Dawah- দাওয়াহ'シ︎

Dawah- দাওয়াহ'シ︎ Follow For Islamic Videos

07/04/2025
02/04/2025

আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ

28/08/2024

কোনো পার্থক্য থাকবে না, তাদের লক্ষ্য অভিন্ন, তারা সবাই একই জামা‘আতে পরিণত হবে। তাদের সবাইকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত বলে আখ্যায়িত করা হবে এবং তারাই হবেন হিযবুল্লাহ, আল্লাহর দীনের সহযোগী ও আল্লাহর দীনের প্রতি দা‘ঈ।

কোনো জামা‘আত বা কোনো দলে যদি ইসলামী শরী‘আত পরিপন্থী কাজ সংঘটিত হয়, তাহলে তার জন্য গোড়ামী করে তার পক্ষ নেওয়া কোনো ক্রমেই বৈধ নয়। (মাজমুউ ফাতাওয়ায়ে শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন বায রহ. ১৭৭, ১৭৮/৭)

পঞ্চমত: যদি কোনো মুসলিম কোনো ধর্মনিরপেক্ষবাদী শহরে বসবাস করেন এবং সেখানে এমন কোনো জামাত পাওয়া যায় যারা মানুষদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করে বা মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে অংশ গ্রহণ করে এবং মুসলিমদের আকীদা, বিশ্বাস ও তাদের ঐতিহ্য রক্ষার চেষ্টা করেন, তাহলে কারো জন্যই তাদের অপমান করা ও তাদের বিপক্ষে অপপ্রচার করা জায়েয নেই, বরং তাদের সাহায্য করতে হবে এবং যথা সম্ভব তাদের সহযোগিতা করতে হবে। যদি কোনো মুসলিম কেবল তাদের সাথে নাম লেখানো ছাড়া আর কোনো সহযোগিতা করতে না পারে তবে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি ও দলাদলি ছাড়া সতর্কতার সাথে তাদের দলে নাম লেখানোতে কোনো অসুবিধা নেই।

শাইখ আব্দুর রহমান আস-সা‘দী রহ. সূরা হুদের তাফসীরে শোয়াইব আলাইহিস সালামের ঘটনার শিক্ষণীয় বিষয়গুলো আলোচনা করতে গিয়ে বলেন,

আরেকটি শিক্ষণীয় বিষয় হলো, আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের থেকে বিপদ বিভিন্নভাবে প্রতিহত করেন, কোনো কোনো কারণ আছে তা তারা জানে, আবার কোনো কোনো কারণ আছে তা তারা জানে না। কোনো কোনো সময় তাদের থেকে জুলুম নির্যাতন গোত্রীয় কারণে প্রতিহত করেন অথবা স্বজাতি হওয়ার কারণেও (তারা কাফের হলেও) মুসলিমদের ওপর যুলুম নির্যাতন করে না। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা শোয়াইব আলাইহিস সালামকে তার কাওমের পাথর মারা থেকে রক্ষা করেন, স্বগোত্রীয় হওয়ার কারণে। এ ধরনের বন্ধন যার দ্বারা ইসলাম ও মুসলিমদের থেকে যুলুম নির্যাতন প্রতিহত করা যায়, তা গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করাতে কোনো ক্ষতি নেই, বরং ক্ষেত্র বিশেষে এর কোনো বিকল্প থাকে না। কারণ, শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী উম্মতের সংশোধন করাই হলো মূল লক্ষ্য।

এরই ভিত্তিতে বলা যায়, যে সব মুসলিম কাফের রাজত্বের অধীনে বসবাস করে, তারা যদি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সাহায্য করে, যাতে জনগণ তাদের দীনি ও দুনিয়াবী অধিকারগুলো স্বাধীনভাবে আদায় করতে পারে, তা হলে তা তাদের জন্য উত্তম হবে, ঐ রাষ্ট্রের আনুগত্য করার চেয়ে যারা তাদের দীনি ও দুনিয়াবী স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করে, তাদের সমূলে উৎখাত করতে চেষ্টা করে এবং কর্মচারী ও অধীনস্থ বানাতে চায়। হ্যাঁ, তবে যদি সম্ভব হয়, রাষ্ট্র মুসলিমদেরই হবে এবং তারা নেতৃত্ব দেবে, তাহলে তাই নির্ধারিত থাকবে। কিন্তু যদি এ পর্যায়ে আসাটা সম্ভব না হয়, তখন যে পদ্ধতি অবলম্বন করা দ্বারা মুসলিমদের থেকে জুলুম নির্যাতন প্রতিহত করা যায়, দ্বীন ও দুনিয়ার হেফাযত হয়, তা গ্রহণ করা মন্দের ভালো বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহই ভালো জানেন। (তাফসীরে আস-সা‘দী, পৃ: ৩৮৮)

