সনাতন ধর্ম সমাচার

সনাতন ধর্ম সমাচার সনাতন ধর্ম সমাচার

Hare Krishna Temple Adilabad
16/09/2025

Hare Krishna Temple Adilabad

.       যেখানে মর্যাদা নেই, সেখানে না থাকাই ভালো৷               সেটা কারোর বাড়ি বা কারোর হ্নদয়৷
13/09/2025

. যেখানে মর্যাদা নেই, সেখানে না থাকাই ভালো৷
সেটা কারোর বাড়ি বা কারোর হ্নদয়৷

"দুঃখের সময় বিশ্বাস কখনো হারিয়ে ফেলো না৷"                                                        হরে কৃষ্ণ
12/09/2025

"দুঃখের সময় বিশ্বাস কখনো হারিয়ে ফেলো না৷"
হরে কৃষ্ণ

.                 #প্রশ্ন: কৃষ্ণ নামের মাহাত্ম্য কি?একদিন দেবর্শী নারদ ভাবলেন, সবাই কৃষ্ণ নাম নেয়৷ কিন্তু এই নামের মাহা...
12/09/2025

. #প্রশ্ন: কৃষ্ণ নামের মাহাত্ম্য কি?

একদিন দেবর্শী নারদ ভাবলেন, সবাই কৃষ্ণ নাম নেয়৷ কিন্তু এই নামের মাহাত্ম্য কি? জানতে হবে। তাই তিনি স্বয়ং ভগবানের কাছে তার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলেন৷ ভগবান তাকে বললেন, যম রাজের কাছে যাবার জন্য ! সেখানেই তুমি তোমার এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।

তাই নারদ গেলেন যমালয়ে। যমরাজ দেবর্শী নারদকে তার দরবারে দেখে বিস্মিত হয়ে যান এবং তার সেখানে যাবার কারন জানতে চাইলেন। দেবর্শী বললেন, হে রাজন! আমি আজ একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে এসেছি ৷ কৃপা করে, বলুন!

ৃষ্ণ_নামের_মাহাত্ম্য_কি ?

যমরাজ দেবর্শীর এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হলেন৷
তখন দেবর্শী নারদ দূর থেকে ভেসে আসা ক্রন্দন ও করুণ আর্তনাদ শুনতে পেলেন। নারদ যমরাজের কাছে এর কারন জানতে চাইলে যমরাজ বলেন, এই হলো নরকে যে পাপী ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে তাদের আর্তনাদ ।

এই কথা শুনে দেবর্শী, সেই স্থানে যাবার প্রার্থনা জানান। তখন যমরাজ দেবর্শীকে বললেন, ঠিক আছে কিন্তু আপনি সেখানে গিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না৷ দেবর্শী নারদ রাজি হলেন এবং যমরাজ নারদকে সেই স্থানে নিয়ে গেলেন।

সেখানে গিয়ে এই সব পাপীদের ভয়ংকর কষ্ট দেখে নারদ হা কৃষ্ণ! হা কৃষ্ণ! বলে ধ্বনি দিতে লাগলেন। আর এই ধ্বনি যখন পাপীদের কর্নে প্রবেশ করছে ধীরে ধীরে সবাই মুক্ত হয়ে স্বর্গ ধামে চলে যাচ্ছে৷ এই হলো আমার কৃষ্ণ নামের মহিমা। কৃষ্ণ নাম কর্নে প্রবেশ করা মাত্রই, সবাই সর্ব পাপ থেকে উদ্ধার হয়ে গেলো। আর এই নাম স্মরণের মহিমা তো অপার।

আসুন আমরা সবাই মিলে এই পবিত্র নাম স্মরণ করি ।

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে।৷"
Like, Share & Comment: সনাতন ধর্ম সমাচার

.              #ধ্রুব_মহারাজের_শ্রীভগবান_দর্শন:  #ধ্রুবের_জন্ম_ও_বঞ্চনা:(শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ, চতুর্থ স্কন্ধ অবলম্বনে)ধ...
11/09/2025

. #ধ্রুব_মহারাজের_শ্রীভগবান_দর্শন:

