JamilJarif

JamilJarif কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে এবং দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য সকলের সহযোগিতা নিয়েকাজ করে যেতে চাই

12/05/2025

📍 ব্রি ধান১০৩ এর চাষ পদ্ধতি ও জিবনচক্র A to Z জেনে বুঝে চাষ করুন তাহলে লাভবান হবেন!

✅ জীবনকাল: ১২৮-১৩৩ দিন
✅ ফলন: ২০-২৫ মন(৩৩শতকে)
✅ রোপন দূরত্ব:১০×৮ ইঞ্চি
✅ প্রতি গোছায় কুশির সংখ্যা: ২-৩ টি
✅ রোপন গভীরতা: ১-১.৫ ইঞ্চি

✅ স্তরভিত্তিক বিভাজন:
স্তর-০ঃ বীজের অংকুরোদগম থেকে চারা পর্যন্ত ২ দিন)
স্তর-১ঃ বীজতলায় চারা অবস্থা ২০-২৫ দিন
স্তর-২ঃ রোপন ও রিকোভারি স্তর ৫ দিন
স্তর-৩ঃ কুশি বৃদ্ধি স্তর ৪১-৪৬ দিন
(কুশি বৃদ্ধি স্তরে তিনবার ইউরিয়া সার এবং একবার মিউরেট অব পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হয়।)
স্তর-৪ঃ পিআই স্তর/কাইচ থোর স্তর ১০ দিন
স্তর-৫ঃ থোর স্তর ১০ দিন
স্তর-৬ঃ শীষ উদগমন ও ফুল ফোটা স্তর ১০ দিন
স্তর-৭ঃ দুধ স্তর ১০ দিন
স্তর-৮ঃ মন্ড বা ডাফ স্তর ১০ দিন
স্তর-৯ঃ পরিপক্ক স্তর ১০ দিন

✅ বিঘা প্রতি সার প্রয়োগমাত্রা ও সুনির্দিষ্ট সময়:
জমি চাষের শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পঁচা গোবর ছিটিয়ে দিতে হবে এবং জমিতে শেষ চাষ দেওয়ার সময় ৮ কেজি এম‌ওপি, ১১-১২ কেজি টিএসপি/ডিএপি, ১০-১২ কেজি জীপসাম এবং ১কেজি জিংক সালফেট সার মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। জিংক সার আলাদা ছিটাবেন।

#প্রথম_কিস্তি_সার_উপরি_প্রয়োগ_সময়:
ধানের চারা রোপনের ১০ দিন পর ৮ কেজি ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করবেন।

#২য়_কিস্তি_সার_উপরি_প্রয়োগ_সময়:
ধানের চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর ৮ কেজি ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করবেন।

#৩য়_কিস্তি_সার_উপরি_প্রয়োগ_সময়:
ধানের চারা রোপনের ৩৫-৪০ দিন পর ৮ কেজি ইউরিয়া সার এবং ৭ কেজি মিউরেট অব পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করবেন।
⚠️ সার প্রয়োগের সময় জমিতে ছিপছিপে পানি থাকালে সার দ্রুত কাজ করে।

এহসান আহমদ জামিল
উপসহকারী কৃষি অফিসার

সময়োচিত কৃষি বিষয়ক পরামর্শ পেতে JamilJarif আইডি লাইক কমেন্ট বা শেয়ার করে পাশে থাকুন।