লাজনা দায়েমা বা ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির আলেমদের জিজ্ঞাসা করা হলো, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ইসলামী দল বা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা ঠিক হবে কিনা? যদি সে দল বা সংগঠনটি সে দেশের আইন কানুন এর ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠা করা হয়, তবে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন এবং দাওয়াতি কাজের বিষয়টি তাদের গোপন লক্ষ্য থাকে?

তারা উত্তর দেন: কোনো অমুসলিম দেশে অবস্থান করতে বাধ্য মুসলিমরা সেখানে সুস্থভাবে জীবন যাপন করার লক্ষ্যে একীভূত হওয়া, একে অপরের সহযোগিতা করা, পরস্পর সু-সম্পর্ক স্থাপন করা এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা সম্পূর্ণ বৈধ। চাই এটি কোনো ইসলামী সংগঠনের ব্যানারে হোক বা কোন ইসলামী দলের নামে হোক। কারণ, এতে রয়েছে তাকওয়া ও কল্যাণমূলক কাজের বিষয়ে সহযোগিতা।“ফাতাওয়া লাজনায়ে দায়েমাহ” বা ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির মতামত: (২৩/৪০৭, ৪০৮)

15/07/2024

১৩'তে তুই রাজাকার, তুই রাজাকার!
২৪'এ আমি রাজাকার, আমি রাজাকার।

#তুমি_কে_আমি_কে? ✌️

15/07/2024

আমি বিংশ শতাব্দীর– রেজাকার নই,
আমি একবিংশ শতাব্দীর গর্বিত রাজাকার! ❤️

27/06/2024

সোশ্যাল মিডিয়ার আয়ের ফেতনা (হক্ব ও গীবত)
রসুল (সা:) ও খেলাফায়ে রাশেদীনের সময়কাল ছিল এমন- উম্মাহ যেকোন সমস্যায় কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের মাধ্যমে সমাধান করতেন। সাহাবীরা রসুলের (সা:) নিকট সমাধান জানতে চাইতেন, ওহী নাযিল হতো। রসুলের (সা:) পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলো জনগন খলিফা বা বিদ্বান সাহাবীদের কাছে জানতে চাইতেন! খলিফারা অন্য সাহাবিদের সাথে আলোচনা করে কুরআন, সুন্নাহর ভিত্তিতে রায় দিতেন। ব্যক্তিজীবন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সবকিছুর সমাধান চাওয়া হতো ইসলামের মাধ্যমে।

মসজিদের মিম্বার হতে এই বিষয়ে খুতবা বা বক্তব্য, জানানো হতো। ধীরে ধীরে উম্মাহর রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিবর্তন ঘটল – আর বর্তমানে কোন সমস্যা হলে মানুষ সমাধান খুজে এমন কারো কাছে যারা না ইসলামের বিদ্যা অর্জন করেছে, না ইসলামিক নিয়ম কানুন মেনে চলে বরং বিভিন্ন তারকা বা রাজনৈতিক নেতাদের কাছে মানুষ সমাধান জানতে চায়!!

