Shahadat blog

Shahadat blog আমি সুন্দর ছবি ও ভিডিও দেখে শুনে পোস্ট করি।এবং সুন্দর জিনিস গুলো চমৎকার ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

11/18/2025

♦️ বগুড়ার ধুনটের নাইছ খাতুন ওরফে হাসি— ১৮ বছর ধরে বাবার কোলে চড়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করেছেন।
♦️ জন্ম থেকেই দুই পায়ে শক্তি নেই, ডান হাতেও নেই বল। সম্বল শুধু বাঁ হাতটি… সেই হাত দিয়েই লিখে এগিয়েছেন জীবনে।
♦️ তবুও থেমে থাকেননি। অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন, সিজিপিএ পেয়েছেন ৩.২০।
♦️ ধুনট সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন তিনি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ কেন্দ্রে।
♦️ দরিদ্র পরিবারে জন্ম— বাবা নজরুল ইসলাম, মা আকতার জাহান। তবুও বাবা কোনোদিন তাকে একা ছাড়েননি; প্রতিদিন কোলে করেই স্কুল-কলেজে পৌঁছে দিতেন।
♦️ ৬ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি— এরপর প্রাইমারি, এসএসসি, এইচএসসি— সবই বাবার কোলে ভর করে শেষ করেছেন হাসি।
♦️ এসএসসিতে পেয়েছেন জিপিএ ৩.৫৫, এইচএসসিতে ২.৭৫— কিন্তু মনোবল কখনও হারাননি। বাবার অনুপ্রেরণায় তার বিশ্বাস ছিল রেজাল্ট ভালো হবে। তাই সবসময় মুখে ছিল হাসির মতোই হাসি।
♦️ বাবা বলেন— “মেয়েটা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, তবু মনটা অনেক শক্ত। বাঁ হাত দিয়ে সব লেখে, কখনও হাল ছাড়ে না।”
♦️ হাসি বলেন— “শরীরে শক্তি নেই বলে কি স্বপ্ন থেমে যাবে? মনোবল আর এক হাতই আমার ভরসা। আমি কারও বোঝা হয়ে থাকতে চাই না।”
♦️ “আগে মানুষ আড়চোখে তাকাত… এখন সবাই ভালোবাসে। উচ্চশিক্ষা শেষ করে শিক্ষক হতে চাই— মানুষের সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই।”
♦️ যে মেয়েটি হাঁটতে পারে না, দাঁড়াতে পারে না— সেই হাসি দেখিয়ে দিয়েছেন, শক্তি পায়ে নয়, থাকে মনে।
♦️ তার গল্প শুধু সংগ্রামের নয়, এটি অনুপ্রেরণার— প্রমাণ করে স্বপ্নকে কোনোদিনই থামানো যায় না।


#বাবা

11/17/2025
11/17/2025
11/17/2025
11/16/2025

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে পেশায় একজন ভ্যানচালক মকিমউদ্দীন,দারিদ্রের কষাঘাতে ইচ্ছা থাকলেও যার পড়াশুনা হয়নি, যার অক্ষর জ্ঞান কেবল কোনোমতে নাম দস্তখত।

কর্মজীবনের শুরু থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর পা চালিত ভ্যান চালিয়েছেন তিনি। বর্তমানে চালান ব্যাটারিচালিত ভ্যান । সেই মকিমউদ্দীনই আজ ভ্যান চালিয়ে দুই ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন সূদুর চীন দেশে।

নিজের পেশা ভ্যানচালক হলেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। এ প্রেরণা তিনি পেয়েছেন তাঁর দৃঢ়চেতা স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও দুই ছেলে হবিবুর রহমান ও আবুল হাসিমের দারিদ্রকে জয় করে শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছা থেকে।

বড় ছেলে হাবিবুর রহমান চীনের জিয়াংসু ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচার অটোমেশন বিভাগে পড়াশোনা করছেন। আর ছোট ছেলে আবুল হাসিম একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

ভ্যানচালক হয়েও দেশের দরিদ্রদের শিক্ষার ব্যাপারে যে দৃষ্টান্ত রেখে যাচ্ছেন মকিম উদ্দিনের পরিবার, তা পরিপূর্ণ সাফল্যের মুখ দেখুক আশা এলাকাবাসীর ।

এটা এখন এলাকার চা’র দোকান, গাছ তলা বা নদীপাড়ের আড্ডা, স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে এমনকি বিভিন্ন বাড়ির মধ্যেও তুমুল চর্চ্চার বিষয়। একজন অবহেলিত ভ্যানচালক ও তার দৃঢ়চেতা স্ত্রীর সাহস ও কৃতিত্ব দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।


11/16/2025
11/16/2025

♦ রিক্সা চালক বাবার মেয়ে ডাক্তারি পাশ করে
♦ চান্স পেলেন আমেরিকার সবচেয়ে বড় হসপিটাল অ্যাডভেন্ট হেলতে।
♦ তিনি হলেন খুলনার গ'ল্লামারীর আব্দুস সোবাহানের মেয়ে সাদিয়া।
♦ ভালো লাগছে এটা ভেবে
♦ দেশের গ্রাম থেকে উঠে আসা স্টুডেন্টরা
♦ পৃ'থিবীর বিভিন্ন দেশে সর্বোচ্চ স্থা'নে প্র'তিনিয়ত চান্স পাচ্ছেন।
♦ এটাই দেশের গর্ব
♦ এটাই গরীব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা।


