হৃদয়ে কুমিল্লা - Hridoye Comilla

হৃদয়ে কুমিল্লা - Hridoye Comilla পেইজ ফলো করে কুমিল্লার ইতিহাস, ঐতিহ্য
(1)

28/09/2019

জাহাপুর জমিদার বাড়ি, মুরাদনগর, কুমিল্লা।

ছবিগুলো দেখে সবাই কি ভাবসেন?? দেশের বাইরে কোন জায়গার?? কিংবা বাংলাদেশ এর কোথায় তুলা এই ছবিগুলা??সুন্দর এই পার্কটি কুমিল্...
11/06/2019

ছবিগুলো দেখে সবাই কি ভাবসেন?? দেশের বাইরে কোন জায়গার?? কিংবা বাংলাদেশ এর কোথায় তুলা এই ছবিগুলা??

সুন্দর এই পার্কটি কুমিল্লার কোটবাড়িতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর খুব কাছে অবস্থিত। চমৎকার মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে পার্কটি স্থাপিত হয়েছে।

২য় মেঘনা, গোমতী এবং কাচপুর সেতু চালু হওয়াতে এখন চাইলে খুব সহজেই ঢাকা থেকে দিনে দিনেই ঘুরে আসতে পারেন লালমাই পাহাড় এর কোলে অবস্থিত এই পার্ক থেকে।

গ্রুপে এর আগেও এই পার্ক এর ব্যাপারে একটা পোস্ট করা হয়েছিলো যদিও তখন পার্কটি পুরোপুরিভাবে চালু হয়নি। এখন দর্শনার্থীদের জন্য পার্কটি পুরোপুরিভাবে চালু আছে।

বাই দা ওয়ে পার্কটির নামটাও খুব সুন্দর Magic Paradise।

কিভাবে যাবেন এবং খরচাপাতিঃ

ঢাকা কমলাপুর অথবা সায়েদাবাদ থেকে কুমিল্লাগামী যেকোনো বাসে উঠে কোটবাড়ি বিশ্বরোড এ নেমে যাবেন। ভাড়া এসি ২৫০/- নন এসি ২০০/- (জাংগালিয়া বাস স্ট্যান্ড যে বাসগুলা যায় ঐ গুলাতে উঠবেন, রয়েল এসি, প্রিন্স বিজনেস ক্লাস এসি, এশিয়া এয়ারকন সহ এশিয়া, তিশার কিছু নন এসি বাস পাবেন) বিশ্বরোড থেকে কোটবাড়িগামী সিএনজিতে করে চলে যান, ভাড়া নিবে জনপ্রতি ১৫-২০/- তারপর একটা অটো/সিএনজি রিসার্ভ নিয়ে চলে যান অনিন্দসুন্দর পার্কটিতে। ভাড়া নিবে ১০০-১৫০/-

পার্ক এর এন্ট্রি ফি ২০০/-
ওয়াটার পার্ক এর এন্ট্রি ফি ৩০০/-
৬ বছরের নিচে বাচ্চাদের কোনো টিকেট লাগে না।

পাশাপাশি হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন ইটাখোলা মুড়া, রুপবান মুড়া, কুমিল্লা বার্ড, ময়নামতি যাদুঘর সহ বেশকিছু দর্শনীয় স্থান যা এই পার্কটির খুব কাছেই। তাই হাতে সময় নিয়ে আজই চলে আসুন অনিন্দসুন্দর এই জায়গায়।

পার্কটিতে যারাই ঘুরতে আসবেন খেয়াল করবেন যাতে আপনার দ্বারা পার্কটি ময়লা না হয়। আমরা যেখানেই যাই পরিবেশ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকি।

বিঃদ্রঃ এই পোস্টের কোনো ছবিই এডিট করা না, অনেকে জিজ্ঞেস করলো তাই পোস্ট এডিট করলাম।

কার্টেসি:- Tusar abedin.

আমার কুমিল্লা: পর্ব -০৫কুমিল্লা জেলাধীন বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক (মুড়া) স্থাপনা ও তাদের পরিচিতি  (এস.আই.সিপন)
31/12/2018

আমার কুমিল্লা: পর্ব -০৫
কুমিল্লা জেলাধীন বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক (মুড়া) স্থাপনা ও তাদের পরিচিতি

(এস.আই.সিপন)

আমার কুমিল্লা: পর্ব -০৪বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), কুমিল্লাবাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) ১৯৫৯ সালের ২...
19/12/2018