#ধানের #চাষ

08/05/2025

Ahsan Ahmad Jamil

06/05/2025

📌 রোপা আমন মৌসুমে চাষযোগ্য ধানের উচ্চ ফলনশীল ও জনপ্রিয় ২৫ টি জাত ও জীবনকাল ❗

জাতের নাম:::::::::::::::: জীবনকাল
১. বি আর ২২ ১৫০ দিন
২. ব্রি ধান ২৩ ১৫০ দিন
৩. ব্রি ধান ৩৪ ১৩৫ দিন
৪. ব্রি ধান ৪৯ ১৩৫ দিন
৫. ব্রি ধান ৫১ ১৪২-১৫৭ দিন
৬. ব্রি ধান ৫২ ১৪০-১৫৫ দিন
৭. ব্রি ধান ৬২ ১০০ দিন
৮. ব্রি ধান ৭১ ১১৫ দিন
৯. ব্রি ধান ৭২ ১২৫ দিন
১০. ব্রি ধান ৭৫ ১১৫ দিন
১১. ব্রি ধান ৭৯ ১৩৫ দিন
১২. ব্রি ধান ৮০ ১৩০ দিন
১৩. ব্রি ধান ৮৭ ১২৭ দিন
১৪. ব্রি ধান ৯০ ১২২ দিন
১৫. ব্রি ধান ৯১ ১৫৬ দিন
১৬. ব্রি ধান ৯৩ ১৩৪ দিন
১৭. ব্রি ধান ৯৪ ১৩৪ দিন
১৮. ব্রি ধান ৯৫ ১২৫ দিন
১৯. ব্রি ধান ১০৩ ১২৮-১৩৩ দিন
২০. ব্রি হাইব্রিড ধান ৪ ১১৮ দিন
২১. ব্রি হাইব্রিড ধান ৬ ১২০ দিন
২২. বিনা ধান ৭ ১১০-১২০ দিন
২৩. বিনা ধান ১১ ১৩০-১৩৫ দিন
২৪. বিনা ধান ১৭ ১১২-১১৮ দিন
২৫. বিনা ধান ২০ ১৪৮-১৫৩ দিন

এই জাত গুলোর মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতগুলো হলো: ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৩৪, ব্রি ধান ৮৭ ও ব্রি ধান ১০৩

পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে রোপা আমন ধানের প্রতিটি জাতের চাষ পদ্ধতি A to Z তথ্য তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।

এহসান আহমদ জামিল
উপসহকারী কৃষি অফিসার

#ধানের #চাষ #আধুনিক #প্রযুক্তি

28/04/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

পেঁপে বাগানে সঠিক শিডিউল অনুসরণ করে সার প্রয়োগ করলে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত পেঁপে ধরে✅ চারা রোপণের আগে সার প্রয়োগ শিডিউ...
23/04/2025

পেঁপে বাগানে সঠিক শিডিউল অনুসরণ করে সার প্রয়োগ করলে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত পেঁপে ধরে

✅ চারা রোপণের আগে সার প্রয়োগ শিডিউল:
চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পূর্বে প্রতি গর্তের মাটিতে পঁচা গোবর ১০ কেজি,টিএসপি/ডিএপি ৭০-৮০গ্রাম, জিপসাম২৫-৩০ গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২০ গ্রাম, জিংক ৫-১০ গ্রাম ও বোরন ৫-১০ গ্রাম মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
জিংক সার আলাদা মিশিয়ে দিবেন।

✅ চারা রোপণের পর সার প্রয়োগ শিডিউল:
💊 ৩০-৩৫ দিন পর ১ম ডোজ:
গাছ প্রতি ইউরিয়া ৫০ গ্রাম ও এমওপি ৫০
গ্রাম গোড়া থেকে ১০-১২ ইঞ্চি দূরে মাটির
সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
💊 ৬০-৬৫ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ:
গাছ প্রতি ইউরিয়া ৫০ গ্রাম এবং ডিএপি ৫০
গ্রাম গোড়া থেকে ১-১.৫ ফুট দূরে মাটির
সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
💊 ৯০-৯৫ দিন পর তৃতীয় ডোজ:
গাছ প্রতি ইউরিয়া ৮০-৯০ গ্রাম গোড়া
থেকে ১.৫ ফুট দূরে মাটির সাথে মিশিয়ে
দিতে হবে।
💊 ১২০-১৩০ দিন বয়সে চতুর্থ ডোজ:
গাছ প্রতি ইউরিয়া ১০০ গ্রাম, ডিএপি
৫০-৬০ গ্রাম এবং বোরন ১০ গ্রাম গোড়া
থেকে ১.৫-২ ফুট দূরে মাটির সাথে মিশিয়ে
দিতে হবে।

🔴 বিঃদ্রঃ চারা রোপণের পর চারার বৃদ্ধি কম হলে বা গাছের গ্রোথ কম থাকলে সারের সাথে বায়োফার্টি অথবা মিরাকেল গ্রোথ ব্যবহার করলে বৃদ্ধি দ্রুত হয়।

⚠️ সতর্কতা: জামির উর্বরতা কম থাকলে প্রচুর পরিমাণে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে!