যাদের প্রায় সবাই কুফর, শিরক বা জেনার মত ভয়াবহ গোনাহে লিপ্ত। বিভিন্ন টক শো, টিকটক, ফেইসবুক, ইউটিউবে এসব বিষয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তব্য দেয়। অনেকের আয়ের উৎস হল এসব মিডিয়াগুলো। অনেকে গালি দিয়ে কথা বলে অথচ মানুষ তাকে বর্জন না করে জনপ্রিয় করে তুলছে! কারো অদ্ভুত আচরন, হুমকি, অশ্লীলতার ফেতনা ছড়ানোর পরও মানুষ তাদের সম্পর্কে সদাগ্রহী থাকে এতে তাদের আয় ও জনপ্রিয়তা বাড়ে।

হাদীসে এসেছে –

উমর বিন সাঈদ বিন আস রা. একদা পিতা বরাবর খুবই পাণ্ডিত্য ও সাহিত্য-পূর্ণ ভাষায় একটি আবেদন পেশ করলেন। আবেদন পাঠ শেষ হলে ছেলেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন- তোমার কথা কি শেষ হয়েছে? ছেলে বলল- জ্বি হ্যাঁ..! পিতা বললেন – (ওহে বৎস! ভেবো না যে, তোমাকে আমি অবহেলা করছি অথবা তোমার আবেদন পূরণে আমি অসম্মত। তবে শুনে রাখ-) নবী করীম সা.কে আমি বলতে শুনেছি- “অচিরেই এমন জাতির আবির্ভাব হবে, যারা গরু-গাভীর মত মুখ ব্যবহার করে উপার্জন করবে।” (মুসনাদে আহমদ)

আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “ঐ সত্তার শপথ- যার হাতে আমার প্রাণ নিহিত! কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না অশ্লীলতা ও কার্পণ্যতা বৃদ্ধি পাবে, বিশ্বস্তকে ঘাতক এবং ঘাতককে বিশ্বস্ত মনে করা হবে, সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের বিলুপ্তি ঘটবে। মূর্খদের জনপ্রিয়তা ও মাতব্বরি বেড়ে যাবে।” (মুস্তাদরাকে হাকিম)

উম্মত ভুলে যাচ্ছে – মুসলিম সমাধান খুজবে কুরআন, সুন্নাহর মাঝে, কোন তাগুত বা ব্যক্তি মতবাদে নয়।

আল্লাহ বলেন-

আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী ফয়সালা করুন; তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন-যেন তারা আপনাকে এমন কোন নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে, যা আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন। অনন্তর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে নিন, আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কিছু শাস্তি দিতেই চেয়েছেন। মানুষের মধ্যে অনেকেই নাফরমান। তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফয়সালাকারী কে!

সুরা মায়েদাহ, ৫০-৫১
ইসলামের বিপরীত সকল মতবাদই জাহেলিয়াত! তার চেয়ে দুঃখজনক হল- নবী, রসুলগন, সাহাবীরা নিজেরা দ্বীনের দাওয়াত ও ইসলামের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য নিজ জান, মাল ব্যয় করেছেন আর বর্তমান আলেমরাই জনগন হতে অনেক ভালো অর্থ নেয় অথচ ওয়াজের নামে অশ্লীল বাক্যপ্রয়োগ, অঙ্গভঙ্গি, একজন আরেকজনের বিষাদগার করে সময় কাটায়। অথচ ইসলামের মূল বিষয় কুরআন, সুন্নাহ, আহলে বায়াত আলোচনায় আসে না। জালেম শাসক, কোন পথভ্রষ্ট আলেমের বিরোধিতা বা ভুল ধরিয়ে দিলে তার ভক্তরা গীবত ছড়ায় বলে অপবাদ দেয়। আসলে উম্মতের অনেকে গীবত ও হক্ব বাক্যের মধ্যে পার্থক্য বুঝেনি।

নিচে সামান্য আলোচনা করবো যেসবক্ষেত্রে গীবত হয় না

১. জালেমের বিরুদ্ধে হক্ব বলা

হাদীসে বর্ণিত আছে- “জালেম শাসকের সামনে ন্যায় বা সত্য বলা সর্বোত্তম জেহাদ।” অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলে।’ [মুসনাদ আহমদ : ১৮৮৩০; ইবন মাজাহ, ৪০১২; নাসাঈ : ৪২০৯]

এছাড়াও রয়েছে
“অতঃপর অযোগ্য লোকেরা তাদের স্হানে বসবে। তারা এমন সব কথা বলবে, যা নিজেরা করবে না। এমন সব কাজ করবে, যার নির্দেশ দেওয়া হয় নি তাদেরকে। যে হাতের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ করবে, সে মুমিন। যে জিহ্বার সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ করবে, সে মুমিন। অন্তর দিয়ে যে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ (পরিবর্তনের চেষ্টা) করবে, সে মুমিন। ঈমানের এর চেয়ে ক্ষুদ্র সামান্যতম পর্যায়ও নেই।” (মুসলিম- কিতাবুল ঈমান)

শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম আর সবচেয়ে বড় জালেম শাসক হল সে- যারা শিরক চাপিয়ে দেয়। মুসা (আ:), ইব্রাহিম (আ:) তৎকালীন জালেম শাসকের বিরুদ্ধে হক্ব বলেছেন আর রসুল (স:) সত্য বলেছেন ও জেহাদ করেছেন। দাজ্জালের যুগে একজন দাজ্জালের সামনে হক্ব তুলে ধরবে ও শহীদ হবেন। তিনি হবেন উত্তম শহীদ। (মুসলিম- ৭১০৫)

কুরআন, সুন্নাহে বর্নিত এসব জালেমের ইতিহাস যা উম্মাহর জন্য শিক্ষা তা বললে গীবতের গোনাহ হয় না বরং জানানো ফরজ। ঠিক তেমনি যারা উম্মাহর ও ইসলামের ক্ষতি করেছে- সত্য স্পষ্ট করার সাপেক্ষে বা নির্দোষকে অপবাদ হতে বাচাতে, তাদের দুষ্কর্ম তুলে ধরলে তা গীবতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

যুগে যুগে আলেমরা ইয়াজিদ, হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আলোচনা এনেছেন- কেউ কি গীবত ফাতওয়া দিয়ে বিরত থেকেছে? কারন ওদের জুলমের ইতিহাস জানানোর মূল কারন- আহলে বায়াতের ফজিলত জানানো ও অপবাদ মুক্ত করার উদ্দেশ্যে। তাহলে বর্তমানে জালেমের বিরুদ্ধে বললে গীবত আ্যখায়িত করা মূর্খতা।

২. কুরআন ও হাদীসের শিক্ষনীয় আলোচনা

কুরআন, সু্ন্নাহে যেসব ঘটনার বর্ননা রয়েছে তন্মধ্যে সাহাবিদের জাহেলী জীবনের ভুল ও আদমের (আ) ফল খাওয়ার কাহিনী এসব বর্ননা করার উদ্দেশ্য হল – যেন উম্মাহ ভুল করে নিরাশ না হয়ে তাদের মত তওবা করে আল্লাহর কাছে প্রিয় হতে পারে। সেজন্য স্বয়ং আল্লাহ কুরআনে ও রসুলের (সা:) হাদীসে এরূপ ঘটনা বর্নিত হয়েছে।

৩. পথভ্রষ্ট আলেম

আবু যার (রা:) বলেছেন, “আমি নবী ﷺ -এর নিকটে একদিন উপস্থিত ছিলাম এবং আমি তাকে বলতে শুনেছি, ‘এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মাহ্-এর জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি।’ তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মাহ্-এর জন্য দাজ্জালের চাইতেও অধিক ভয় করেন?’ তিনি [নবী ﷺ ] বললেন, ‘পথভ্রষ্ট আলিমগণ।’” (মুসনাদ আহমদ,২০৩৩৫)

পথভ্রষ্ট আলেমের ফেতনা হতে বাচাতে তার অসৎ উদ্দেশ্য, ভুলগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা ফরজ তা গীবত হয় না। রসুল (সা:) নিজে খ্রিস্টান আলেমদের সাথে মুবাহালায় অংশগ্রহণ করেন। কাদেয়ানীসহ বহু পথভ্রষ্ট আলেমের ব্যাপারে হক্বপন্থীরা যুগে যুগে স্বোচ্ছার ছিল।

৪. (শরীয়াভিত্তিক) বিচারকের কাছে বিচার চাইলে

কারো উপর জুলুম, নির্যাতন হয় বা কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফায়সালার জন্য কারো চরিত্রের দোষ, পাপ বর্ননা করলে গীবতের গোনাহ হয় না। সাহাবিদের জীবনীতে বহু উদাহরণ আছে তাদের কাছে বিচার চাওয়া হতো নাহলে রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থা কিভাবে চলবে!

