো"..

ফিঙে পাখি কে বলে "দেচ্ছো"..

তেলাপোকা কে বলে "তেইল্লেচুরা"

কাক কে " হাউওয়ো"

টয়লেট কে "টাট্টি"

খারাপ মানুষ কে " জারগো"

মাউলানা কে " মুলিছাফ"

পেয়ারা কে "গুয়াছি"

শিমের বিচি কে "হাইস্যে"

সমুদ্র কে "দইজ্জে"

কলসি কে "ঠিল্লে"

হঠাৎ কে "আতিক্কে"

পিচ্ছিল কে "বিরবিজ্জে"
....ইত্যাদি ইত্যাদি...।

আর চট্টগ্রামের ভাষায় এমন কিছু এপিক
এক্সপ্রেশন আছে যা শুধু বাংলা কেন! পৃথিবীর
কোন ভাষায় অনুবাদ করা যাবেনা।

যেমন ধরুন :
অবাইজ্জেহুদা!!
আত্তামারেবাপ!!!
মাইল্লেপিরে!!!
অবাজিরে!!
উম্মারেম্মা।
এরকম আরো শত শত এক্সপ্রেশন।

তাছাড়া চটগ্রামের #প্রবাদ গুলোও
পুরোপুরি ভিন্ন।
যেমন:-
★ফুয়াদেল্লাই ছাড়িত ন পারির,
কেঁডারলাই গিলিত ন পারির।
বাংলা অনুবাদ : স্বাদের জন্য
ছাড়তে পারছি না, কাঁটার জন্য
গিলতে পারছি না।

"পুঁদত নাই তেনা মিডে দি ভাত হানা"
অনুবাদ : গায়ে নেই জামা মিঠায় দিয়ে ভাত খাওয়া।
যা কোনো ভাষায় অনুবাদ করা যায় না

"চেরেত গরি পরি গেইয়ে"
চিটাইংগে ছোটবেলার খেলা
"ইচকিম ইচকিম হাইমর দাঁরা
হাইম গেইয়ে রাজার বারা
রাজার বউয়ের বাইট্টে চুল
টাইনতে টাইনতে লাম্বা চুল
লাম্বা চুলেত্তলে
দুওয়ো বাত্তি জ্বলে
সোনার আত হাডি দিলাম
কেঁচেঁত"

আরো আছে
বাংলাদেশের জাতীয় খেলার চিটাইংগে ভার্ষন
১/"হা ডু ডু লক্কন
তুরে মাইত্তে হতক্কন"।
২/"তুব্বোইন শরত
টিব্বাত্তি বরত"।

মানুষ এই ভাষা কে কঠিন,কুৎসিত, যে
যাই বলুক না কেন🙊
এ ভাষা শিখাতে সবাই পারেনা। যুগের পর যুগ মানুষ "এ ভাষা" চট্টগ্রামে থেকেও আয়ত্ত করতে পারেনা।
এ ভাষা জন্ম থেকে আয়ত্ত করতে হয়।।

#বেঁচে_থাকুক_চাটগাঁইয়া_ভাষা_অনন্ত_কাল।

"দরহার অইলে এই ভাষারে বাচাইবাল্লাই আঁরা আবার ভাষা আন্দোলন গইজ্জুম"।
" চিটাইংগে মরতপুয়া/মাইয়েপুয়া অক্কল আঁরাতো আঁরাই😃✌
আঁরাই সেরা!😅

29/07/2025

কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা বাইরে ভেজা বিড়াল, অথচ বাসায় এসেই হয়ে যায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার । এরা অফিসের কলিগ, বস, ব্যবসায়িক পার্টনার, বন্ধু,আত্মীয় সবার কাছেই হয়তো ভালো কিন্তু বাসায় এদের চরিত্র বিপরীত। রাজ্যের হতাশা, গ্লানি, ডিপ্রেশন, অপূর্ণতা আর ক্ষোভের ফায়ারওয়াল হিসেবে এরা নিজের স্ত্রীকেই বেছে নেয়!
আপনার স্ত্রী কিন্তু শুধুমাত্র আপনার স্ত্রী নন; তিনি আপনার পুরো সংসারের ম্যানেজার, আপনার সন্তানের জননী। আপনার সংসার আর বাচ্চা সামলাতে গিয়ে তাকেও দিনভর অনেককিছুর মধ্য দিয়ে পার হতে হয়। বিনিময়ে তারা কোন স্বীকৃতি চায়না, শুধু চায় একটু সহানুভূতি। সেটি নিশ্চিত করতে যদি আপনি ব্যর্থ হন তবে এরজন্য ভুক্তভোগী হবে আপনার সন্তান।মায়ের মন-মেজাজ ভালো না থাকলে তারা ঠিকমত বাচ্চার টেককেয়ার করতে পারেনা। স্বামীর অযাচিত আচরণ থেকে স্ত্রীর মনে যে হতাশা তৈরি হয়, তা তারা বাধ্য হয়েই সন্তানের ওপর প্রয়োগ করতে শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে বাচ্চারাও সহিংস ও আগ্রাসী হয়ে ওঠে।
সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য হলেও পারিবারিক এই দুষ্টচক্র থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।পরিবারের কর্ণধার হিসেবে পুরুষদের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি। স্বামীরা চাইলেই পরিবারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্য বাচ্চার মায়েদেরও উচিত স্বামীর মনমর্জি বুঝে চলা । দিনশেষে, আদরের সন্তানেরা যাতে একটা উপযোগী পরিবেশ পায় ~ এ দায়িত্ব মা-বাবা দুজনেরই।
______________________🌸🙏
সংগৃহিত;

27/07/2025

মাইলস্টোন ট্রাজেডি: কী ঘটেছিল সেদিন?

