23/07/2023
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) একদিন মসজিদে নব্বীতে আসরের নামাজের ইমামতি করছিলেন, রুকু শেষে নবীজী (সাঃ) সেজদায় গেলেন, হঠাৎ হযরত ইমাম হোসেন (আঃ) তাঁর প্রিয় নানাজীর (সাঃ) পিঠের উপর উঠে বসে পড়লেন, ছোট্ট নাতি খেলার ছলে নানার পিঠে উঠে পড়েছে, মহানবী (সাঃ) বিলক্ষন বুঝতে পারলেন যে, আদরের নাতি মাওলা হোসেন (আঃ) পিঠে সওয়ার হয়েছেন, সেজদারত অবস্থায় মহানবী (সাঃ) আদরের নাতি হোসেনকে (আঃ) পিঠ থেকে নামাতেও পারছেন না, পাছে পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে নাতি (আঃ) যদি ব্যাথ্যা পায় ! কেননা ছোট্ট দুই নাতি ইমাম হাসান (আঃ) ও ইমাম হোসেনকে (আঃ) মহানবী (সাঃ) প্রচন্ড মহব্বত করতেন, নিজের প্রানের থেকে দুইনাতিকে (আঃ) প্রচন্ড ভালবাসতেন, তাঁদেরকে কেউ কষ্ট দিলে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অন্তরে খুব ব্যাথা পেতেন ।
এদিকে নাতিও (আঃ) পিঠ থেকে নামছেন না, মহানবী (সাঃ) সেজদা থেকে উঠতেও পারছেন না, এরজন্য সেজদাও প্রলম্বিত হচ্ছে, সেজদা এতটাই দীর্ঘায়ীত হচ্ছিল যে, অনেক সাহাবী তখন নিজ সেজদা থেকে মাথা খানিক উঁচু করে দেখছিল যে, এরকম অস্বাভাবিক দেরী হচ্ছে কেন? যারাই মাথা তুলছিলেন তারাই স্বচক্ষে অবলোকন করলেন যে, এক নূরের উপরে আরেক ছোট্ট নূর সওয়ারী হয়েছে, তৎক্ষনাত তারা পুনরায় সেজদাতে চলে গেলেন যতক্ষন নবীজী (সাঃ) নিজে সেজদা থেকে না উঠছেন ।
----------------------★----------------------★-----------------------
আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইনকে দেখে বললেনঃ হে আল্লাহ! আমি এ দু’জনকে মুহাব্বাত করি, সুতরাং তুমিও তাদেরকে মুহাব্বাত কর। (তিরমিজী-৩৭৮২)
আলোচকঃ- ড. মুহাম্মদ তাহের উল কাদরী
আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার ও বক্তা।