24/08/2025
বিদেশের হসপিটালের বাস্তবতা 😅
বিদেশের হসপিটাল কেমন হয় জানেন? যদি হাতে ১-২ মিনিট সময় থাকে, তাহলে পুরোটা পড়ুন—হয়তো কোনো প্রবাসীর না বলা কথাগুলো আপনি অনুভব করতে পারবেন।
প্রবাস জীবনের প্রথম দিকে সবকিছুই রঙিন মনে হয়েছিল। মনে হতো, কাজ করছি, টাকা কামাচ্ছি, পরিবারে পাঠাচ্ছি—সবকিছু ঠিক আছে। শরীরেও তখন কোনো সমস্যা তেমন ছিল না। কিন্তু সময় যত গেছে, বুঝেছি প্রবাস জীবন আসলে কী জিনিস। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কাজের পর কাজ—নাই কোনো ছুটি, নাই কোনো বিশ্রাম। শরীরে ক্লান্তি জমতে জমতে গিরায় গিরায় ব্যথা শুরু হলো। এখন এমন কোনো দিন যায় না, যেদিন মনে হয় না শরীরটা ঠিক নেই।
তাও সহজে হসপিটালে যাই না। কারণ জানি, হসপিটালে গেলে বেতনের অর্ধেকটাই উড়ে যাবে। দেশে বাবা-মাকে ফোন দিলে বলেন, “হসপিটালে যা, ওষুধ খা।” কিন্তু আমি জানি, সেখানে গেলে খরচটা আমার কাঁধেই পড়বে।
গতকাল অবশেষে সহ্য করতে না পেরে হসপিটালে গেলাম। প্রথমেই ডাক্তার বলল, কিছু টেস্ট লাগবে। কিন্তু সেই টেস্টের টাকা মেটানোর মতো ক্ষমতা আমার ছিল না। তাই বললাম, “ডাক্তার ভাই, টেস্ট বাদ দিন, শুধু ওষুধ দিন।” ডাক্তারও আমাদের দেশের মানুষ, তাও এমন ওষুধ লিখে দিলেন যেগুলোর দাম আমার নাগালের বাইরে। আমি তখন আবার বললাম, “কম দামি কিছু দেন।”
আমি এই হসপিটালে গিয়েছিলাম কারণ আমার এখানে ইন্সুরেন্স ছিল। ভেবেছিলাম, হয়তো কিছুটা খরচ বাঁচবে। কিন্তু কী লাভ হলো জানেন? পুরো বিলের মধ্যে শুধু একটা প্যারাসিটামলই ইন্সুরেন্সে কভার হলো, বাকি সব ওষুধের টাকা আমারই লাগবে। শেষমেশ বেশিরভাগ ওষুধই ফেরত দিতে হলো।
বন্ধুরা, প্রবাস জীবন বাইরে থেকে যত সুন্দর মনে হয়, বাস্তবে ততটাই কঠিন। হাসিমুখে আমরা যে কষ্টটা লুকিয়ে রাখি, সেটা কেউ দেখতে পায় না। কেউই বোঝে না, এই প্রবাস জীবনে শরীরের কষ্টের সাথে মানসিক কষ্ট কতটা ভারি হয়ে ওঠে।
আপনি যদি এই লেখা পড়ে শেষ করতে পারেন, তাহলে বুঝবেন—প্রবাস জীবন সুখের নয়, শুধু সংগ্রামের গল্পে ভরা এক দীর্ঘ পথচলা। যদি পড়ে একটু হলেও অনুভব করতে পারেন, একটা কমেন্ট করে জানান, হয়তো আমার মতো আরেকজন প্রবাসীর কষ্ট কিছুটা হলেও হালকা হবে। 🙏