৫. ফাতওয়ার আলোচনা

কোন আলেমের দোষক্রুটি ধরে বদনাম করা মূল উদ্দেশ্য নয় বরং তাদের ভুল ফাতওয়া হলে সুন্দরভাবে ব্যাখা করে বুঝান যেন উম্মত সমাধান পায়। বহুবছর হতে ফেকাহ শাস্ত্রে আলোচনা আসছে- কোথাও ঈমাম আবু হানিফার (রহ:) ফাতওয়া কেন শক্তিশালী অন্য ঈমামদের চেয়ে তার আলোচনা এসেছে কোথাও বাকী ঈমামদের অধিক গ্রহনযোগ্য আলোচনা হয়েছে। আবার কোন আলেমের কাছে কোন ফাতওয়া জানতে চাইলে সত্য বলা যায় যদিও তাতে চরিত্রের দোষক্রটি উঠে আসে। যেমন- কুরআন, হাদীসের বিধান বা যিহারের ফাতওয়া এসেছে যা রসুলর (সা:) কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল!

আল্লাহ বলেন-

আল্লাহ অবশ্যই শুনেছেন সে নারীর কথা; যে তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সাথে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহর কাছেও ফরিয়াদ করছে। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শুনেন; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্ৰষ্টা।

সুরা মুজদালাহ-১
আল্লাহ তা’আলা খাওলা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার ফরিয়াদ শুনে তার জন্য তার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। তার খাতিরে আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এসব আয়াত নাযিল করেছেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেনঃ সেই সত্তা পবিত্র, যার শোনা সবকিছুকে শামিল করে।

যিনি সব আওয়ায ও প্রত্যেকের ফরিয়াদ শুনেন; খাওলা বিনতে সালাবাহ যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে তার স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ করছিল, তখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু এত নিকটে থাকা সত্বেও আমি তার কোনো কোনো কথা শুনতে পারিনি। অথচ আল্লাহ তা’আলা সব শুনেছেন এবং বলেছেনঃ (قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا وَتَشْتَكِي إِلَى اللَّهِ وَاللَّهُ) [বুখারী: ৭৩৮৫, নাসায়ী: ৩৪৬০]।

কিছু জিনিস রসুলের (সা:) জন্য বিশেষ, যেমন – উম্মাহ যিহারের বিধান জানতো না, তাদের জানানোর উদ্দেশ্যে এরূপ আলোচনা এসেছে! কিন্তু বর্তমানে ব্যক্তির নাম ও পরিচয় লুকিয়ে ফাতওয়া চাওয়া উত্তম ও ফাতওয়াদাতা যত সম্ভব উক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা উচিত।

তাছাড়া এমন কোন পাপ যা প্রকাশ্যে ঘটছে তা প্রতিরোধ করা বা তার ফেতনা সম্পর্কে সচেতন করতে সত্য বলায় গীবতের গোনাহ হয় না বরং এটা দায়িত্ব। আজও কেউ যদি ইসলাম ও রসুেলের (সা:) অবমাননা করে প্রকাশ্যে আলেমদের সত্য ফাতওয়া দেওয়া এবং ওদের উদ্দেশ্য, চরিত্র সুস্পষ্ট করা উচিত।

৫. বিবাহের ক্ষেত্রে

বিবাহ প্রার্থী ইচ্ছুক এমন নারী, পুরুষের যাচাই বাচাই করার ক্ষেত্রে তার কোন দোষ, ক্রুটি আছে কিনা জানার ক্ষেত্রে গোনাহ হয় না।

আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি কোথাও বিয়ের পয়গাম দেয়। নবী বলেনঃ “মেয়েটিকে দেখে নাও। কারণ আনসারদের চোখে কিছু দোষ থাকে।” (মুসলিম, নাসাঈ, আহমাদ)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ

“তোমাদের কেউ যখন কোন মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছা করে তখন যতদূর সম্ভব তাকে দেখে নিয়ে এ মর্মে নিশ্চিন্ত হওয়া উচিত যে, মেয়েটির মধ্যে এমন কোন গুণ আছে যা তাকে বিয়ে করার প্রতি আকৃষ্ট করে।” (আহমাদ ও আবু দাউদ)

