05/06/2025
গরু নিয়ে আনন্দ মিছিল
ঈদ মানেই আনন্দ, আর কুরবানীর ঈদ মানেই আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া। এ ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কুরবানী। তাই কুরবানীর পশুকে ঘিরেই গড়ে ওঠে ঈদের সকল আয়োজন। একটা পশুর জন্যও সবচেয়ে বড় সম্মানের বিষয় হলো সে নিছক খাদ্যের উৎস নয়, বরং এক মহান ইবাদতের অংশ হতে যাচ্ছে।
এই ভাবনা থেকেই কুরবানীর পশুকে ঘিরে ভালো কিছু উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। তার মধ্যে খুবই সহজ, স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত একটি আয়োজন হতে পারে "গরু নিয়ে আনন্দ মিছিল"।
📍 মিছিল কেমন হতে পারে?
এটি কোনও রাজনৈতিক বা কঠোর পরিকল্পনাভিত্তিক আয়োজন নয়। তাই ব্যানার-প্ল্যাকার্ডের প্রয়োজন নেই। বরং এটি হোক আনন্দ, কৃতজ্ঞতা ও উদযাপনের স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ। এটা দুইভাবে করা যেতে পারে:
🔸 এক. হাট থেকে ফেরার সময় মিছিল
যখন কেউ গরু কিনে হাট থেকে ফেরে, তখন আশপাশের বন্ধু, ছোট ভাই বা প্রতিবেশীরা একসাথে তাকে রিসিভ করতে যেতে পারে। ফেরার পথে মিলেমিশে তাকবীর, স্লোগান বা হাস্যরসাত্মক ছড়া গেয়ে এলাকাকে আনন্দে মুখরিত করে তোলা যেতে পারে। গরু ওপর অভিজ্ঞ কেউ থাকলে নিরাপত্তাও বজায় থাকবে।
🔸 দুই. ঈদের আগের দিন এলাকায় মিছিল
ঈদের আগের দিন বিকেল বা রাতে, কয়েকটি গরু ও খাসি একত্রে নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে একটি আনন্দ মিছিল দেওয়া যেতে পারে। এতে করে বাচ্চা, তরুণ, এমনকি মুরুব্বিদের মাঝেও ঈদের আমেজ আরও ছড়িয়ে পড়ে। IUT-তে গরু পার্টির আগের রাতে এমন মিছিল হয়, যেখানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। এটি সত্যিই ঈদের আনন্দে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে।
📢 মিছিলে কিছু মজার স্লোগান হতে পারে যেমনঃ
> ডানে গরু, বামে খাসি — কুরবানীকে ভালোবাসি
> এক বড়, না দুই বড়? — কুরবানী দাতার মন বড়!
(রিয়ার আশঙ্কা না থাকলে কুরবানীদাতা বা এলাকার নামও নেওয়া যেতে পারে)
🌙 সতর্কতা ও শেষ কথা
গরু চলাচলের সময় যেন কেউ আহত না হয়, সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে। গরুগুলো যেন শক্তভাবে ধরে রাখা হয়, এবং মিছিল যেন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন হয় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আর মিছিলের ফাঁকে ফাঁকে তাকবীরে তাশরীক পড়তে ভুলবেন না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ঈদকে আমাদের জীবনে সত্যিকারার্থে আনন্দময় করে তুলুন। এবং ফিলি.স্তিনসহ দুনিয়ার সকল মাজলুমদের মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিন। আমীন।