#ধ্রুবের_জন্ম_ও_বঞ্চনা:
(শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ, চতুর্থ স্কন্ধ অবলম্বনে)
ধ্রুব ছিলেন স্বায়ম্ভুব মনুর পুত্র রাজা উত্তানপাদ এর ছোট রানি সুনীতির সন্তান। উত্তানপাদের বড় রানি সুরুচি ছিলেন প্রিয়পত্নী। একদিন ছোট্ট ধ্রুব রাজসভার প্রাঙ্গণে রাজসিংহাসনে বসা পিতাকে দেখতে পেয়ে পিতার কোলের কাছে যেতে চাইলেন। কিন্তু সুরুচি তাঁকে গর্বভরে অপমান করে বললেন,

“তুমি যদি আমার গর্ভ থেকে না জন্মে থাকো, তবে রাজাসনের অধিকার তোমার নেই। যদি রাজা হতে চাও৷ তবে প্রথমে ভগবান নারায়ণের কৃপা লাভ করে আমার গর্ভে জন্ম নিতে হবে।”

এই কঠোর অপমান শিশু ধ্রুব সহ্য করতে পারলেন না। তাঁর মা সুনীতিকে সব বললেন৷ কিন্তু তিনিও দুঃখ ছাড়া কিছুই দিতে পারলেন না।

#ধ্রুবের_ত্যাগ_ও_তপস্যা:
ধ্রুব তখন মাত্র ৫ বছরের শিশু। কিন্তু ভগবানকে লাভ করার ইচ্ছা নিয়ে গভীর বনে চলে যান। সেই সময় নারদ মুনি তাঁর সামনে এসে বললেন, "তুমি ছোট, রাজপুত্র, বনে কষ্ট পাবে, ফিরে চলো।"

ধ্রুব বিনয়ের সঙ্গে বললেন, “হে মুনিবর! আমি যাঁর কাছ থেকে সব কিছু পাব, তাঁকে না পেলে আমি কিছুই চাই না। আমায় পথ দেখান।”

নারদজি তখন তাঁকে অষ্টাক্ষর মন্ত্র (ॐ नमो भगवते वासुदेवाय) জপ করতে বলেন এবং কটোর তপস্যা করার নির্দেশ দেন।

#ধ্রুবের_তপস্যা_ও_ভগবানের_কৃপা:
ধ্রুব প্রথমে দিনে একবার ফল খেয়ে, পরে কেবল জল, তারপর শুষ্ক পাতা এবং শেষে নিঃশ্বাসের উপর নির্ভর করে উপবাস করলেন।

পৃথিবী কেঁপে উঠল তাঁর তপস্যার জোরে। দেবতারা বিচলিত হয়ে ভগবানের কাছে গেলেন।
ভগবান বললেন, "এ ভক্তের তপস্যা আমি আর সহ্য করতে পারি না। আমি নিজেই ধ্রুবের কাছে যাচ্ছি।”

িত্রের_মুহূর্ত: (ভগবানের আবির্ভাব)
চিত্রে যেটা দেখা যাচ্ছে, সেটি হল সেই মহিমান্বিত মুহূর্ত, যখন শ্রীহরি নারায়ণ স্বয়ং গরুড়ের উপর চড়ে এসে ধ্রুবের সামনে আবির্ভূত হন।

ভগবান চার হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছেন। গরুড় folded hands-এ দাঁড়িয়ে আছেন৷ আজ গরুড়ও মাথা নত করেছেন এই মহাভক্ত ধ্রুবের কাছে।
ধ্রুব, একটি ক্ষুদ্র বালক কিন্তু তাঁর মন বিশাল, নিঃস্বার্থ, নির্ভয়, নিঃশব্দ প্রেমে পূর্ণ।

ভগবান বলেন, “হে ধ্রুব! আমি তোমার ভক্তি দেখে পরম সন্তুষ্ট। তুমি কি চাও?”

ধ্রুব তখন মাথা নত করে বলেন, “হে প্রভু! আমি আপনাকেই চেয়েছিলাম। আপনি যখন নিজে এসেছেন, আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।”

এই কথা শুনে ভগবান তাকে আশীর্বাদ করেন,
“তুমি ৩৬,০০০ বছর রাজত্ব করবে। মৃত্যু হলে তুমি সরাসরি এক মহারাশ্মি তারায় পরিণত হবে৷
তোমার নামেই সেই তারা চিরকাল ‘ধ্রুবতারা’ নামে জ্বলবে।”

#ধ্রুবতারা: এক ভক্তের চিরন্তন স্মারক৷
আজও ধ্রুবতারা আকাশে স্থিরভাবে জ্বলছে৷ একমাত্র তারা যা কখনো স্থান পরিবর্তন করে না।

