Voice of Laksam

Voice of Laksam সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ধারা

06/08/2025

জরুরি রক্তের প্রয়োজন অপারেশন করার জন্য

রক্তের গ্রুপ---- A- এ নেগেটিভ
যোগাযোগ --01622004005
হসপিটাল -- কুমিল্লা সেন্ট্রাল হসপিটাল

05/08/2025

চন্দনার দিকে পিকআপ এ্যাম্বুলেন্স দূর্ঘটনা

01/08/2025

লাকসামে ২ রুমের বাসা কোথাও খালি আছে কিনা জানাবেন। গ্যাসসহ।।

30/07/2025

লাকসাম- মনোহরগঞ্জের বিচ্ছেদ মানি না

28/07/2025

আমার পড়ার টেবিলে সামনে যে দুইটা খাতা দেখতেছেন এখানে রচনা (বাংলা,ইংরেজি),ডাটা,চার্ট,কোটেশন, সনদ,রেফারেন্স এসব ছিল।পরীক্ষার আগে শুধু এগুলা রিভিশন দিতাম।

শুনেন রচনা কমন পাওয়া নিয়ে ক্রেডিট নিচ্ছিনা।এগুলা কমনই।গত দেড় বছর ধরে বলে যাচ্ছি ১০/১২ টা ফিক্সড টপিকই বাংলাদেশের চাকুরি বাজারের প্রস্তুতির জন্য মোস্ট কমন এবং ইম্পর্ট্যান্ট।এখান থেকেই ঘুরেফিরে বাংলা,ইংরেজি রচনা,অনুবাদ,প্যাসেজ,বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির উল্লেখযোগ্য একটা অংশ, ব্যাংকের ফোকাস এসব আসে।

বুদ্ধিমানেরা এসব তাই আগেই নোট করে রাখে।নতুন যারা প্রস্তুতি নিবেন আপনার এই টপিকগুলো থেকে ভোকাবুলারি শিখবেন,বাংলা, ইংরেজি দুই রকমের রচনা রেডি করে রাখবেন,ডাটা,কোটেশন রেডি করে রাখবেন এখনই।

আগামীকাল যারা বাবি পরীক্ষা দিবেন পেইজের পিন পোস্টের লিখিত অংশ থেকে বাংলাদেশ বিষয়াবলি, ডাটা,চার্ট,রচনার ওই টপিক দেখে নেন। কমেন্টে লিংক দিয়েছি।ওগুলা দেখে আইডিয়া নেন এবং আগে প্রাসঙ্গিক ছিল এরকম অনেক কিছুই এখন অপ্রাসঙ্গিক। সে হিসেবে আপডেটেড রচনার লিস্ট ৪ দিন আগে পোস্ট করেছিলাম।

জুলাই বিপ্লব,সংস্কার কমিশন, সংকট, উত্তরণের উপায়,অপরিকল্পিত মেগা প্রজেক্টসহ এখানের অধিকাংশ টপিক বাবির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ রচনার মত।

১. জুলাই বিপ্লব ২০২৪ / ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান : ১৯৫২ থেকে ২০২৪/দেশ গঠনে তরুণ সমাজ/জেনারেশন জেড / বাংলাদেশ ২.০
৪. বাংলাদেশের অর্থনীতি :হালচাল, সংকট ও উত্তরণ
৫. বাংলাদেশে বিনিয়োগ : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
৬. রেমিট্যান্স স্রোতে বাংলাদেশ
৭. দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ / সামাজিক ব্যবসা / এনজিও
৮. দুর্নীতি ও অর্থপাচার / অপরিকল্পিত মেগা প্রজেক্ট / উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং বিত্ত-বৈষম্যের অজানা বাস্তবতা
৮. গণতন্ত্র ও সুশাসন / নির্বাচন ও গণতন্ত্র /মত প্রকাশ/সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা)
৯. রাষ্ট্র সংস্কার : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি (বিভিন্ন রকম সংস্কার কমিশন)
১০. থ্রি জিরো তত্ত্ব / নবায়নযোগ্য শক্তিতে বাংলাদেশ
১১. জলবায়ু পরিবর্তন / পরিবেশ দূষণ / নদী দূষণ ও প্রতিকার
১২. প্রাকৃতিক দুর্যোগ / বন্যা / বাংলাদেশের পানি সমস্যা
১৩. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ / কালচারাল হেরিটেজ
১৪. তথ্য প্রযুক্তি (চতুর্থ শিল্প বিপ্লব/ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা / ইন্টারনেট: একটি মোলিক অধিকার / সোশ্যাল মিডিয়া / স্টারলিং ও বাংলাদেশ /সাইবার অপরাধ-নিরাপত্তা)

