05/11/2025
যে ভালোবাসা শেষমেশ জীবনটাই কেঁড়ে নেয়, সেই ভালোবাসার গল্প বলবো আজ৷
কুমিল্লার ছেলে মনিল ফয়সাল সায়মন আর তার প্রেমিকা তানহা বিনতে বাশার — দু’জনের গল্প এটা। শুরু কলেজ জীবনে, সরল একটা প্রেম। তারপর সময় বদলালো, ওরা উঠলো ভার্সিটিতে। সায়মন ভর্তি হলো ইউল্যাব-এ, আর তানহা গেলো ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে।
প্রেমিকাকে ছাড়া সায়মনের দিন কেমন যেনো ফাঁকা লাগতে লাগলো। তাই একদিন সে তানহাকে বললো — “তুই ইউল্যাবে ভর্তি হ।” প্রেমিকের জন্য ভালোবাসা যতটা গভীর হলে কেউ এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তানহা ততটাই ভালোবাসতো। সে সত্যি সত্যিই ইউল্যাবে ভর্তি হয়ে গেলো!
শুরুর দিনগুলো ছিলো সুন্দর, কিন্তু বেশিদিন টেকেনি। ধীরে ধীরে সম্পর্কের ভেতর ঢুকে পড়লো দূরত্ব। সায়মন একসাথে দু’জনের সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করলো — তানহা আর নতুন এক মেয়ের সঙ্গে। তানহার প্রতি মনোযোগ কমে গেলো, মেসেজ রিপ্লাই কমে গেলো, মানসিক নির্যাতন বাড়তে লাগলো।
তানহা তখনও কিছু জানতো না। সে কেবল ভাবতো, হয়তো সায়মন ব্যস্ত। একসময় সে সায়মনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, চায় সম্পর্কটাকে একটা পরিণতি দিতে। কিন্তু সায়মন তখন নতুন প্রেমে ডুবে, পুরনো প্রেমিকার অস্তিত্বই যেন ভুলে গেছে। তানহা বারবার কেঁদেছে, অনুরোধ করেছে— এমনকি একসময় বলেছে, “আমি কিন্তু আর থাকবো না!”
কিন্তু কোনো কথা সায়মনের মনে পৌঁছায়নি।
শেষদিকে তানহার বাবা ফোন দিয়ে বলেছিলেন, “বাবা, আমি তোমাকে নিতে আসবো।” তানহা প্রথমে রাজি হয়েছিলো, কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিয়ে বলেছিলো — “বাবা, আমাকে মাফ কইরো, তোমার সাথে আর দেখা হবে না…”
তারপর?
সব শেষ।
ভালোবাসা যার জন্য বাঁচার কথা, সেই ভালোবাসাই তানহার জীবন কেড়ে নিলো। প্রেমিক পেলো না, জীবন হারালো। পেছনে রয়ে গেলো শূন্য বাবা-মা, বন্ধুর কান্না, আর একটা প্রশ্ন — যে ভালোবাসা মৃ%ত্যু%র দিকে ঠেলে দেয়, সেটা কি সত্যি ভালোবাসা?
তানহা শেষ পর্যন্ত শুধু তাকিয়েই গেলো তার প্রিয় মানুষটার দিকে…
নীরব, অনন্ত ভালোবাসায়।