এই তারাটি আমাদের বলে দেয়, "যে ভক্ত সত্যিকারে ঈশ্বরকে পেতে চায়, ঈশ্বর তাঁকেই প্রথমে খুঁজে নেন।"

#পরিশেষে:
ধ্রুব বালক ছিলেন কিন্তু তাঁর ভক্তি ছিল গগন চুম্বী। অপমানকে আশীর্বাদে পরিণত করে, ঈশ্বরকে নিজের হৃদয়ে ধরে রেখে ছিলেন। তাঁর মতো আমরাও যদি একাগ্রতা ও নিষ্কলঙ্ক বিশ্বাস নিয়ে ঈশ্বরের পথে এগিয়ে যাই, তাহলে শ্রীহরি নিজেই আমাদের সামনে আবির্ভূত হবেন।।

#হরে_কৃষ্ণ
Like, Share & Comment: সনাতন ধর্ম সমাচার

.                   #ব্যাস_দেবের_জন্ম_কথা:ঋষি পরাশর একদিন তরুণী সত্যবতীকে নৌকা বেয়ে নদী পার করিয়ে দিচ্ছিলেন। সত্যবতীর সৌ...
10/09/2025

. #ব্যাস_দেবের_জন্ম_কথা:

ঋষি পরাশর একদিন তরুণী সত্যবতীকে নৌকা বেয়ে নদী পার করিয়ে দিচ্ছিলেন। সত্যবতীর সৌন্দর্য, ঔজ্জ্বল্য ও তার অন্তর্নিহিত তপস্যার শক্তি অনুভব করে পরাশর বুঝতে পারেন৷ এই নারী ভবিষ্যতের এক মহান কর্ম যজ্ঞের মাধ্যম হবেন।

শোতিনি সত্যবতীর কাছে তাঁদের পবিত্র মিলনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। সত্যবতী দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লে পরাশর তাঁকে আশ্বস্ত করেন৷ এই মিলন হবে ধর্ম সম্মত৷ তিনি কুমারীই থাকবেন এবং কেউই তা জানতে পারবে না।

ঋষি তখন এক অলৌকিক কুয়াশা সৃষ্টি করেন৷ যা তাঁদের ঘিরে রাখে। এই গোপন ও পবিত্র মুহূর্তেই সত্যবতী গর্ভধারণ করেন এবং তৎক্ষণাৎ এক মহাজ্ঞানী পুত্রের জন্ম দেন—ব্যাসদেব।

শিশু ব্যাসদেব জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ণজ্ঞান লাভ করেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল যমুনা নদীর একটি দ্বীপে৷ তাই তিনি “দ্বৈপায়ন” নামে পরিচিত হন। গায়ের রঙ ছিল কৃষ্ণবর্ণ৷ সে কারণে তাঁর আরেক নাম হয় “কৃষ্ণ”।

তিনি ছিলেন, ঋষি পরাশরের পুত্র, ঋষি শক্তির পৌত্র এবং মহর্ষি বসিষ্ঠের প্রপৌত্র। পরাশর পূর্বে কঠোর তপস্যার মাধ্যমে ভগবান শিবের আশীর্বাদ লাভ করে ছিলেন যে, তাঁর পুত্র হবেন এক ব্রহ্মর্ষি এবং জ্ঞানবলে বিশ্ববন্দিত হবেন।

ব্যাস জন্মেই মাকে প্রতিশ্রুতি দেন—যখনই প্রয়োজন হবে৷ তিনি ফিরে আসবেন। পরে তিনিই মহাভারতের সংকলক এবং বেদের বিভাজক রূপে খ্যাত হন।

#হরে_কৃষ্ণ
Like, Share &Comment: সনাতন ধর্ম সমাচার

.                    #ভগবান_শ্রীকৃষ্ণের_মহিমা:একদিন শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুন আর কৃষ্ণপুত্র বাবুলের সঙ্গে বন ভ্রমণ করছিলেন। ত...
09/09/2025

. #ভগবান_শ্রীকৃষ্ণের_মহিমা:

