30/01/2025
একটা বিড়াল, একটা হাসি, আর এক নতুন শুরু-
গতকাল রাতে কল্পনার ফোন—
“ভাইয়া, আমাদের ছুটি হয়ে গেছে। কালকে বাড়ি চলে যাবো। আপনে বিড়ালটা নিয়ে আসবেন না?”
কল্পনার কথা মনে আছে আপনাদের? সেই ছোট্ট কল্পনা, যে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। চার বছরের দুঃসহ যন্ত্রণা শেষে, তিন মাসের চিকিৎসা আর স্নেহ-মমতার পর, সে এবার বাড়ি ফিরছে। কিন্তু যাওয়ার আগে তার একটা ছোট্ট চাওয়া— একটা বিড়াল!
একটা বিড়াল, যে কল্পনাকে নির্যাতনের অতল গহ্বর থেকে উদ্ধার করতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। সেই ঘটনার পর থেকে বিড়ালের প্রতি তার এক অন্যরকম টান তৈরি হয়। পরিচয়ের পর থেকে গত তিন মাসে কল্পনা আমার অসংখ্য আবদার করেছে, আমরাও চেষ্টা করেছি সবটুকু পূরণ করতে । তাই এই শেষ আবদারটাও পূরণ হবে— এই বিশ্বাস নিয়েই সে ফোন করলো।
কিন্তু আমি তখন চট্টগ্রামে… জানালাম, বিদায়ের মুহূর্তে তার কাছে যেতে পারবো না। মন খারাপ হলো কল্পনার, গলায় অভিমান ঝরে পড়লো। সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, “আমি হবিগঞ্জে আসবো কল্পনা, তোমাকে স্কুলে ভর্তি করাবো। তুমি মন খারাপ করোনা।”
ফোন রাখার পরেই ছোটভাই মনিরকে ফোন দিলাম। জানতাম, মনির নিশ্চয়ই একটা ব্যবস্থা করবে। মনিরও আশ্বস্ত করলো— “ভাইয়া, চিন্তা কইরেন না। আজ রাতেই কল্পনার কাছে বিড়াল পৌঁছে যাবে!”
রাত ১২টার দিকে মনির রনিকে সাথে নিয়ে তার বাসার ছোট্ট বিড়ালছানাটি কল্পনার হাতে তুলে দিলো…
আর বিড়ালটা পেয়েই কল্পনার মুখে রাজ্যের হাসি!
কিন্তু ফোনে যখন কথা বলতে এলো, ওর গলা ধরে এলো, কান্না যেন বেরিয়ে আসতে চায়… তবে এই কান্না কষ্টের নয়, আনন্দের… ভালোবাসার…
ভালো থেকো কল্পনা, আমরা সবাই তোমার পাশে আছি
- Md Sahid Ahmed