এছাড়াও,
পোশাক শিল্প
পর্যটন শিল্প
ব্লু ইকোনমি
নারীর ক্ষমতায়ন
বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান : উদ্যোক্তা তৈরি
জাতীয় ও বৈশ্বিক সংকট ( যুদ্ধ,বাণিজ্য যুদ্ধ,বিদ্যুৎ ও জ্বালানি,খাদ্য)

দুঃখজনক।।।।। পিএসসির অধীনে সরকারি চাকরি কিংবা বিসিএস নিয়ে যারা চিন্তাভাবনা করতেছেন, এখনই এই জার্নি বন্ধ করে অন্য কিছু ভা...
28/07/2025

দুঃখজনক।।।।।

পিএসসির অধীনে সরকারি চাকরি কিংবা বিসিএস নিয়ে যারা চিন্তাভাবনা করতেছেন, এখনই এই জার্নি বন্ধ করে অন্য কিছু ভাবা শুরু করতে পারেন। এটা আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ। অযথা সময় নষ্ট না করে কৃষিকাজ, খামার অথবা বিদেশে চলে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বিএনপি আজ ঐক্যমত কমিশনের সভা বর্জন করেছে। জানেন কী নিয়ে আলোচনার সময় এই বর্জন? ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাব হচ্ছে পিএসসি, দুদক, কন্ট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল এসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সরকারের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে এগুলোকে পৃথক রাখা। ঐকমত কমিশন চাচ্ছে, এসব নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নিয়োগের যে বর্তমান বিধান তা বাতিল করে সম্পূর্ণ পৃথক একটা কমিটি করে তাদের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে।সালাহউদ্দিন সাহেব বলছেন, এসব নিয়ে আলোচনা করতেই তারা রাজি নন।

সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দূরের কথা, এদেশের একটা পাগলকেও যদি জিজ্ঞেস করেন যে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ করে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে চান কিনা? আমার বিশ্বাস একজন মানুষও পাবেন না যারা এটার অস্বীকার করবে। সেখানে আসন্ন ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভাবা একটা দল প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখার বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজি নন।

দুই হাজার তাজা লাশের পর, হাজারো পঙ্গুত্বের পর, একটা গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের কাঠামোগত পরিবর্তনের চেয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ইচ্ছে যখন প্রাধান্য পায়, সেখানে আপনি কার আশায়, কিসের উপর নির্ভর করে সরকারি চাকরির জন্য বছরের পর বছর সময় নষ্ট করবেন!

সমসাময়িক নানা পদক্ষেপ দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, এসব ক্ষমতায় আসার পর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের বার্তা দেয়। চোখের
সামনেই তো দেখেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর ২৩০০ থেকে ২৫০০ ক্যাডার নিয়োগের একটা বিসিএস কীভাবে ৯০০ ক্যাডার নিয়োগের বিসিএসে পরিণত হয়েছে। মনে করেছিলাম এসব সিস্টেমের ত্রুটি। তারপর দেখেন ডা. জাহেদ নামক এক ভদ্রলোকের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।উনি পিএসসির ভাইভা বোর্ডের সদস্য না কী যেন, তিনিও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিয়োগদাতাদের ভাইভা নিচ্ছেন শুনলাম। বিসিএস ক্যাডারদের ভাইভা নেওয়ার যে ক্রাইটেরিয়া ও মানদণ্ড, তিনি কোনটাতে পড়েন? সবচেয়ে বড় কথা তিনি তো রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নন। হাইলি পার্টিজান একজন ব্যাক্তিকে ভাইভা নিতে দেওয়া হচ্ছে এগুলো কোন কোইন্সিডেন্স নয়।

