06/10/2025
কিয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল আসার সময় এ সমাজ ব্যবস্থা দাজ্জালী সমাজ ব্যবস্থা হবে।
ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, "আমি একদিন নাবী ﷺ কে বললাম শেষ সময় চেনার কোনও জ্ঞান আছে কি?'' তিনি ﷺ বললেন,"হ্যা ইবনে মাসউদ!" এ সম্পর্কিত বহু নিদর্শন রয়েছে তার মধ্যে হল ⤵️
১. বাচ্চারা ভীষণ বদমেজাজি হবে ।
২. বৃষ্টি হবে আম্লিক, অল্মবৃষ্টি ।
৩. তুমি দেখবে, খারাপ লোকেরা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে!
৪. লোকেরা বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করবে এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বিশ্বাসঘাতক মনে করবে।
৫. সত্যবাদীদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হবে এবং মিথ্যাবাদীদের বলা হবে সত্যবাদী।
৬. থালাসমুহ ক্রমাগত যোগাযোগ করতে থাকবে যা স্যাটেলাইট যোগাযোগ বোঝাতে ব্যাবহার করা হয়। এবং মানুষেরা তখন পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করবে ।
৭. ও ইবনে মাসূদ, তুমি আরো দেখবে মুনাফিকরা শাসন করবে এবং
৮. সর্বাপেক্ষা মন্দ লোকেরা বাজার নিয়ন্ত্রন করছে ।
৯. মসজিদসমুহ অলংকৃত করা হবে, কিন্তু হৃদয়সমূহ হবে কুৎসিত!
১০. বিশ্বাসীদের কুৎসিত ছাগলের চেয়েও বেশি অপদস্থ করা হবে! যেন তাঁরা কিছুই না!
১১. তুমি দেখবে পুরুষ ও স্ত্রী সমকামীতা প্রসার হবে ।
১২. এবং অল্পবয়স্ক লোকেরা প্রচুর সম্পদশালী হবে ।
১৩. নারীদের নীতিভ্রষ্ট করতে আন্দোলন করা হবে ।
১৪. তুমি দেখবে সভ্যতার ধ্বংস এবং পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক সভ্যতা।
১৫. তখন বাদ্যযন্ত্র ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পরবে।
১৬. বাদ্যযন্ত্রগুলো তাদের মাথায় চড়ানো থাকবে ।
১৭. আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অনেক দেখতে পাবে ।
১৮. এবং লোকেরা ঠাট্টা-তামাশা ও বিদ্রুপ করবে ।
১৯. তোমরা দেখবে বহু শিশু বিবাহ বন্ধন ছাড়াই জন্ম নিবে।
২০. সেসময় ফিতনাগুলো মাদুরের আকৃতিতে প্রদর্শিত করা হবে এর দুটি সীমারেখা থাকবে (টেলিভিশন সেটএর কথা বলছে) ।
২১. ফিতনাগুলো তাদের সামনে মাদুর আকৃতিতে দেখানো হবে ।
২২. জাহান্নামে দুই ধরনের লোক আছে যাদের আমি এখনও দেখিনি। তুমি গরুর লেজের মত চাবুক হাতে কিছু লোকদের দেখবে তাঁরা এর দ্বারা অন্যদের প্রহার করবে। সে সময় নারীরা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকবে, তাঁরা কোমর দুলিয়ে হাঁটবে এবং অন্যদেরকে তাদের দিকে আকর্ষণ করবে ।
২৩. ঐ মেয়েদের চুল হবে "বখতের" লোমশ উটের মত। এই লোকগুলো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
২৪. আমার উম্মাহর কিছু অংশ মদপান করবে এবং মদকে অন্য নামে ডাকবে (বিড়ি-সিগারেট, হিরোয়িন, রূহানী সরাব 🍷 ইত্যাদি)।[আল মুয়াযযাম আল কিবার তাবারানি হা/১০৪১০]
কিয়ামতের ছয়টি নির্দেশনা বলির মধ্যে পাঁচটি ঘটে গেছে আর একটি বাকি আছে। অচিরেই আশিটি পতাকা উড়িয়ে আমাদের বিপক্ষে আসবে
الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيْدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ زَبْرٍ قَالَ سَمِعْتُ بُسْرَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا إِدْرِيْسَ قَالَ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةِ تَبُوكَ وَهُوَ فِيْ قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ فَقَالَ اعْدُدْ سِتًّا بَيْنَ يَدَيْ السَّاعَةِ مَوْتِيْ ثُمَّ فَتْحُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ ثُمَّ مُوْتَانٌ يَأْخُذُ فِيكُمْ كَقُعَاصِ الْغَنَمِ ثُمَّ اسْتِفَاضَةُ الْمَالِ حَتَّى يُعْطَى الرَّجُلُ مِائَةَ دِيْنَارٍ فَيَظَلُّ سَاخِطًا ثُمَّ فِتْنَةٌ لَا يَبْقَى بَيْتٌ مِنْ الْعَرَبِ إِلَّا دَخَلَتْهُ ثُمَّ هُدْنَةٌ تَكُوْنُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ بَنِي الأَصْفَرِ فَيَغْدِرُوْنَ فَيَأْتُوْنَكُمْ تَحْتَ ثَمَانِيْنَ غَايَةً تَحْتَ كُلِّ غَايَةٍ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا
‘আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাবুক যুদ্ধে আল্লাহর রাসূল ﷺ এর নিকট এলাম। তিনি তখন একটি চামড়ার তৈরি তাঁবুতে ছিলেন। আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন, কিয়ামতের আগের ছয়টি নিদর্শন গণনা করে রাখো।
১) আমার মৃত্যু, (মুহাম্মাদ ﷺ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জুন তারিখ মদীনায় মৃত্যু বরণ করেন) অতঃপর
২) বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়, (২৭ রজব ৫৮৩ হিজরি ১১৪৭ খ্রিষ্টাব্দে বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয় হয়। অতঃপর
৩) তোমাদের মধ্যে ঘটবে মহামারী, বকরীর পালের মহামারীর মত, (২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে করনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এ তিনটি ভবিষ্যৎবাণী বাস্তব হয়ে গেছে)
৪) সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যক্তিকে একশ’ দ্বীনার দেয়ার পরেও সে অসন্তুষ্ট থাকবে। (আজ পুরো পৃথিবীতে সম্পদের প্রাচুর্য দেখা দিচ্ছে। আল্লাহর এত নেয়ামত পাওয়ার পরেও মানুষ শুকরিয়া আদায় না করে অসন্তুষ্ট হয়ে আছে) অতঃপর
৫) এমন এক ফিতনা আসবে যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে।(আরবের প্রতিটি ঘরে ঘরে অশ্রিলতার ফিতনা ঢুকে গেছে)
৬) অতঃপর যুদ্ধ বিরতির চুক্তি-যা তোমাদের ও বানী আসফার বা রোমকদের মধ্যে সম্পাদিত হবে। অতঃপর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং আশিটি পতাকা উড়িয়ে তোমাদের বিপক্ষে আসবে; প্রত্যেক পতাকার নীচে থাকবে বার হাজার সৈন্য।[সহীহ বুখারী হা/৩১৭৬, সনদ সহীহ]
দাজ্জাল আসার পূর্বে যে ৪টি ভবিষ্যৎ বাণী রয়েছে তার তিনটি ঘটে গেছে
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
১) যখন জেরুজালেম (ইস্রাইল) পুনরায় প্রতিষ্ঠা পাবে। (১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইস্রাইলে জেরুজালেম পুনরায় প্রতিষ্ঠা পায়)
২) তখন ইয়াসরিব মদীনাতে আর খিলাফত থাকবে না। (সৌদি আরবে এখন আর খেলাফত নেই)
৩) যখন ইয়াসরিব মদীনাতে আর খিলাফত থাকবে না। তখন মালহামা (ভয়ংকর পরমানু বিশ্বযুদ্ধ) শুরু হবে।(রাশিয়া ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে মালহামা শুরু হয়েছে)
৪) যখন মালহামা শুরু হবে। তখন কুস্তুন্তুনিয়া তুরষ্কের (ইস্তানবুল) শহরটি জয় করা হবে।
৫) যখন কুস্তুন্তুনিয়া তুরস্কের ইস্তানবুল শহরটি জয় করা হবে তখন দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে।[আবু দাউদ ৪২৪৪-৪২৯৮]