ভবঘুরে

ভবঘুরে This is a tour and Bengali food page. All Street food review and tour TheTimesNewsBD.blogspot.com

08/07/2025

🧠 ব্রেন ধ্বংস হচ্ছে… কিন্তু টেরও পাচ্ছে না!

একটা কথা বলি —
আমাদের ব্রেন, মানে এই মস্তিষ্কটা আজকাল নিজের হাতে আমরা নিজেরাই ধ্বংস করছি।
আর সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার হলো —
আমরা জানিও না, কিভাবে ধীরে ধীরে আমাদের চিন্তাভাবনা, স্মৃতিশক্তি, মনসংযোগ… সব শেষ হয়ে যাচ্ছে!

👇 জানো কী কী জিনিস আমাদের ব্রেন শেষ করে দিচ্ছে?

1️⃣ অতিরিক্ত মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া –
ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করে করে আমরা মস্তিষ্কের ফোকাস পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি।
বুকের ভেতর মরে যাচ্ছে স্বপ্ন…

2️⃣ ঘুম না হওয়া –
রাত জেগে ফোন, গেম, সিরিজ…
এইসবই ব্রেনকে বিষ খাওয়ানোর মতো।
ঘুম ছাড়া ব্রেন "সফটওয়্যার ক্র্যাশ" হয়ে যায়!

3️⃣ একসাথে অনেক কিছু করার চেষ্টা (Multitasking) –
আমরা ভাবি আমরা স্মার্ট…
আসলে আমরা আমাদের ব্রেনকে গাধার মতো ব্যবহার করছি।
ব্রেন একসাথে সব হ্যান্ডেল করতে পারে না, ধীরে ধীরে বিপর্যস্ত হয়।

4️⃣ নেগেটিভ চিন্তা আর স্ট্রেস –
"আমি কিছুই পারি না",
"আমার কিছু হবে না" —
এই কথাগুলো ব্রেনকে ধ্বংস করে, ভেতর থেকে।

5️⃣ অস্বাস্থ্যকর খাবার আর জলের অভাব –
হ্যাঁ, খেয়াল করো —
মগজটা তৈরি হয়েছে ৭০% জল দিয়ে।
জল না খেলে ও ভুল খাবার খেলে ব্রেন শুকিয়ে যেতে থাকে… সত্যি!

---

🙇‍♂️ আর শেষে একটা কথা…
ব্রেন যদি শেষ হয়ে যায়, জীবন আর কিছুই না!
তাই এখনই সাবধান হও।
নিজের মস্তিষ্কটাকে বাঁচাও, না হলে জীবনে কিছুই থাকবে না — শুধু একটা ফাঁকা খোলস… 😔

#ব্রেন #ভয়ানক_সত্য

KGF CHAPTER - 3
27/06/2025

KGF CHAPTER - 3

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মৃতদেহকে কবর দেওয়ার ঠিক 24 ঘন্টা পরে মানুষের শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি হয় যা মৃতদেহের পায়ুপথ ...
27/06/2025

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মৃতদেহকে কবর দেওয়ার ঠিক 24 ঘন্টা পরে মানুষের শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি হয় যা মৃতদেহের পায়ুপথ দিয়ে বেরোতে থাকে। তৎসহ এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যা সহ্য করা অসম্ভব। আর ঐ দুর্গন্ধ পোকার সমগোত্রীয় পোকাদের নিমন্ত্রণ দেয়।
দুর্গন্ধ পেয়ে সমস্ত পোকা, মাকড়, বিছে মানুষের মৃতদেহের দিকে যাত্রা শুরু করে আর সবাই মিলে মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করে দেয়।
কবরস্থ করার তিনদিন পরে সবচেয়ে প্রথমে নাকের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং পচন ধরে যায়।
ছয় দিন পরে নখ খসে পড়তে থাকে।
নয় দিন পরে চুল খসে পড়া শুরু হয়।
মানুষের শরীরের সমস্ত লোম ঝরে পরে আর পেট ফোলা শুরু হয়ে যায়,
17 দিন পরে পেট ফেটে যায় আর শরীরের ভিতরের সমস্ত অংশ বাহিরে বেরিয়ে আসে।
60 দিন পরে মৃতদেহের শরীরের সমস্ত মাংস শেষ হয়ে যায়। মানুষের শরীরে একটু টুকরো মাংস অবশিষ্ট থাকে না।
90 দিন পরে সমস্ত হাড় একে অপরের থেকে পৃথক হয়ে যায়।
এক বছর পরে মানুষের শরীরের সমস্ত হাড় মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
আর যে মানুষের মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়েছিল তার সমস্ত অস্তিত্ব মুছে যায়।
অতএব আমার ভাই ও বোনেরা বলুন -
মানুষের এতো অহংকার, এতো আত্মগরিমা, এতো হিংসা, এতো বিদ্বেষ, এতো লালসা, এতো নাম, এতো শৌর্য্য, এতো সম্মান, এতো শক্তি, এতো সামর্থ্য, এতো ধণদৌলত, এতো ক্ষমতা, এই বাদশাহী কোথায় যায়?
সবকিছুই মাটিতে মিশে যায়।
মানুষের অস্তিত্ব বা কি আছে?
মাটি থেকে সৃষ্ট, মাটিতেই কবরস্থ হয়ে, মাটিতেই মিশে যায়।
5 ফুট, 6 ফুট, 7 ফুটের মানুষ কবরে চলে যাওয়ার পরে তার নাম, চিহ্ন মুছে যায়।
এই দুনিয়াতে গাম্ভীর্যের সঙ্গে বিচরণকারী যখন কবরে চলে যায় তখন তার অস্তিত্ব মাটি ছাড়া অন্য কিছুই থাকে না।
অতএব মানুষের আসল জীবন, আমৃত্যু জীবন যাতে সুন্দর হয় এবং শান্তিপূর্ণ হয় তার চেষ্টা করা উচিত এবং সেই মোতাবেক কাজ করা উচিত।
প্রতিটি ভালো কাজ, এবং প্রতিটি উত্তম কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করা উচিত। আর প্রতিটি মন্দ চিন্তাভাবনার অস্তিত্ব নষ্ট করার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থণা করা উচিত। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন (আমিন)😔

