29/08/2025
মঞ্চ ৭১-এর উৎপত্তি,
মঞ্চ ৭১-এর জন্ম কোনো স্বতঃস্ফূর্ত জনগণের আন্দোলন থেকে হয়নি। বরং এটি ২০২৫ সালের ৫ আগস্টের পরে গঠিত একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা মূলত হাসিনা সরকারের পতনের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উদ্ভূত। এই মঞ্চের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে রাজনৈতিক পুনর্গঠন ও নতুন বৈধতা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে এটি মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতা নয়, বরং হাসিনা ও তার দলের রাজনৈতিক পুনরুজ্জীবনের কৌশল।
হাসিনার সাথে কানেকশন,
মঞ্চ ৭১-এর গঠন হাসিনা-দিল্লির এজেন্ডার সঙ্গে সংযুক্ত। মঞ্চ ৭১ যতই মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করুক, বাস্তবে এটি সেই নেটওয়ার্কের অবশিষ্টাংশেরই পুনঃউদ্ভব।
মিডিয়া অপারেশন,
মিডিয়া এই নাটকের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আগাগোড়া আওয়ামী লীগের প্রচারক আব্দুনুর তুষারকে ‘বুদ্ধিজীবী’ সাজিয়ে টকশোতে বসানো হচ্ছে—এটাই প্রমাণ, পুরো খেলা জনমত নিয়ন্ত্রণের। মঞ্চ ৭১-এর বিরুদ্ধে আসল তথ্য আড়াল করতে এধরনের কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে।
সমাজের মুখোশধারী শ্রেণি,
মঞ্চ ৭১-এর পক্ষে যুক্তি দাঁড় করাতে মাঠে নামানো হচ্ছে তথাকথিত ‘মুক্তিযোদ্ধা’, ‘বয়স্ক’, ‘শিক্ষক’, এবং কিছু কথিত প্রবীণ সমাজপতিকে। তাদের দিয়ে বোঝানো হচ্ছে—দেশের বিবেকবান শ্রেণি নাকি এই মঞ্চের পাশে আছে। বাস্তবে তারা ভাড়াটে মুখোশধারী, যারা আওয়ামী দোসরদের রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
আসল উদ্দেশ্য,
মঞ্চ ৭১-এর মূল উদ্দেশ্য হলো—মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করে জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং হাসিনা-দিল্লির রাজনৈতিক এজেন্ডা চালানো। এটি প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির নতুন রূপ, যারা আমাদের হিরোদের অপমান করছে এবং দেশের স্বাধীনতাকে আবারও বন্ধক রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।