14/07/2025
"আমার প্রেমিকা আছে আম্মা। এই মেয়েকে বিয়ে করা অসম্ভব। "
রহিমা খাতুন নিচু স্বরে বলে,
"আমি পাকাকথা দিয়ে ফেলছি।"
মৃদুল কড়াগলায় বলে,
"কার কাছে জিজ্ঞেস করে দিছ? বিয়ে আমি করবোনা হ্যাঁ? তাইলে আমাকে একবার জিজ্ঞেস করার দরকার ছিলো তাই না?"
রহিমা খাতুন স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে মৃদুলের দিকে।সেদিনের ছেলে তার,এখনি কি গজগজ করে ধমকে কথা বলে। মাকে চুপ করে যেতে দেখে মৃদুল বললো,
"আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করি মা। "
রহিমা খাতুন ফের আবার বুঝাতে উদ্দত হয়।
তিনি যে ভরা মজলিসে বড় মুখ করে কথা দিয়েছেন আদুরীকে ছেলের বউ করে আনবেন।তখন অবশ্য সবাই বলেছিলো ছেলের মতামত নেওয়ার জন্য কিন্তু তিনি যানেন তার মৃদুল কতোটা বাধ্য আর লক্ষী ছেলে। ছেলের উপর সেও অগাধ বিশ্বাসের সুতোর রেশ ধরেই উপস্থিত মানুষের সামনে আদুরীকে পুত্রবধূ করা আশ্বাস দেন। এখন যদি মৃদুল বেঁকে বসে তাহলে বাপের বাড়ির কূলে তার মানসম্মান কি থাকবে? মৃদুলের বাপ বেঁচে থাকলে আর এইদিন দেখতে হতো না।উনি এবার ছেলের মাথায় হাত ভুলিয়ে দেয়।
"মায়ের মান রাখবা না আব্বা? মেয়েটা ভালো লক্ষী।"
মৃদুল বিরক্ত হয়ে বলে,
"কি বলি শোননা? আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করি।"
"বিয়ের আগে ছেলেদের একটু আধটু পছন্দ থাকেই। বিয়ে হলে সব ভুলে যাইবা।"
"অসম্ভব। "
"মেয়েটার বাবা মা নেই,এতিম।আমি চাই এর দায়িত্ব তুমি নেবে, কারণ আমি কথা দিয়ে ফেলেছি।"
"এতিম তাতে আমার কি?এতিম মেয়ের দায়িত্ব নেওয়ার কথা আমার না।এমন হলে সারাদেশের সব এতিম মেয়েকে বিয়ে করে দায়িত্ব নিতে হবে। "
রহিমা খাতুন মৃদুলকে দেখে অবাক হলেন। ছেলে কোনোদিন তার সাথে গলা উঁচু করে কথা বলেনা আর এখন কিনা মুখে মুখে তর্ক করছে। সবকিছু হয়েছে আফজাল হকের কারণে,উনি এতো তাড়াতাড়ি তাকে ছেড়ে না গেলে কেউ তার সাথে এমন করার সাহস পেতো না।ছেলের কথায় উনি মনে বড়ো কষ্ট পেলেন।মৃদুলের কথার ফাঁকে ধমকে বললেন,
"মৃদুল!"
মৃদুলও তেড়েমেরে বললো,
"আমি বিয়ে করবোনা।"
মৃদুল হনহনিয়ে চারচালা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
সে এমন হুটহাট গ্রামে আসে না।সেই যে মেট্রিক্স পাশ করে গ্রাম থেকে গেল এখন মাস্টার্স করে আর সাথে ছোটখাটো একটা চাকরি। হঠাৎ রাতে মৃদুলের বড়োভাই মিজান ফোন করে জানায় মায়ের শরীর হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে গেছে। এমন সংবাদ শুনে কি আর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা চলে? কিন্তু এসে অবস্থা দেখছে ভিন্ন।মা টুনটুন করে দিব্যি হেটে বেড়াচ্ছে। এমন মিথ্যা তলব দিয়ে আনার কারণটা শুনেই মৃদুলের রাগে গা কাঁপছে।তারা কি আগের যুগ পেয়েছে নাকি যে ধরে বেধে বিয়ে দিলাম আর কাহীনি খতম! আজব।
সে মোটেও এই বিয়ে করবেনা।
যেই ভাবা সেই কাজ রাতে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে যায় নিজের বরাদ্দকৃত রুমে কিন্তু মাঝরাতেই ডাকাডাকি শুরু করে তার ভাবি নাছরিন।
সারাটাদিন সে বিরক্ত ছিলো নাছরিনের কাজে সেই বিরক্তের পরিমাণ আরও বাড়ে।
শ্যামলাবরন পুরুষ বিরক্তিতে ভ্রু কুচকে দরজা খুলে বলে,
"কি সমস্যা ভাবি?"