আমার কুমিল্লা: পর্ব -০৪
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), কুমিল্লা
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) ১৯৫৯ সালের ২৭ মে পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ড. আখতার হামিদ খান। বার্ড স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে বার্ড পরিচালিত হয় যার সভাপতি হলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী। একাডেমী কর্তৃক উদ্ভাবিত পল্লী উন্নয়নের ‘কুমিল্লা মডেল’ এর জন্য বার্ড দেশে-বিদেশে সুখ্যাতি অর্জন করে। পল্লী উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বার্ড ১৯৮৬ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ লাভ করে। বার্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ৩৬৫জন।

(এস.আই.সিপন)

আমার কুমিল্লা: পর্ব -০৩ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, কুমিল্লা১৯৪১-১৯৪৫ সালে বার্মায় সংঘটিত যুদ্ধে যে ৪৫০০০ কমনওয়েলথ সৈনিক নিহত ...
16/12/2018

আমার কুমিল্লা: পর্ব -০৩
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, কুমিল্লা
১৯৪১-১৯৪৫ সালে বার্মায় সংঘটিত যুদ্ধে যে ৪৫০০০ কমনওয়েলথ সৈনিক নিহত হন, তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে মায়ানমার, আসাম এবং বাংলাদেশ মোট ৯টি রণ সমাধিক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে দুটি কমনওয়েথ রণ সমাধিক্ষেত্র আছে, যার অপরটি চট্টগ্রামে অবস্থিত। ময়নামতি রণ সমাধিক্ষেত্র মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫) নিহত ভারতীয় (তৎকালীন) ও বৃটিশ সৈন্যদের কবরস্থান।

এটি ১৯৪৩-১৯৪৪ সালে তৈরি হয়েছে। কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের খুব কাছেই এই যুদ্ধ সমাধির অবস্থান। এই সমাধিক্ষেত্রটি Commonwealth War Graves Commission (CWGC) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ও তারাই এই সমাধিক্ষেত্র পরিচালনা করেন। প্রতি বছর নভেম্বর মাসে সকল ধর্মের ধর্মগুরুদের সমন্বয়ে এখানে একটি বার্ষিক প্রার্থণাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাধিক্ষেত্রের ৭৩৬টি কবর আছে। এর মধ্যে অধিকাংশ হলেন সেসময়কার হাসপাতালের মৃত সৈনিকরা। তাছাড়াও যুদ্ধের পর বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু লাশ স্থানান্তর করেও এখানে সমাহিত করা হয়। বাহিনী অনুযায়ী এখানে এর মধ্যে রয়েছেন ৩ জন নাবিক, ৫৬৭ জন সৈনিক এবং ১৬৬ জন বৈমানিক। সর্বমোট ৭২৩ জন নিহতের পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছিল।

(এস.আই.সিপন)

আমার কুমিল্লা: পর্ব -০২শালবন বিহার (ভবদেব মহাবিহার/ রাজার বাড়ি)কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিমি. পশ্চিমে লালমাই ময়নামতি নামক অনু...
14/12/2018

আমার কুমিল্লা: পর্ব -০২
শালবন বিহার (ভবদেব মহাবিহার/ রাজার বাড়ি)
কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিমি. পশ্চিমে লালমাই ময়নামতি নামক অনুচ্চ গিরি শ্রেণির পাদদেশে এটি অবস্থিত।

দেব বংশের চতুর্থ রাজা ভবদেব এটি সপ্তম শতক থেকে অষ্টম শতকের মধ্যেকার সময়ে নির্মাণ করেন। বর্গাকার এই বৌদ্ধ বিহারের প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ৫৫০ ফুট। ৪টি বাহুতে সর্বমোট ১১৫টি সন্ন্যাস কক্ষ, মধ্যভাগে একটি উন্নত বৌদ্ধ মন্দির এবং মূল মন্দিরের চারপাশে ১২টি ছোট মন্দির ও ৮টি স্তুপ রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে কেন্দ্রীয় মন্দিরে ৬টি এবং বিহারে ৪টি নির্মাণ যুগের সন্ধান পাওয়া যায় এবং ১ম নির্মাণ যুগ ৬ষ্ঠ শতক এবং শেষ নির্মাণ যুগ ১২শ শতক বলে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ মনে করেন।

(এস.আই.সিপন)

প্রাণের শহরের বিভিন্ন জায়গার কিছু অসাধারণ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য 😍
13/12/2018

প্রাণের শহরের বিভিন্ন জায়গার কিছু অসাধারণ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য 😍

আমার কুমিল্লা: পর্ব-০১ (ধর্মসাগর, নগর উদ্যান ও সিটি পার্ক)ত্রিপুরার অধিপতি মহারাজা প্রথম ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে ধর্মসাগর ...
13/12/2018