আর্মি সব ছাড়লেও নিজের ইউনিফর্ম কখনোই ছাড়ে না। এইটা চরম অবমাননা হিসেবে গণ্য হয়। মেজর মেহেদী যখন এক তরুনীর অর্ধ-উদোম শরীরের উপর তার ইউনিফর্ম খোলে বিছিয়ে দিলেন, কমান্ডারকে অনুসরণ করে অনেক সৈন্য তাদের সম্মানের প্রতীক ইউনিফর্ম খোলে অনেক যুবতীর সম্ভ্রম ঢাকলেন। তাই তারা ছিলেন খালি গায়ে। একটা ভিডিওতে দেখবেন একজন অর্ধনগ্ন লোক ভ্যান চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার নিচের দিকে তাকালেই দেখবেন কম্বেট ট্রাউজার পরিহিত। তিনি ভ্যান চালক নন, একজন সৈনিক। অথচ একদল ইউটিউবার নিজের ভিউ ব্যবসার জন্য মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে।

আগুনের তাপ ও ধোয়ার কুন্ডলীর মাঝে উদ্ধারকাজ কতটা কঠিন তা কল্পনাও করতে পারবেন না। ফলে অনেক সৈনিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে সহকর্মীরা ধরাধরি করে বাইরে নিয়ে আসে। এ নিয়েও ট্রলের শেষ নাই। সৈনিক কেন অসুস্থ হবে? আমাদের নাই ইক্যুইপমেন্ট, নাই এমন প্রশিক্ষণ, নাই উপযুক্ত ফায়ার স্যুট (পোশাক)। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সৈনিকরা খালি হাতে, খালি শরীরে (তাপ নিরোধক পোশাক ছাড়া) উদ্ধারকাজ চালিয়েছে- এই কথাগুলো মাথায় রাখবেন।

এদের এগারোজন ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন। তাদের সাথে দেখা করতে গেলে একজন ডুকরে কেঁদে উঠে বলতে থাকে "স্যার একটা ছেলে আমার হাতেই মরে গেছে, আমি বাঁচাইতে পারি নাই।" তার মাঝে না বাঁচাতে পারার যে আক্ষেপ, যে অনুতাপ তা সামনা- সামনি না দেখলে বুঝা যাবে না।

পরের প্রসঙ্গ লাশ গুম। আজ উদ্ধারকর্মে নিয়োজিত একজনকে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, আজ থেকেই সকল শিক্ষক তাদের ক্লাসের সকল অভিভাবককে কল করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর খোঁজ নেয়া শুরু করেছেন। আশাকরি ২/৩ দিনের মধ্যেই প্রকৃত হতাহতের সংখ্যাও জানা যাবে। সেদিন ঐ কুলাঙারগুলার মুখে জুতা পরার আগেই দেখবেন এরা নতুন ন্যারেটিভ তৈরী করে ভিউ ব্যবসা ঠিক রাখতে চাইবে, কিছু কুলাঙার আবার পোস্ট ডিলিট করবে। যে নেতারা বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের ধারণা ১০০ জন মারা গেছে সেই নেতাদের মুখেও কুলুপ পড়বে।

শুধু সময়ের অপেক্ষা...

উদ্ধারকারী একজন কর্মীর জবানীতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরলাম।

১৯ জুলাই ২০২৪ থেকে ২১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত দীর্ঘ এক বছর দুই দিন অতিক্রান্ত হয়েছে সেনাবাহিনীর রাস্তায় নামার। আর্মির ডিপ্লয়মেন্ট নিয়ে অনেক কথা বলার ছিল, কিন্তু কখনো বলা হয় নাই। ভেবেছিলাম, মানুষ নিজের চোখে দেখে বুঝে নিক, কী ভূমিকা ছিল আর্মির ১৯ জুলাই ২০২৪ থেকে শুরু করে ২২ জুলাই বা ৩/৪ আগস্ট, ৫ আগস্ট, কিংবা তারও পরে ৬ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত। এ যেন এক বছরের এক মহাকাব্য, যেটা হয়তো অন‍্য কোনো একদিন বলা যাবে। কিন্তু আজ শুধু ২১ জুলাই ২০২৫ এর গল্পটুকু বলি।