21/07/2025

বন্ধুহীন জীবন মাঝে মাঝে কারাগারের মতন।
স্কুল, কলেজ,ইউভার্সিটি খুব মিস করছি।।।

21/07/2025
21/07/2025
20/07/2025
19/07/2025

বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গল্প।অনেকে জানতে চান, তাই রিপোস্ট।
সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তার।

আমি আমার গল্পটি শেয়ার করতে চাই মূলত আমার সহযোদ্ধা সেই সকল আপুদের জন্য,যারা সব থেকেও কিছু একটা না থাকার বেদনা অনুভব করেন সতত। সেই কিছুটা হল- নিজের যোগ্যতাবলে অর্জিত একটি পরিচয়।

আমার বেড়ে ওঠাঃ

সালটা ১৯৯৫। বাবার হাত ধরে প্রথম স্কুলে যাওয়া, ভর্তি হই বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজে,চট্টগ্রাম এর ১ম শ্রেণীতে। সেই যে প্রবেশ, সেখান থেকে বের হই ১২ বছর পরে, ২০০৭ সালে।

আমার জীবনে প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষক আমার বাবা।বাবা বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত।৭ম শ্রেণি পর্যন্ত আমার প্রাইভেট টিউটর ছিল না, বাবাই পড়াতেন। আমার জ্ঞানের বেসিক মূলত তিনিই গড়ে দিয়েছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারে তিন ভাইবোনের শখ-আহ্লাদ বাবা-মা যথাসাধ্য পূরনের চেষ্টা করতেন।মনে পড়ে, ছোটবেলায় দুধ খেতে চাইতাম না।মা আমাকে এক কাপ গরুর দুধ খাওয়ার জন্য ২ টাকা দিতেন,এক গ্লাস খেলে ৫ টাকা।শুধু টাকার লোভে নাক চেপে ধরে দুধ খেতাম।৭ টাকা জমলে ১টা মিমি চকলেট কিনে খেতাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিঃ

পরিবারের স্বপ্ন ছিল মেয়ে ডাক্তার হবে। সে আশায় গুড়েবালি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং বা ঘরে পড়াশোনা কোনটাই করিনি।চরম দুশ্চিন্তা, এক বছর মিস যাবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে এ যাত্রায় রক্ষা পাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে 'D' ইউনিটে ২৩৫ তম হই মোটামুটি বেসিক নলেজ দিয়ে পাশ করে।

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াঃ

সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই ১৯ বছর বয়সে। তখন মনে হচ্ছিল বিয়েটা বেশ ইন্টারেস্টিং বিষয়।কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে দেখলাম সংসার সামলানো, অন্যদের মন যুগিয়ে চলা, একইসাথে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ বিষয় নয়। কিছুটা বিষণ্ণতা ঘিরে ধরলেও আত্মবিশ্বাসের জোরে তা কাটিয়ে উঠলাম এবং নিজেই নিজের অভিভাবক হয়ে উঠলাম।

সন্তানের জন্মঃ

যখন মাস্টার্স ফাইনাল দিচ্ছিলাম তখন আমার মেয়ে ৮ মাসের গর্ভে।জীবনের আসল সংগ্রামটা শুরু হয় সন্তান জন্মের পরে। আমার ভাইবোনদের স্কুল-কলেজ,পরীক্ষা থাকায় আমার মা কেবল ১ মাস সময় দিতে পেরেছেন আমাকে।এরপর আমার কাছে কোনো অভিভাবক ছিলেন না,পুরোটা নিজ হাতে সামলেছি। ইন্টারনেট ও বই থেকে তথ্য জেনে সন্তানকে বড় করেছি সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে, কিছুমাত্র কমতি না রেখে।এই ভায়াবহ অবস্থা কেবল একজন মা অনুধাবন করতে পারবেন।বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকলে কেবল শব্দগুচ্ছের বর্ণনায় এই মানসিক স্ট্রেস ঠাহর করা অসম্ভব।

সন্তান জন্মদানের পরে প্রায় দুই বছর পোস্ট ন্যাটাল ডিপ্রেশনে ভুগি।তবে এর আঁচ আমি আমার মেয়ের উপরে পড়তে দেইনি।অত্যন্ত কঠিন মনোবলের পরিচয় দিয়ে নিজেকে ও সন্তানকে সামলাতে হয়েছে।

দৈনিক ৮-১০ ঘন্টা ঘুমকাতুরে আমিকে যখন রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটাতে হত, মাঝে মাঝে মনে হত, জীবনে বুঝি এতটুকুই হওয়ার ছিল! রাজ্যের হতাশা ভর করে, আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকে!

