
11/01/2025
পবিত্র পুত্রদা একাদশী।
পারণ আগামীকাল শনিবার
সকাল ০৬:৪৩ থেকে ০৮:৫৩ মি: মধ্যে বাংলাদেশ-ঢাকা।
সকাল ০৬:১৮ থেকে ০৮:২৪ মি: মধ্যে ভারত-কলকাতা।
গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ - ঊর্ধ্বমূল ও অধঃশাখা বিশিষ্ট একটি অব্যয় অশ্বত্থ বৃক্ষের কথা বলেছেন। বৈদিক মন্ত্রসমূহ সেই বৃক্ষের পত্রস্বরূপ। যিনি সেই বৃক্ষটিকে জানেন, তিনিই বেদজ্ঞ। এই বৃক্ষের শাখাসমূহ জড়া প্রকৃতির তিনটি গুণের দ্বারা পুষ্ট হয়ে অধোদেশে ও ঊর্ধ্বদেশে বিস্তৃত। ইন্দ্রিয়ের বিষয়সমূহই এই শাখাগণের পল্লব। সেগুলি মনুষ্যলোকে সকাম কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ।১৫/১-২
অর্থাৎ এই পৃথিবীর প্রকৃতি হচ্ছে একটি অশ্বত্থ বৃক্ষের মতো, যার মূলগুলি উপরে, শাখাগুলি নীচে। মানুষ তাদের ডালপালা-রূপ ইন্দ্রিয়গুলি দিয়ে জড়া প্রকৃতির রূপ-রসাদি বিষয়গুলি ভোগ করে।
তেমনি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন একটি বিশাল বৃক্ষের মত এবং অন্য সকলে — স্বর্গের দেবতা , মানুষ , সিদ্ধ , চারণ , বিদ্যাধর এবং অন্য সমস্ত জীবেরা হচ্ছে সেই বৃক্ষটির শাখা - প্রশাখা এবং পত্র - স্বরূপ । এই বৃক্ষটির মূলে জল সিঞ্চন করা হলে বৃক্ষটির বিভিন্ন অঙ্গ - প্রত্যঙ্গগুলির আপনা থেকেই পুষ্টিসাধন হয় ।
কিন্তু যে সমস্ত শাখা - প্রশাখা এবং পত্র - মূল গাছটি থেকে বিচ্যুত তারাই কেবল অতৃপ্ত থাকে । যে সমস্ত শাখা - প্রশাখা এবং পত্র - মূল বৃক্ষটি থেকে বিচ্যুত , তাদের যতই জল সিঞ্চন করা হোক না কেন , তবুও তারা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় ।
মানুষ যখন বৃক্ষের বিচূত শাখা - প্রশাখা পত্রের মত বিভিন্ন দেবদেবী, বাবা ও ভন্ড পুরুষদের পূজা আরাধনা করে পরমেশ্বর ভগবান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে , তখন তারা আর কোনভাবেই পারমার্থিক জীবনের উন্নতি সাধন করতে পারে না এবং যারা সেই চেষ্টা করে তারা কেবল তাদের শক্তিরই অপচয় করে।
শাস্ত্রে বলা আছে, ''যস্মিন তুষ্টে জগত তুষ্টে'' অর্থাৎ যাকে সন্তুষ্ট করলে জগতের সবার সন্তুষ্টি সাধন হয়ে যায়। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তরা তার প্রীতি সাধনের জন্য কৃষ্ণনাম জপ কীর্তন ও প্রচারের মত নানা রকম সাধন ভজন অনুষ্ঠান করেন।
//হরেকৃষ্ণ//
// জয় শ্রীকৃষ্ণ//
// জয় সনাতন ধর্ম//