সময় দুপুর ১:১৮। লাঞ্চের টেবিলে খাবার সাজানো, হয়তো আর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই খাওয়া শুরু করবো ঠিক তখনই একটা ফোন এলো “মাইলস্টোন কলেজে একটা বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।” শুধু এইটুকুই জানতাম, কিছুই স্পষ্ট না। এটা কি হেলিকপ্টার, না ফাইটার জেট, না কমার্শিয়াল ফ্লাইট—কিছুই জানতাম না।

এই সময়টা সাধারণত সবাই যোহরের নামাজ পড়ে। আমার পাশের মসজিদে জামাত শুরু হয় ১:১৫-তে, অর্থাৎ জামাত তখনো চলছিল। সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈনিক তখন নামাজে, কেউ কেউ হয়তো দুপুরের খাবার খাচ্ছিল, কিন্তু অধিকাংশই তখনও লাঞ্চ শুরু করেনি। শুধু একটি কল, আর তারপরই আদেশ আসে—যে যেমন অবস্থায় আছে, গাড়িতে উঠে পড়ো। সেদিন কর্মদিবস ছিল, তাই সবাই ইউনিফর্ম পরা অবস্থায়ই ছিল। আদেশের সাথে সাথেই সবাই দৌড়ে এল, বারবার বাঁশি বাজানো হচ্ছে, গাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সময় ১:৩০—আমরা মাইলস্টোন কলেজের দিকে রওনা দিলাম। দূরত্ব প্রায় ৫ কিমি, স্বাভাবিক সময়ে লাগার কথা ১৫ মিনিট। কিন্তু সেদিন আমরা পৌঁছে যাই মাত্র ১০ মিনিটেই।

১:৪০ - গাড়ি থেকে নামার পর সরাসরি ঘটনাস্থলে চলে যাই। আর সেখানেই শুরু হয় আমাদের যুদ্ধ। এটা কোনো সীমানার যুদ্ধ না, এটা আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ। এটা জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ। কিছুই জানি না—বিমানটা কোথায় পড়েছে, ভিতরে কে ছিল—শুধু জানি, কিছু জীবন বাঁচাতে হবে। বিমানটা তখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস এখনো আসেনি।

আমাদের আগেই, দুপুর ১:২০ মিনিটে, সেখানে পৌঁছে গেছে কিছু মানুষ—আমাদের মতোই জলপাই রঙের পোশাকে। কারো শরীর ঘামে ভিজে, কারো ইউনির্ফম খুলে সেটা দিয়ে ঢেকে রাখা দগ্ধ লাশ।

হঠাৎ খেয়াল করলাম এক মহিলার লাশের উপর ছিল শাপলা ফুল সম্বলিত জলপাই রঙের উর্দি—যেটা দিয়ে সে মহিলার সম্ভ্রম বাঁচানো হচ্ছে।

ততক্ষণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্র, সাংবাদিক আর কিছু ভদ্র লোক—যারা সেই মহিলার লাশ না ঢেকে ভিডিও করতে ব্যস্ত। এরপর আমরা শুরু করলাম আমাদের আসল কাজ—জীবন বাঁচানো। প্রথমেই নিচতলার ক্লাসরুমগুলো থেকে জীবিত ছাত্রদের বের করে আনতে শুরু করলাম। কেউ ৮/৯ বছরের শিশু, কেউ শিক্ষক, কেউ আবার ১৩/১৪ বছরের কিশোর-কিশোরী।

ও হ্যাঁ, একটা কথা বলা হয়নি—আমরা তো সেই ‘বেকার উর্দিধারী’ লোক, যাদের হাতে নেই কোনো সরঞ্জাম, নেই কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, নেই কোনো রেসকিউ টুলস। আমাদের আছে শুধু একটা রাইফেল আর মানুষ মারার ট্রেনিং—তাও যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য। তবুও, অবাক করা ব্যাপার—সবার মতো আমিও ঝাঁপিয়ে পড়লাম। রাইফেল রেখে খালি হাতে শুরু করলাম উদ্ধারের কাজ। আগুনের যতটুকু কাছে যাওয়া যায়, যতোজনকে বের করা যায়, বের করছি।

আমাদের মধ্যে ছিল ২০–২২ বছরের কিছু তরুণ সৈনিক, যাদের নিয়ে মাঝেমাঝে হাসি-তামাশা করা হয়, বলা হয় তাদের বুদ্ধি হাটুতে। তারা সেই উর্দি খুলে একেবারে আগুনের মধ্যে ঝাঁপ দিলো—রুমের ভিতরে ঢুকে ৪/৫ জনকে একসাথে উদ্ধার করলো তাদের একজন সৈনিক বেরিয়ে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, প্রচন্ড তাপে। অথচ তখনো আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা তথাকথিত “১৬০ IQ” জনগণ, ছাত্র, সাংবাদিক—তারা ব্যস্ত ভিডিও করতে, ব্যস্ত কনটেন্ট বানাতে।