একদিন শ্রীকৃষ্ণ এবং অর্জুন আর কৃষ্ণপুত্র বাবুলের সঙ্গে বন ভ্রমণ করছিলেন। তারা এক গভীর অরণ্যে পৌঁছালেন৷ যেখানে গাছপালা গুলি এমনভাবে বেড়ে উঠেছিল যে, সূর্যের আলো সেখানে প্রবাহিত হতে পারছিল না। সেই অরণ্য ছিল এক প্রাচীন মায়া-বিভ্রমের স্থান৷ যেখানে বেতালরা বসবাস করত।

কৃষ্ণ, অর্জুন ও বাবুল যখন অরণ্যের গভীরে চলে গেলেন, তখন আচমকা এক ভীষণ আওয়াজ শোনা গেল৷ এটা ছিল এক বেতালের গর্জন। কৃষ্ণ হাসি মুখে বললেন, “এটা আমাদের পরীক্ষা, অর্জুন। তুমি প্রস্তুত তো?”

অর্জুন তৎক্ষণাৎ তার বাণ ধনুক প্রস্তুত করলেন৷ কিন্তু কৃষ্ণ তাকে থামিয়ে দিলেন। “অজুন, এটা যুদ্ধ নয়। এই পরীক্ষাটি অন্তর্জগতের জন্য তোমার মনোভাব এবং শক্তির পরীক্ষা।”

তারা এগিয়ে চলতে থাকলে একটি বেতাল তাদের সামনে এসে দাঁড়ালো। বেতালটি বলল, "তোমরা অদ্ভুত মানুষ। আমি তোমাদের সামনে একটি প্রশ্ন রাখব৷ যদি সঠিক উত্তর দিতে পারো৷ তবে আমি তোমাদের অরণ্য থেকে বের হয়ে যাব। কিন্তু ভুল উত্তর দিলে৷ তোমরা এখানেই বন্দী হয়ে যাবে।”

কৃষ্ণ মুচকি হাসলেন এবং বেতালের প্রশ্ন শোনার জন্য প্রস্তুত হলেন। বেতাল বলল, “যদি একজন রাজা তার সম্পদ এবং শক্তি নিয়ে অহংকার করে৷ কিন্তু তার হৃদয়ে দয়ার স্থান না থাকে৷ সে কীভাবে পরিণতি পায়?"

কৃষ্ণ গভীর ভাবে চিন্তা করলেন এবং বললেন, “যিনি শক্তি এবং সম্পদ নিয়ে অহংকার করেন৷ কিন্তু যিনি দয়াহীন৷ তিনি এক পিঁপড়ের মতো। পৃথিবীতে তার প্রভাব ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু যিনি দয়া এবং ভালোবাসা দিয়ে পরিপূর্ণ, তাঁর প্রভাব অনন্তকাল ধরে থাকবে। সে হলো প্রকৃত রাজা।”

বেতালটি একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে বললেন, “তোমরা সঠিক উত্তর দিয়েছো, কৃষ্ণ। এবার আমি অরণ্য ত্যাগ করি।”

কৃষ্ণ, অর্জুন এবং বাবুল আনন্দিত হয়ে অরণ্য থেকে বেরিয়ে এলেন। অর্জুন বললেন, “কৃষ্ণ, আপনি যেভাবে প্রশ্নের গভীরতা বুঝলেন, তা অসাধারণ! এটি শুধু একটি শিক্ষাই ছিল না, এটি ছিল আমাদের অন্তর্জগতের অজানা দিক উন্মোচনের একটি উপায়।”

কৃষ্ণ মুচকি হেসে বললেন, “এটা যে শুধু উত্তরের কথা নয়৷ বরং প্রশ্নের মধ্যে যে গভীরতা ছিল, সেটি বুঝতে পারা। দয়া, প্রেম, এবং সত্যই হল একমাত্র শক্তি যা অমর৷

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে হরে,রাম রাম হরে হরে ৷৷"
Like, Share & Comment: সনাতন ধর্ম সমাচার

.                      #দুর্গা_ভক্তি_তরঙ্গিণী:পরম-করুণাময়ী মা দুর্গার অশেষ কৃপা, যার উপর বর্ষিত হয়৷ সে সকল প্রকার ভব বন্...
09/09/2025

. #দুর্গা_ভক্তি_তরঙ্গিণী:

