AR MAYIN GAZI

AR MAYIN GAZI আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তি শুদ্ধ হয়।
ব্যাক্তি শুদ্ধির মাধ্যমে সমাজ শুদ্ধ হয়
সমাজ শুদ্ধের মাধ্যমে দেশ শুদ্ধ হয়।

-সূফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী (রাহঃ)

18/10/2024

ওহাবীযম।

মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীই ছিলেন ওহাবীদের জনক।
মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাবের মতবাদকেই ওহাবী মতবাদ বলে।
তার আদর্শে আদর্শিত অনুসারীদের ওহাবী বলা হয়। আব্দুল ওহাব এর জন্ম হয়েছিল তৎকালীন আরবের 'নজদ' প্রদেশের 'হুরাইমিলা' নামক স্থানে। তার জন্মকাল ছিল ১১১১ হিজরী এবং খ্রিস্টাব্দ ১৬৯৬ সনে। এই নজদ প্রদেশের প্রতি রাসুল পাক (স.) অসন্তুষ্ট ছিলেন।

পরবর্তীতে রাসুল ( স.) ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে: রাসূলে পাক(স.) একদিন মোনাজাত করতে ছিলেন। মোনাজাতের মধ্যে রাসূল(স.) তৎকালীন 'শাম' বর্তমানে 'সিরিয়া' এবং ইয়েমেন প্রদেশের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলেন, যেন ওই দুই প্রদেশে রহমত বরকত হয়। উপস্থিত সাহাবীগণ রাসূল (স.) কে পরপর তিনবার নজদ প্রদেশের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে বললেন। তখন রাসূল (স.) বললেন নজদ প্রদেশে নবতর ফেতনা রয়েছে এবং নজদ হতে শিং-যুক্ত শয়তান বের হবে।
(সূত্র- বোখারী শরীফ।)
রাসূল (স.) এর ভবিষ্যৎ বাণী অনুরূপ ওই প্রদেশেই জন্ম হয়েছিল মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাবের।

মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাবের
বংশ পরিচয় ।

বর্তমান ইয়েমেনে, হুনাইনের যুদ্ধের সময় হযরত আলী (র:) রাসূল পাক (স:) এর সামনে কিছু মাটি-মাখা স্বর্ন হাজির করলেন । তখন রাসূল (স.) ঐ মাটি মাখা স্বর্ন ডানে, বামে সাহাবীদের মধ্যে বিতরণ করছিলেন। এমন সময় পিছন থেকে এক সাহাবী বললেন ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাদের দিকেও একটু তাকাইয়েন আমাদের ও হক আছে। তখন রাসূল (স.) বললেন তুমি বস আমি জানি কাদের হক আছে আর কাদের হক নাই তুমি বস।
পিছনের সাহাবী বসে গেলেন। তখন সামনের দিক থেকে আরেক জন সাহাবী দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন 'আব্দুল্লাহ ইবনে উবা' 'ইবনে ছলুলের নায়েব, নায়েবে আমির 'বনু তামিম' গোত্রের আব্দুল্লাহ ইবনে ঝুল-খুআইছারা' তিনি দাঁড়িয়ে বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি এতগুলো স্বর্ন আপনি আপনার আত্মীয় স্বজনের দিয়ে দিচ্ছেন আপনি ইনসাফ করলেন না। আপনি ইনসাফ করেন গোলমাল যেন করেন নাহ। হে আল্লাহর রাসূল আপনি আল্লাহকে ভয় করেন। (নাউজুবিল্লাহ)

তখন রাসূল (স.) রেগে গিয়ে চিৎকার দিয়ে 'ঝুল-খুআইছরাকে' উদ্দেশ্যে করে বললেন বেয়াদব, আমি মোহাম্মদ যদি ইনসাফ না করি তাহলে দুনিয়ার কে ইনসাফ করবে ? আল্লাহ তাআলা সবচাইতে বেশি আমাকে ইনসাফ শিক্ষা দিয়েছে।আর তুই বলছিস আমি ইনসাফ করিনি?
কেয়ামত পর্যন্ত তর বংশে রাসূলের বেয়াদব পয়দা হবে আদব আসবে না।
তুই তোকে ধ্বংস করে দিলি আরেকবার বললেন তুই তোকে ধ্বংস করে দিলি পর পর দুইবার এই কথা বললেন রাসূল (স.)।

