Kazi Didarul Alam

Kazi Didarul Alam Political সাবেক গুলশান থানার ২০ নং ওয়ার্ডের মহিলাদলের সভানেত্রী, বর্তমানে যুক্তরাজ্য শাখা মহিলাদলের সদস্য সচিব।

কান কথা রাজনীতির অঙ্গনে এক অদৃশ্য দানব যা নেতার মননশীলতাকে প্রভাবিত করে এবং একটি দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্যকে ভেঙে দিতে সক্ষম।...
20/04/2025

কান কথা রাজনীতির অঙ্গনে এক অদৃশ্য দানব যা নেতার মননশীলতাকে প্রভাবিত করে এবং একটি দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্যকে ভেঙে দিতে সক্ষম। যখন কেউ নেতৃত্বে থাকে, তখন তার প্রতিটি সিদ্ধান্তে নির্ভর করে বহু কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু যদি নেতা কান কথার ফাঁদে পা দেয়, তাহলে তার বিশ্বস্ত কর্মীরা যেমন আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তেমনি দলের ভিতরেও বিভেদ সৃষ্টি হয়।

কান কথা আসলে একধরনের অসৎ কৌশল। এটি নেতাকে মনের স্থিরতা নষ্ট করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা দেয়। এই কারণে অনেক প্রতিভাবান কর্মী এমন নেতার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যারা কান কথাকে প্রাধান্য দেয় এবং যথার্থ যুক্তি ও বাস্তবতা থেকে সরে যায়।

রাজনীতিতে কান কথার ভয়ংকর প্রভাব এড়াতে চাইলে, নেতার উচিত সতর্ক থাকা এবং সবার কথা শোনা, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তি ও প্রমাণের উপর ভিত্তি করা। তাই কান কথার প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে একজন নেতার উচিত সঠিক কর্মীর পাশে দাঁড়ানো এবং সবসময় সততার পথে চলা।

#কাজী #দিদারুল #আলম!
#জাতীয়তাবাদী #অনলাইন #এক্টিভিস্ট
#ভাউকসার #বরুড়া #কুমিল্লা

20/04/2025

সার্বিক দায়িত্ব নিয়ে দরিদ্র শামছুল হকের মেয়ের বিয়ে দিলেন তারেক রহমান

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ আধার মানিক গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র শামছুল হকের মেয়ে মারিয়া জাহানের বিয়ে দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিয়ের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবরের পাশাপাশি মোবাইল ফোনে মেয়ের পিতা ও বরের সাথে কথা বলেন তারেক রহমান।
২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার

নিঃস্বার্থভাবে অসহায়দের জন্য তারেক রহমানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার মনোভাবকে মানবিকতা এবং নেতৃত্বের এক অনন্য মডেল বলা যায়। তিনি যে কথা দেন, তা তিনি পালন করেন—এটি মানুষের আশার আলো জ্বালায়। তার কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দেয়, যা আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীলতা এবং সহানুভূতির এক মহান শিক্ষা দেয়।

তার প্রতিশ্রুতি পালনের আন্তরিকতা শুধুমাত্র সহায়তা প্রদান নয়; এটি বিশ্বাস আর আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই ধরনের নেতৃত্ব শুধু বর্তমান সময়েই নয়, ভবিষ্যতেও অনুপ্রাণিত করতে থাকবে। তারেক রহমানের কাজ ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সকলকে দেখায় কীভাবে একটি প্রতিশ্রুতি মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে পারে।

#কাজী #দিদারুল #আলম!
#জাতীয়তাবাদী #অনলাইন #এক্টিভিস্ট
#ভাউকসার #বরুড়া #কুমিল্লা

তারেক রহমানের প্রতি,শ্রদ্ধেয় জনাব,সর্বপ্রথমে আমার সালাম গ্রহণ করুন! আমি আশা করি আপনি সুস্থ, এবং ভালো আছেন। আমি একজন সাধা...
20/04/2025

তারেক রহমানের প্রতি,

শ্রদ্ধেয় জনাব,

সর্বপ্রথমে আমার সালাম গ্রহণ করুন! আমি আশা করি আপনি সুস্থ, এবং ভালো আছেন। আমি একজন সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিক, যার হৃদয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের আদর্শ, নীতি এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন গভীরভাবে প্রোথিত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা এবং আনুগত্য প্রকাশ করতে চাই, যা আমাদের দেশের স্বার্থে অটুট থেকে আপনার নেতৃত্বে পরিপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করেছে।

আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস আমাকে অবিরত অনুপ্রাণিত করে। দেশের মানুষের কল্যাণে আপনার সাহসিকতার সঙ্গে পরিচালিত প্রতিটি কর্ম আমাকে গর্বিত করে এবং প্রতিদিন নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার সাথে কথা বলার সুযোগ পেলে নিজেকে ধন্য মনে করবো, কারণ আপনার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা ও মতামত পাওয়ার মাধ্যমে আমি আমার জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবো।

আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিএনপি-র প্রতি আমার সমর্থন এবং আপনার প্রতি আমার অটুট বিশ্বাস ও শুভকামনা প্রকাশ করছি। আমি গভীরভাবে আশাবাদী যে, আপনার প্রজ্ঞাময় নেতৃত্বে আমাদের দেশ একটি ন্যায়পরায়ণ, উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হবে, যা আমাদের সকলের হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।

আমার বিশ্বাস, আপনার নেতৃত্ব আমাদের জাতির ভবিষ্যতকে আলোকিত করবে এবং আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়িত করবে। আপনার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে, যা চিরকাল অটুট থাকবে।

শুভেচ্ছান্তে,
কাজী দিদারুল আলম
পিতামৃত : আবুল কাশেম
মাতামৃত : আমেনা বেগম
গ্রাম: ভাউকসার
থানা: বরুড়া
জেলা: কুমিল্লা
ফোন নাম্বার: 01855553336

আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া: কাজী দিদারুল আলম আপোষহীন এক নারী, দৃঢ়তায় ভরা মন,  খালেদা জিয়া, সংগ্রামে তার জীবন।  স্বাধীনতা...
15/04/2025

আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া: কাজী দিদারুল আলম

আপোষহীন এক নারী, দৃঢ়তায় ভরা মন,
খালেদা জিয়া, সংগ্রামে তার জীবন।
স্বাধীনতার পতাকা হাতে, অটল তার পথ,
বাংলার মাটি জানে, তার সাহসের রথ।

রাজনীতির মাঠে, তিনি এক দীপশিখা,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে, তার কণ্ঠে প্রতিবাদ ধ্বনি।
জনতার হৃদয়ে, তিনি এক বিশ্বাস,
বাংলার ইতিহাসে, তার নাম অম্লান।

দুঃখের দিনেও, তিনি ছিলেন অবিচল,
স্বপ্নের বাংলাদেশে, তার অবদান অমূল্য।
আপোষহীন নেত্রী, বাংলার গর্ব,
খালেদা জিয়া, ইতিহাসের এক অমর নাম!

বিগত ১৬ বছর ধরে বিএনপি যে মনোবল ও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই সময়ে দলটি নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা...
15/04/2025

বিগত ১৬ বছর ধরে বিএনপি যে মনোবল ও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই সময়ে দলটি নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে, কিন্তু তাদের লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি অটল থেকেছে। তাদের সংগ্রাম, ত্যাগ এবং জনগণের অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টা একটি শক্তিশালী উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই সাহসী যাত্রা শুধু দলীয় রাজনীতির নয়, বরং গণতন্ত্রের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। বিএনপির এই দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

#কাজী #দিদারুল #আলম!
#জাতীয়তাবাদী #অনলাইন #এক্টিভিস্ট
#ভাউকসার #বরুড়া #কুমিল্লা

তারেক রহমানের রাজনীতি বদলের স্বপ্ন : Kazi Didarul Alam বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা এক সাহসী উদ্যোগ। তারে...
15/04/2025

তারেক রহমানের রাজনীতি বদলের স্বপ্ন : Kazi Didarul Alam

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা এক সাহসী উদ্যোগ। তারেক রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, এই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বিশ্বাস করেন, দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। তারেক রহমানের এই স্বপ্ন শুধু একটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি বর্তমানে নিজেদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের উপদেশ দিচ্ছেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের গুরুত্ব। তিনি মনে করেন, জনগণই রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি। তাই জনগণের ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করাই রাজনীতিবিদদের প্রধান দায়িত্ব

আমার বিশ্বাস ও দেশবাসীর বিশ্বাস এই পরিবর্তন সফল হবে! ইনশাআল্লাহ! কারন তারেক রহমানের নেতৃত্বের দক্ষতা মুলক! রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তারেক রহমানকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সৎ ও যোগ্য লোকদের দলে আনতে হবে
এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু তারেক রহমানের ভিশন এবং নেতৃত্বের দৃঢ়তা তাকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। তারেক রহমানের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, এটি একটি জাতির পুনর্জাগরণের প্রতীক।

#কাজী #দিদারুল #আলম!
#জাতীয়তাবাদী #অনলাইন #এক্টিভিস্ট
#ভাউকসার #বরুড়া #কুমিল্লা

রাখে আল্লাহ মারে কে?আল্লাহ একমাত্র সত্তা যিনি সব ক্ষমতার আধার। তারই কবজায় সৃষ্টির জীবন-মৃত্যু। তাঁর ইচ্ছায় মৃত্যু ঘটে, ত...
20/03/2025

রাখে আল্লাহ মারে কে?

