26/05/2025
# হিজামা কি ও কেন করা হয়?
# What is hijama? হিজামা কি?
# হিজামায়_কি_কি_উপকারিতা_রয়েছে?
# হিজামা (حِجَامَة ) একটি নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি আরবী শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে।
যার # বাংলা অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। শিঙ্গা ও বলে।
আধুনিক # ইংরেজি পরিভাষায় Cupping (কাপিং)।
হিজামা হল এমন একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বিদ্যামান রয়েছে।
১. রাসুলুল্লাহ(সা.) বলেছেন, 'নিশ্চই হিজামার মধ্যে রয়েছে নিরাময়। [সহীহ বোখারীঃ৫২৯৪]
২. হযরত আছিম ইবনু উমর ইবনু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'যে ১৭তম, ১৯তম, ২১তম দিনে (চাঁদের মাসে) হিজামা লাগাবে অতঃপর ইহা হবে সর্বরোগের ঔষধ। [আবু দাউদঃ৩৮৬১]
হিজামার পদ্ধতিঃ
শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে মেশিনের সাহায্যে রক্ত চুষে নেওয়া। উল্লেখ্য, হিজামায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা উত্তম এবং প্রত্যেকের চিকিৎসায় ভিন্ন ভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যাতে, রক্তজীবাণুর মাধ্যমে রোগ সংক্রমিত হতে না পারে।
হিজামার প্রকারভেদঃ
এক. স্বাভাবিক অবস্থায় যেভাবে করবে। যথা :
ক. আরবী মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখের কোন একটি নির্বাচন করবে।
খ. সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারের কোনটিকে নির্বাচন করবে।
উল্লেখ্য, তারিখ ও দিনের মধ্যে বিরোধ হলে তারিখকে অগ্রাধিকার দিবে।
গ. খালি পেটেই হিজামা করবে। সকালে খালি পেটে হিজামা করা উত্তম।
ঘ. ফজরের পর হতে দুপুর ১২টার মধ্যে করবে।
ঙ. হিজামার আগের ও পরের দিন সঙ্গম না করা উত্তম।
দুই. জরুরী অবস্থায় যেভাবে করবে।
এতে মাস ও দিনের কোনো ধর্তব্য নেই। যখনই সমস্যা তখনই করা যেতে পারে। একসময় রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘোড়া থেকে পড়ে পায়ে আঘাত পাওয়ায় হিজামা করেছিলেন।
হিজামার নির্দিষ্ট স্থানসমূহঃ
১. মাথার উপরিভাগ তথা মধ্যভাগ।
২. মাথার ঠিক মাঝখানে।
৩. ঘাড়ের উভয় পাশে।
৪. ঘাড়ের নীচে উভয় কাঁধের মাঝখানে।
৫. উভয় পায়ের উপরিভাগে।
৬. মাথার নীচে চুলের ঝুটির স্থলে।
৭. এছাড়া পয়োজন বা সমস্যা অনুযায়ী শরীরের যে কোন স্থানে হিজাম করা যায়।
ইহরাম ও রোযায় হিজামা:
মুহরিম ও রোযাদারের জন্য হিজামা বৈধ। হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রদিয়াল্লহু আনহু থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহরিম ও রোযাদার অবস্থায় হিজামা করেছেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর : ৭৭৫
হিজামা (Cupping) এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা
২। রক্তদূষণ
৩। উচ্চরক্তচাপ
৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত
৭। পিঠের ব্যাথা
৮। হাঁটু ব্যাথা
৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা
১০। ঘাড়ে ব্যাথা
১১। কোমর ব্যাথা
১২। পায়ে ব্যাথা
১৩। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain), মাসল পুল
১৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা
১৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা, ফ্র্যাকচার পেইন
১৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
১৭। সাইনুসাইটিস
১৮। হাঁপানি (asthma)
১৯। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
২০। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন
২১। টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস, ব্রংকাইটিস
২২। দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন
২৩। গ্যাস্ট্রিক পেইন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, এসিডিটি, esophageal varices
২৪। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
২৫। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseases)
