19/07/2025
“বাবা”র গুলি — মেয়েকে লক্ষ্য করে! কিন্তু কেন?
দীপক যাদব — একজন সফল ব্যবসায়ী, একজন পিতা, আর এখন — একজন খুনি।
নিজের কন্যা রাধিকা যাদব-কে তিন তিনটি গুলি চালিয়ে হত্যা করেছেন তিনি।
হতবাক গোটা দেশ!
মিডিয়া একের পর এক গল্প বানাচ্ছে —
“মেয়ের টাকায় চলতেন বাবা”,
“অপমান সইতে না পেরে খুন করলেন” —
কিন্তু সত্যিটা কি এতটাই সরল?
একদমই না।
দীপক যাদব কোনো অসহায় বাবা নন, যিনি মেয়ের উপার্জনে দিন কাটাতেন।
তিনি নিজে একজন সফল Interior Designer, পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী।
তাঁর ছিলো তিন চারটি বাংলো, একাধিক ফ্ল্যাট, যেগুলোর ভাড়া থেকেই মাসে মোটা অঙ্কের আয় হতো।
তিনি তাঁর মেয়েকে বিশ্বের মানের lawn tennis খেলোয়াড় বানাতে প্রায় ২.৫ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন —
এটা কোনো টাকার ওপর নির্ভরশীল “প্যারাসাইট বাবা”র কাজ নয়, এটা এক আত্মত্যাগী পিতার স্বপ্ন।
তাহলে প্রশ্ন — কি এমন ঘটেছিল, যে নিজের হাতেই শেষ করে দিলেন নিজেরই গড়া স্বপ্নকে?
সত্যটা বেরিয়ে এসেছে কিছু তদন্ত ও প্রতিবেশীদের মুখে—
রাধিকা সোশাল মিডিয়ায় ডান্স ও মিউজিক ভিডিও বানাতেন।
এই ভিডিও বানানোর সূত্র ধরেই তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে একজন মুসলিম যুবকের সঙ্গে।
সম্পর্কটা ছিলো শুধুই কাজের না — প্রেমেও জড়িয়েছিলেন রাধিকা।
বাবা দীপক যাদব প্রথমে বোঝাতে চেষ্টা করেন, বুঝিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন,
কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি।
এখানেই দীপকের ভেতরের ঝড় শুরু হয়।
একজন হিন্দু কন্যা, যার জন্য তিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন, সেই কন্যা যদি লাভ জিহাদের ফাঁদে পা দেয় —
এটা তিনি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি।
দীপক যাদব সমাজে একজন সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন —
তিনি চাইতেন না, তাঁর নাম মিশুক "ধর্ম পরিবর্তনের" কাদা জলে।
তাই কঠিন সিদ্ধান্ত নেন —
তিনি শুধু রাধিকাকে নয়, সেই যুবককেও হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু কোনো কারণে সে যুবক রক্ষা পায়, আর প্রাণ হারায় নিজেরই মেয়ে।
এখানে নৈতিকতা, আইন, আবেগ — সবকিছুই ভেঙে পড়েছে।
হয়তো দীপকের পথ ভুল ছিল, কিন্তু তার রাগের ভিত্তিটা কি সম্পূর্ণ মিথ্যে?
আজ যখন 'লাভ জিহাদ' নিয়ে আলোচনা হচ্ছে,
তখন এটাও ভাবার সময় —
পিতৃত্ব কেবল স্নেহ নয়, এটি কখনো কখনো আগুনও হয়ে ওঠে,
যখন সন্তানের ভবিষ্যৎ বিপদের মুখে যায়।
সমস্ত পিতা যদি দীপক যাদবের মতো সাহস দেখান,
তবে সমাজে লাভ জিহাদের মতো জাল ছিঁড়ে ফেলা সম্ভব।
https://www.facebook.com/profile.php?id=100094