The Light of Islam

The Light of Islam Love R

28/06/2024

নবিজির (সা) জীবনী
আর রাহীকুল মাখতুম
Ar Rahikul Makhtum

28/06/2024

নবিজির (সা) জীবনী
আর রাহীকুল মাখতুম
Ar Rahikul Makhtum. P-5

28/06/2024

নবিজির (সা) জীবনী
আর রাহীকুল মাখতুম
Ar Rahikul Makhtum
P-4

27/06/2024

নবিজির (সা) জীবনী
আর রাহীকুল মাখতুম
Ar Rahikul Makhtum
P-03

26/06/2024

আর রাহীকুল মাখতুম 02
Ar Rahikul Makhtum 02

24/06/2024

আর রাহীকুল মাখতুম ০১
Ar Rahikul Makhtum 01

07/06/2024

আর রাহীকুল মাখতুম ০২
Ar Rahikul Makhtum 02

**আরব জাতিসমূহ **

ঐতিহাসিকরা আরব জাতিসমূহকে তিনভাগে ভাগ করেছেন।

এক. আরব বারেবা

আরব বারেবা বলতে আরবের সেইসব প্রাচীন গোত্র এবং সম্প্রদায়ের কথা বোঝানো হয়েছে যারা

সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এসব গোত্র ও সম্প্রদায় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিস্তারিত তথ্য এখন আর

জানা যায় না। যেমন আদ, সামুদ, তাছাম, জাদিছ আমালেকা প্রভৃতি জাতি।

দুই. আরব আবেরা

এ দ্বারা সেসব গোত্রের কথা বোঝানো হয়েছে, যারা ছিলো ইয়ারুব ইবনে ইয়াশজুব ইবনে

কাহতানের বংশধর। এদেরকে কাহতানি আরবও বলা হয়।

তিন. আরবে মোস্তারেবা এরা সেসব গোত্র, যারা হযরত ইসমাইল (আ.)-এর বংশধর। এদেরকে আদনানী আরবও বলা হয়। আরবে আরেবা অর্থাৎ কাহতানি আরবদের প্রকৃত বাসস্থান ছিলো ইয়েমেনে। এখানেই এদের পরিবার ও গোত্রের বিভিন্ন শাখা প্রসার লাভ করে। এদের মধ্যে দু'টি গোত্র বিশেষ খ্যাতি লাভ করে। যথা: (ক) হেমইয়ার: এদের বিখ্যাত শাখার নাম হচ্ছে যাইদুল যমহুর কোজাআহ এবং যাকাসেক। (খ) কাহতান: এদের বিখ্যাত বিখ্যাত শাখার নাম হচ্ছে হামদান, আনমার, তাঈ, মাযহিজ, কেন্দাহ, লাখম, জুযাম আযদ, আওস, খাজরায এবং জাফনার বংশধর। নিজস্ব এলাকা ছেড়ে এরা সিরিয়ার আশে পাশে বাদশাহী কায়েম করেছিলো। পরে এরা গাস্সান নামে পরিচিতি লাভ করে। সাধারণ কাহতানি গোত্রসমূহ পরবর্তীকালে ইয়েমেন ছেড়ে দেয় এবং আরব উপদ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করে। এরা সেই সময় দেশত্যাগ করেছিলো, যখন রোমকরা মিসর ও সিরিয়া অধিকার করার পর ইয়েমেনবাসীদের জলপথের বাণিজ্যের ওপর নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলো এবং স্থলপথের বাণিজ্যও নিজেদের অধিকারে এনেছিলো। এর ফলে কাহতানিদের বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এমনও হতে পারে, কাহতানি এবং হেমইয়ারি গোত্রসমূহের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ দেখা দেয়ায় কাহতানিরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিলো। এরূপ মনে করার এটাই কারণ যে, কাহতানি গোত্রসমূহ দেশত্যাগ করেছিলো, কিন্তু হিমইয়ারী গোত্রসমূহ তাদের জায়গায় অটল ছিলো। যেসব কাহতানি গোত্র দেশ ত্যাগ করেছিলো, তাদের চারভাগে ভাগ করা যায়। যথা: এক) আযাদ: এরা তাদের সর্দার এমরান ইবনে আমর মুযাইকিয়ার পরামর্শে দেশত্যাগ করে। প্রথমে এরা ইয়েমেনে এক জায়গা থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয় এবং অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়ার জন্যে বিভিন্ন দল পাঠাতে থাকে। এরপর উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বসতি স্থাপন করে। এদের বিস্তারিত বিরবণ নিম্নরূপ: ছা'লাবা ইবনে আমর: এই ব্যক্তি প্রথমে হেজায অভিমুখে রওয়ানা হয়ে ছা'লাবা এবং জিকার এর মাঝখানে অবস্থান গ্রহণ করেন। তার সন্তানরা বড় হলে এবং খান্দান শক্তিশালী হলে তখন মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হন এবং মদীনাতেই বসবাস করেন। এই ছা'লাবার বংশ থেকেই আওস এবং খাযরাজের জন্ম। আওস এবং খাযরাজ ছিলো ছা'লাবার পুত্র হারেছার সন্তান। হারেছ ইবনে আমর তিনি ছিলেন খোজাআর সন্তান। এই বংশধারার লোকেরা হেজায ভূমির বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরার পর মাররায যাহরানে অবস্থান নিয়ে পরে মদীনায় হামলা করে। মক্কা থেকে বনি জুরহুম গোত্রের লোকদের বের করে দিয়ে নিজেরা মক্কায় বসতি গড়ে।

