SNBD

SNBD Online News and Lifestyle Magazine in Bengali

*বর্তমানের সুখাদ্যগুলি কি জানেন?*        লোকে ভাত খাচ্ছিলো। ডাল খাচ্ছিলো। জুটলে মাছ খাচ্ছিলো। কেউ কেউ ডুবে ডুবে জল খাচ্ছ...
20/05/2025

*বর্তমানের সুখাদ্যগুলি কি জানেন?*

লোকে ভাত খাচ্ছিলো। ডাল খাচ্ছিলো। জুটলে মাছ খাচ্ছিলো। কেউ কেউ ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিলো। সুদখোর তো ছিলোই। পাড়ায় পাড়ায়। সুদ ছাড়া কিছু খেতো না তারা।

এরপর নিয়ম করে ঘুষ খাওয়া শুরু হলো। ঘুষে যে এত ভিটামিন তা জানা ছিলো না। গরীবের চেহারা ভেঙে যায় ভিটামিনের অভাবে, আর ঘুষখোরের জেল্লা বেড়ে যায়। শরীরটা বেশ চনমনে থাকে।

তারপর এলো কমিশন খাওয়া। আহা! তার স্বাদই আলাদা। বড় বড় কোম্পানি খেত। সরকার খেত। কিন্তু জনে জনে খেত না। একটা সময়ের পর এ হেন পুষ্টিকর খাদ্য ' আগে কেন খাইনি রে' বলে লোকে ঝাঁপিয়ে পড়লো। আট লাখ টাকার কাজ, যে করলো সে পেলো আশি টাকা, বাকি সাত লাখ নিরানব্বই হাজার আর যা হয়.......কমিশন। বসে বসে। এ হচ্ছে সুপার ভিটামিন। যারা খায় তাদের চেহারাই আলাদা। ত্বকে একটা গোলাপি ভাব এসে গেছে.......

কিছু লোক কমিশন খেতে পারছিলো না। তারা গুরুর কাছে গিয়ে বললো - গুরু, কী করি? গুরু বললো - লুটে খা।
ব্যস! শুরু হয়ে গেল কাটমানি খাওয়া। এও কমিশন জাতীয়। কিন্তু ঠিক কমিশন নয়। এ হচ্ছে হরলিক্স কমপ্ল্যান তফাৎ। কাটমানিতে প্ল্যান করতে হচ্ছেনা। কমপ্ল্যান। কে বাড়ি করছে, মার শালাকে, আগে আমাদের পয়সা দে। কে দোকান করেছে, দে শালা পয়সা......কে মেলায় দোকান বেঁধেছে.....মাল দ্দে শালা...... কাটমানির ওপর বিটলবণ ছড়িয়ে দিলে হপ্তা হয়ে যায়। সেই ভীষণ টেস্টি হপ্তা এমন মুখে রুচে গেল যে আর কিছু খায়ই না।

এর মধ্যে কিছু লোক প্রোটিনের সন্ধানে বেরোল। শুধু ভিটামিনে কি শরীর ট্যাঁকে? প্রাণীজ প্রোটিন চাই। আর প্রোটিনের উৎস তো জানাই আছে। পা চাটো। চারদিকে কত পা। মালিকের পা, মাতব্বরের পা, কায়দাবাজের পা, নেতার পা, .......আহা চেটে সুখ। লজেন্স খাওয়ার মতন। খাবি পরে। চেটে অস্থির। আর সে কী প্রোটিন.....সে কী প্রোটিন......যারা চেটেছে তাদের চেহারাগুলো দেখলেই বুঝবেন। জমিদারের মতন একটা ভাব আসে চোখেমুখে। সবসময় পা না পাওয়া গেলে অসুবিধে নেই, জুতো, চটি, মোজা, গামবুট যা পাবে চেটে মেরে দাও। দধিভান্ড! দই নাই পেলে, ভাঁড় চাটলেও গায়ে লেগে আছে খানিক।