অবশেষে ফায়ার সার্ভিস এলো।
তারা এসে পানি ছিটাতে শুরু করলো, কিন্তু তখনো সেই জলপাই উর্দির মানুষগুলোই আগে এগিয়ে গেলো। নিজ হাতে পাইপ নিয়ে আগুনের সামনে ছুটে গেলো। ফায়ার সার্ভিস আসার পরে আমরা দ্বিতীয় তলা থেকে আরও মানুষ উদ্ধারে মনোনিবেশ করি।

ততক্ষণে ৩০ মিনিট কেটে গেছে। তখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি আমাদের আরেক সহযোদ্ধার, যিনি এই যুদ্ধ বিমানের পাইলট হিসেবে বিমানটি চালাচ্ছিলেন। তিনি আমাদেরই একজন ভাই, একজন সহকর্মী। আমরা ভাবছিলাম হয়তো তিনি ককপিটের ভেতরে পুড়ে যাওয়া কোনো দেহ হয়ে পড়ে আছেন।কিন্তু না কিছুক্ষণ পর হঠাৎ মানুষের চিৎকারে বাঁ পাশে তাকালাম। দৌড়ে গেলাম কিছুটা দূরের একটি টিনশেড বিল্ডিংয়ের দিকে। দেখলাম—আমাদের সেই সহকর্মী পড়ে আছেন, তার দেহটা ধুলায় মলিন, অজ্ঞান। বেঁচে আছেন কি না জানি না।
এক পা ভেঙে গেছে, মাথায় প্রচণ্ড আঘাত। সেই মুহূর্তেই একটা রেসকিউ হেলিকপ্টার এসে পৌঁছায়। তাঁর শরীরটাকে দ্রুত হেলিকপ্টারে তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিএমএইচে। আর এদিকে আমরা নিজেরাই ভুলে যাই আমাদের ব্যথা, ক্লান্তি, ক্ষুধা-পিপাসা—উদ্ধার অভিযান আবার শুরু হয়।

এই মাঝখানে আগুন, ধোঁয়া, আর উত্তাপে আমাদেরই ৫–৭ জন জলপাই উর্দি পরা লোক অসুস্থ হয়ে পড়ে। উদ্ধার অভিযান চলতে থাকে বিকেল ৩:৩০ পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রায় ২ ঘণ্টা, ততক্ষণে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিছু সৈনিক দাঁড়িয়ে আছে পাশে-পুরো শরীর ঘামে আর পানিতে ভেজা। কারো মাথা নুয়ে আছে হাঁটুর উপর, কেউ মাটিতে বসে পড়েছে, কেউ আবার ভেতরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে কারো হাতে জীবিত কেউ, কারো হাতে নিথর দেহ, আবার কেউ শুধু হাড়ের অংশ উদ্ধার করছে —যেখানে গোশত গলে গিয়েছে। যারা কাজ করছিল, তাদের সবার চোখেই পানি। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু “ভদ্র”, “শিক্ষিত” লোক এসে হাজির। তাদের তখন মনে হলো, আগুন নিভে গেছে, এখন ভেতরে ঢোকা যায়। তারা ঢুকতে চাইল। সেখানে উপস্থিত কিছু উর্দি পরা লোক তাদের বাধা দিল। বললো, “ভিতরে এখনো প্রচণ্ড তাপ। ভিতরে যাওয়া যাবে না। আপনারা দয়া করে একটু দূরে থাকুন, আমাদের উদ্ধার কাজ শেষ করতে দিন।” কিন্তু ভদ্রলোক বলে কথা, এসব তারা শুনবে না। তারা বললো, “আমরা ছাত্র, আমরা যেখানে খুশি যেতে পারি।” এ কথা শোনার পর, পাশে দাঁড়ানো এক উর্দি পরা ব্যক্তি নরম ধমকের সুরে বললো, “এই ছেলে, তুমি এমন কথা বলছো কেন? আমাদের কাজটা শেষ করতে দাও।”

এইটুকু শোনার পরই সেই ভদ্র ছাত্র আরো ভদ্র হয়ে উঠলো। সে শুধু না, সঙ্গে থাকা ৮–১০ জনকে নিয়ে এগিয়ে এল, আর ওই উর্দি পরা লোককে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলো। তারপর কীই বা করবার থাকে? এইসব উর্দি পরা লোকদের তো নাকি বুদ্ধি হাঁটুর নিচে—তাই কিছু না ভেবে লাঠিচার্জ করলো। আর এতেই যেন শুরু হলো নতুন নাটক—সব দোষ এখন এই উর্দি পরা লোকদের।

তারপর সেই ‘ভদ্র’, ‘শিক্ষিত’ ছাত্র সবার সামনে দাঁড়িয়ে গলা চড়িয়ে বললো "উর্দি পরা লোকেরা নাকি লাশ গুম করছে! তারা নাকি ইচ্ছে করে জীবিতদের উদ্ধার করছে না!” এই কথা শুনে জনতার রক্ত যেন গরম হয়ে গেল। উদ্ধার অভিযান, মৃত্যু, দুঃখ—সব যেন ছাপিয়ে গেল।