এহসান আহমদ জামিল
উপসহকারী কৃষি অফিসার

সময়োচিত কৃষি বিষয়ক পরামর্শ পেতে JamilJarif আইডি অনুসরণ করুন।


#পেপে #চাষ #পদ্ধতি #সার #ব্যবস্থাপনা

📌 পেপের মোজাইক ভাইরাস রোগ দমনে করণীয় কি⁉️✅ রোগ হবার আগে কি কি করণীয় ⁉️১. জাব পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক তাই      পে...
23/04/2025

📌 পেপের মোজাইক ভাইরাস রোগ দমনে করণীয় কি⁉️

✅ রোগ হবার আগে কি কি করণীয় ⁉️
১. জাব পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক তাই
পেঁপে গাছ সাদা মাছি ও জাব পোকা মুক্ত রাখতে
স্প্রে শিডিউল অনুসরণ করতে হবে।
২. ভাইরাসমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করতে হবে।

✅ আক্রান্ত গাছে কী করণীয় ⁉️
মোজাইক রোগে আক্রান্ত গাছ ভালো হয়না
বরং অন্যান্য গাছে রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে
তাই গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলাই উত্তম।
তবে কোন কোন কৃষকের জমিতে প্রতি লিটার
পানিতে ৩-৪ গ্রাম সালফার ৮০% ব্যবহার করে
দেখা গেছে গাছ ভালো হয়েছে।

⚠️ মোজাইক রোগ দমনে স্প্রে শিডিউল:
১ম বার ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক
প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২-৩ মিলি
২য় বার থায়ামেথোক্সাম গ্রুপের কীটনাশক প্রতি
১০ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম
৩য় বার এসিটামিপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক প্রতি
১০ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম
পর্যাক্রমে ৭-১০ দিন পরপর চলবে.....

এহসান আহমদ জামিল
উপসহকারী কৃষি অফিসার

সময়োচিত কৃষি বিষয়ক পরামর্শ পেতে JamilJarif আইডি অনুসরণ করুন।

📌বৈশাখ মাসে কৃষকের কি কি করণীয়⁉️১.  বোরো ধান ৮০% পরিপক্ক হলেই দ্রুত কর্তন       করে নিরাপদে রাখুন।২. যে সকল জমি এখন ফুল...
23/04/2025

📌বৈশাখ মাসে কৃষকের কি কি করণীয়⁉️
১. বোরো ধান ৮০% পরিপক্ক হলেই দ্রুত কর্তন
করে নিরাপদে রাখুন।
২. যে সকল জমি এখন ফুল অবস্থায় আছে, ফুল
ফোটা শেষ হলে নাটিভো অথবা স্ট্রমিন অথবা
ব্লাস্টিন স্প্রে করুন।
৩. ১৫ বৈশাখ পর্যন্ত তোষা পাটের বীজ বপন করা
যায়। তাই যথাসম্ভব দ্রুত বীজ বপন করতে হবে।
৪. আউশ ধানের বীজতলা তৈরি ও বীজ বপনের
সময় এখন। রোপা আউশ বন্যা মুক্ত আংশিক
সেচনির্ভর মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিম্ন জমি
আবাদের জন্য নির্বাচন করতে হবে। রোপা
আউশ ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত ব্রি ধান৪৮,
ব্রি ধান৯৮ এবং ব্রি হাইব্রিড ধান ৭
৫. বসতবাড়ির বাগানে ডাঁটা, কলমিশাক, পুঁইশাক,
করলা, ঢেঁড়শ, বেগুন, পটল চাষের জন্য
উদ্যোগ নিতে হবে।
৬. মাদা তৈরি করে চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, শশা,
মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়ার বীজ বুনে দিতে হবে।
৭. এ মাসে কুমড়া জাতীয় ফসলে মাছি পোকা
ব্যাপকভাবে ভাবে ক্ষতি করে থাকে। এ ক্ষেত্রে
কুমড়াজাতীয় ফসলের মাছিপোকা দমনের
জন্য পানি বিহীন সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহার
করতে হবে । কুমড়া জাতীয় সব সবজিতে কৃত্রিম
পরাগায়ন করতে হবে।
৮. গ্রীষ্মকালিন টমেটো চাষ করতে চাইলে
বারি টমেটো-৪, বারি টমেটো-৫, বারি টমেটো-৬,
বারি টমেটো-১০, বারি হাইব্রিড টমেটো-৪,
বারি হাইব্রিড টমেটো-৮,বিনাটমেটো-৩,
বিনাটমেটো-৪ চাষ করতে পারেন।