এই সব খেতে খেতে যখন নিজেকে বেশ একটা সফল মনুষ্য বলে মনে হচ্ছে এবং যারা খায়নি তাদের নিতান্ত গরীব-দুখী, জীর্ণ- শীর্ণ বলে বোধ হচ্ছে, তখনই আসে সেই খাদ্য...... খাবি খাওয়া। খাবি এমন জিনিস, সে আর কী বলি, ক্ষীরের পায়েস, নলেন গুড়ের রসবড়া...... সে না খেয়ে উপায় নেই। সুতরাং খাব্বেই। আগেরগুলো খেয়ে তুমি উঠে যাবে, তা হবেনা।

*সংগৃহিত*

24/10/2024

মহামূল্য চা এখন কে জ্বাল দিবে? এ-বাড়ির বড়বৌ ও-বাড়ির ছোটবৌ—সকলে মিলিয়া পরামর্শ করিয়া যাহার যত রন্ধন-বিদ্যা জানা ছিল সমস্ত উজাড় করিয়া সেই অপূর্ব চা রন্ধন-পর্ব সমাধা করিল। অবশেষে চা বদনায় ভর্তি হইয়া বৈঠকখানায় আগমন করিল। কবির সঙ্গে আমরাও তাহার কিঞ্চিৎ প্রসাদ পাইলাম। কবি তো মহাপুরুষ। চা পান করিতে করিতে চারাঁধুনিদের অজস্র প্রশংসা করিয়াছিলেন। আমরাও কবির সঙ্গে ধুয়া ধরিলাম। গ্রামচাষীর বাড়িতে যত রকমের তরকারী রান্না হইয়া থাকে, সেই চায়ের মধ্যে তাহার সবগুলিরই আস্বাদ মিশ্রিত ছিল। কমিউনিস্ট-কর্মী আবদুল হালিম বড়ই সমালোচনাপ্রবণ। তাঁহার সমালোচনা মতে সেই চা-রামায়ণের রচয়িত্রীরা নাকি লঙ্কাকাণ্ডের উপর বেশী জোর দিয়াছিলেন। আমাদের মতে চা-পর্বে সকল ভোজনরসের সব গুলিকেই সম মর্যাদা দেওয়া হইয়াছিল। পরবর্তীকালে বহু গুণীজনের কাছে এই চা খাওয়ার বর্ণনা করিয়া কবি আনন্দ পরিবেশন করিতেন।

24/10/2024

বিভ্রান্ত হবেন না, যারা স্বার্থের প্রয়োজনে কুরআন-হাদীসে বিকৃতি করতে পারে, তারা ইতিহাসে বিকৃতি করবে না এমন আশাও করবেন না। আংশিক সত্য সত্য নয়, আংশিক সত্য হচ্ছে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার কূটকৌশল।

24/10/2024

তমদ্দুন মজলিস কাদের ছিল— মুসলিম লীগের, আওয়ামী মুসলিম লীগের, নাকি জামায়াতে ইসলামীর?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই বৃটিশ সরকার যুদ্ধ শেষে ভারতকে স্বাধীনতা দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল, শর্ত ছিল যুদ্ধে বৃটিশদের সহযোগিতা করতে হবে। তখন থেকেই স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, এরপর পাকিস্তান প্রস্তাবের পর স্বাধীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে, এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তমদ্দুন মজলিসের আগেও বহু লেখক রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। এই সব আলোচনা, রচনার কোনটিই সরকারি ছিল না। এমনকি তখনও সরকারি কোন সিদ্ধান্তও ছিল না যে রাষ্ট্রভাষা কী হবে।

কিন্তু, জিন্না যখন 'উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা' বলে ঘোষণা করলেন, তখন তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছিল কারা? কারা মানি না মানব না বলে জিন্নার সভায় শ্লোগান তুলেছিল? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রেরা। তারা কোন নির্দিষ্ট দলের ছিল না, আন্দোলন চালানোর জন্যই পরে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল।