২৬। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন
২৭। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ,
২৮। ডায়াবেটিস (Diabetes) ও ডায়াবেটিক ফুট,
২৯। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান,
৩০। চুল পড়া (Hair fall),
৩১। মানসিক সমস্যা (Psychological disorder),
৩২। পারকিনসন্স ডিজিজ
৩৩। কিডনির সমস্যা
৩৪। স্পোর্টস ইঞ্জুরি (খেলোয়াড়, আর্মি, কনট্যাক্ট স্পোর্টস)
৩৫। কানের সমস্যা
৩৬। ক্যান্সারের ব্যাথা নিয়ন্ত্রন,
৩৭। লিভার ডিজিজ, পোর্টাল হাইপারটেনশান,
৩৮। হরমোনাল সমস্যা,
৩৯। ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার,
৪০। ক্রনিক কফ
৪১। Erectile Dysfunction (ED)
৪২। ব্রন,
৪৩। সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস (SLE),
৪৪। অনিয়মিত মাসিক, মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা,
৪৫। এডিকশান/ ডিপেন্ডেন্সি (স্লিপিং পিল, ড্রাগস, কফ সিরাপ, জর্দা, সিগারেট, এলকোহল ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য)
৪৬। TMJ Dysfunction Syndrome
৪৭। প্যারালাইসিস (স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাত, গিয়েন বারে সিন্ড্রোম, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেল’স পলসি প্রভৃতি)
৪৮। অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়)
৪৯। Post menopsusal hot flush
৫০। Vaginismus
৫১। vertigo (মাথা ঘোরা)
…এবং আরও অনেক রোগ।
তাছাড়া দূষিত রক্ত(Toxin) দূর করার জন্য সুস্থ অবস্থায় হিজামা থেরাপি নেয়া যায়।
# প্রতিটা_সুস্থ_মানুষের_জন্য_৬_মাস_পর_পর_হিজামা_থেরাপি_নিলে_সুস্থ_থাকবেন__ইনশা_আল্লাহ।
নতুন কোন রোগ আপনার শরীরে প্রবেশ করবে না।
হিজামার নিন সুস্থ থাকবেন। ইনশা আল্লাহ
#হিজামা_কাপিং_এর_উপকারিতাঃ-
(১) শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ/Toxin বের করে নিয়ে আসে,
(২) লিভারকে পরিস্কার করে ,
(৩) শরীরের ব্যথা/ জ্বালাপোড়া হৃাস করে,
(৪) ঘুমের উন্নতি করে
(৫) শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে,
(৬) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
(৭) পায়ের দুর্গন্ধ দূর করে,
(৮) কিডনি পরিষ্কার করে,
(৯) বৃদ্ধ মানুষের বাত/ব্যথা নিপীড়ন করে ,
(১০) ত্বক পরিষ্কার করে।
(১১) শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড় এবং ব্যাক পেইন দূর করতে সাহায্য করে।
#হিজামা_কাদের_জন্য ?
সকল বয়সি লোকদের জন্য প্রযোজ্য,
(১) ধূমপায়ীদের জন্য, যারা সিগারেট এর নিকোটিন বের করতে চান,
(২) দূর্বল লোকদের জন্য,যারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়,
(৩) যারা শরীরের ভিতরের বিষাক্ত টক্সিন দূর করতে চান।
(৪) যাদের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড় এবং ব্যাক পেইন আছে।
(৫) যারা ধুলাবালিতে কঠোর পরিশ্রম করেন।
(৬) যারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন।
(৭) যাদের শারিরীক যন্ত্রনায় ঘুম কম হয়।
(৮) বৃদ্ধ বাবা-মা যাদের বাতের ব্যথা আছে ,
(৯) যারা প্রতিদিন রাস্তায় চলাফেরা করে।
(১০) যারা শরীরে বিষাক্ত টক্সিন আছে কিনা যাচাই করতে চান।
Toxin কি ?
এই গুলো হচ্ছে ওই বিষ যা আপনাকে একবারে মেরে ফেলবে না কিন্তু তিলে তিলে কষ্ট দিবে। প্রতিদিনই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে এই toxin গুলো প্রবেশ করে, যেমন : খাবার খাওয়ার মাধ্যমে , বাহিরের ভাজা-পুড়া, ফলে বা মাছে থাকা ফরমালিন , পানিতে থাকা আয়রন বা আর্সেনিক , ধূমপানের অভ্যাস থাকলে , এছাড়াও আমাদের দেশের গাছ পালা কমে যাওয়ায় বায়ু দূষণ হচ্ছে ,বায়ু ভারী হচ্ছে আর আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে সীসা , অ্যালুমিনিয়াম এর মত ইত্যাদি ক্ষতিকারক বস্তু।
✪ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
========
হিজামা_কাপিং_এ_কোন_পার্শপ্রতিক্রিয়া_নাই
বিস্তারিত জানতে কল করুন
আমাদের পেইজে মেসেজ দিন