⚠️এই সময়ে অতি বৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা খুবই বেশি ফলে কৃষকরা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে তাই কৃষক ভাইয়েরা সবসময় নিকটস্থ উপসহকারী কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

এহসান আহমদ জামিল
উপসহকারী কৃষি অফিসার

সময়োচিত কৃষি বিষয়ক পরামর্শ পেতে JamilJarif আইডি লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথে থাকুন।

22/04/2025

একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার দৈনিক কর্মকান্ডের গল্প ।

20/04/2025

জমির ধান ৮০% পেকে গেলে কর্তন করে ফেলুন।

 #পানিকচু_বা_লতিরাজ_কচু_কিভাবে_আবাদ_করবেন? #মাটিঃপানিকচু সাধারণত সমতল ভূমির ফসল। সব সময় ভেজা থাকে এমন মাটিতে পানিকচু ভাল...
18/04/2025

#পানিকচু_বা_লতিরাজ_কচু_কিভাবে_আবাদ_করবেন?

#মাটিঃ
পানিকচু সাধারণত সমতল ভূমির ফসল। সব সময় ভেজা থাকে এমন মাটিতে পানিকচু ভালো জন্মে। গাছের গোড়ার পানি চলমান থাকা বাঞ্চনীয়। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ এঁটেল দোঁ-আশ ও দোঁ-আশ মাটি পানিকচু চাষের জন্য উপযোগী। সারাদিন রোদ পায় এমন স্থানে কচু চাষ করা উচিত। এ

#জলবায়ুঃ
ফসলের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু প্রয়োজন। ২৫-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ ফসলটি ভালো জন্মে।

#জাত
পানিকচুর জাতগুলো ২ ধরনের অর্থাৎ লতি বা রাইজোম উৎপাদি। প্রধানত লতি উৎপাদনকারী: ৪টি

বারি পানিকচু ১ (লতিরাজ), বারি পানিকচু ২, বারি পানিকচু ৮ ও বারি পানিকচু ৯। প্রধানত রাইজোম উৎপাদনকারী: ৫টি

বারি পানিকচু ৩/ বারি পানিকচু ৪/বারি পানিকচু ৫/বারি পানিকচু ৬ ও বারি পানিকচু ৭।

#বারি_পানিকচু-১ (লতিরাজ) এর বৈশিষ্ট্যঃ
জীবনকাল:
১৮০-২৭০ দিন (রোপণের পর থেকে)।
হেক্টর প্রতি ফলন:
লতি ২৫-৩০ টন ও রাইজোম ১২-১৫ টন

#বারি_পানিকচু ২ এর বৈশিষ্ট্য:
জীবনকাল: ১৮০-২৭০ দিন (রোপণের পর থেকে)।
হেক্টর প্রতি ফলন:
লতি ২৫-৩০ টন ও রাইজোম ১২-১৮ টন

#বারি_পানিকচু_৩ এর বৈশিষ্ট্য
জীবনকাল:১৮০-২৪০ দিন
হেক্টর প্রতি ফলন:
লতি ১০-১৫ টন ও রাইজোম ২৫-৩০ টন