19/06/2025
বর্তমান যুদ্ধের একদম সংক্ষিপ্ত সরল বর্ণনা
19/06/2025

বর্তমান যুদ্ধের একদম সংক্ষিপ্ত সরল বর্ণনা

সেভ করে রাখুন কাজে লাগবে। পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১০০টি শব্দের অর্থের তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত অন...
11/06/2025

সেভ করে রাখুন কাজে লাগবে। পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১০০টি শব্দের অর্থের তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত অনেক শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ রয়েছে। কিছু শব্দ খুব কম ব্যবহৃত হয়। যারা পুরাতন দলিলের শব্দের অর্থ বোঝেন না, তাদের জন্য বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো —

১) মৌজা: গ্রাম
২) জে.এল. নং: মৌজা নম্বর/গ্রামের নম্বর
৩) ফর্দ: দলিলের পাতা
৪) খং: খতিয়ান
৫) সাবেক: আগের/পূর্বের
৬) হাল: বর্তমান
৭) বং: বাহক (যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লেখেন)
৮) নিং: নিরক্ষর
৯) গং: অন্যান্য অংশীদার
১০) সাং: সাকিন/গ্রাম
১১) তঞ্চকতা: প্রতারণা
১২) সনাক্তকারী: বিক্রেতাকে চিনেন এমন ব্যক্তি
১৩) এজমালি: যৌথ
১৪) মুসাবিদা: দলিল লেখক
১৫) পর্চা: প্রাথমিক খতিয়ানের নকল
১৬) বাস্তু: বসতভিটা
১৭) বাটোয়ারা: সম্পত্তির বণ্টন
১৮) বায়া: বিক্রেতা
১৯) মং: মোট
২০) মবলক: মোট পরিমাণ
২১) এওয়াজ: সমমূল্যের বিনিময়
২২) হিস্যা: অংশ
২৩) একুনে: যোগফল
২৪) জরিপ: ভূমি পরিমাপ
২৫) চৌহদ্দি: সীমানা
২৬) সিট: মানচিত্রের অংশ
২৭) দাখিলা: খাজনার রশিদ
২৮) নক্সা: মানচিত্র
২৯) পিং: পিতা
৩০) জং: স্বামী
৩১) দাগ নং: জমির নম্বর
৩২) স্বজ্ঞানে: নিজের জ্ঞানের ভিত্তিতে
৩৩) সমুদয়: সব কিছু
৩৪) ইয়াদিকৃত: পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু
৩৫) পত্র মিদং: পত্রের মাধ্যমে
৩৬) বিং: বিস্তারিত
৩৭) দং: দখলকারী
৩৮) পত্তন: সাময়িক বন্দোবস্ত
৩৯) বদলসূত্র: জমি বিনিময়
৪০) মৌকুফ: মাফকৃত
৪১) দিশারী রেখা: দিকনির্দেশক রেখা
৪২) হেবা বিল এওয়াজ: বিনিময়সূত্রে জমি দান
৪৩) বাটা দাগ: বিভক্ত দাগ
৪৪) অধুনা: বর্তমান
৪৫) রোক: নগদ অর্থ
৪৬) ভায়া: বিক্রেতার পূর্বের দলিল
৪৭) দানসূত্র: দানকৃত সম্পত্তি
৪৮) দাখিল-খারিজ: মালিকানা পরিবর্তন
৪৯) তফসিল: সম্পত্তির বিবরণ
৫০) খারিজ: পৃথক খাজনা অনুমোদন
৫১) খতিয়ান: ভূমির রেকর্ড