তাদের তখন একটাই উদ্দেশ্য—এই উর্দি পরা লোকদের ‘শিক্ষা’ দিতে হবে। তারা রাস্তায় বসে পড়লো, ব্যারিকেড দিলো, পাথর ছোড়া শুরু করলো, ইট পটকেল দিয়ে বলিং প্র্যাকটিস শুরু করলো। তারা বুঝতেও পারলো না—এর ফলে তাদের ছোট ভাই-বোনদের ঝলসে যাওয়া দেহ আর হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। কোনো অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারছে না।

এই পরিস্থিতিতে আবার লাঠিচার্জ করতে হলো। উর্দি পরা লোকেরা আবার সেই ভদ্র, শিক্ষিত মানুষদের ঠেলে সরিয়ে দিতে বাধ্য হলো— কারণ তাদের ভদ্র আচরণ রুখতে না পারলে উদ্ধারকাজ পুরোপুরি থেমে যাবে।

আর পরে জানা গেলো— যে ছেলেটি উর্দি পরা লোকদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করছিল, যে ভিতরে ঢুকতে মরিয়া ছিল, সে আসলে ভিডিও বানাতে চাচ্ছিল। কিছু উর্দি পরা লোক তার ‘মহামূল্যবান’ ভিডিও বানানোর পথে দাঁড়িয়ে ছিল, তাই সে ঢুকতে চাচ্ছিল, আর তাই এই কান্ড ঘটিয়েছিলো।

এই হলো সেই দিনের গল্পের শেষ অধ্যায়। মানুষ যখন চোখে দেখে না, কানে শোনে না, তখন মিথ্যা আর বিভ্রান্তি সত্যের মতো গর্জে উঠে।
তবু আমরা, যারা সেই আগুনে পুড়ে, ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে, জলে-ঘামে ভিজে উদ্ধারকাজ চালিয়েছিলাম, তারা জানি কী সত্য, কী মিথ্যা। আর সেই সত্যই একদিন ইতিহাস হবে—ইন শা আল্লাহ।

এর পর এভাবেই চলতে থাকে আমাদের উদ্ধার অভিযান, বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যার পর, সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। এখন আমি নিজের চোখে দেখা কিছু বাস্তবতা বলি—সেখানে কতগুলি লাশ পাওয়া গিয়েছিল? কতজন আহত বা দগ্ধ হয়েছিল?

৪/৫টি একেবারে গলিত লাশ পাওয়া যায়, যাদের চিনে ফেলা বা পরিচয় নির্ধারণ করা ছিল অত্যন্ত কঠিন। এর বাইরে প্রায় ১৫–২০ জনের লাশ পাওয়া যায়। এই হিসেবটা কমবেশি হতে পারে, তখন হয়তো গোনার মতো সময় ছিল না, হয়তো সময় ছিল শুধু ভিডিও করতে ব্যস্ত লোকদের।

এর মাঝেই আবার কিছু অর্ধদগ্ধ দেহ পাওয়া যায়—যাদের শরীরে তখনো প্রাণ ছিল, তাদের সাথে সাথেই অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়। এমন অনেক দেহ ছিল, যেগুলোকে দেখে মৃত মনে হলেও, পরে দেখা যায় হৃদস্পন্দন তখনো ছিল। তাদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাই, তারপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বিমানটির অবশিষ্টাংশ উদ্ধারের কাজ।

কিন্তু সবশেষে কিছু কথা না বললেই নয়। কিছু ছাত্র, কিছু সাধারণ মানুষ ছিল, যারা সত্যিই অনেক পরিশ্রম করেছে, আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করেছে। তারা উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছে, রাস্তা পরিষ্কার করেছে অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার জন্য, আহত বা দগ্ধদের গাড়িতে তুলে দিয়েছে। আর যারা এসব করেছে, সত্যি বলতে তাদের হাতে এক মুহূর্তও ছিল না ভিডিও করার বা উর্দি পরা লোকদের গায়ে ধাক্কা দেওয়ার মতো। তারা নীরবে কাজ করেছে, আর কাজ শেষে কোনো প্রতিদান না নিয়েই চলে গেছে।

আর এদিকে কিছু ভিডিও ব্লগার, ইউটিউব আর ফেসবুক থেকে ইনকামের ধান্ধাবাজ এসেছে—এইসব নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে, যাতে করে ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে কিছু টাকা আয় করতে পারে।

আমার প্রশ্ন—যদি লাশ গুম করতেই হয়, তাহলে সেই সকল অভিভাবকরা কোথায় গেলেন?

চারপাশে হাজার হাজার মানুষ ভিডিও করেছে, রাস্তা ব্লক করে রেখেছে—তাদের কাছে ভিডিও বা ছবি কোথায়? কেউ কি একটা ভিডিও পর্যন্ত করতে পারলো না লাশ গুম করার?

একটা ছেলে, যিনি ছাত্র পরিচয় দিয়েছেন, সেনাবাহিনীর গায়ে হাত তুলেছে, কাজে বাধা দিয়েছে—সে কে? তার পরিচয় কি #? সে কিভাবে সবাইকে উস্কে দিলো?