#বারি_পানিকচু_৪
জীবনকাল:
১৮০-২৪০ দিন
হেক্টর প্রতি ফলনঃ
লতি ৫-৮ টন ও রাইজোম ৩৫-৪০ টন

#বারি_পানিকচু_৫ঃ
জীবনকালঃ
১৮০-২৪০ দিন (রোপণের পর থেকে)।
হেক্টর প্রতি ফলন: লতি ৫-৮ টন ও রাইজোম ৩৫-৪০ টন

#বারি_পানিকচু_৬
জীবনকাল:
১৮০-২৪০ দিন (রোপণের পর থেকে)।
হেক্টর প্রতি ফলন:
লতি ১০-১৫ টন ও রাইজোম ৬০-৮০ টন

#বারি_পানিকচু_৭
জীবনকাল: ১৮০-২৪০ দিন (রোপণের পর থেকে)।
হেক্টর প্রতি ফলন:
লতি ৮-১১ টন ও রাইজোম ৬০-৭৫ টন

#বারি_পানিকচু_৮ঃ
জীবনকাল: ১৫০- ২১০ দিন (রোপণের পর থেকে)।
হেক্টর প্রতি ফলন: ২৫ টন কন্দের ফলন-২৪ টন

#বারি_পানিকচু_৯
জীবনকাল: ১৮০-২৪০ দিন (রোপণের পর থেকে)।
হেক্টর প্রতি ফলন:
লতি ৩০-৩৫ টন ও রাইজোম ২৫-৩০

#জমি_তৈরীঃ
পানিকচুর জমি শুকনা বা ভিজা উভয় অবস্থায়ই তৈরী করা যায়। তবে ভিজা অবস্থায় তৈরী করাই উত্তম। ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরী করা হয়। ধানের চারা রোপন করার উদ্দেশ্যে জমি যেভাবে তৈরী করতে হয় ঠিক সেভাবে পানিকচুর জমি তৈরী করা যায়। শুকনা জমি বলতে মাটির 'জো' অবস্থায় চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে অর্থাৎ আলু চাষের জন্য জমি যেভাবে তৈরী হয় সেভাবে জমি প্রস্তুত করা হয়।

#রোপণের_সময়
পানিকচুর চারা সারা বছরই লাগানো যায়। আন্তঃপরিচর্যা, সার, রোগ ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। তবে পানিকচুর চারা লাগানোর সর্বোত্তম সময় হচ্ছে মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারি (পৌষ মাস)। আগাম হিসেবে নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর (মধ্য কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাস) এবং নাবী (late) হিসেবে ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ (মধ্য মাঘ থেকে ফাল্গুন মাস) পর্যন্ত চারা লাগানো যায়।

#বীজ_হারঃ
রোপন দূরত্বের উপর নির্ভর করে চারার সংখ্যা বা বীজের হার। পানিকচু সাধারণতঃ গুড়ি চারা (sucker) দিয়ে বংশ বিস্তার করা হয়। লতির অগ্রভাগ ও প্রতিটি গিট (node) থেকে চারা উৎপন্ন হয়। প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩৭,০০০ (বিঘায় ৫০০০টি) চারার প্রয়োজন হয়।

#চারা_প্রস্তুতিঃ
জমি থেকে চারা তোলার সময়-ই চারার গোড়ার নিচের একটু অংশ কেটে তোলা ভালো। তা না হলে পরে চারার গোড়ার নিচের অংশ তেরচা করে কেটে দেয়া উত্তম। চারার সব পত্রফলক কেটে ফেলতে হবে।

#চারার_বয়সঃ
২-৫ মাস বয়সী চারা লাগানো যায়। নাবী ফসলের জন্য চারার বয়স ৪-৫ মাস হওয়া বাঞ্ছনীয়।

#চারা_রোপণ_দূরত্বঃ
পানিকচুর চারা সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সে.মি. (২ ফুট) এবং সারিতে ৪৫ সে.মি. (১.৫ ফুট) ব্যবধানে রোপণ করতে হয়।

#সারের_পরিমানঃ (বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে)