আমার কুমিল্লা: পর্ব-০১ (ধর্মসাগর, নগর উদ্যান ও সিটি পার্ক)
ত্রিপুরার অধিপতি মহারাজা প্রথম ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে ধর্মসাগর খনন করেন। মহারাজা ধর্মমাণিক্যের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় ধর্মসাগর। ধর্মসাগরের আয়তন ২৩:১৮ একর। এটির পূর্বে কুমিল্লা স্টেডিয়াম ও কুমিল্লা জিলা স্কুল, উত্তরাংশে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যান ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত। কুমিল্লার শহরবাসীর নিকট এই দীঘিটি একটি বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এখানে অবকাশ উদযাপনের নিমিত্ত প্রতিদিন বিপুল জন সমাগম হয়ে থাকে।

(এস.আই.সিপন)

ছেলেটার নাম জানা যায় নি আজ অবধি... ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের মিছিল চলছে।হঠাৎ একটা মিছিলের সামনে চলে আসে ও।পরে ওকে সামনে রে...
03/05/2018

ছেলেটার নাম জানা যায় নি আজ অবধি... ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের মিছিল চলছে।হঠাৎ একটা মিছিলের সামনে চলে আসে ও।পরে ওকে সামনে রেখেই মিছিল যায়।এক সাংবাদিক এই ছবি তোলার পরে রিল টানতে গিয়ে হঠাৎ বিকট গুলির শব্দ হয়।চেয়ে দেখে ছেলেটার বুক ঝাঁজরা করে দিয়েছে মিলিটারি।ওর ২য় ছবি আর তোলা হয় নি.....
(সুত্রঃ রাসিদ তালুকদার, তৎকালীন ফটোসাংবাদিক)

৩০ লক্ষ গল্পের একটি মাত্র গল্প এটি!এসব বীরদের বীরত্ত্বের কথা আমরা কেউ মনে রাখিনা,আমরা শুধু মনে রাখি নিজের স্বার্থের কথা,দেশের স্বার্থ আমাদের কাছে কিছুই নয়।দেশ রসাতলে যাক,আমি বাঁচলেই বড় কথা।কিন্তু এই বীরসেনা কখনো তা ভাবেনি।
স্যালুট আর শ্রদ্ধা শুধু তার জন্য।

লেখা সংগ্রহীত !

18/04/2018

.
বাংলাদেশের দেশের প্রথম ডাইনো পার্ক |
পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় !

শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দেন।

05/04/2018

আমার দেশ আমার জেলা,
গোমতী নদীতে ভাসাই বেলা,
ধর্ম সাগর পার্কে করি খেলা,
দেশের সেরা জেলার সেরা আমার কুমিল্লা জেলা 😍

30/03/2018

কুমিল্লায় বেগুনি পাতার ধান রোপন করে ,
তাক লাগিয়েছেন কৃষক মঞ্জুর হোসেন।

17/03/2018

#রেমিটেন্স_সৈনিক বিশ্বের সকল প্রবাসী ভাই-বোনদের জানাই হাজার কোটি সালাম।
গানটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।

03/03/2018

পুলিশদের ট্রেনিং।।। দেখে নিন কিভাবে পরিচালিত হয়।

কুমিল্লা থেকে সকল ট্রেনের সময়সূচী। আপনাদের কাজে লাগতে পারে 🙌🙌
03/03/2018

কুমিল্লা থেকে সকল ট্রেনের সময়সূচী। আপনাদের কাজে লাগতে পারে 🙌🙌

22/02/2018

এক যুগেরও বেশী সময় ধরে আহত পাখিদের সেবা দিয়ে আসছে আমাদের কুমিল্লার মতিন সৈকত। বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে।।

BBC_বাংলা news থেকে নেওয়া।

আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৫খলিফার এক খলিফা বৃহত্তর কুমিল্লার  সন্তান, জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন এর ২৪তম মৃত্যু...
09/02/2018

আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৫খলিফার এক খলিফা বৃহত্তর কুমিল্লার সন্তান, জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন এর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। আসুন আমরা আজকে এই বীরের একমাত্র সন্তান তারেক মাখন বাঘার কিছু লেখা পড়ি,,

১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮ আমার আব্বু জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন এর ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী । আপনারা সবাই আমার আব্বুর জন্য দোয়া করবেন।

"আমার বাবা আমার গর্ব,
আমার বাবা আমার অহংকার"

