12/10/2025
কক্সবাজার–২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া)
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে। আমি আজ কক্সবাজার–২ (আসন ২৯৫)। মহেশখালী ও কুতুবদিয়া সংসদীয় আসন নিয়ে কিছু খোলা কথা বলতে চাই....!!
এই আসনটি শুধুমাত্র একটি স্থানীয় জনগনের ভোটের অংশগ্রহণ নয়, এটি আগামী ৩০ বছরের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোর একটি। এখানে আসছে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ — ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন, এলএনজি টার্মিনাল, ডিপ সি পোর্ট, ইকোনমিক জোন, অফশোর উইন্ড ও সোলার প্রজেক্ট। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (BIDA), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (BEZA) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এই অঞ্চলকে ঘিরে একটি জাতীয় অর্থনৈতিক হাব তৈরির পরিকল্পনা করছে।
মহেশখালী ও কুতুবদিয়া এখন শুধু একটি উপকূল নয় — এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির “গ্লোবাল গেটওয়ে”। এই অঞ্চলে জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ বিনিয়োগ করেছে বা বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
জাপানের সরকারি সংস্থা JICA এবং কর্পোরেট জায়ান্ট Mitsui & Co. Ltd. এখানে ৫০০০–৬০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার LNG-ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে।
চীনের Kunming Iron & Steel Holding এবং Yunnan Yongle Overseas Investment যৌথভাবে একটি স্টিল ও পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
মালয়েশিয়ার TNB ও Powertek Berhad ১,৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সমঝোতা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক Excelerate Energy মহেশখালী উপকূলে একটি FSRU LNG Terminal স্থাপন করেছে, যা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখছে।
কুতুবদিয়ার অফশোরে বঙ্গোপসাগরের মাঝে নতুন জাগ্রত যে নতুন দ্বীপ ভূখণ্ড তে বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো।
PentaOcean, Posco, Marubeni Corporation, Sumitumo Corporation , Samsung C&T, ZTT, Ericsson CCECC, Sino hydro, cscec, norinco int, Power China, ceec, China Harbour, CRCC, CREC, royal haskonic, jandenull ইত্যাদি বিশ্বের এ সমস্ত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলি এখানে কাজ করবে এবং ভবিষ্যতে তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ এর জন্য জন্য আরো বিনিয়োগ বাড়াবে এবং তাদের আরো আগ্রহে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে নতুন এই অর্থনৈতিক হাবকে ঘিরে।
এইসব আন্তর্জাতিক প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন একটি দূরদর্শী, স্বচ্ছ ও কৌশলগত রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারেন এবং একই সঙ্গে স্থানীয় জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম।
আমাদের দরকার এমন একজন জনপ্রতিনিধি —
✅ যিনি গ্লোবাল অর্থনীতি বোঝেন,
✅ বাস্তব উন্নয়নের পরিকল্পনা রাখেন,
✅ স্থানীয় জনগণকে উন্নয়নের কেন্দ্রে রাখেন,
✅ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কার্যকর সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে পারেন।
এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হতে হবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য, চাঁদাবাজি–দখলবাজি–টেন্ডারবাজিমুক্ত, জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া, এবং উন্নয়নমুখী চিন্তাধারার প্রতিফলন।
আমি ভোট দেবো সেই প্রার্থীকে —
যিনি শুধু দলের ঘোষণাপত্র নয়, নিজস্ব একটি উন্নয়ন তফসিল ও রোডম্যাপ প্রকাশ করবেন;
যিনি এই আসনের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে নিজের পরিকল্পনায় তুলে ধরবেন;
এবং যিনি এই আসনকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
আমার আহ্বান — যারা এখন প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা দয়া করে নিজেদের ভিশন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। জনগণ এখন সচেতন — আমরা শুধু কথা শুনবো না, পরিকল্পনা দেখতে চাই।
বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণও অপরিহার্য। এই বিনিয়োগ যেন স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, পরিবেশ ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করে, এবং এলাকার উন্নয়নে সরাসরি প্রভাব ফেলে — সেটি নিশ্চিত করা হবে একজন দায়িত্বশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে।
একজন ভিশনারি জনপ্রতিনিধি পারবেন এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগ, স্থানীয় অংশগ্রহণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক উন্নয়ন একসঙ্গে চলবে। এজন্য দরকার পরিকল্পিত অবকাঠামো, নীতি সহায়তা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও জনগণের আস্থাভিত্তিক নেতৃত্ব।
মহেশখালী–কুতুবদিয়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ “গ্লোবাল গেটওয়ে” — এখানে আসা প্রতিটি বিনিয়োগ দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সরাসরি অবদান রাখবে।
এই অঞ্চলের প্রতিটি ভোট কেবল রাজনীতি নয় — এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ, অর্থনীতি ও উন্নয়নের দিক নির্ধারণ করবে।
যিনি এই অঞ্চলের উন্নয়নের দরজাটি খুলতে জানবেন, তিনিই হবেন আমাদের প্রকৃত প্রতিনিধি।
আমার মূল্যায়ন: কক্সবাজার–২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া) আসনের নেতৃত্ব
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মনে করি — বিএনপি প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ এই আসনের জন্য একজন যোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি হতে পারেন।
তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সংযোগ তাকে অন্যদের তুলনায় অধিক প্রস্তুত ও বাস্তবমুখী করে তুলেছে।
আমি বিশ্বাস করি — যদি তিনি নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান, তবে এই অঞ্চলে চলমান ও পরিকল্পিত আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে একটি সমন্বিত ভিশন ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের মাধ্যমে।
বর্তমানে এই আসনে অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন, তবে আমি এখনো অন্য কারো মধ্যে সেই ধরনের ভিশনারি মেসেজ, গ্লোবাল দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তব উন্নয়নের রূপরেখা খুঁজে পাইনি, যা একজন আধুনিক নেতৃত্বের মধ্যে থাকা উচিত।
সালাউদ্দিন আহমেদ যদি আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে এই আসনের দায়িত্ব পান, আমি আশা করি তিনি মহেশখালী–কুতুবদিয়াকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গেটওয়ে হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবেন।
Cox's bazar -2 ( Kutubdia-Maheshkhali )