৫২) এওয়াজসূত্র: বিনিময় সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি
৫৩) অছিয়তনামা: উইল/মৃত্যুকালীন নির্দেশ
৫৪) নামজারি: মালিকানা হস্তান্তরের রেকর্ড
৫৫) অধীনস্থ স্বত্ব: নিম্নস্তরের মালিকানা
৫৬) আলামত: মানচিত্রে চিহ্ন
৫৭) আমলনামা: দখলের দলিল
৫৮) আসলি: মূল ভূমি
৫৯) আধি: ফসলের অর্ধেক ভাগ
৬০) ইজারা: নির্দিষ্ট খাজনায় সাময়িক বন্দোবস্ত
৬১) ইন্তেহার: ঘোষণাপত্র
৬২) এস্টেট: জমিদারি সম্পত্তি
৬৩) ওয়াকফ: ধর্মীয় কাজে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি
৬৪) কিত্তা: ভূমিখণ্ড
৬৫) কিস্তোয়ার জরিপ: কিত্তা ধরে ভূমি পরিমাপ
৬৬) কায়েম স্বত্ব: চিরস্থায়ী মালিকানা
৬৭) কবুলিয়ত: স্বীকারোক্তি দলিল
৬৮) কান্দা: উচ্চভূমি
৬৯) কিসমত: ভূমির অংশ
৭০) খামার: নিজস্ব দখলীয় ভূমি
৭১) খিরাজ: খাজনা
৭২) খসড়া: প্রাথমিক রেকর্ড
৭৩) গর বন্দোবস্তি: বন্দোবস্তবিহীন জমি
৭৪) গির্ব: বন্ধক
৭৫) জবরদখল: জোরপূর্বক দখল
৭৬) জোত: প্রজাস্বত্ব
৭৭) টেক: নদীর পলি জমে সৃষ্টি ভূমি
৭৮) ঢোল সহরত: ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা
৭৯) তহশিল: রাজস্ব এলাকা
৮০) তামাদি: নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত
৮১) তফসিল: সম্পত্তির বিবরণ
৮২) নামজারি: মালিকানা হস্তান্তর
৮৩) নথি: রেকর্ড
৮৪) দেবোত্তর: দেবতার নামে উৎসর্গকৃত
৮৫) দখলী স্বত্ব: দখলের ভিত্তিতে মালিকানা
৮৬) দশসালা বন্দোবস্ত: দশ বছরের বন্দোবস্ত
৮৭) দাগ নম্বর: জমির ক্রমিক নম্বর
৮৮) দরবস্ত: সব কিছু
৮৯) দিঘলি: নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানকারী
৯০) নক্সা ভাওড়ন: পূর্ব জরিপের মানচিত্র
৯১) নাম খারিজ: পৃথককরণ
৯২) তুদাবন্দি: সীমানা নির্ধারণ
৯৩) তরমিম: সংশোধন
৯৪) তৌজি: চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রেকর্ড
৯৫) দিয়ারা: নদীর পলিতে গঠিত চর
৯৬) ট্রাভার্স: জরিপের রেখা পরিমাপ
৯৭) খাইখন্দক: জলাশয় বা গর্তযুক্ত ভূমি
৯৮) চর: নদীর পলি জমে গঠিত ভূমি
৯৯) চৌহদ্দি: সম্পত্তির সীমানা
১০০) খাস: সরকারি মালিকানাধীন জমি

বিঃদ্রঃ
এই শব্দগুলো পুরাতন দলিল পড়ার সময় আপনাকে দারুণ সহায়তা করবে। সেভ করে রেখে দিন — প্রয়োজনে অমূল্য হয়ে উঠবে।

কাকরাইলে অনেকগুলো সরকারি অফিস আছে। তার মধ্যে দুদকের একটা অফিস। গেটের বাইরে একটা অভিযোগ বাক্স রাখা আছে যাতে করে লোকজন খুব...
11/05/2025