নাছরিন আতংকিত চেহারা নিয়ে হাপিয়ে বলে,
"ভাই,আম্মা কেমন জানি করতেছে।"
এই কথা শুনে মৃদুল আর দেরী করেনি,একছুটে মায়ের ঘরে এসে হাজির হয়।
এসে দেখলো আসলেই মায়ের অবস্থা বেশ খারাপ।ছেলের অমত,মজলিসে জবান দেওয়া সব হিসাব গরমিল দেখে রহিমা খাতুনের অবস্থা খারাপ।
কয়েকমাস আগেই বাবা হারা হয়েছে এখন মায়ের এই অবস্থা দেখে মৃদুলের দুই ভ্রুয়ের ভাজের বিরক্তি উধাও হয়ে সেখানে ভর করে মাকে হারানোর ভয়।অতিরিক্ত চিন্তায় প্রেসার বেড়ে গেছে।সাথে শ্বাসকষ্ট আর বুকে ব্যথা।মিজান সেই বাজারের মোড় থেকে অতুল ডাক্তারকে নিয়ে আসে।এতো রাতে কি আসতে চায়? হাতে-পায়ে ধরে কোনমতে নিয়ে এসেছে।
মৃদুলের দিকে তাকিয়ে চোখ পাকিয়ে মিজান বলে,
"মায়ের কিছু হলে তোর খবর আছে হা,রামজাদা।"
মৃদুল জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজায়।
সে বুঝতে পারেনি তার সামান্য এই কথার ফেরে,অসম্মতিতে মায়ের এতোটা করুণ দশা হবে।বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই মায়ের হার্টের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। সবাই ভোর পর্যন্ত রহিমা খাতুনের পাশে বসে থাকে।
সকালের দিকে রহিমা খাতুনের শরীরের উন্নতি হয়। কিন্তু অভিমানে ছেলের দিকে তাকায় না।
মৃদুল অসহায়ভাবে মায়ের দিকে তাকায়।
সে আম্মা বলে ডাকতেই রহিমা খাতুন বলেন,
"তুমি এখনো ঢাকা যাওনি কেন? আমি তোমার জীবন নষ্ট করে দেব।এরচেয়ে দোয়া কর আমি যেনো তাড়াতাড়ি ম,রে যাই। তাহলেই ভালো হবে।
লোকটা আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে কেউ র আমাকে মানুষ মনে করে না,আমার কথার দাম দেয় না । "
অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে মৃদুল বিয়েতে রাজি হয়।আর সেদিন বিকাল চার ঘটিকায় ফুলতলি গ্রামের মৃদুল আর মহিনপুর গ্রামের আদুরী আল্লাহর ইচ্ছায় বিবাহিত দম্পতি হিসাবে নতুন পরিচয় লাভ করে।
বাড়ি আসার পথে মৃদুল আদুরীর দিকে তাকায়।
তাকিয়েই তার বউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে। মেয়ের চেহারায় স্পষ্ট ফুটে উঠছে এটা অল্পবয়সী শিশু। এর সাথে আবাল মৃদুলের বিয়ে হয়েছে ভাবতেই তার দম আটকে আছে,তার উপর ঢাকার চিন্তা তো আছেই। সব মিলিয়ে মৃদুলের মেজাজ তরতরিয়ে বেড়ে যায়।আদুরীর ফ্যাসফ্যাসে কান্নায় বিরক্ত হয়ে বলে,
"আরেকবার এমন ভ্যা-ভ্যা করলে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেবো বেয়াদব মেয়ে।"
আদুরী ভয়ে চুপ হয়ে যায়।আড়চোখে স্বামী নামক নিষ্ঠুর বান্দার দিকে তাকায় কিন্তু বলিষ্ঠ হাত ছাড়া ঘোমটার জন্য আর কিছুই দেখতে পায় না । আদুরীর মনে পরে তার চাচাতো বোনের বিয়ের সময় দেখেছে আপা কান্না করাতে দুলাভাই কত ভালো করে কান্না থামিয়েছে আর উনি!