আল্লাহ একমাত্র সত্তা যিনি সব ক্ষমতার আধার। তারই কবজায় সৃষ্টির জীবন-মৃত্যু। তাঁর ইচ্ছায় মৃত্যু ঘটে, তাঁর ইচ্ছায় জীবন। তিনি জীবন দিতে চাইলে, মৃত্যু দেয়ার কেউ নেই। আর মৃত্যু দেয়ার ইচ্ছা করলে, তাকে বাঁচানোর কেউ নেই। কোরআনে এসেছে, আল্লাহর জন্যই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের স্বত্বাধিকারী, তিনি জীবন দেন এবং মৃত্যু দেন (সুরা তাওবা : ১১৬)। তাঁর ইচ্ছা ব্যতীত একটি পাতাও ঝড়ে না। মোমেন ব্যক্তির উচিত একমাত্র আল্লাহর শক্তিতে বিশ্বাস রাখা। তাকেই ভয় করা। বিপদে তাকে স্মরণ করা। সুখে তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। জীবন-মৃত্যুর প্রশ্নে একমাত্র তাঁর ওপরেই আস্থা রাখা। কারণ, তিনি যাকে বাঁচাতে চাইবেন, তাকে কেউ মারতে পারবে না।

ফেরাউন কর্তৃক মুসা হত্যার পরিকল্পনা

রাখে আল্লাহ মারে কে? এর উৎকৃষ্ট উপমা হজরত মুসা (আ.)। মুসাকে হত্যা করা ফেরাউনের জীবনের অন্যতম আরাধনা ছিল। সারা জীবন, বিশেষত তিনবার সে মুসাকে হত্যার জোরাল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু প্রত্যেকবার ব্যর্থ হয়েছে। কারণ জীবনের মালিক আল্লাহ মুসাকে জীবন্ত রাখতে চেয়েছিলেন। কোরআনের ভাষায়- তারা চক্রান্ত করেন আর আল্লাহতায়ালাও পরিকল্পনা করেন। আর আল্লাহই উত্তম পরিকল্পনাকারী (সুরা আলে-ইমরান : ৫৪)।

শিশুমুসা হত্যার পরিকল্পনা

ফেরাউন একটি ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেন। যার ব্যাখ্যায় জ্যোতিষীরা বলেন, বনি ইসরাঈলে এমন একটি ছেলের জন্ম হবে, যে আপনার সিংহাসনচ্যুতির কারণ হবে। তাই সে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইসরাঈলি ঘরে জন্ম নেয়া ছেলে সন্তানদের হত্যার আদেশ দেন। আদেশ কার্যকরে কঠোর হৃদয়ের জনবল নিয়োগ দেন। যারা ইসরাঈলি সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলে সন্তানদের হত্যা করতে থাকে। কোরআনে এসেছে-যারা তোমাদের মর্মান্তিক শাস্তি দিত, তোমাদের পুত্রদের খুন করত আর নারীদের জীবিত রাখত (সুরা ইবরাহিম : ৬)।

পৃথিবীর বুকে মুসা (আ.)

এমন কে আছেন, যে আল্লাহর কার্যে বাধা দেবেন? ফেরাউনও আল্লাহর হুকুম কার্যকরে বাঁধা হতে পারেনি। মায়ের গর্ভে মুসা কিন্তু তার পেট স্বাভাবিক। যার কারণে ফেরাউন বাহিনী তা বুঝতে ব্যর্থ হলো। নির্ধারিত সময়ে ভূমিষ্ঠ হলে ছেলের নিরাপত্তার চিন্তায় মা চিন্তিত হয়ে যান। আল্লাহতায়ালা তার চিন্তিত মনকে প্রশান্ত করেন। তাকে (ইলহাম) নির্দেশ দেন। তুমি শিশুটিকে স্তন্য দান করতে থাক। তার স¤পর্কে আশঙ্কা করলে, তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ কর এবং ভয় কর না (সুরা কাসাস : ৭)। দরিয়া তাকে ডোবাতে পারেনি। হত্যা করতে সক্ষম হয়নি।

ঘাতকের গৃহে শিশু মুসা (আ.)