একসময় আবার মনে শক্তি জড় করতে থাকি, নিজেই ডিপ্রেশন থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হই।তখন ভাবতাম, মেয়েটা আরেকটু বড় হলেই প্রাইভেট জবে জয়েন করব।যেটুকু যোগ্যতা আছে অন্তত একটা প্রাইভেট জব জুটে যাবে।২০১২ থেকে ২০১৬,এই চার বছর কোনো পড়াশোনা করিনি,কারন প্রাইভেট জব করতেতো আর পড়তে হয় না!

নতুন করে স্বপ্ন দেখাঃ

একডেমিক স্টাডি শেষ করার পর কখনো কেউ আমাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনেনি বা কেরিয়ার গড়ার উৎসাহ দেয়নি।একটু দেরিতে হলেও নিজেই নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। যখন আমার স্বপ্নটা অন্যদের জানালাম, তখন অনেকেই আমার কেরিয়ার গড়ার কোনো হেতু খুঁজে পাননি! ভালোইতো আছি,খামোখা কেন কষ্ট করতে যাবো!

কয়েকটা চিন্তা আমার বিবেককে তাড়িয়ে বেড়াত।

১। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র আমাকে অকৃপণ দানে ধন্য করেছে, আমি কি কিছুই দিতে পারবোনা সমাজকে!

২। জীবন একটাই, জন্মও একবার। আমার চাওয়ার মত করে জীবনকে সাজাতে হলে এক জন্মেই তা করে যেতে হবে, তাও আমার ৩০ বছর বয়সের মধ্যে।

৩। লালন বলেছেন, "সময় গেলে সাধন হবে না।"
স্কুল-কলেজের 'ভালো ছাত্রী' খ্যাতিটা আমার কাছে এক প্রকার বোঝা মনে হতে লাগল। ৩০ বছর পার হয়ে গেলেই আর কেউ আমার বর্ণাঢ্য শিক্ষাজীবন মনে রাখবে না, চারটা 'A' ক্যাটাগরির সার্টিফিকেট তখন ফেলনা বস্তুতে পরিনত হবে।

৪। ভীষণভাবে 'আইডেন্টিটি ক্রাইসিস ' এ ভুগতে থাকি। কারো উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা মেনে নেয়া খুব কষ্টকর।

৫। একটা সময় হীনমন্যতায় ভুগতে থাকি। আমার চারপাশের প্রাকৃতজন নারীদের সাথে তুলনা চলে আসত মনে মনে।

এরইমধ্যে ৩৪ তম, ৩৫ তম ও ৩৬ তম বিসিএস এর ফলাফল প্রকাশ হয়। ফেসবুকে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সহপাঠী ও বন্ধুদের সফলতার খবরে অনুপ্রাণিত হই। তখন মনে হয়, আর প্রাইভেট জবের ভাবনা নয়, একই পথের পথিক সহপাঠীরা যা পেরেছে,আমিও তা অর্জন করতে পারব।

বিসিএস এর প্রস্তুতিঃ

নিজেকে আবার শানিত করতে শুরু করলাম প্রস্তুতি। পূর্বেই ৩৭ তম বিসিএস এর আবেদন করেছিলাম। যখন সিরিয়াসলি ভাবলাম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেব তখন মাত্র ২ মাস বাকি।
সবার সাথে কথা বলে বুঝলাম এবার চান্স পাওয়া সম্ভব নয়,তাই ৩৮ তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার কথা ভাবলাম। তারপর মনে হল, ২ মাসের একটা এটেম্পট নিয়ে দেখি কি হয়!

