
26/07/2025
তিতাসে সওজের জমি দখলের উদ্দেশ্যে বালু দিয়ে ভরাটের অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিতাস উপজেলা জামায়াতের কড়িকান্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি মুহাম্মদ ছবির হোসেন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে সওজের প্রায় ৩০ শতক জমি বালু দিয়ে ভরাট করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন গৌরিপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের পাশেই সরকারি একটি পুকুর বালু ফেলে ভরাটের কাজ চলছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এটি মূলত সওজের জমি, যা দখলের উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে ভরাট করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের গুঞ্জনের সুযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠী ফের খাসজমি দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগেও তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি থেকে বাতাকান্দি বাজার পর্যন্ত গৌরিপুর-হোমনা সড়কের পাশে একাধিক সরকারি জমি দখল হয়ে গেছে। এসব জমিতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সওজের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই এসব জমি রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ ছবির হোসেন বলেন, এই জায়গার কিছু অংশ আমাদের রেকর্ডভুক্ত জমি, আর কিছু সরকারি। মূলত রাস্তা তৈরির জন্যই ভরাট করছি। উপজেলা প্রশাসন ও সওজ বিভাগকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং ভিডিওও পাঠিয়েছি।
তবে লিখিত অনুমতি না থাকায় বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। ছবির হোসেন আরও দাবি করেন, যেহেতু আমরা কোনো স্থায়ী স্থাপনা গড়ছি না, তাই সরকার চাইলে ভবিষ্যতে জমি নিয়ে নিতে পারবে।
তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন বলেন, এই বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি। জমিটি খাস না ব্যক্তিমালিকানা—তা নিশ্চিত হতে তফসিলদারকে পাঠানো হবে। খাস জমি ভরাটের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সওজের গৌরিপুর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনির বলেন, ছবির হোসেনের সাথে এ বিষয়ে আমাদের কোনো কথা হয়নি। তিনি মিথ্যা বলছেন। সরকারি জায়গা ভরাটের জন্য মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয় না। আমরা দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।