তখন হযরত উমর দাঁড়িয়ে গেলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ আপনি হুকুম করেন আমি এই বেয়াদবের গর্দান ফেলে দেই । তখন আরো একজন সাহাবী বেয়াদবের গর্দান ফেলে দেওয়ার অনুমতি চাইলেন।
তখন রাসূল (স:) হযরত উমরকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন গর্দান ফেলা লাগবে না গর্দান ফেলার হুকুম আসেনি। কিছুক্ষণ পর গিয়ে দেখবে সে নামাজে দাঁড়িয়েছে। সাহাবারা কিছুক্ষণ পর দেখলেন সত্যিই সে নামাজে দাঁড়িয়েছে। সাহাবারা রাসূল (স:) জানালেন ইয়া রাসূলুল্লাহ সত্যিই সে নামাজে দাঁড়িয়েছে।
তখন রাসূল (স:) বললেন আখেরি জামানায় ঝুলখুয়াইছরার
মত একদল লোক থাকবে। যারা নামাজ পড়বে, লম্বা দাড়ি রাখবে,তারা মোচ কাটবে,তারা রোজা রাখবে,তারা যাকাত আদায় করবে, তারা মাথা নেড়া কড়বে, তারা হাঁটুর নিচে এবং টাকনুর উপরে কাপড় পড়বে। তাদের ইবাদতের চেয়ে উসমান তোমার এবং তোমাদের ইবাদত নগন্য মনে হবে।
তাদের ইবাদতের তুলনায় তোমার ইবাদত লজ্জা পাবে। তারা এত ফরহেযগার হবে।

কিন্তু তারা এত ফরহেযগার হওয়া সত্ত্বেও ইসলাম তাদের ঠোঁটে থাকবে অন্তরে ইসলাম প্রবেশ করবে না।

(সূত্র -কিতাবুল মাকাযীতে বর্ণিত আছে এই হাদীস)

ঐ ঝুল-খুআইছরার বংশেই জন্ম হয়েছিল মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদের।যার সম্বন্ধে রাসূল (স:) ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন তর বংশে কেয়ামত পর্যন্ত রাসূলের শানে বেয়াদব পয়দা হবে, শিং -যুক্ত সয়তান অর্থাৎ নিজের মনগড়া দল- মত তৈরি করে ফেতনা সৃষ্টি করী সয়তান জন্ম নিবে।

আব্দুল ওহাবের ব্যাক্তিগত জীবন
ও আকিদা।

আব্দুল ওহাব তৎকালীন নজদ প্রদেশে স্বাধীন চেতা মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে লাগলেন।
তার স্বাধীন চিন্তা ভাবনা কোন, কোন সময় এমন মাত্রায় বেড়ে যেত যে নিজেকে রাসূল (স.) যোগ্য উত্তরসূরী মনে করতেন।

তার এই স্বাধীন চেতা অহংকারী মনোভাব দেখে, তার সাথে বন্ধুত্ব করলেন তৎকালীন ইংরেজ উপনিবেশের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা যার নাম মি. হামফ্রে।

সে একজন ছদ্দবেশী মুসলমান ছিল।
মি: হামফ্রে তুরস্কের শায়খ আফন্দির কাছ থেকে ছদ্মবেশে ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত হন।
কোরআন হাদিস ভালোভাবে রপ্ত করেন ।যার কারনে কোরআন, হাদিস আলোচনার মাধ্যমে তার সাথে আব্দুল ওহাবের গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।
মিস্টার হামফ্রের উদ্দেশ্য ছিল ওহাবের মাধ্যমে ব্রিটিশ ইউনিবেশের কূটনৈতিক ফায়দা আদায় এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য শান্তি নষ্ট করা।
তার জন্য সে আব্দুল ওহাব কে তাদের মত করে তৈরি করতে লাগলেন। আব্দুল ওহাব ও তার অতি আকাঙ্খা স্বরুপ সংঘ দিতে লাগলেন।

আব্দুল ওহাবের চরিত্র

তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশের একটা সংস্থা ছিল ঐ সংস্থায় কিছু সুন্দরী রমণী ব্রিটিশ উপনিবেশের হয়ে কাজ করতেন।