11/16/2025

♦ স্যালুট স্যার!
♦ মা নাসরীন রহামান স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসের সুযোগ পাবেন না তাই দেশটির ইউনিভার্সিটি অফ হাডারসফিল্ডের সিনিয়র লেকচারারের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন সিলেটের সৈয়দ আবিদুর রহমান।
♦ তিনি বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব শারজায় সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি আবিদুর রহমান ছুটি কাটাতে দেশে এসেছেন।
♦ সোমবার সন্ধ্যায় দেশের একটি অন্যতম দৈনিকের অফিসে এসছিলেন তিনি। যেখানে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তার জীবনের নানা গল্প।
♦ আবিদুর রহমান বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
♦ যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ হাডারসফিল্ডের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আবিদুর রহমান বলেন, একটু পেছন থেকে শুরু করি- 'আব্বা যখন মারা যান তখন আমার আম্মার বয়স মাত্র ৩০ বছর।
♦ তিনি চাইলেই আরেকটা বিয়ে করে সংসার করতে পারতেন। তখন আমার বয়স ছিল ১০ বছর এবং আমার বোন হুমায়রার বয়স ৫। আম্মা তার এই ছোট দুটি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের সব সুখ বিসর্জন দিয়েছেন।
♦ আম্মা আমাদের মানুষ করতে অনেক সংগ্রাম করেছেন। আব্বাকে তো সেভাবে পাইনি, তাই আমাদের কাছে আম্মাই ছিলেন 'আব্বা ও আম্মা'।
♦ ফলে আমার জীবনে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আম্মার কথাই প্রথমে মাথায় আসে'।
♦ আবিদুর রহমান বলেন, 'আমি ২০২২ সালের শুরুতে ইউনিভার্সিটি অফ হাডারসফিল্ডে যোগ দেই। সে সময় আমি ওমানের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সুলতান কাবুসে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলাম।
♦ সেই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাই। ওমানে আম্মা, আমার স্ত্রী নায়লা শারমীন ও মেয়ে আলীয়া আমার সঙ্গেই থাকতেন। কিন্তু যুক্তরাজ্যে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিললেও তারা আম্মাকে ভিসা দেয় না।
♦ সত্যি বলতে আমি যে ধরনের ভিসা পেয়েছিলাম তাতে বাবা মাকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। ফলে আমি যুক্তরাজ্যে না যাওয়ার কথাই ভাবছিলাম, কিন্তু আম্মার পীড়াপীড়িতেই আমাকে যুক্তরাজ্যে যেতে হলো'।
♦ আবিদুর রহমানের যুক্তরাজ্যে যাওয়া না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না। সেদিন তিনি স্ত্রী নায়লা শারমিনের সঙ্গে পরামর্শ করতে বসেন।
♦ তারা সিদ্ধান্ত নিলেন আবিদ একাই ওমান থেকে যুক্তরাজ্য যাবেন। আর তার স্ত্রী, মা এবং মেয়ে আলীয়া দেশে ফিরবেন। আবিদ যুক্তরাজ্য গিয়ে তার মায়ের ভিসা করার চেষ্টা করবেন এবং একসাথেই তাদের নিয়ে যাবেন। হাডারসফিল্ডে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আবিদ যোগ দেন সিনিয়র লেকচারার হিসেবে। তার জব ছিল ফুল টাইম এবং স্থায়ী সেই সাথে ছিল অবসরকালীন সুবিধাও।
♦ ফলে সব মিলিয়ে তার চাকরিটা ছিল লোভনীয়। কিন্তু আবিদ নানা চেষ্টার পর যখন মা নাসরীন রহমানের স্থায়ী ভিসা করতে ব্যর্থ হন তখন তিনি সেই চাকরি থেকে ইস্তফা নিয়ে শারজা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।
♦ আবিদ বলেন, আমি কয়েকবছর যুক্তরাজ্যে বসবাস করলে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়ে যেতাম। আমার মেয়ে সেদেশের নাগরিক হিসেবে বড় হতো।
♦ কিন্তু আমি তো এমন সুখ চাইনি, যেখানে আমার মা সাথে থাকবেন না। আম্মা তো নিজের পুরো জীবন আমাদের জন্য সেক্রিফায়েস করলেন সেখানে আমি এটুকু করতে পারব না কেন? এই চিন্তাই সবসময় কাজ করত। তাই চাকরি ছেড়ে দেই।
♦ মহান আল্লাহ সর্বদা উনাকে ভালো রাখুক-🤲আমিন।
বেস্টটিম অফিসিয়াল মানবিক ফাউন্ডেশন
♦ এইরকম সন্তান আল্লাহপাক ঘরে ঘরে দান করুক যে কিনা আমাকে নিজের পরিবারের চেয়েও অনেক গুণ বেশি ভালোবাসে এটাই তো হওয়া উচিত আমাদের সকলের সারা দুনিয়া একদিক মা একদিন হওয়া উচিত।
♦ পোস্টটি শেয়ার করে সকলকে দেখার সুযোগ করে দিন
♦ এর থেকে প্রত্যেক সন্তান শিক্ষা নিতে হবে।
সংগৃহীত।

#সুসন্তান #মানবিকতা


11/16/2025
11/16/2025
11/16/2025

আপনি যে জীবনকে বোঝা ভাবছেন,তা কারো কাছে ঠিক স্বপ্নের মতো আশীর্বাদ।

অনেকেই আজ খালি পায়ে হাঁটে, তবু স্বপ্ন দেখে আপনার জুতোর জায়গায় দাঁড়ানোর।

আপনি যার জন্য কাঁদছেন, কেউ তা পেতে জীবনটাও দিয়ে দিতে পারে।

শুকরিয়া করুন, ধৈর্য ধরুন, জীবন এখনও আপনাকে ভালো কিছুই দিতে চায়।

Address

Washington D.C., DC

Telephone

+8801675937407

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shahadat blog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shahadat blog:

Share