14/03/2024
# সোমালিয়ার জলদস্যু- MV ABDULLAH - Latest update
বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টার দিকে "এমভি আবদুল্লাহ" সোমালিয়ান কোস্ট হতে ৭ মাইল দূরে নোঙর করেছে। জাহাজের নাবিকরাই সব দায়িত্ব পালন করেছে, জলদস্যুরা শুধু অস্ত্র হাতে পাহারা দিচ্ছে। নোঙর করতে জাহাজের সম্মুখভাগে গিয়েছিল চিফ অফিসার(C/O), বোসান (Bosun) আর একজন নাবিক (OS)।
জাহাজে সোমালিয়া হতে ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ ১৫-২০ জনের নতুন দল এসেছে দায়িত্ব বুঝে নিতে। এদের সাথে একজন ইংরেজি জানা ইন্টারপ্রিটারও আছে। জলদস্যুদের মূল ভাষা সোমালি আর আরবী।
জাহাজের নাবিকরা সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ আছে। ওরা সেহরি, ইফতার করছে আর ব্রিজে জামাতে নামাজ আদায় করছে। জাহাজের চিফ কুক আরেকজনকে সাথে নিয়ে প্রায় ৫০ জনের জন্য ২-৩ বেলা রান্না করছে। নাবিকরা কম করে খেলেও জলদস্যুরা ভরপেট খাচ্ছে। গতকাল সবাই ব্রিজে থাকলেও আজ সবাইকে দিনের বেলা কেবিনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে রাতে সম্ভবত আবার ব্রিজেই ফিরতে হবে।
এতে জাহাজের খাবার আর পানির যে ব্যবহার সেটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগে যে খাবার ২৫ দিন যাবে বলা হয়েছিল, সেই খাবার হয়ত ১১-১২ দিন পরেই শেষ হয়ে যাবে। ২০০ টন পানি শেষ হয়ে গেলে রেশনিং বা ব্যয় সংকোচন শুরু হবে। জলদস্যুরা কি মানের খাবার বা পানি দিবে সেটা এই মুহুর্তে বলা কঠিন তবে শিপের মত মানসম্পন্ন অবশ্যই হবে না। খাবারের পরিমাণ কমিয়েও দিতে পারে।
আজ ভোর হতে ইউরোপীয় (সম্ভবত) একটা যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহ'কে ফলো করছিল। নাম ইউরোফোর আটলান্টিক বা, কাছাকাছি, ভালভাবে পড়া যায়নি। সেই যুদ্ধজাহাজ হতে একটা হেলিকপ্টারও টেক অফ করে আবদুল্লাহকে বেশ কবার রাউন্ড দিয়েছে, ফাঁকা গুলি করেছে। কিন্তু জলদস্যুদের এতে কোন ভাবান্তর লক্ষ্য করা যায়নি। যতক্ষন নাবিকরা তাদের কাছে জিম্মি আছে ততক্ষণ কেউ আক্রমণ করার সম্ভাবনা কম, এটা ওরা জানে। পরবর্তী সময়ে একটা ভারতীয় যুদ্ধজাহাজও এর সাথে যোগ দিয়েছে। দুটো জাহাজই সোমালিয়া কোস্ট পর্যন্ত ফলো করে এসেছে এবং কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এখন পর্যন্ত সোমালিয়ার জলদস্যুরা মুক্তিপণ হিসাবে কোন নির্দিষ্ট অংক দাবী করেনি। পত্রপত্রিকায় যা ছাপা হচ্ছে সেটা ভুয়া কিংবা গুজব। কোন নাবিকের ফ্যামিলি মেম্বার ছড়াতে পারে।
চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের নামে প্রথম আলো যে অডিও ক্লিপ প্রচার করেছে, সেটা ওর গলার স্বর বা ভয়েস মেসেজ ছিল না। যেখানে একজন একজন করে গু-লি করে মে-রে ফেলার কথা বলেছে কেউ। কনফার্ম না হয়ে মিডিয়ার কোন তথ্য প্রচার করা অনুচিত।
জাহাজ হতে এসব তথ্য কিভাবে আসছে, কে পাঠাচ্ছে এসব কি বেশী জরুরী? এই তথ্যের বহুল প্রচার ওদের তথ্য পাঠানো বন্ধ করে দিতে পারে।
ওরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। খাবার-পানি কমে যাচ্ছে। আশাকরি এই সমস্যার দ্রুততম সময়ে সমাধান হবে৷ নাবিকরা নিরাপদে ফিরে আসবে। সবাই পবিত্র রমজান মাসের উসিলায় হলেও ওদের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করেন।
১৪ই মার্চ, বিকাল ৪টা
Capt. Atique Ua Khan
BMA 27th