26/11/2024
এ মূহুর্তের করণীয় নিয়ে একটা লেখা ও একটা লেকচার দিচ্ছি।
বুদ্ধিমানরা পড়ে সে অনুযায়ী কাজ করবেন৷
এই ভাইকে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা আজ হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি মতে, তাকে জবাই করা হয়েছে এবং তাও পুলিশের সামনে। হ্যা, কারওয়ান বাজারে হেডম দেখানো সেই পুলিশের সামনে।
আল্লাহ এই ভাইকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। শহীদের মর্যাদা দিন। তাকে শুধু মুসলিম হবার কারনে হত্যা করা হলো।
চট্টগ্রামের আইনজীবি ভাইরা থেকে শুরু করে সাধারন জনগন রাস্তায় নেমেছেন। আমি জানি কথাটা শুনতে এখন ভালো লাগবে না, তবে এখন আমাদের মুসলিমদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।
বিন্দুত্বব।।দীরা দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু দাঙ্গা লাগলে সরকার, মিডিয়া, সুশীল, বিপ্লবী-উপদেষ্টারা আমাকে-আপনাকেই ভিলেন বানাবে। আবার দাঙ্গার খবরকে ব্যবহার করে বহির্বিশ্বে বিন্দুত্ববাদীরা প্রচারণা চালাবে, যেগুলো হ্যান্ডেল করার ক্যাপাসিটি এই এনজিও সরকার এবং ডারতের প্রতি নতজানু নীতি গ্রহন করা ডানপন্থীদের নেই।
বাংলাদেশ অস্তিত্বের সংকটের মুখোমুখি। বিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশে এতোদিন শক্তি সঞ্চয় করেছে, আজকে প্রকাশ্যে বড় আঘাত হানলো। আগামীর সংঘাতের সূচনা আজ হয়ে গেছে।
এই সংকট মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হলে ইসলামের দিকে আসতে হবে। এটা মানুষকে বুঝতে হবে, সরকারকেও বুঝতে হবে। ইসলাম ছাড়া আর কোন কিছু দিয়ে, আর কোন কিছু আকড়ে ধরে এ সংঘাতের মোকাবেলা করা যাবে না।
বীর চট্টলাবাসী অস্তিত্ব রক্ষার এ লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখবে ইন শা আল্লাহ। ডারতীয় টিভিতেও ওরাচট্টগ্রাম আক্রমনের কথা বলে। আর আজ ওরা আমার ভাইকে হত্যাও করলো চট্টগ্রামে। তাই চট্টগ্রামবাসী সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন করুন। একই সাথে আবেগকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। বুঝতে হবে সময় ও প্রেক্ষাপটকে।
বিন্দুত্ববাদ ও ডারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক কঠিন লড়াইয়ের সামনে আমরা। এখানে কাজ করতে হবে, মাথা ঠান্ডা রেখে, প্রতিশোধের আগুন বুকে সযত্নে জ্বালিয়ে রেখে, দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে৷ ঘটনাপ্রবাহ কোন মতেই যেন দাঙ্গার দিকে না যায়, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
আরেকটা কথা। আজকের ঘটনা লিটমাস টেস্ট। সমন্বয়ক, ছাত্র উপদেষ্টা, নাগরিক কমিটি, বুদ্ধিজীবি, ইনফ্লুয়েন্সার, 'আন্দোলনের স্টেকহোল্ডার', মিডিয়া - আজকে কোন অবস্থান নেয় তা থেকে শত্রুমিত্র বিভাজন স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ এবার যেন আর ভুল না হয়।
সতর্ক থাকুন
-asif