এখনও হাসপাতালে ছোট ছোট বাচ্চারা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে—তাদের জন্য কিছু না করে কিছু নামধারী অ্যাক্টিভিস্ট মিথ্যা তথ্যের সুযোগ নিচ্ছে, মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করছে।

আমরা কি এভাবে গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েই যাব? আমরা কি নিজের সামান্য ইনকামের জন্য এভাবেই জাতীয় সংকটেও নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি করেই যাব?

Collected
© Misbah Javed

22/07/2025

অর্থবিত্ত থাকা সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দিইনি। সে তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলত, "বাবা দেখো, সুমন আজ ব্রাণ্ডেড ঘড়ি পরে এসেছে। বাবা দেখো, রাজুর স্কুল ব্যাগটা ইম্পোর্টেড। সুন্দর না বাবা!"

আমি চুপ করে থাকতাম। আমার ছেলের সাহস হয়নি কখনোই আমার কাছে ওই জিনিসগুলো চাওয়ার। একদিন ও খেলতে খেলতে পায়ে ব্যথা পেল। পরদিন স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে বলল, "বাবা, আমাকে তোমার সাথে অফিসের গাড়িতে করে স্কুলে নামিয়ে দেবে?"

আমি ওর অবস্থা দেখে বললাম, "ঠিক আছে।"

এরপর সপ্তাহখানেক ও আমার সাথেই গেল — আমার অফিসের গাড়িতে। আমি ওকে স্কুলের গেটে নামিয়ে দিতাম। এরপর থেকে ছেলের আর স্কুলে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে না! বাধ্য হয়ে আমি বলেই দিলাম, "অফিসিয়াল জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পথ। স্কুল টাইমের খানিকক্ষণ আগে বের হবে, তাহলে সময়মতো পৌঁছে যাবে।"

ছেলে আমার প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে রইল। ছেলের মায়েরও মুখ গোমড়া। আমি এমন করি কেন? সবাই তো অফিসের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে। তাহলে আমার সমস্যা কোথায়?

সেদিন সন্ধ্যায় ছেলে বাড়িতে এসে বলল, "জানো, আমার বন্ধু শহরের সবচেয়ে সেরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমিও.....।"

এর বেশি কিছু বলার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে আমি বললাম, "বাবা, প্রতিষ্ঠান সেরা হয় নাকি ছাত্র? ধরো আমি তোমাকে সেই স্কুলে দিলাম, কিন্তু তুমি ফেল করলে। তাহলে আমি কি বলব, তুমি ফেল নাকি তোমার স্কুল?"

ছেলে বলল, "বুঝেছি বাবা!"

আমি ওর মাথায় হাত রেখে বললাম, "এই পর্যন্ত তোমার ক্লাসের কোনো ছেলেই তোমাকে টপকে যেতে পারেনি। বরাবর তুমিই ফার্স্ট হয়েছ। সুতরাং, তুমি যেখানে পড়বে, সেই স্কুলই শহরের সেরা স্কুল।"

এরপর সে আর কিছু বলেনি।

এক বিকেলে ছেলে বলল, "বাবা, আমার এক্সট্রা টিউটর দরকার। ম্যাথ আর ইংলিশে একটু সমস্যা হচ্ছে।"

জবাবে আমি বললাম, "রাতে যখন আমি বাড়িতে ফিরব, আমার কাছেই তুমি ম্যাথ আর ইংলিশ শিখবে।"

ছেলে বলল, "বাবা, তুমি অনেক পরিশ্রম করে বাড়িতে আসো, তাইনা?"

আমি হেসে বললাম, "বাবা, আমার এত সামর্থ্য নেই তোমাকে এক্সট্রা টিউটর দেওয়ার। আমি বরং একটু কষ্ট করি, কি বলো?"

ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, "ঠিক আছে বাবা।"

আমার স্ত্রী রাতে ঘুমাতে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, "তুমি এরকম দশটা টিউটর রাখতে পারো, তাহলে ছেলেকে ওই কথাগুলো বললে কেন?

আমি বললাম, "আমি চাই আমার সন্তান বুঝুক আরাম করে কিছু পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে অভাব আসলে তা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সেটা শিখুক।"

আমার স্ত্রী চুপ হয়ে গেল।

মাঝে মাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ফুটপাতে হাঁটি। পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সম্পর্কে ধারণা দিই। সে জানুক, পৃথিবী শুধু চিন্তায় সুন্দর, বাস্তবে খুব কঠিন! চাওয়া মাত্রই কিছু তাকে আমি কখনও দেই না। একদিন সে বলেছিল, "বাবা, তুমি এরকম কেন?" আমি জবাব দিয়েছিলাম, "সময় হলে বুঝবে!"