মুসা (আ.) এর মা আল্লাহর নির্দেশে সিন্দুকে করে শিশু মুসাকে দরিয়ায় ভাসিয়ে দেন। (সুরা ত্বহা:৩৯)। ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া সেই সিন্দুক উত্তোলন করে এবং তাতে ফুটফুটে মুসাকে দেখলে তার প্রতি মহব্বত সৃষ্টি হয়।

এবং তাকে সন্তান হিসাবে প্রতিপালনের ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফেরাউন স্ত্রীর মনোবাসনা পূরণে সাধারণ শিশু ভেবে শিশু মুসা হত্যা থেকে বিরত থাকে।

ফেরাউন এতবছর থেকে যাকে হত্যার মানসে ইসরাঈলি সন্তানদের নির্মম হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত ছিল, আজ সেই সন্তান তার ঘরে। তার পরিবারের লালন-পালনে। যাকে হত্যার পরিকল্পনায় এত কিছু সেই আজ ফেরাউনের কোলে খেলেধুলে প্রতিপালিত হচ্ছে। এটাই আল্লাহর কুদরত। যার ইচ্ছা ব্যতীত কোন কিছুই ঘটে না।

যৌবনে মুসা হত্যার পরিকল্পনা

মুসা (আ.) রাজকীয় আদর-আপ্যায়নে প্রতিপালিত হয়ে যৌবনে পদার্পণ করলেন। সুঠামদেহী, শক্তিশালী পুরুষে পরিণত হলেন। জানতে পারনেল তিনি ইসরাঈলি। স্বজাতীর প্রতি অত্যাচার-অনাচার দেখলে তার প্রতিবাদ করতেন দৃঢ়ভাবে। একদিন দেখলেন, ফেরাউন বংশীয় একজন লোক ইসরাঈলি এক ব্যক্তিকে টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ইসরাঈলি ব্যক্তি মুসাকে দেখে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তাকে সাহায্যার্থে মুসা (আ.) কিবতীকে সজোরে চড় কষালেন। চড়ের প্রচণ্ডতায় সে মারা যায়। এই ঘটনা প্রকাশ পেলে ফেরাউন সভাসদদের নিয়ে দ্বিতীয়বার মুসাকে হত্যার ফরমান জারি করেন। মুসা (আ.) সেই খবর পেয়ে মিশর ত্যাগ করেন। এবারও ফেরাউন তাকে ধরতে ও মারতে ব্যর্থ হয়। কেননা, আল্লাহ যাকে মরতে দেবেন না, দুনিয়ার কোনো শক্তিই তাকে মারতে পারবে না।

ফেরাউনের দরবারে নবী মুসা (আ.)

মিশর থেকে পালায়ন করে মুসা (আ.) মাদায়েনে গমন করেন। সেখানে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন। প্রত্যাবর্তনকালে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হন। আল্লাহর পয়গাম নিয়ে ফেরাউনের কাছে আসার প্রত্যাদেশ পান। তিনি ফেরাউনকে আল্লাহর একত্ববাদের পয়গাম পৌঁছান। কিন্তু ফেরাউন তা মানতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নিজেকে বড় রব বলে দাবি করে। কোরআনে এসেছে- সে (ফেরাউন) বলল, আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ রব (সুরা নাযিয়াত : ২৪)। যখন ফেরাউন কোনোভাবেই আল্লাহকে মানতে চাইল না। তখন মুসা (আ.) তাকে বললেন, বনি ইসরাঈলকে আমার সঙ্গে যেতে দেও। কিন্তু সে এতেও রাজি হলো না।

নবী মুসাসহ বনি ইসরাঈলকে হত্যার পরিকল্পনা

আল্লাহর আদেশে মুসা (আ.) বনি ইসরাঈলকে নিয়ে বের হলেন মিশর ত্যাগের উদ্দেশ্যে। এই খবরে ফেরাউনও সৈন্য-সামান্ত নিয়ে মুসাসহ সবাইকে হত্যা করতে পিছু নেয়। নীলনদের তীরে দু’দলের সাক্ষাৎ হলে, বনি ইসরাঈল ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। মুসা (আ.) আল্লাহর আদেশে লাঠির আঘাতে নদীর বুকে রাস্তা সৃষ্টি করেন। যা দিয়ে বনি ইসরাঈল নীলনদ অতিক্রম করে। অহংকারী ফেরাউন আল্লাহর তৈরি রাস্তাকে নিজের তৈরি বলে দাবি করে, সৈন্যদের চলতে বলেন। মাঝ দরিয়ায় পৌঁছলে আল্লাহর হুকুমে পানি মিলে যায়। রাস্তা অদৃশ্য হয়ে যায়। ফলে সবাই সমুদ্রে ডুবে মারা যায়। ধ্বংস হয় ফেরাউনের। অন্যকে মারতে এসে সে নিজেই মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। আল্লাহর অবাধ্য ফেরাউন আল্লাহর শিকারে পরিণত হয়। কথায় আছে, আল্লাহ ছাড় দেন; কিন্তু ছেড়ে দেন না।