নিম্নে আব্বুর সংক্ষিপ্ত জীবনী দেওয়া হলো

স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন ১৯৪৭ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মরহুম মোহাম্মদ আবদুল আলী এবং মাতা মরহুমা আলহাজ্ব আমেনা খাতুন। সাত ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জনাব মাখন ছিলেন তৃতীয়। তিনি শৈশব থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

স্কুল জীবনেই তাঁর ছাত্র রাজনীতির গোড়াপত্তন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার স্কুল ছাত্র/ছাত্রীদের সংগঠিত করে ছাত্র আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ হাই স্কুল থেকে ১ম বিভাগ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ক্লাশে ভর্তি হন। অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজে পরিচিত হয়ে উঠেন এবং ছাত্র লীগের নেতৃত্বে আসীন হন।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে ছাত্র আন্দোলনকে গতিশীল করেন। তিনি ১৯৬৬-৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৮-৬৯ সালে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র নেতা হিসাবে ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯ সালে এম এ পাশ করে একই বৎসরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭০ সালে তিনি সর্ব প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং তৎকালীন ডাকসুর নেতৃত্বে গোটা ছাত্র সমাজকে ছাত্রলীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করতে অসামান্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

১৯৭১ সালে গঠিত স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার সদস্যের অন্যতম এক সদস্য জনাব আবদুল কুদ্দুস মাখন। স্বাধীনতা আন্দোলনে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঐতিহাসিক ভূমিকা বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে এ দেশের ছাত্রজনতা সুসংগঠিত হয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংগঠিত করার কাজে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ২রা মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সম্মুখে সর্ব প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং ৩ রা মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মুখে রেখে পল্টন ময়দানের ঐতিহাসিক ছাত্র জনসভায় স্বাধীনতার প্রথম ইস্তেহার পাঠ করা হয় এবং এই ইস্তেহারেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি ও বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক ঘোষণা করা হয়। ২৩ শে মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন পূর্বক অভিবাদন প্রদান করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলার পতাকা উপহার দেয়া হয়।

জনাব মাখন ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্র সমাজের নেতৃত্ব দান করেন। এই অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে সুসংগঠিত করার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার (চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে গঠিত) সকল শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধাদের রিক্রুটমেন্ট, ট্রেনিং ও অস্ত্র সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পূর্বাঞ্চলীয় লিবারেশন কাউন্সিলের ছাত্রনেতা ছিলেন।
ইতিহাস লিখে শেষ করতে পারবো না আমার বাবার। প্রিয় কুমিল্লাবাসী, আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।

ধন্যবান্তে,

তারেক মাখন বাঘা।

একেই বলে সুন্তান,, দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ছেলের এই শপথ অনুষ্ঠান হুইল ...
04/02/2018

একেই বলে সুন্তান,, দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ছেলের এই শপথ অনুষ্ঠান হুইল চেয়ারে বসে প্রত্যক্ষ করলেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শতবর্ষী বৃদ্ধ বাবা ও মা।

শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে কয়েকটি স্থিরচিত্রসহ এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে।

শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, আজকে প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠানে তার শতবর্ষী বাবা ও মা এসেছিলেন। বিষয়টি শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অনেকেরই দৃষ্টি কাড়ে।

প্রধান বিচারপতির বাবা-মা বলেন, বৃদ্ধ বয়সে ছেলেকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে দেখতে পারছি এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না।

পরে প্রধান বিচারপতির বাবা-মায়ের সঙ্গে ফটোসেশনে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরাও অংশ নেন।

কুমার দেবুল দে বলেন, এটি এক দুর্লভ ঘটনা, পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী পিতামাতা। ছেলেকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিতে দেখা এক আশ্চর্য ঘটনা। ছবিটা যখন তুলতে গেলাম ঠিক সেই মুহূর্তে মাননীয় বিচারপতিরা এক প্রকার আমাকে অনুরোধ করেই পিছনে দাঁড়িয়ে এই ছবির অংশ হতে চাইলেন।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী ও মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান। সৈয়দ মুস্তফা আলী কুমিল্লার আদালতে আইনজীবী হিসেবে এখনও প্রাকটিস করছেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে ছেলের শপথ অনুষ্ঠানে এসে পিতা হিসেবে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আমাকে (দেবুল দে) তিনি (সৈয়দ মুস্তফা আলী) বলেন, ‘এটা আমার জন্য পুরস্কার, আমার জন্য গর্বের। প্রধান বিচারপতি হিসেবে ছেলের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার চেয়ে গর্বের আর কী হতে পারে!’

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতিদের কয়েকজন, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

Address

Cumilla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হৃদয়ে কুমিল্লা - Hridoye Comilla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share