একবার সে বায়না ধরল ইলিশ মাছ খাবে। আমি বললাম, "টাকা তো কম! তোমার কাছে কিছু আছে? থাকলে ইলিশ আনা যাবে।"

ছেলে আমার হাতে পঞ্চাশটা দশ টাকার নোট বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে বললাম, "তুমি খরচ করনি!" সে মুচকি হেসে বলল, "না বাবা! জমিয়েছি। আমার এক বন্ধু মাঝে মাঝে স্কুলে না খেয়ে আসে। আসলে ও খুব অসহায়। আমি ওকে ক্ষুধার্ত দেখলেই বুঝতে পারি। তখন ওকে সাথে নিয়ে খাই। অন্যান্য দিন সব টাকা খরচ করি না, জমিয়ে রাখি, কারণ বাড়ি থেকে তোমরা যা দাও তা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু মানুষ তো সামান্যটুকুও পায় না!"

আমি ছেলের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। সেই জমানো টাকা দিয়ে সেদিন বাজার থেকে ইলিশ এনে ছেলেকে খাওয়ালাম। এভাবে ইচ্ছে করেই মাঝে মাঝে ছেলেকে অভাব অনুভব করাতাম, যাতে সে বোঝে জীবনটা কঠিন, অনেক কঠিন।

একবার মার্কেটে গিয়ে তাকে বললাম সাধ্যের মধ্যে কিনতে। সে একটা প্যান্ট নিল শুধু। আর কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলল, "তোমার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি নাও।"

আমি হাসলাম।

সে বুঝতে শিখেছে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়। একদিন সন্ধ্যায় আমি চা খাচ্ছিলাম। ও বলল, "বাবা, সায়নটা আর মানুষ হলো না! অথচ আংকেল ওর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। যখন যা চেয়েছে, তাই পেয়েছে।" আমি ছেলেকে বললাম, "আমি তো তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি!" ছেলে আমার কোলে মাথা রেখে বলল, "প্রতিটা চাহিদা পূরণ না করে তুমি শিখিয়েছ অভাবে যেন স্বভাব নষ্ট না হয়। তুমি জীবনে যে শিক্ষা দিয়েছ, তা সবকিছুর উর্ধ্বে। তুমি শিখিয়েছ, অভাবকে কিভাবে ভালবাসতে হয়। আমি এখন জানি, আমার বাবার আমি ছাড়া আর কিছু নেই। বাকিটা আমাকে গড়ে নিতে হবে। আমি সাধারণ জামাকাপড়েও হীনমন্যতায় ভুগি না। কারণ আমি জানি আমি কে! তোমার দেওয়া শিক্ষা আমি সারাজীবন ধরে রাখব বাবা। চাওয়া মাত্রই পেয়ে গেলে আমি কখনো জানতামই না পঞ্চাশ দিন না খেয়ে টিফিনের টাকা জমালে পাঁচশো টাকা হয়। তুমি ছিলে বলেই সবকিছু সম্ভব হয়েছে। আমি মানুষকে মানুষের চোখে দেখি। আমি বুঝি জীবন কত কঠিন!"

আমার স্ত্রী এখন নিজে থেকেই অনেক খুশি। সে বুঝতে পেরেছে আমার উদ্দেশ্যটা। ছেলে নিজের রোজগারে প্রাইভেট কার কিনে আমাকে হাসতে হাসতে বলল, "দুই বছর ধরে টাকা জমিয়ে কিনেছি এটা!" তখন বুঝেছিলাম ছেলে আমার সঞ্চয়ী হয়েছে। আমার শিক্ষা বৃথা যায়নি।

সেদিন যাবতীয় সম্পত্তি ওকে বুঝিয়ে দিয়ে বললাম, "সামলে রেখো।" ছেলে দলিলগুলো আমার হাতে ফিরিয়ে দিয়ে বলল, "তোমরা সাথে থেকো, আর কিছু লাগবে না।"

ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছেলের মাকে বললাম, "দেখেছ, আমি ভুল করিনি। আমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটাই দিয়েছি — যেমনটা আমার বাবা আমাকে দিয়েছিলেন। আমি ওকে অভাবে লজ্জিত হওয়া নয়, বরং দৃঢ় থাকতে শিখিয়েছি। ওকে আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছি, কারো উপর নির্ভর না করে চলতে শিখিয়েছি। ছেলে আমার মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কি হতে পারে!"
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

08/07/2025

🇧🇩 অনেকেই প্রশ্ন করেন – “ভাই, আমার ফ্রেশ পাসপোর্ট! জীবনে প্রথমবার বিদেশ ঘুরতে যাবো, ইমিগ্রেশনে কি কি প্রশ্ন করতে পারে বা কি ডকুমেন্টস চাইতে পারে? যদি ঠিকভাবে দেখাইতে না পারি তাহলে কি হবে?” 🤔

চলেন আজ একটু বিস্তারিত বলি ইনশাআল্লাহ।

আপনি যখন প্রথমবার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে কোনো দেশে ভ্রমণে যাবেন, তখন প্রথম ঝামেলা শুরু হতে পারে বোর্ডিং পাস দেওয়ার সময় থেকেই।
বোর্ডিং এজেন্ট যখন দেখবে আপনার পাসপোর্ট ফ্রেশ, তখন সে নরমালি কিছু প্রশ্ন করবে!