৩৭ তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬। ১৭ সেপ্টেম্বর আমার ও আমার মেয়ের চিকেন পক্স হয়। আমি পক্স নিয়েই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করি।

রিটেনের সময় অনেক কম ছিল। তখন ১.৫ মাসের মত আমি পড়াশুনা করেছি। এই সময়টাতে আমার হাজবেন্ড আমাকে বেশ সহায়তা করেছেন। আমার মা ও বোন প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইবা ফাইনাল পরীক্ষাগুলোর আগে আমাকে ২০-২৫ দিন সময় দিয়েছেন। এ যাত্রায় যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

আমি ঘুম থেকে উঠতাম সকাল ৭.৩০-৮.০০টায়। এর পর ননস্টপ ঘরের কাজ, বাচ্চার স্কুলে নিয়ে যাওয়া, মেয়ের যত্ন, নিজের কাজ, সংসার সামলানো - সব গুছিয়ে বই ধরার ফুসরত মিলত রাত ১১.০০ টার পরে।

মেয়ের স্কুল ছিল ২ ঘন্টা। এতো সময় অলস বসে থাকা কষ্টকর, আবার শোরগোলে পড়াও সম্ভব নয়।তাই আমি সময়টাকে প্রোডাক্টিভ কাজে লাগানোর জন্য একটা ইয়োগো সেন্টারে প্রাণায়াম, ও যোগব্যায়াম করতাম নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ফিট রাখতে।

মেয়ে আমাকে ছাড়া ঘুমাতে যেতে চাইত না।ওকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে আমি অন্ধকারে চোখ মেলে থাকতাম, কারন চোখ বুজলে আমি ঘুমিয়ে পড়ব, একটা রাত পড়া হবে না!

সবাই বলেন, বিসিএস ক্যাডার হয়ে বাবা-মা বা অন্য কারো স্বপ্ন পূরণ করেছেন।আমি বলব, আমি আমার নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছি, কারন স্বপ্নটা ছিল আমার।আমার দৌড়ে আমি যখন অনেকটা এগিয়ে গেছি, তখন অনেকেই আমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন,আমার জন্য দোয়া করেছেন।তাঁদের মধ্যে আমার শ্বশুর, স্বামী, বাবা-মা উল্লেখযোগ্য।

আমার সংগ্রামটা ছিল অনেক কঠিন। কেউ আমার দায়ীত্ব বা কাজগুলো কাঁধে নিয়ে আমাকে পড়ার সময় করে দেননি। স্ত্রী, মা, সন্তান, পুত্রবধূ, প্রতিবেশী -সব দায়ীত্ব পালন করে, স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অভিনেত্রীর ভূমিকা পালন করে, পৃথিবী যখন ঘুমের রাজ্যে ডুব দিত,সেই সময়টায় আমি বই নিয়ে বসতাম।

আবার সকাল ৭.৩০-৮.০০ টা হলেই শুরু হত রংগমঞ্চের অভিনয়। সবমিলিয়ে আমার ঘুম হত সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টার মত। দিনেও রেস্ট নেয়ার সুযোগ ছিল না। সারাদিন মাথা ঝিমঝিম করতো।

ফলাফল প্রকাশের পর সবার মুখে একটা কথাই ছিল, আমরা নিশ্চিত ছিলাম তুমি প্রথম চয়েজই পাবে! যদিও আমি নিজে খুব চিন্তায় ছিলাম, কারন এটাই আমার প্রথম জব পরীক্ষা। আমি পূর্বে কখনো কোন প্রাইভেট বা সরকারি জবে আবেদন করিনি।

ধৈর্য নিয়ে এই দীর্ঘ কীর্তন পড়ার জন্য ধন্যবাদ।এই দেশ, সমাজ আমাকে যা দিয়েছে, কিছুটা হলেও যেন তার ঋণ শোধ করতে পারি, আমার জন্য এই প্রার্থনা করবেন।

উম্মে হাবিবা ফারজানা
বিসিএস প্রশাসনে সুপারিশপ্রাপ্ত
মেধাক্রম-১২০
৩৭ তম বিসিএস।

Address

Cumilla
3570

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Voice of Laksam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share