মৃদুলকে আবার ধমকাতে দেখে আদুরী ঠোঁট উলটে নিঃশব্দে কাঁদে।
রহিমা খাতুন সইয়ের মেয়েকে ছেলের বউ করে আনতে পেরে কি যে খুশী সেটা উনার চেহারা দেখেই যে কেউ বুঝতে পারছে। একমাস আগে তার সই আর তার হাজবেন্ড রোড এক্সি,ডেন্টে মা,রা যায়।আর আদুরীকে নানীর বাড়ি নিয়ে আসা হয় কিন্তু অতি লাবন্যময়ী আদুরীকে নিয়ে খারাপ চিন্তার অভাব নেই। খারাপ চোখ পারেনা আদুরীকে গিলে খায়।কোনোভাবেই যখন আদুরীকে রক্ষা করা যাচ্ছিলোনা তখন একদিন আদুরীর ভবিষ্যত নিয়ে আদুরীর নানা মজলিস বসায়।রহিমা খাতুনের বাপের বাড়ি বলে উনিও ছিলেন। আদুরীকে দেখে এতোটা মায়া জন্মায় মনে যে সেই মজলিসেই ছেলের বউ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।আর তারপরের এতো কাহীনি হল।
নাছরিন তার একমাত্র দেবরের বিয়েতে পা ফেলার ফুসরত পাচ্ছে না। এই যে মৃদুলের অমত থাকা স্বত্তেও স্বামীকে দিয়ে বাজার থেকে তাজা ফুল আনিয়েছে। আর কয়েকজন মিলে ঝাকানাকা করে বাসর সাজিয়েও ফেলেছে। সে জানে বাসর ঘর নিয়ে প্রত্যেকটা নারী পুরুষের কতোটা আশা থাকে। তার বিয়েটা হঠাৎ করে হয়েছিলো বলে কোন আয়োজন ছিলো না, এই আক্ষেপ সে গত নয় বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছে তাই এবার দেবরেরটা ইচ্ছে মতো সাজায়।
রাত বারোটার দিকে মৃদুলকে টেনেটুনে তার ঘরের সামনে নিয়ে আসে। মৃদুল ঘাড় ফিরিয়ে মায়ের দরজার দিকে তাকায়, রহিমা খাতুন এখনো ঠায় বাহিরের জলচৌকিতে বসে আছে। উনার উদ্যেশ্য মৃদুল বুঝতে পারছে। মাকে দেখে আর মৃদুল কোন রা করলো না।
নাছরিন হেসে বলে,
"কি করবা দেওরজি বুচ্ছ না?"
"দুধের শিশুকে ফিডার খাওয়াবো আর কি করবো?"