এক্ষেত্রে বিবাহপ্রার্থী কারো কাছে সত্য তথ্য চাইলে জানানো উচিত বলে আলেমদের অভিমত। কারন বিবাহের সাথে বহুজীবন ও দ্বীনী আমল জড়িত। আল্লাহ বলেন-

ব্যভিচারী বিয়ে করে না ব্যভিচারিণী বা মুশরিকা নারী ছাড়া। আর ব্যভিচারিণী- তাকে বিয়ে করে না ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষ ছাড়া, মু’মিনদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সুরা নুর
এছাড়া আরও কিছু বিধান রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে- প্রত্যেকের নিয়ত ও অন্তরের ব্যাপারে আল্লাহ জানেন। কেউ ইসলামী উদ্দেশ্যে সত্যি তুলে ধরছে না ব্যক্তি শত্রুতা, ক্ষমতা, জনপ্রিয়তা ও অর্থ অর্জনের জন্য কারো চরিত্রের দোষ তুলে ধরছে, আল্লাহ সবাই জানেন। প্রত্যেকে তার কৃর্তকর্ম অনুযায়ী হিসাব দিতে হবে!!

16/06/2024

ঈদে আমাদের সমাজের দৃশ্য

ঈদের সালাতের সালাম ফিরিয়ে যদি দেখেন আপনার পাশের মুসল্লী সেই যে ইসলাম মানা ও প্রচারের কারণে আপনার উপর জলুম করছে, অপবাদ দিচ্ছে। নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত সালাত ছেড়ে দিলে মুসলিম থাকে না বা ইসলাম হতে বের হয়ে যায় এই কথা বলার কারণে আপনাকে উগ্রবাদী বলেছে, গালি দিয়েছে সে মসজিদে আজ আপনার আগেই এসেছে!!

আহ ইসলাম!! মুমিন, মুনাফেক একই কাতারে, পাশাপাশি অথচ একজন তাগুতের বিরুদ্ধে আর আরেকজন তাগুতের এজেন্ট।

অথচ শিরকমুক্ত তাগুত বর্জন ছাড়া কোন ইবাদতই কবুল হবে না। ঈদের সালাত যেমন গুরুত্বের সাথে আদায় করা হয় ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ।

আল্লাহপাক বলেন- “দ্বীনের মধ্যে কোন জবরদস্তী নেই। নিশ্চয় সঠিক পথ ভুল পথ হতে পৃথক হয়ে গেছে। সুতরাং যে তাগুতকে অস্বীকার করে, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করে, তাহলে সে এমন মজবুত হাতল ধরল যা কখনো ভাঙ্গবে না এবং আল্লাহতায়ালা হচ্ছে সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” (সুরা বাকারাহ- ২৫৬)। সুরা নাহলে বর্নিত- “নিশ্চয় আমি প্রত্যেক জাতির নিকট রাসুল প্রেরণ করেছি, তারা যেন শুধু আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাগুতকে বর্জন করে।” (আয়াত-৩৬)। ইসলামিক ভাষায় তাগুত বলতে বুঝায় আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত বা অনুগত্য করা হয় এবং যে এটা পছন্দ করে সেও তাগুত

একটু সামনে দেখেন আপনার সেই পরম আত্মীয় যে আপনাকে প্রাপ্য অধিকার দেওয়া হতে বিরত রেখেছে। এরপর একটু পিছনে তাকালেন, দেখলেন একসময়ের পরম বন্ধুরা (যাদের কাছে আপনি সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন)।
ইসলামে ফিরার কারণে যাদের উপহাস শুনতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গ ছাড়তে হয়েছে।

এরপর মসজিদ হতে বের হয়ে দেখলেন ঈমাম সাহেব হ তাগুতের প্রতিনিধি/ ইসলামের সমালোচনা করে ও হারাম আয় দ্বারা মোটাসোটা পশু দিয়ে কুরবানির জবাই সূচনা করলো অন্যরা ভিডিও করছে, কেউ ফেইসবুকে দিচ্ছে প্রশংসা পাচ্ছে। অন্যদিকে হালাল টাকায় কেনা মুমিনের ছোট ছাগলটা অবহেলা ও উপহাসের শিকার হয়!!
অথচ আল্লাহ মহাপবিএ হারাম দ্বারা ইবাদত তিনি কবুল করেন না।

কুরবানির মাংস বন্টনের সময় দেখলেন – যে লোক নিজ স্বজনের জমি, ব্যবসা দখল করে নিয়েছে, সেই গরিবকে মাংস বিলানোর নামে নিজেকে দানশীল প্রমানে ব্যস্ত!!