তাদের কাজ ছিল তারা মুসলিম যুবকদের চরিত্র নষ্ট করে মুসলিম সমাজে শান্তি নষ্ট করত।
মি. হামফ্রে বলেন আমার মনে আছে আমার উস্তাদ আমাকে একবার বলেছিলেন নারী, মদ, জুয়ার মাধ্যমে "স্পেন" মুসলমানদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন (খ্রিস্টানরা)।
তাই আমিও আরেকবার ওই পদ্ধতি ব্যবহার করতে লাগলাম।
এমনি দুজন নারী ছিলেন 'সুফিয়া' এবং 'আছিয়া' নামগুলো ছিল ছদ্দবেশী নাম। তাদের মাধ্যমে দিনের পর দিন আব্দুল ওহাবেকে যৌন লালসার শিকার করতেন,শরাব পান করাতেন,এক কথায় আব্দুল ওহাবের প্রতি পুরুপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিলেন ঐ দুই নারী ও মি. হামফ্রে।
আব্দুল ওহাবের কথা, চিন্তা, খাওয়া সবকিছুতেই আধিপত্য বিস্তার করেন হামফ্রে। এমনকি ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম শরাব ও পান করান বিভিন্ন যুক্তি তর্ক দেখিয়ে।

আব্দুল ওহাবের রাজনৈতিক বিস্তার
লাভ।

তখন ব্রিটিশ উপনিবেশের মদদে , একের পর এক এলাকা টাকা, নারী কিংবা সম্পদের লোভ দেখিয়ে তারা এলাকা
দখল করতে লাগলো। যারা তাদের বিরোধিতা করত তাদেরকে নির্বীচারে হত্যা করত এবং বিরোধিতাকারী নারীদের ইজ্জত হননকেও বৈধ বলে ঘোষণা দিল।

পরবর্তীতে তারা তৈলের টাকায় সমৃদ্ধ হওয়ার পর ১৭৫৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের মতবাদ প্রচার উদ্দেশ্যে দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা করেন। যা আজ পর্যন্ত ওহাবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় চলতেছে।

উপরে আব্দুল ওহাবের জীবন চরিত্র নিয়ে বলা প্রতিটা কথা "হামফ্রেজ মেমোরির"১ ডায়রিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই ডাইরিটি জার্মান সৈন্যদের হস্তগত হয়। তখন তারা ঢালাও ভাবে এই গ্রন্থখানা পত্রিকায় প্রকাশ করে যাতে করে ওই সময় ব্রিটিশ উপনিবেশকে চরম সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়।

( লেখক: আ:রা: মাঈন উদ্দীন গাজী)

আমি বাবা দেওয়ানবগীর কদম পাওয়াতে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কিন্তু আমার মোর্শেদের ওফাত পরবর্তী কালে ,আমি যদি আমার ইমা...
31/08/2024

আমি বাবা দেওয়ানবগীর কদম পাওয়াতে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।
কিন্তু আমার মোর্শেদের ওফাত পরবর্তী কালে ,আমি যদি আমার ইমাম কুদরত এ খোদার নূরানীময় কদম না পেতাম,আমি আ.রা.মাঈন উদ্দীন গাজী ধ্বংস হয়ে যেতাম।
সংগৃহীত -নিজের জীবন থেকে নেয়া।

অবশেষে আমার মহান মোর্শেদ সূফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগীর দরবার বাবে রহমতে এসে পৌঁছেছি।
17/05/2024

অবশেষে আমার মহান মোর্শেদ সূফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগীর দরবার বাবে রহমতে এসে পৌঁছেছি।

দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর আমি আমার মহান মোর্শেদ সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগীর দরবার শরীফের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।...
16/05/2024

দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর আমি আমার মহান মোর্শেদ সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগীর দরবার শরীফের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
এই বিগত সাড়ে ছয় বছরে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি এবং আমার নিজের বাড়িতেও গিয়েছি এতটা আনন্দ অনুভব করি নাই আজকে যতটা করতেছি ।

মালিক যেন দয়া করে আমার মনের নেক মাকসুদ গুলো পূরণ করে দেন। "আমীন।।

Address

Cumilla

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AR MAYIN GAZI posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to AR MAYIN GAZI:

Share