স্বজাতির প্রতি ইউনুস (আ.) এর পয়গাম

হজরত ইউনুস (আ.) আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবী। দিনরাত অক্লান্তভাবে আল্লাহর পয়গাম পৌঁছিয়ে দিলেন স্বজাতির কাছে। কিন্তু তারা তাকে মিথ্যুক বলে বিতাড়িত করলেন। তিনি তাদের আল্লাহর আজাবের কথা স্মরণ করে দিলেন। তাতেও তাদের অন্তর বিগলিত হলো না। ঈমান আনল না। আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাবের দিন নির্ধারিত হলে, ইউনুস (আ.) সেই এলাকা ত্যাগ করলেন এবং সমুদ্র পারাপারের জন্য নৌযানে চড়ে বসলেন। নির্দিষ্ট সময়ে আজাবের চিহ্ন প্রকাশ পেলে তার জাতি তাকে খুঁজতে থাকে তার প্রতি ঈমান আনার জন্য। তাকে না পেয়ে তার সকলেই একটি মাঠে একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে অনুণয়-বিনয় করলে, আল্লাহ তা কবুল করেন এবং তাদের থেকে আজাবকে হটিয়ে নেন। যার বর্ণনা কোরআনে এভাবে এসেছে- সুতারাং কোনো জনপদ কেন এমন হলো না, যা ঈমান এনেছে অতঃপর তার সে ঈমান গ্রহণ হয়েছে কল্যাণকর? তবে ইউনুসের সম্প্রদায় কথা আলাদা। তারা যখন ঈমান আনে, তখন আমি তুলে নেই তাদের ওপর থেকে অপমানজনক আজাব (সুরা ইউনুস : ৯৮)।

মাছের পেটে ইউনুস (আ.)

মাঝ সমুদ্রে ঝড় উঠলে নৌকা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। সেই সময়ের লোকদের বিশ্বাস ছিল। কোনো দাস যদি তার মালিকের অনুমতি ছাড়া পলায়ন করে তখন এমন হয়। তাকে নৌকা থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত ঝড় থামে না। ঘোষণা করা হলো, কে এমন আছেন? ইউনুস (আ.) বুঝতে পারলেন তিনিই সেই পলাতক দাস। যিনি আল্লাহর অনুমতির আগেই নিজ এলাকা ত্যাগ করেছেন। তাই তিনি লোকদের বললেন, আমি সেই ব্যক্তি। আমাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করুন। লোকেরা তার আচার-আচরণ ও ভদ্রতা দেখে তার কথা মানতে চাইল না।

তাই তারা লটারির আশ্রয় নিলেন। পরপর তিনবার লটারি করা হলে তিনবারেই ইউনুস (আ.)-এর নাম এলো। এমতাবস্থায় তিনি নিজেই সমুদ্রে ঝাপ দিলেন। আল্লাহতায়ালা বিশালাকৃতির একটি মাছকে আদেশ করলেন ইউনুসকে গিলে ফেলতে। ঝড় উত্তাল সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত ইউনুসকে গিলে ফেলল মাছ। কিন্তু সেখানেও তার মৃত্যু হলো না। কারণ মৃত্যুর মালিক মাছকে বলে দিয়েছেন, তার গায়ে যেন আচড় না লাগে। সে তোমার খাবার না। বরং তোমার পেট তার জন্য কয়েদখানা (মাআরেফুল কোরআন : ৮৮৯)। আল্লাহ বলেন, স্মরণ করুন মাছওয়ালার কথা, যখন তিনি ক্রদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন, ধারণা করেছিল আমি তাকে ধরতে সক্ষম নই। তারপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে আহ্বান করলেন, তুমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তুমি নির্দোষ আমি গোনাহগার (সুরা আম্বিয়া : ৮৭)। গাছ-পালা, তরুলতা। পাখণ্ডপাখালি। জল-স্থলের প্রাণী, এমনি মৃত্যুও চেনেন তাকে। তাবেদারি করে তার হুকুমের। একমাত্র মানুষই তার অবাধ্য হওয়ার দুঃসাহসিকতা দেখায়। আল্লাহ যথাযথই বলেছেন, নিশ্চয়ই মানুষ বড্ড অকৃতজ্ঞ (সুরা হজ : ৬৬)। মুসা ও ইউনুস নবীর জীবন থেকে আমরা শিক্ষা পাই- জীবন মৃত্যু আল্লাহর হাতে। মানুষ চাইলেই কিছু করতে পারে না। সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত। আর সত্য ও ন্যায়ের পথে সর্বকালেই বাধা আসে। ধৈর্য ও সততার সঙ্গে সে বাধা অতিক্রম করতে হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে নারীর ক...
08/03/2025