গোবর ২০০০ কেজি
ইউরিয়া ৪৫ কেজি
টিএসপি ২৫ কেজি
এমওপি ৪৫ কেজি
জিপসাম ১৬ কেজি
জিংক সালফেট ১.৫০ কেজি
বরিক এসিড ১ কেজি

প্রতি শতকে
গোবর ৬০ কেজি
ইউরিয়া ১.৩৬ কেজি
টিএসপি ৭৫৭ গ্রাম
এমওপি ১.৩৬ কেজি
জিপসাম ৪৯০ গ্রাম
জিংক সালফেট ৪৫ গ্রাম
বরিক এসিড ৩০ গ্রাম

#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ
সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট, বরিক এসিড, অর্ধেক পরিমাণ এমওপি এবং এক দশমাংশ ইউরিয়া জমি তৈরীর সময় শেষ চাষে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর নতুন পাতা গজালে
অর্থাৎ ১৫-২০ দিন পর এক দশমাংশ ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক এমওপি চারা লাগানোর ৬০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।
অবশিষ্ট ইউরিয়া সার ৬ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে প্রথমবার চারা লাগানোর ৬০ দিন পর এবং বাকী কিস্তিগুলি ১৫-২০ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ছিটানোর পর যাতে করে পানি বের হয়ে যেতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

#আগাছা_দমনঃ
পানিকচুর জমি সব সময়ই আগাছামুক্ত রাখতে হবে। চারা লাগানোর পর থেকে তিন/চার মাস পর্যন্ত জমিতে আগাছা অধিক জন্মাতে পারে। এ সময় জমি আগাছামুক্ত রাখা খুবই প্রয়োজন। কচুর পাতা বড় হয়ে পুরো জমি ছেয়ে ফেললে আগাছার উপদ্রুব কমে যায়। আগাছা দমনের জন্য বাজারে প্রচলিত আগাছানাশক প্রয়োগ করা যাবে না।

#সেচ_পানি_নিষ্কাশনঃ

পানিকচু লাগানো হয় শুষ্ক মৌসুমে। তাই চারা কাঁদা পদ্ধতিতে লাগানো ভালো। জমি ভেজা বা ছিপছিপে পানি রাখতে হবে। অপর পক্ষে শুকনা পদ্ধতিতে চারা লাগানো হলে মাটির 'জো' বুঝে সেচ দিতে হবে। পানিকচু চাষের জন্য দীর্ঘ জলাবদ্ধতা ভালো নয়। পানিকচুর জন্য দাঁড়ানো পানির গভীরতা ৮-১০ সে.মি. এর বেশী হওয়া উচিৎ নয়। এ জন্য মাঝে মাঝে দাঁড়ানো পানি নেড়ে চেড়ে দেয়া আবশ্যক। বর্ষাকালে বেশী পানি হলে তা নিষ্কাশনের মাধ্যমে বের করে দিতে হবে।

ংগ্রহঃ
লতি উৎপাদী পানিকচুর চারার বয়স, জাত ও লাগানোর সময়ের উপর ভিত্তি করে চারা রোপণের ৬০-৯০ দিনের মধ্যে প্রথম (চিকন) লতি সংগ্রহ করা যায়। প্রথম লতি সংগ্রহের পর ১০-১২ দিন পর পর তিনবার, পরে সাত দিন পর পর ৪/৫ বার, এরপর ৫ দিন পর ৭-৯ বার করে এবং পরবর্তীতে ৭-৮ দিন পরপর ২/৩ বার লতি সংগ্রহ করা যায়। চারা রোপণের কিছুদিন পর থেকেই লতি উৎপাদন শুরু হয়। প্রথম দিকের লতি সরু থাকে এবং এক বিঘত বা ৭/৮ ইঞ্চি লম্বা হলে কেটে সংগ্রহ করতে হবে। প্রথম উৎপন্ন লতিকে এর চেয়ে বড় হতে দেয়া যাবে না। গাছের আকার বড় হওয়ার সাথে সাথে লতিও পুরু হতে শুরু করে। শীতের প্রাক্কালে চারা রোপণ করলে শীতের শেষে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগ থেকে লতি সংগ্রহ আরম্ভ করা যায়। পুরো খরিপ মৌসুমব্যাপী পানিকচু গাছ লতি ছাড়তে থাকে। প্রতিটি লতি পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রাপ্ত হওয়ার পর সংগ্রহ করতে হবে। লতির মাথা মোটা হওয়ার পূর্বেই সংগ্রহ করা উচিত।