নাছরিন দুষ্টু হেসে বলে,
"আদুরী কিন্তু আদুরীর মতোই।সাবধান।যা করবা ভেবেচিন্তে।"
"কিচ্ছু করার নাই ভাবি।ওওইটা একটা বাচ্চা, নাক দিয়ে ফেন পরা বাচ্চা।তোমরা কোন আক্কেলে এমন শিশু আমার সাথে বিয়ে দিলা বুঝলাম না।বাচ্চাকে ফিডারই খাওয়াবো নাকি আমি........ "
"শিশুকে হাতেকলমে শিখাই নাও দেখবা তোমার মাস্টার হয়ে যাবে। "
"ঠেকা পরে নাই।"
নাছরিন হেসে দরজা খুলে দেয়।
মৃদুল চুপচাপ ভেতরে যায়। নাছরিন আরেকবার সতর্কবার্তা ছুড়ে দিয়ে বলে,
"সাবধান,মেয়েটা কিন্তু বাচ্চা।"
মৃদুল বাঁকা হেসে বলে,
"তাতে আমার কি আমি স্বামী।"
দরজা বন্ধ করার শব্দে আদুরী ধরমরিয়ে উঠে বসে। সারা দিনের ধকলে শরীর বেশ ক্লান্ত লাগছিলো।
সামনে লম্বাচওড়া সুঠামদেহের অধিকারী পুরুষটিকে দেখে,বুকটা ধক করে উঠে। লোকটা এতো লম্বা কেন? পালোয়ানের মতো শরীর কেনো।ডিপজলের একটা ছবিতে পাশা নামের একটা মা,স্তান ছিলো,দেখতে ওওইরকম বডি।আর এটাই তার স্বামী!
আদুরীর মন চাইলো সে কান্না করে দেবে কিন্তু হঠাৎ কান্না করা কেমন লজ্জার তাই সে কান্নাটা চেপেচুপে বসে থাকে।
আদুরীর অবস্থা দেখে মৃদুলের মজা লাগে।প্রথম চোখ তুলে তাকিয়েই যেই ভয় পেলো, সর্বাঙ্গে বিচরণ করলে এই মেয়ে ম,রে যাবে।সে এগিয়ে আসে। আদুরীকে আরও ভয় দেখানোর প্রয়াসে কাছাকাছি বসে।
"আজ থেকে আমি তোমার কি হই বল?"
আদুরী এমন প্রশ্নে ভেবাচেকা খেয়ে যায়। মৃদুল কেমন করে যেনো তাকিয়ে আছে। মৃদুল বলে,
"এখন আমি যা বলবো সবকিছু পাইটুপাই শুনবা।অকে?"
আদুরী ভয় পেয়ে যায়,হাতির মতো লোকটা এখন আবার কি না কি বলে ফেলে আর আগেই সে বলে উঠে,
"আপনি আমাকে ছুঁয়ে দিলে আমি কাঁদবো।"
মৃদুল নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে পুরুষালী ধুমধাম রাগটা কন্ট্রোল করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। একটুপর কিছু একটা ভেবে ফিক করে হেসে দেয়। আদুরী অবাক হয়ে তাকালে মৃদুল বলে,
"তোমার বয়স কত?"
"চৌদ্দ বছর।"
মৃদুল বিষ্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকে। বুক চিরবির করে রাগ ফনা তুলছে। কই যে এডাল্ট একটা মেয়েকে বিয়ে করে বাসরে আসার কথা তা না সে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে এখন অ আ ক খ শিখাবে। এদিকে সোনালী ইতোমধ্যে ভয়ে কাঁপা-কাঁপি শুরু করে দিয়েছে।সে বলে,
"বিয়ের আগে আমাকে দেখোনি?"
আদুরী অবুজপনা চেহারায় মাথা নাড়ায়,সে দেখেনি।
মৃদুল বলে,
"আমাকে এখন দেখে কি ভয় লাগছে?"
আদুরী সহয ভাষায় বলে,
"লাগছে, ভয়ে বুক কাঁপছে। "
"আমি তোমার হাজবেন্ড না?হাজবেন্ডকে কেউ ভয় পায় নাকি?"
মৃদুল আলতো করে আদুরীর হাটুতে রাখা হাতটা ধরতে গেলে সত্যিই আদুরী অবিশ্বাস্য ভাবে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে।
ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলে,
"আমি আম্মার কাছে যাবো।"
মৃদুল বিষ্ময়ে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে বলে,
"আমার সাথে বাসর আর তুমি আম্মার কাছে যাবা?অহ গড। "
শেষেকোন উপায় না পেয়ে মৃদুল তার ভাবীকে ফোন করে আসতে বলে। এতো রাতে কি আর মাকে ডাকা যায়।
নাছরিন হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে। সে ভয় পাচ্ছে আজ রাতে না জানি আবার কোন এক্সিডেন্ট ঘটে যায়। মৃদুল বারান্দায়ই ছিল। ভাবীর চেহারা দেখে মৃদুল বললো,
"এক লাইন বেশী বুঝো তুমি।"
নাছরিন বলে,
"কি হয়েছে?"
মৃদুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
"সে তার শাশুড়ী আম্মার কাছে যাবে।"
নাছরিন হেসে উঠে।
"ভয় পেয়েছে।হাতির মত জামাই দেখে সবাই ভয় পাবে স্বাভাবিক। "
"বাচ্চা এনে দিলা এখন আমার দোষ আমি হাতী?"
নাছরিন রুমে গিয়ে আদুরীকে বুঝায়।তারপর চলে যাওয়ার সময় মৃদুলকে বলে যায়,
"এখন আর কিছু বলবে না যাও।"
মৃদুল মনে মনে হাসে।সে এই মেয়েকে ছুঁয়েও দেখবে না।অসহ্যকর।
আদুরী নেমে দাঁড়িয়েছে, মৃদুল যাওয়া মাত্রই ঝুকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে।
স্বাভাবিক হলে হয়ত মৃদুল বলতো,
"আহা কি করো,তোমার স্থান পায়ে নারে বউ তোমার স্থান আমার বুকে,কারণ বুকেই কলিজা থাকে।। কিন্তু এখন এটা বলবে না,বলার কোন ইচ্ছাও নাই।"
সে সরে যায়। আর আদেশমাখা কন্ঠে বলে,
"যাও ঘুমাও। আমি তোমাকে কিছুই করবো না, আর আমাকে ভয় পেয়ে আম্মার কাছেও যেতে হবে না।মানসম্মান যা আছে সব ডুবানোর পায়তারা,ফাজিল।"
আদুরী ঠিকই ঘুমিয়ে যায় কিন্তু মৃদুল ঘুমাতে পারে না। আস্ত এক নারী নিয়ে এক খাটে ঘুমানো কি সহয ব্যাপার? বুক কাঁপে না, ইচ্ছারা নাক ফুসে উঠে না? সব সামলে মৃদুল ফজরের দিকে চোখ বন্ধ করে। ঘুমের মাঝেই টুংটাং শব্দে তার চোখর ঘুম ছুটে যায়।চোখের উপরে হাত রেখে ঘুমিয়েছিলো শব্দে তাকিয়ে দেখে কোমড় ছাপানো চুল কোন নারী তোয়ালে দিয়ে ঝেড়ে মুছে দিচ্ছে। ব্যাপারটা কি বুঝে উঠতেই মৃদুল বিষ্ফোরিত চোখে আদুরীর দিকে তাকায়। অ মাই গড!
এই মেয়ে এত সকালে গোসল করেছে কেনো? সে বললো,
"তুমি কি গোসল করেছ?"
"হ্যাঁ। "
মৃদুল উঠে বসে বলে,
"কেনো?"
আদুরী আমতা-আমতা করে বলে,
"নানী বলে দিয়েছিলো,সকালে যেনো আগে গোসল করি।বিয়ের পরে গোসল করা ফরজ।এটা নাকি ফরজ গোসল।"
মৃদুল বুঝতে পারলো না সে হাসবে নাকি কাঁদবে।
সে শুকনো ঢোক গিলে বললো,
"মাশাআল্লাহ। "
চলমান.......
#অদৃশ্য_পায়রা
#পর্ব_০১
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর
❝মনে হচ্ছে কয়েক বছর পরে লিখলাম।যারা পড়েছেন অবশ্যই মন্তব্য করে যাবেন।এটা কোন অসাধারণ কাহীনি হবে না যাস্ট নিজের হাতটাকে আগের তালে ফিরানোর জন্য সহজ স্বাভাবিক একটা গল্প মাত্র।❞
❝পেজের রিচের কথা তো জানেনই,লাইক কমেন্ট করলে একটু রিচ টিচ আসতো।করবেন তো?
তাছাড়া লাইক কমেন্ট বেশী দেখলে আরেক পর্ব লেখার আগ্রহ বাড়বে।❞
❝সবার রিকোয়েস্ট এ নাম পালটে দিলাম।❞