30/09/2025
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের আরও বহু আগে থেকেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর পরিকল্পনা ছিলো, বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করে ভারতের মানচিত্রে নেয়ার। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার বীজ বপন করে শেখ হাসিনা। ১৯৯৭ সালে তথাকথিত শান্তি বাহিনীর সন্তু লারমার মত এক ভয়ংকর দেশদ্রোহীর সাথে অশান্তি চুক্তি করে। যেই অশান্তি এখন পার্বত্য চট্টগ্রামে চলছে। হাসিনার শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বহু সেনা ক্যাম্প উচ্ছেদ করে পরিকল্পতি ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার শক্তিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্বল করে দেয়া হয়। সেই সব সেনা সদস্যকে বাংলাদেশের অন্যত্র অঞ্চলে এনে আস্তে আস্তে যুদ্ধের প্রশিক্ষন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। আর, ডিজিএফআই ও এনএসআইকে ব্যস্ত রাখা হয় হাসিনা ও ভারত বিরোধীদের দমন ও নিপীড়নে। ১৬ বছরে গোয়েন্দা সংস্থা গুলার প্রশিক্ষন ও মন-মানসিকতা গড়ে উঠে ব্যাক্তি পর্যায়ে দমন নিপীড়ন ও নিয়ন্ত্রনে, আর হারিয়ে যায় স্বাধীনতা রক্ষার গোয়েন্দা তৎপরতা। এর ফলে দেশের অন্য স্থানে, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের গোয়েন্দা তৎপরতা ভয়ংকর রকম দুর্বল হয়ে পরে। আর অন্যদিকে ভারতের গোয়েন্দা তৎপরতা বেড়ে যায় ও চলতে থাকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশিক্ষন ও সংস্থা গুলাকে শক্তিশালী করা।
হাসিনা সন্তু লারমাকে মন্ত্রিত্বের পদে বসিয়ে এই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকে আরও শক্তি যোগায়। আস্তে আস্তে বিভিন্ন কৌশলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে অভিজ্ঞ সেনা অফিসারদেরকে করা হয় গুম, খুন ও চাকুরী থেকে বিদায়।