#ফলনঃ
জাত ভেদে ফলনের তারতম্য হয়। 'জাত অনুযায়ী ফলন' জাত অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে। সাধারণত লতি উৎপাদী জাতে লতির গড় ফলন ২০-৩০ টন/হেক্টর ও রাইজোমের ফলন ২৫-৩৫ টন/হেক্টর। অপরদিকে রাইজোম উৎপাদী জাতে রাইজোমের গড় ফলন ৪০-৭০ টন/হেক্টর ও লতির ফলন ৭-১৫ টন/হেক্টর।

কচুর বিভিন্ন রোগ

#পাতা_পোড়া/ঝলসানো রোগঃ
কচুর রোগের মধ্যে পাতা পোড়া/ঝলসানো রোগ অন্যতম।

রোগ দমন ব্যবস্থাপনা
গাছের রোগাক্রান্ত পাতা ছেটে ফেলা এবং ফসল সংগ্রহের পর জমিতে পড়ে থাকা মুখী/রাইজোম ও পাতা ধ্বংস করতে হবে।

জমিতে রোগ দেখা মাত্রই ছত্রাকনাশক যেমন- সিকিউর/এক্রোবেট এম জেড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে বা টিল্ট প্রতি লিটার পানিতে১ মিলি হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন অন্তর অন্তর ৩/৪টি স্প্রে করলে এ রোগ দমন/নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

#গোড়া_পঁচা_রোগ বা ফুট/কলার রটঃ

ক্ষেতের পানি সরিয়ে কার্বেনডাজিম গ্রুপের ঔষুধ (অটোস্টিন) ১ গ্রাম/লিটার হারে ফসলের গোড়া ও গোড়ার চার পাশের ভিজিয়ে দিতে হবে। তবে ভিজিয়ে দেয়ার ১ দিন পর আবার পানি দেয়া যাবে।

#রাইজোম_পঁচা/করম রটঃ
জমির পানি সরিয়ে রিডোমিল গোল্ড/সিকিউর (২ গ্রাম/লিটার) নামক ছত্রাকনাশক দিয়ে ফসলের গোড়াসহ গোড়ার চারদিকের মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে। তবে
ভিজিয়ে দেয়ার ১ দিন পর আবার পানি দেয়া যাবে।

কচু ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড়ঃ

#কাটুই_পোকা
নাইট্রো/সেতারা/এসিমিক্স /ক্লোরোসাইরিন যে কোন একটি কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করা

#জাব_পোকাঃ
পূর্ণ বয়স্ক পোকা ও নিম্ফ উভয়েই গাছের পাতা, ডগা ও ফুল থেকে রস শুষে খায়। অতিরিক্ত আক্রমণে পাতা ফ্যাকাসে হলুদ হয়ে যায় এবং ফলন কমে যায়।

জমিতে ১০-১২ মিটার দূরে দূরে আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করতে হবে।

জৈব বালাইনাশক ফিজিমাইট/বায়োক্লিন/বায়োম্যাক্স (১ মিলি/লিটার) অথবা ট্রেসার (০.৪ মিলি/লিটার), সাকসেস (১.২ মিলি/লিটার) স্প্রে করতে হবে

#লাল_মাকড়ঃ
জমিতে ১০-১২ মিটার দূরে দূরে আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করতে হবে।

জৈব বালাইনাশক ফিজিমাইট/বায়োক্লিন/বায়োম্যাক্স (১ মিলি/লিটার) অথবা ট্রেসার (০.৪ মিলি/লিটার), সাকসেস (১.২ মিলি/লিটার) স্প্রে করতে হবে।

এহসান আহমদ জামিল
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ।
শাহরাস্তি, চাঁদপুর।

Address

Cumilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when JamilJarif posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share