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও সমান অধিকারের পক্ষে নিজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, "আমার জীবনের তিনজন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আমার মা, স্ত্রী এবং কন্যা—তিনজনই অসাধারণ নারী। আমি সবসময় তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ, সাফল্য ও সুখ কামনা করেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি নারী যেন একইভাবে সম্মান, নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ পায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।"

তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি সবসময় ন্যায়পরায়ণ ও সহনশীল সমাজ গঠনের জন্য কাজ করেছে এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত বিএনপি সরকার নারীর অধিকার ও সমতার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে।

নারীর ক্ষমতায়নে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ এবং মেয়েদের জন্য শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের কন্যারা যেন ছেলেদের মতো সমান সুযোগ পায়, হয়রানি ছাড়াই বাইরে যেতে পারে এবং ভয় ছাড়াই নিজের মত প্রকাশ করতে পারে—এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”

তিনি সবাইকে নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং তাদের স্বপ্নপূরণের পথে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

15/02/2025

ব্রিফিং | বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি’র প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক | রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার

#বৈঠক #বিএনপি #প্রধানউপদেষ্টা #জাতীয়_ঐকমত্য কমিশন #বিএনপি

দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ...
14/02/2025

দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিএনপির নিঃশর্ত সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।

-তারেক রহমান
২৯ অক্টোবর ২০২৪

14/02/2025

বান্দরবান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র নব-গঠিত আহবায়ক কমিটির পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগরস্থ জিয়া উদ্যানে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতিহা পাঠ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার

#বিএনপি #শহীদজিয়া #বান্দরবান #চট্টগ্রাম_দক্ষিণ

খালেদা জিয়া যেন উলুবনে একজন মুক্তা...-মুজতবা খন্দকারএই পোড়া দেশে খালেদা জিয়ার মতো নেতার জন্ম হওয়া ঠিক হয়নি। যে দেশে ...
14/02/2025

খালেদা জিয়া যেন উলুবনে একজন মুক্তা...

-মুজতবা খন্দকার

এই পোড়া দেশে খালেদা জিয়ার মতো নেতার জন্ম হওয়া ঠিক হয়নি। যে দেশে নেতা আছে, দেশ প্রেমিক নেই। যে দেশে শোষক আছে প্রকৃত জনপ্রতিনিধির বড্ড অভাব। সে দেশে বেগম খালেদা জিয়া যেন উলুবনে একজন মুক্তা। সেদিন হঠাৎ অনেকদিন পর তাঁর সাথে দেখা। সিঁড়িতে। তার অফিস আমাদের বিল্ডিংয়ের কয়েক তলা উপরে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের বাংলাদেশ ব্যুরো চীফ। বললেন,জিয়া হাসানের ওপর হঠাৎ ক্ষেপলেন কেন? আমি কিছু জবাব দেয়ার আগে তিনি বললেন,খালেদা জিয়াকে সবার স্যালুট করা উচিৎ। কারন আজকে দেশ যে ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে সরকার উন্নয়নের গল্প রিলে রেসের মতন প্রতিদিন দীর্ঘ করছে,তাঁর বুনিয়াদটা কিন্ত খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ ও পরবর্তীতে ২০০১-২০০৬ সরকার তৈরী করে দিয়ে গেছে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, আজকে দেশ যে অবস্থানে পৌঁছেছে তার পেছনে একমাত্র খালেদা জিয়া। তাঁর হাজারটা দোষ থাকতে পারে। কিন্তু দেশে আজকে যে গণতন্ত্র সেটা একমাত্র তার জন্য এসেছিলো। তিনি মুহুর্তে শুধরে নিয়ে বললেন,দেশের মানুষ যে গণতন্ত্রের জন্য হাপিত্যেষ করছে,সেটার আকাংখা বেগম খালেদা জিয়াই সবার মনে উপলব্দি করার বোধ এনে দিয়েছিলেন। তিনি দেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরী করে দিয়েছিলেন,বলে,এখন আমরা বুঝতে পারি গণতন্ত্রের অভাব। বুঝতে পারি আমরা গণতন্ত্রহীনতার দেশে বাস করছি। দেশে এক সময় খালেদা জিয়া,তারেক রহমান এবং বিএনপির মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়ে প্রতিদিন প্রথম আলোসহ অনেক পত্রিকায় নানা রকমের এখন সে কার্টুন কোথায়? কই সে জন্য তো কোনোদিনই বেগম জিয়া সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদকদের ডেকে পাঠান নি,কৈফিয়ত চাননি। গণতন্ত্রটা কি সেটা বেগম জিয়াই আসলে অনুশীলন করেছেন। এখন শিশির ভট্টাচার্য কোথায়?