পরম-করুণাময়ী মা দুর্গার অশেষ কৃপা, যার উপর বর্ষিত হয়৷ সে সকল প্রকার ভব বন্ধণ হতে মুক্তি পেয়ে পরম লোক প্রাপ্ত হয়। একজন মানুষ ৮৪ লক্ষ যোনী অতিক্রম করে অর্থাৎ ৮৪ লক্ষ জন্মের পর মানব জনম প্রাপ্ত হয়। দুর্লভ মানব জন্ম আর সেই মানব জন্ম যদি যায় হেলায় ফেলায় তাহলে আবার সেই পশু-পাখি কীটপতঙ্গ জীবনে ফিরে যেতে হবে।

আমরা যদি অমৃত তত্ত্বের দিকে পা না বারাই৷ তাহলে আমাদের আর পশু-পাখির মধ্যে কোন পার্খক্য থাকবে না৷

এ বিষয়ে শ্রীশ্রী চন্ডীতে বলেছে,
যতো হি জ্ঞানিনঃ সর্বে পশুপক্ষিমৃগাদয়ঃ।
জ্ঞানঞ্চ তন্মনুষ্যাণাং যত্তেষাং মৃগপক্ষিণাম ॥
মনুষ্যাণাঞ্চ যত্তেষাং তুল্যমন্যত্ তথোভয়োঃ।
জ্ঞানেওপি সতি পশ্যৈতান্ পতঙ্গাহ্ঞ্চাবচকঞ্চুষু ॥
----(শ্রীশ্রী চন্ডী ১/৫০-৫১)

অর্থাৎ পশু-পাখি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈশ্বর সমান জ্ঞানই দিয়েছে। বাহ্যিক দিক থেকে তাদের চরিত্রও সমান৷ পশু-পাখিরাও সারাদিন খাদ্য সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকে এবং মানুষও তার অর্থ উপার্জনে সর্বদা ব্যস্ত থাকে। মানুষ মোহ মায়ায় পতিত হয়ে যেমন নিজের সংসার জীবনে আবদ্ধ থাকে৷ তেমনী একটি ছোট পাখিও নিজে না খেয়ে তার ছানাদের খাওয়ায়।

মানুষ হোক আর পশু-পাখি, তারা উভয়েই একই কর্ম সম্পাদন করে। উভয়েই মোহ মায়া বন্ধনে আবদ্ধ৷ আর এর ফল স্বরুপ তারা ঈশ্বর থেকে যোজন যোজন দূরে চলে যাচ্ছে।

#প্রশ্ন: কেন এই মায়া বন্ধণে আবদ্ধ জীব?
এর উত্তর চন্ডীতে দিয়েছে:
"লোভাত্ প্রত্যুপকারায় নন্বেতান্ কিং ন পশ্যসি।
তথাপি মমতাবর্তে মোহগর্তে নিপাতিতাঃ॥"

অর্থাৎ যদিও তাদের কারও মধ্যেই জ্ঞানের অভাব নেই এবং জীবন ধারা সমান৷ তবুও তারা ভগবতী মহামায়ার প্রভাবে মায়া গর্তে নিপাতিত হয়।

্রশ্ন: যদি মহামায়া মা দুর্গার প্রভাবেই জীব মোহ মায়ার বেরা জ্বালে সংসার বন্ধণে আবদ্ধ হয়ে পাপ করে তাহলে মুক্তি দাতা কে?

এর উত্তরে বলা হয়েছে:
"সৈষা প্রসন্না বরদা নৃণাং ভবতি মুক্তয়ে।
সা বিদ্যা পরমা মুক্তের্হেতুভূতা সনাতনী॥"

অর্থাৎ এই অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ড তিনিই নির্মান করেন এবং তিনিই সেখানে বসবাসরত জীবকে মায়া পাশে আবদ্ধ করেন। আর তিনিই প্রসন্ন হলে জীব সকল প্রকার বন্ধন হতে মুক্ত হয়ে পরমগতি লাভ করে।

সুতরাং বোঝা গেল যে, পরমেশ্বরী মহামায়া মানে মা দুর্গাই জীবকে সংসার বন্ধণে আবদ্ধ করে৷ যার ফলে জীব নিজের দুঃখ নিজে ডেকে আনে৷ আর তিনিই আমাদের সকল দুঃখ দূর করে পরম জ্ঞান প্রদান করে এবং নিজের মধ্যে সমহিত করেণ।

#জয়_মা_দূর্গা
Like, Share & Comment: সনাতন ধর্ম সমাচার

Address

Cumilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সনাতন ধর্ম সমাচার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share