আল্লাহর নৈকট্য প্রত্যাশা করা যায় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ আর চুরি ও আত্মসাতের সম্পদের সদকা কবুল হয় না।’ (মুসলিম)

আর যারা অন্যদের সম্পদ,জমির অধিকার,মোহরানা আদায় করে না তাদের উচিত আদায় করা। সুরা নিসায় আল্লাহ সর্তক করেছেন।

এর পরিণাম খুবই মারাত্মক। আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো জমির কিয়দংশ জবরদখল করবে, কিয়ামত দিবসে এজন্য তাকে সপ্ত যমীন পর্যন্ত পূঁতে দেওয়া হবে”।(সহীহ বুখারী)

রিযাযুক্ত ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না,বরং রিয়াকারীকে শাস্তিও দেওয়া হবে।

জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষকে শোনানোর জন্য এবং মানুষের নিকট প্রসিদ্ধি লাভ করার জন্য কোনো আমল করে— আল্লাহ তাআলা তার অবস্থা মানুষকে শুনিয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করে, আল্লাহ তাআলা তাকে রিয়াকারীর শাস্তি দেবেন। (বুখারি, হাদিস : মুসলিম, হাদিস :)

অনেক সময় দেখা যায়- গরিবের দল অপমান, ধাক্কাধাক্কি করে কিছু মাংস পেলেও মধ্যবিত্ত কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছে গরিবের কাছ হতে মাংসগুলো কিনবে বলে!! চোখলজ্জায় কারো কাছে চাইতে পারে না।

কিন্তু সন্তানগুলোকে একবেলা ভালো খাবার দিতে মন চায়। কুরবানির পশু দেওয়ার আনন্দে ধনী আত্মীয়রাই তাকে শরীক করেনি সামর্থ্য, বা সম্পর্কের তিক্ততার কারনে।
অথচ স্বজন,প্রতিবেশীদের হক্ব রয়েছে আর ঈদের উসিলায় মিটে যাক তিক্ততা।

পেটে ক্ষুধা নিয়ে মানুষ ঘুরছে চারপাশে আর একদল ব্যস্ত গরুর ওজন কত হয়েছে, প্রতি কেজি মাংস কত টাকা পড়লো আর নিজ ফ্রীজে জায়গা হবে কি! এই সমীকরনে ব্যস্ত।

অথচ- হজরত সালামা ইবনে আকওয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের যে লোক কুরবানি করেছে, সে যেন তৃতীয় দিনে এমন অবস্থায় সকাল অতিবাহিত না করে যে, তার ঘরে কুরবানির গোশতের কিছু থেকে যায়।

পরবর্তী বছর সাহাবিগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কি তেমন করব, যেমন গত বছর করেছিলাম? তখন তিনি (রাসুলুল্লাহ) বললেন-‘তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখ। কারণ গত বছর মানুষের মধ্যে ছিল অনটন। তাই আমি চেয়েছিলাম, তোমরা তাতে সহযোগিতা কর।’ (বুখারি, মুসলিম)।

তাই যখন অভাব অনটন চারপাশে বিদ্যমান তখন বেশি পরিমান দান করাই উওম।

আল্লাহ সকলকে শিরক,রিয়া,বিদআতমুক্ত কুরবানি করার তৌফিক দিন। গরীবের অধিকার আদায় করে ধনীদের সম্পদ পবিএ হওয়ার তৌফিক দিন।
আমাদের জন্য দোয়া করুন - যেন ইসলামের পথে নিবেদিত হতে পারি।

06/09/2023

হযরত আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে, যখন দ্বীনদারের জন্য দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা জ্বলন্ত অঙ্গার হাতে রাখার মত কঠিন হবে। (তিরমিযী: বাবু মা জা.আ আন সাব্বির রিয়াহী, ২১৮৬)

Address

Cumilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dawah- দাওয়াহ'シ︎ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share