14/06/2023
সরাসরি গেলেই ভুল ধরে বেশী-
দালালদের দিয়ে পাসপোর্ট হয় তারাতারি,
অন্যথাই বাড়ে ভোগান্তি!
#আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের গেইট সংলগ্ন পশ্চিমে রয়েছে দালালদের অর্ধশতাধিক স্পষ্ট!
ভুক্তভোগীদের দাবী,পাসপোর্ট অফিসে নিজে গিয়ে কাগজপত্র জমা দিলে ভুল ধরে বেশী,চলে নানান হয়রানি।তবে অতিরিক্ত টাকায় দালালদের মাধ্যমে হলে পাসপোর্ট হয় তারাতারি।
কুমিল্লার কলমএম কে নূর আলম সরজমিনে অনুসন্ধানে ১৩জুন২০২৩ইং বেলা২টা পর্যন্ত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস তৎসংলগ্ন পাসপোর্ট দোকান গুলোতে প্রকাশঃফটো কপি,কম্পিউটার চেয়ার টেবিল আছে দালালদের উৎপাত পাশে ন্যাশনাল স্কুল পর্যন্ত।প্রকাশ্যেই পাসপোর্টের যাবতীয় কাজ যেন দোকান গুলোতেই হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে,দালালদের ভাগাভাগির টাকা যায় বড় স্যারের পকেটে।দালাল চক্রের হোতা নিয়াজ মোর্শেদ পল্লব(৩৯)পিতাঃজিন্নাহ মিয়া,গ্রামঃনোয়াপাড়া,থানাঃকোতয়ালী মডেল,জেলাঃকুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এফআইআর নং-৩৫/৬০৯, তারিখঃ১৫অক্টোবর২০২০ইং জিআরনং-৩৫,তারিখঃ ২২মার্চ২০২৩ইং সময় ১৫:৩৫ ঘটিকা, ধারাঃ৩(৩)১৯২০ সালের পাসপোর্ট আইন;তৎসহ-১২০-খ ৪০৭/৪২০/৪৬৫/৪৬৮/৪৭৩/৪৭৪ পেনাল কোড-১৮৬০;এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পল্লব।পাসপোর্ট অফিসের ভিতরে তাদের তৎপরতা লক্ষ্যনীয় যেন দেখার কেউ নেই।
১মাস পর পাসপোর্ট হাতে পেয়ে বাড়ি যাচ্ছেন বরুড়ার মনির হোসেন (৩৫) সিএনজিতে ওঠে কথা হচ্ছিল এপ্রতিবেদক এর সাথে,তিনি বললেন- কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি কাগজপত্র জমা দিলে ভুল ধরেন বেশী-তাই অতিরিক্ত(১০হাজার)টাকা দিয়ে হয়রানি মুক্ত তারাতারি পাসপোর্ট পাই হাতে।
এসময় পাশে বসা(রিয়াদ নামে)আরেক জন বলে ওঠেন,আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের প্রধান গেইট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে গড়ে ওঠা প্রায় অর্ধশতাধিক পাসপোর্ট দোকান রয়েছে এখানে পাসপোর্ট ও পুলিশ ভেরিফিকেশন (ক্লিয়াররেন্স)সহ সব চুক্তির মাধ্যমে হয়-কোন হয়রানি নয়।
বরুড়ার ঝলমের সিদ্দিক মিয়ার পুত্র আব্দুল বারেক(৩৮)জানান,তিনি পুরান পাসপোর্ট রেনু (রি ইস্যু)করতে আসেন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভিতরে, কর্মকর্তা পরিচয়ে নিয়াজ মোর্শেদ পল্লব চক্রের খপ্পরে পড়েন,১০দিনের মধ্যেই কমপ্লিট করতে পারবেন ২৫হাজার টাকা খরচ লাগবে।সে অনুযায়ী নগদ ১০হাজার টাকা পরিশোধ করি।বাকি টাকা পরে।
এর মধ্যেই পিঙ্গার লাগবে বলে ২বার আমাকে আনে।এখন নানান তালবাহানা করছে।
অনুসন্ধান সূত্র মতে,দালাল চক্রের কাছে পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ,জাতীয় পরিচয় পত্র ও ভুয়া সিল,পেড আছে।চিহ্নিত দালাল প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ পল্লব, পাসপোর্ট অফিসের গেইট সংলগ্ন পশ্চিম মার্কেটে সাহারা ম্যানশনে মা মনি নামে একটি চেম্বারে বসে,সে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর মালিক ও নোয়াপাড়া রয়েছে বিলাশ বহুল বাড়ী।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে নিয়াজ মোর্শেদ পল্লব এর মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলেই"মা মনি ই পাসপোর্ট অনলাইন সেবা সাহারা ম্যানশন"এর কথা অটো বাজে,তবে ফোন রিসিভ করে নি।
সম্প্রতি কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভিতর থেকে এক কর্মচারীসহ কতেক দালালকে আটক করেছিল র্যাব।এসময় একটি কক্ষে দালালদের কাছে থাকা সাড়ে ৩শ এর অধিক পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করেছিল। কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগে অতীতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়।দালালরা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সহযোগিতায় অফিস ভবনের বিভিন্ন কক্ষে বসে দালালির কাজ করে আসছেন।
দালালদের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় অফিসের এক কর্মচারী সহ আটককৃতরা হলেন,পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী মো.রফেকউদ্দিন (৩২),দালাল মো. আনোয়ার হোসেন (৩১),মো.আবুল হোসেন (৩৯), নূর মোহাম্মদ (৩৩), মো. মহিউদ্দিন (৩০),মো.জয়নাল আবেদিন (২৮), কাওসার আহমেদ টুটুল (৪০), মো. সোহেল রানা (২৫), ইমরান হোসেন (৩২), মো. সোহেল রানা (২৫), মো. মহসিন (৩৯), মো. শহীদ (৫৫)।একাধিক সূত্র মতে,
এরা কারাগার থেকে আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে আবারও পাসপোর্ট দালালি করছে।