যখন আন্দোলন শুরু হয়, যখন পাকিস্তানি পুলিশ ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালায়, তখন তমদ্দুন মজলিশ কোথায় ছিল? তারা কি সংগ্রাম পরিষদের সাথে একাত্ম ছিল? তারা কি তখন পৃথক ভাবে আন্দোলন পরিচালনা করেছিল? না, তারা তখন মুখে কুলপ এঁটেছিল।

তমদ্দুন মজলিসের মুখপত্রের যে সংখ্যায় রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে তিনটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল তা ভিন্ন ভিন্ন তিনজন লেখকের। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তান আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন, অবশ্য তার পুত্রেরা এখন পাকিস্তানের দাসানুদাস। আরেকজন মোতাহার হোসেন চৌধুরী। এবং তমদ্দুন মজলিসের পক্ষে আবুল কাসেম।
একই বিষয়ে তিনজনের লেখা একই পত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর, দুইজনের নামকে অস্বীকার করে একজনের নাম সামনে নিয়ে আসার লক্ষ্য সত্য প্রকাশ নয়, বরং সত্যকে ঢেকেঢুকে আংশিক প্রকাশ। অথচ যে দুইজনের নাম পেছনে ফেলে রাখা হচ্ছে, তাঁরা দুইজনেই বাংলা ভাষায় স্বনামধন্য সাহিত্যিক, কবি, বিজ্ঞান লেখক।

06/10/2024

মায়া উঠিয়া মুখ ধুইয়া আসিয়া চুল আঁচড়াইতে আঁচড়াইতে গান ধরিল–
তোমার আনন্দ ঐ এলো দ্বারে
এলো–এলো–এলো গো!
বুকের আঁচলখানি I beg your pardon, miss–
সুখের আঁচলখানি ধূলায় পেতে
আঙ্গিনাতে মেল গো—’
নাঃ, আমার মুখটা দেখছি সত্যিই খারাপ হয়ে গেছে। ভাগ্যিস কেউ ছিল না—‘বুকের আঁচল’ বলে ফেলেছিলাম!
দীপ্তি হাসিয়া বলিল—বাঃ বাঃ! দিদি, তোকে পারবার যো নেই!
মায়া। কেন, দোষটা শুধরে নিলাম তাতেও অপরাধ?
দীপ্তি। ওর নাম দোষ শুধরে নেওয়া? ও ত চিমটি কাটা।
মায়া। তা হলে আমার দ্বারা হয়ে উঠল না সভ্য হওয়া। তোদের মত ভাল মেয়ের পাশে থেকে যে একটু-আধটু দেখে শুনেও শিখব, তাও দিবি না? আচ্ছা সবাই এত রেগে যায় কেন বলতে পারিস? সেদিন যখন কমলা ঐ গানটা গাইছিল, মিসেস ডি এমন করে তার দিকে তাকালেন যে বেচারীর বুকের আঁচল বুকেই রইল, তাকে আর ধূলায় মেলতে হল না। মিসেস ডি বলে দিলেন, বই-এ ওটা ছাপার ভুল কমল, সুখের আঁচল হবে–
কমলা বলল—কিন্তু রবিবাবুকে আমি ওটা বুকের আঁচল–
মিসেস ডি বলিল—তর্ক কোর না, যা বলছি শোন। আর কমলাটারও আচ্ছা বুদ্ধি! না হয় রবিবাবু গেয়েছিলেন বুকের আঁচল–কিন্তু এদিকে বুকের আঁচলটা ধূলায় পাততে গেলে যে ব্যাপারটা হবে তার সম্বন্ধে কবির অনভিজ্ঞতাকে কি প্রশ্রয় দেওয়া উচিত?…

যার মনে যাই থাকুক। গণভবন থেকে যাঁরা প্রাণিগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন মনে ও মননে তাঁরাই মহান। নিয়ে না গেলে না খেয়ে করুণ...
06/08/2024

যার মনে যাই থাকুক। গণভবন থেকে যাঁরা প্রাণিগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন মনে ও মননে তাঁরাই মহান। নিয়ে না গেলে না খেয়ে করুণ মৃত্যু হতো প্রাণি গুলোর।

আমার গোটাই ঘাস ছিল।আর তোমার কোটায় হাঁস ছিল গো,হাঁস ছিল, হাসছিল...
06/08/2024

আমার গোটাই ঘাস ছিল।
আর তোমার কোটায় হাঁস ছিল গো,
হাঁস ছিল, হাসছিল...