07/06/2024

**আরবের ভৌগোলিক পরিচয় এবং বিভিন্ন জাতির অবস্থান**

সীরাতে নববী প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর শেষ পয়গম্বরের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানব জাতির সামনে তা উপস্থাপন করেছিলেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোয় এবং বান্দাদের বন্দেগী থেকে বের করে আল্লাহর বন্দেগীর মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলেন। আল্লাহর পয়গাম তথা পয়গামে রব্বানী অবতীর্ণ হওয়ার পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের অবস্থার তুলনামূলক আলোচনা ছাড়া সীরাতুন্নবীর পরিপূর্ণ চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয়। তাই মূল বিষয়ের আলোচনা শুরুর আগে ইসলামপূর্ব আরবের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং তাদের জীবনযাপনের অবস্থা বর্ণনা করা একান্ত প্রয়োজন। এতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবকালের অবস্থা সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।

'আরব' শব্দের আভিধানিক অর্থ সাহারা, বিশুষ্ক প্রান্তর বা অনুর্বর যমীন। তবে প্রাচীনকাল থেকে এ শব্দটি জাযিরাতুল আরব এবং তার অধিবাসীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে।

আরবের পশ্চিমে লোহিত সাগর এবং সায়না উপদ্বীপ, পূর্বদিকে আরব উপসাগর, দক্ষিণে ইরাকের বিরাট অংশ এবং আরো দক্ষিণে আরব সাগর। এটি প্রকৃতপক্ষে ভারত মহাসাগরের বিস্তৃত অংশ। উত্তরে সিরিয়া এবং উত্তর ইরাকের একাংশ। এর মধ্যে কিছু বিতর্কিত সীমানাও রয়েছে। মোট এলাকা দশ থেকে তেরো লাখ বর্গ মাইল।

দ্বীপসদৃশ এই আরব দেশটি প্রাকৃতিক এবং ভৌগোলিক দিক দিয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যন্তরীণ ও বহির্দিক থেকে এটি বহু প্রান্তর এবং মরুভূমিতে ঘেরা। এ কারণেই এ অঞ্চলটি এমন সংরক্ষিত। অন্যরা এ অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব সহজে বিস্তার করতে পারে না। তাই লক্ষ্য করা গেছে যে, জাযিরাতুল আরবের মূল ভূখন্ডের অধিবাসীরা প্রাচীনকাল থেকেই নিজেদের সকল কাজে সম্পূর্ণ স্বাধীন স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ আরবের এসব অধিবাসী ছিলো তদানীন্তন বিশ্বের দু'টি বৃহৎ শক্তির প্রতিবেশী। এই প্রাকৃতিক বাধা না থাকলে সেই দুটি শক্তির হামলা প্রতিহত করার সাধ্য আরবদের কোনদিনই হতো না।

বাইরের দিক থেকে জাযিরাতুল আরব ছিলো প্রাচীনকালের সকল মহাদেশের মাঝখানে। স্থলপথ এবং জলপথ উভয় দিক থেকেই বহির্বিশ্বের সাথে আরবের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো সহজ। জাযিরাতুল আরবের উত্তর পশ্চিম অংশ হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশ বা তোরণদ্বার। উত্তর পূর্ব অংশে ইউরোপ জাতি। পূর্বদিকে ইরান, মধ্য এশিয়া এবং দূর প্রাচ্যের প্রবেশ পথ। এ পথে চীন এবং ভারত পর্যন্ত যাওয়া যায়। এমনিভাবে প্রতিটি মহাদেশই আরব দেশের সাথে সম্পৃক্ত। এসকল মহাদেশগামী জাহাজ আরবের বন্দরে সরাসরি নোঙ্গর করে।

এ ধরনের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জাযিরাতুল আরবের উত্তর ও পশ্চিম অংশ বিভিন্ন জাতির মিলনস্থল এবং ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় প্রান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিলো।

Address

Debidwar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Light of Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share