12/07/2025
প্রথমে ওরা একজন মানুষকে মে*রে ফেলল।
তারপর একজন এল, বড় একটি পাথর মাথার উপর তুলে তার বুকে মা*রল।
একবার নয়, একাধিকবার।
তারপর আরেকজন এসে আরও বড় একটি পাথর দিয়ে আ*ঘাত করল মাথায়।
এরা রাজনীতি করে।
বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন উনারা ...
আগে নেতা ছিলেন ,
এখন ‘বহিষ্কৃত’।
এদের আবার বড় ভাইরাও আছেন—দেশের রাজনীতির চালিকাশক্তি, দেশের মাথা।
কাহিনী শেষ !
কি খবর বাংলাদেশ?
কি দেখলেন আপনারা?
এখানে কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ, কে জামাত, কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিস্টান—এটা মুখ্য নয়।
কারণ সভ্যতা ও ন্যায়ের প্রশ্নে পরিচয় নয়, মানবিকতা মুখ্য।
বিশ্বে যেখানে মানুষ কুকুর-বিড়াল পর্যন্ত যত্ন করে পোষে,
সেখানে আমরা কীভাবে, এমন স্বাধীন একটি দেশে, এমন সভ্য একটা সমাজে,
একজন মানুষকে এভাবে পাথর ছুঁড়ে হ*ত্যা করি?
এটাই কি স্বাধীনতা?
এটাই কি সভ্যতা?
বিশ্ব দেখল—আমরা কারা।
একদিন আমরা দেখেছিলাম বিশ্বজিতের সাথে কি হয়েছিল।
আজ আবার দেখছি, অন্য নামে, অন্য প্রেক্ষাপটে।
কিন্তু মূল কাহিনি একটাই—
একজন অসহায় মানুষ, নির্মম হামলা,
আর অসহায় রাষ্ট্র।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ,
জনাব তারেক রহমান,
আপনারা কি বুঝতে পারছেন—এই পরিস্থিতি কেবল আপনাদের জন্য নয়, গোটা জাতির জন্য ভয়াবহ এক বিপর্যয়?
এই মুহূর্তে বিএনপি যেন এমন একটি দল—যার না আছে দিকনির্দেশনা, না আছে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা।
শুধু নেতা আছে,
কিন্তু কথা শোনার কেউ নেই।
শ্রদ্ধা নেই, ভালোবাসা নেই, ধৈর্য নেই।
আছে কেবল চেয়ারে বসার লড়াই।
মানুষ এই ভয়াবহ রাজনীতি থেকে মুক্তি চায়।
এই চাওয়াকে সম্মান জানান।
যারা রাজনীতির নামে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস বা সহিংসতা চালায়—
তাদেরকে দল থেকে প্রকাশ্যে বহিষ্কার করুন।
নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দিন নেতৃত্বে আসার।
এই রাজনীতি আপনাদের উপকার করবে না,
বরং ধ্বংস ডেকে আনবে।
এখনই সময়—সিরিয়াস হোন।
বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়,
আপনারা সত্যিই দেশের ব্যাপারে যত্নশীল কি না।
একটা কথা মনে রাখবেন—
জনগণের ধৈর্য সীমাহীন নয়।
আজ যারা ভুলের রাজনীতি করছে, কাল তারা তারই ফল ভোগ করবে।
ক্ষমতার হাতবদল যখন হবে, তখন আর গদি রক্ষা করার মতো ‘হেলিকপ্টার’ বা ‘বন্ধুদেশ’ পাশে থাকবে না।
কি তৈরি তো? আপনাদের পাশে কিন্তু ওয়াকার বা মুদি নেই !
#বাংলাদেশ #বাংলাদেশের