13/07/2024

কিছু একটা কেবল দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে বলেই তা ভাল হয়ে যায় না। মাঝে মাঝে তাকে যাচাই করে বিচার করে নিতে হয়। যে মমতায় চোখ বুঁজে থাকতে চায় সেই মরে।

— শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

13/07/2024

যাহার প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা নদীগর্ভে ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে, সে আর খান কতক ইট বাঁচাইবার জন্য নদীর সহিত কলহ করিতে চাহে না৷

— শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

এই সীমানাটা উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ বিন আব্দুল মালেকের অর্জন যাকে বলা হয় আরবদের আলেকজান্ডার। তার হাতে তৎকালীন দুনিয়ার সর্বশ্...
12/07/2024

এই সীমানাটা উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ বিন আব্দুল মালেকের অর্জন যাকে বলা হয় আরবদের আলেকজান্ডার। তার হাতে তৎকালীন দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ সেনাপতিগণ মওজুদ ছিলেন। কুতায়বা, মুহাম্মদ বিন কাসিম, মুসা বিন নুসাইর, তারেক বিন যিয়াদের মতো একেকটা বাঘা বাঘা সেনাপতি ছিলেন তার হাতে। খলিফা ওয়ালিদের আকষ্মিক মৃত্যু না হলে কুতায়বা চীন আক্রমণ করতেন। মুসা আর তারিক মিলে ফ্রান্সসহ ইউরোপ ছিনিয়ে নিয়ে নিতেন ওদের থেকে। আর মুহাম্মদ বিন কাসিম ভারতবর্ষ পুরাটাই জয় করতেন।
কিন্তু খলিফা ওয়ালিদের মৃত্যু, উমাইয়াদের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এবং হাশিমীদের প্রতি সহৃদ্যতার অভাব উমাইয়াদের বিজয়কে স্থবির করে দেয়— বন্ধ হয়ে যায় খেলাফতের বিস্তৃতি। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ইতিহাসের অন্ধকারে হারিয়ে যান মুহম্মদ বিন কাসিম, মুসা বিন নুসাইর ও তারিক বিন যিয়াদেরা।

প্রশ্ন ফাঁস করা আবেদ আলি ছিলেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের গাড়ির ড্রাইভার৷ জিনাতুন নেসা তাহম...
10/07/2024

প্রশ্ন ফাঁস করা আবেদ আলি ছিলেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের গাড়ির ড্রাইভার৷ জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ছিলেন বাংলাদেশের সরকারি চাকুরির জন্য নিয়োগ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ 'বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন'-এর অষ্টম চেয়ারম্যান৷ বলে রাখা ভালো জিনাতুন নেসা হলেন সংগীত শিল্পী তাহসানের মা।

কথিত আছে, মায়ের আশির্বাদে তাহসান বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল, কিন্তু ভাইভায় ফেল করে।

কী একটা থ্রিলার মুভি চলছে রে ভাই৷ টুইস্টের পর টুইস্ট৷ চলছিল বাপ-বেটার কাহিনী৷ এরমধ্যে মা-বেটা ঢুকে গেলো -_-

তথ্য সূত্র - সমকাল , RTV

08/07/2024

বাড়িতে যার ফুলদানি নেই তার ফুলের কী প্রয়োজন!

Address

Cumilla
3500

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SNBD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to SNBD:

Share