বেগম খালেদা জিয়া সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভা ছিলো জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার অনেকটা হুবহু সম্প্রসারিত রুপ। সাইফুর রহমানের মতন একজন ভীশনারী চার্টার্ডকে তিনি অর্থমন্ত্রী করেছিলেন। যিনি চিরাচরিত রক্ষনশীল অর্থনীতির ঢাকগুড়গুড় ইমেজ ভেঙ্গে দেশের অর্থনীতির খোলনলচে বদলে দেয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছিলেন। বেগম জিয়া তাকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। তিনি যত্রতত্র ব্যাংক বিমার লাইসেন্স দেয়ার বিরোধী ছিলেন। বলতেন, ছোট্ট একটা দেশ। এতগুলো রাষ্ট্র্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি আরো আরো ব্যাংক বীমা খুললে,সেগুলো চলবে কিভাবে? সাইফুর রহমানের সময়ে দলীয় পরিচয়ে কোনো ব্যাংক বীমা খোলার লাইসেন্স দেয়া হয়নি,হাজার কোটি তো দুরের কথা,জনগনের হাজারটাকাও কেউ মেরে দিব্যি ফুরফুরে মেজাজে বুক ফুলিয়ে চলতে পারেনি। অর্থনৈতিক সেক্টরে শৃংখলা তার সময়ের চেয়ে আর ভালো কখনো ছিলোনা। আর এটা সম্ভব হয়েছিলো। একজন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলে।

বেগম জিয়া,দেশের কথা ভাবতেন,দেশের জনগনের কথা তিনি উপলব্দি করতেন বলে,গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসেছিলেন,তার ধমনীতে রাজনীতি ছিলোনা। কিন্তু তিনি মাঠে শিখেছেন,জনগনের ভালোবাসা পেয়েছেন। তিনি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা সংশয়ে থাকতেন। বহু আলোচনা করতেন,কিন্তু একবার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে,সেটা থেকে তাকে সরানো ছিলো পাহাড় ঠেলে ফেলার মতো ব্যাপার।

স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি যদি বিন্দুমাত্র এদিক,ওদিক করতেন তবে অত সহজ ছিলোনা এরশাদকে হটানোর। কারন পনেরদলের শীর্ষ নেতারা তখন এরশাদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। আর তথাকথিত বাম পাঁচদল তো পনেরোদলের কাছেই জিম্মি। সুতরং বাকি ছিলো শুধু বিএনপি। সেখানেও ভাঙ্গন ধরাতে কম কসরত করেনি এরশাদ। কিন্তু বেগম অটুট,ইস্পাত দৃঢ় প্রত্যয় বার বার এরশাদের পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিয়েছে। সুতারং আজ,বেগম জিয়াকে না জেনে, তাকে না বুঝে এখন অনেকেই তার প্রতি নির্দয় আচরণ করছে।