– ভিসা আছে কিনা
– কোথায় যাচ্ছেন
– কী করেন
– রিটার্ন টিকিট
– হোটেল বুকিং

এর সব কিছুর সঠিক উত্তর দিতে পারলে, তারা বোর্ডিং পাস দিয়ে দিবে।

এরপর আপনি যাবেন ইমিগ্রেশন কাউন্টারে। এখানেই মূল প্রশ্নের শুরু। ইমিগ্রেশন অফিসার সাধারণত কিছু প্রশ্ন করে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, প্রস্তুতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে। নিচে কিছু প্রশ্ন শেয়ার করতেছি যেগুলা সাধারণত করা হয়:

ইমিগ্রেশন অফিসার কী কী জিজ্ঞেস করতে পারে:
১. কোথায় যাচ্ছেন?
২. কেন যাচ্ছেন – ঘুরতে, ট্রিটমেন্ট, কাজ নাকি অন্য কিছু?
৩. আগে কোথাও গেছেন কিনা?
৪. কে কে যাচ্ছে – আপনি একা না পরিবার/ফ্রেন্ড নিয়ে?
৫. কয়দিন থাকবেন?
৬. হোটেল বুকিং করেছেন কিনা?
৭. রিটার্ন টিকিট আছে তো?
৮. সাথে কারেন্সি আছে কিনা? কার্ড বা ক্যাশ ডলার?
৯. ভিসা কোথা থেকে নিয়েছেন এবং সেটা ভেরিফাই করবে
১০. আপনি কী করেন – চাকরি হলে অফিস আইডি বা NOC, ব্যবসা হলে ট্রেড লাইসেন্স, স্টুডেন্ট হলে স্টুডেন্ট আইডি বা প্রমাণ
১১. অনেক সময় মোবাইল ব্যাংক অ্যাপে ব্যালেন্স দেখতে চায়, এমনকি ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা SMS পর্যন্ত

কিছু কিছু অফিসার আবার ট্রিকি প্রশ্নও করে দিতে পারে!

– আগে কেন বিদেশ যাননি?
– এই দেশেই কেন যাচ্ছেন?
– এই জায়গার কোনো অ্যাড্রেস জানেন?
– হোটেল কবে বুক করছেন, দেখান!
– কার্ডটা কোথা থেকে হয়েছে, এটা আপনার নামেই তো?

এইসব প্রশ্নের উত্তর যদি আপনি কনফিডেন্সের সাথে দিতে পারেন আর ডকুমেন্টস ঠিকঠাক থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ কোনো সমস্যা হবে না।

❗ যদি উত্তর দিতে না পারেন, বা কিছু ডকুমেন্ট না থাকে, বা আপনার কথায় সন্দেহ হয় – তাহলে তারা আপনাকে অফলোড (ভ্রমণে যেতে না দেওয়া) করে দিতে পারে!

📌 কি কি ডকুমেন্টস সাথে রাখা ভালো:
১. ভ্যালিড পাসপোর্ট
২. ভিসা (যদি দরকার হয়)
৩. রিটার্ন ফ্লাইট টিকিট
৪. হোটেল বুকিং (বিশেষ করে প্রথমবার গেলে)
৫. কমপক্ষে ১ হাজার ডলার ক্যাশ বা কার্ডে টাকা
৬. ডুয়েল কারেন্সি কার্ড (যদি ক্যাশ না নেন)
৭. পেশাগত পরিচয় – চাকরি হলে NOC/ID, ব্যবসা হলে ট্রেড লাইসেন্স
৮. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (না থাকলেও চলে, কিন্তু থাকলে ভালো)
৯. ট্রাভেল আইটিনারারি (মানে কোথায়, কবে যাবেন, কোথায় থাকবেন)
১০. অতিরিক্ত যেকোনো ব্যাক্তিগত ডকুমেন্ট যা আপনার কথা প্রমাণ করে

একটা কথা মনে রাখবেন:
ইমিগ্রেশন হলো নিরাপত্তা যাচাইয়ের জায়গা। আপনি যদি ডকুমেন্টস ঠিক রাখেন আর আতঙ্কিত না হয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলেন – তাহলে কোনো ইমিগ্রেশন আপনাকে আটকাবে না ইনশাআল্লাহ।

তবে হ্যাঁ, ইমিগ্রেশন অফিসার মানুষভেদে আলাদা – কারো কারো মন-মেজাজ ভালো, আবার কেউ কেউ সন্দেহপ্রবণ। তাই সাবধান থাকা ভালো।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য সংগ্রহ থেকে নতুন ভ্রমণকারীদের জন্য এই গাইডলাইন শেয়ার করলাম।
কোনো ভুল বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে বা ইনবক্সে জানাতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
কোনো ভুল-ত্রুটি হলে মাফ করে দিবেন।

Address

Ukhiya,Cox's Bazar
Cox's Bazar
4750

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kashem posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kashem:

Share