মঈন ফখরুদ্দীনের সময়টায় আসুন। দেখুন তার সিদ্ধান্তগুলো কত ম্যাচুউরড ছিলো। সিইসি শামসুল হুদা বিএনপিকে ভাঙ্গতে চেয়েছিলেন। মঈন,মাসুদ উদ্দীন আর ফখরুদ্দীনের ফরমায়েশিতে। (পরবর্তীতে শামসুল হুদাকে আমি একটা টকশোতে একক গেষ্ট হিসেবে আনি। আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর আগে,কথাপ্রসঙ্গে তিনি আমার কাছে স্বীকা্র করেছিলেন, সেটা তিনি চাপে করতে বাধ্য হয়েছিলেন।)
বেগম জিয়া সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন,দলের সাধারন সম্পাদক মান্নান ভুইয়া বিট্রে করলেন, আর বর্ষিয়ান নেতা,সাইফুর রহমান,যাকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের এক পর্যায়ে পার্টির সেক্রেটারী করলেন খালেদা জিয়া, ছিলেন,জিয়ার ক্যাবিনেটে স্বরাষ্ট্র পরে বানিজ্যমন্ত্রী তাকে হুমকী দিলেো বিএনপির চেয়ারম্যান হবার। আমরা তো জানি,সেদিন গুলশানের জালালাবাদ হাউজে সাইফুর রহমানকে কিভাবে হুমকী দেয়া হয়েছিলো। আমরা তখন মাঠের রিপোর্টার। তিনি সেদিন,দু:খ করে বলেছিলেন, আমি কিতা করতাম!

বেগম জিয়া বুঝেছিলেন সব,তাই জেলে যাবার আগে দলের পোড় খাওয়া পরিক্ষিত নেতা খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব ঘোষনা করে গিয়েছিলেন,সেটা যে কত দুরদর্শী সিদ্ধান্ত ছিলো,এখন বিএনপির নেতাকর্মীরা বোঝেন। প্রয়াত হান্নান শাহ আর খোন্দকার বিএনপি নামক দলটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বেগম জিয়াকে জেলে নেবার পর কত টোপ এসেছে। ছেলেদের মেরে ফেলার হুমকী দেয়্ হয়েছে। কিন্তু তিনি টলেননি। তিনি দেশ ছেড়ে যাবার কখনো কোনো তাগাদা অনুভব করেননি। পক্ষান্তরে অন্য নেতা কী করেছেন, তিনি সুড় সুড় করে বিদেশে চলে গেছেন অথচ এক পর্যায়ে তার জন্য দেশের সব পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভাগ্য ভালো তার একজন পাবরিবারিক বন্ধু প্রনব মুখার্জি ছিলেন,আর ভাগ্যচক্রে তিনি তখন বৃহৎ প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপতি!

কিন্তু বেগম জিয়ার পাশে সেদিন কেউ ছিলোনা,কেউ না। শুধু ভরসা করেছিলেন দেশের জনগনের প্রতি। আজো তার ভরসা সেই জনগন। তাঁকে যখন কথিত দুর্নীতি মামলায় জেলে নেয়া হলো। যাবার সময় তিনি নির্দেশ দিয়ে গেলেন। তার মুক্তি কিম্বা তাঁর জেল গমনের প্রতিবাদে কোনো আন্দোলন দরকার নেই।

এমন একজন মহান নেতার বিরুদ্ধে যারা বিষোদাগার করে,আসলে তাদের প্রতি করুনা করতে ইচ্ছে হয়,কবি আবদুল হাকিমের ভাষায় বলতে হয়,এদের কাহার জন্ম নির্নয় না জানি!

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বেগম জিয়ার কাছের মানু্ষ ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বয়ানে চলুন বেগম জিয়া সম্পর্কে কিছু শুনি.. বেগম জিয়ার সাথে রাজনীতি করে ব্যক্তি হিসেবে তাঁর বেশ কতগুলো অসাধারণ বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাই। রাজনৈতিক স্মৃতিকথায় একজন কুন্ঠিত লেখক হিসেবে সেসব কথা লিখতে গিয়ে আমি বেশী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে চাইনা।

আমি বরাবরই দেখেছি বেগম জিয়া কখনোই হঠাৎ করে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে আসেননা। উদ্ভুত সমস্যা নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা ও চর্চা চালান তিনি। যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন,তখন সেই বিষয় থেকে তাঁকে সরানো একেবারেই মুশকিল হয়ে পড়ে।

তাঁর সাথে “আপোসহীন” উপমা এমনিতেই সম্পৃক্ত হয়নি। আমি অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছি, দেশবাসীর সতষ্ফুর্ত দেয়া এই খেতাব কতো বেশী যর্থাথ কতো বেশী সত্য।

একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী হিসেবে তিনি সুখেই তাঁর দিনগুলো অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি নীতিগত কারণেই দেশবাসীর সাথে জড়িয়ে পড়লেন এবং বলা চলে তাঁর একক নেতৃত্বেই আপোসহীনভাবে এগিয়ে চলে স্বৈরাচারবিরোধী সেই আন্দোলন।

Address

Cumilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kazi Didarul Alam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kazi Didarul Alam:

Share