কাকরাইলে অনেকগুলো সরকারি অফিস আছে। তার মধ্যে দুদকের একটা অফিস। গেটের বাইরে একটা অভিযোগ বাক্স রাখা আছে যাতে করে লোকজন খুব সহজেই তাদের অভিযোগ জানিয়ে যেতে পারেন। তাতে করে অভিযোকারীর নাম, পরিচয় গোপন থাকে, আবার সে নিরাপদেও থাকে। অভিযোগ বাক্সে জমা পড়া চিঠিগুলোর গুরুত্ব বুঝে মাঝেমধ্যে তদন্ত করে দেখা হয়।

সেদিন ঠিক এমন একটা চিঠি নিয়ে বসেছিলেন দুদক অফিসার কফিলউদ্দিন। চিঠি পড়ে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছিলেন। পাশের চেয়ারে বসা দীর্ঘদিনের সহকর্মী বাশার ভাই ভ্রু কুঁচকে বলে, 'কী হইছে কফি ভাই?'

বাশার ছোট করে কফিলকে কফি ভাই বলে ডাকে। অবশ্য আরেকটা কারণ আছে। কফিল ভাই ঘন্টায় ঘন্টায় কফি খায়। সেই জন্যই এই নাম নিয়ে কফিল ভাই কখনও আপত্তি করেনি।

কফিল হাতের চিঠিটা নামিয়ে রেখে বলে, 'এক লোক একজন সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে উনি নাকি প্রতি ফাইল সাইন করতে পাঁচটা করে শিঙাড়া ঘুষ নেন। আচ্ছা বলেন, এটা কোনো দূর্নীতি হইল? বেচারা তো আর টাকা চায় নাই। তার হয়তো শিঙাড়া খুব পছন্দ।'

বাশার চোখের চশমা নামিয়ে বলে, 'এমন অদ্ভুত অভিযোগ কখনও শুনি নাই তো। আর ওই সরকারি অফিসারটাও তো আরও অদ্ভুত। ফাইল পাশ করতে শিঙাড়া চায়। চলেন না, একদিন ছোটখাটো তদন্ত করে আসি আর শিঙাড়াও খাইয়া আসি।'

কফিলউদ্দিন তাচ্ছিল্যের গলায় বলে, 'ভাই, আপনি তো জানেন এখন হাতে কত বড়ো বড়ো রুই কাতলার কেস ঝুলছে। এইসব ফালতু কেস নিয়ে সময় ব্যয় করার মানে নেই।'

এমন সময় পিয়ন এসে এক কাপ কফি দিয়ে যায়। কফিলউদ্দিন আয়েশ করে কফিতে চুমুক দেয়। কেন যেন হঠাৎ করে শিঙাড়া খেতে ইচ্ছে করছে।

এর কিছুদিন পর আবার সেই চিঠিটা আসে। কফিলউদ্দিন ভ্রু কুঁচকে চিঠিটা পড়ে। তারপর গলা তুলে বলে, 'বাশার ভাই, গেটের বাইরের ওই অভিযোগ বাক্সটা সরাই ফেললে হয় না?'

বাশার জিজ্ঞাসু গলায় বলে, 'কেন কফি ভাই, কী হইছে?'

কফিল চিঠিটা দেখিয়ে বলে, 'সেই লোক আবার চিঠি পাঠিয়েছে। এবার অভিযোগ হলো সেই সরকারি অফিসার নাকি ফাইল প্রতি পাঁচটার জায়গায় দশটা করে শিঙাড়া নিচ্ছে। তা তুই দশটা শিঙাড়া কিনে দে। ফালতু সব অভিযোগ।'

বাশারের খুব মজা লাগে। আগ্রহের গলায় বলে, 'কফি ভাই, চলেন না একদিন আমরা একটা ফাইল নিয়া যাই। দেখি আসলে ব্যাপারটা কী? আমরাও না হয় শিঙাড়া খাইয়া আসলাম।'

কফিলউদ্দিন ঠোঁট উল্টায়, 'আপনি যান, আমি সব ব্যবস্থা কইরা দিতাছি। ওই অফিসে আমাদের লোক আছে। তারে বললেই একটা ভুয়া ফাইল পাশের ব্যবস্থা কইরা দিব।'

বাশার উৎসাহী গলায় বলে, 'আচ্ছা, কফি ভাই। এমন মজার অভিযোগ আগে শুনি নাই। লোকটারে দেইখাই আসি।'

সপ্তাহখানেক পরে বাশার একদিন নিজেই যায়। সেই সরকারি অফিসারের অফিসটা ওদের পাশেই। আগে থেকেই সব ঠিক করা ছিল। আজ সকাল এগারোটায় উনি সময় দিয়েছেন। বাশার অপেক্ষা করছিল। অফিসারের নাম তাজুল ইসলাম। আসলে অফিসার না, উনি পরিচালক পদে আছেন। এত বড়ো পোস্টের একজন লোক এমন অদ্ভুত কাজ করছে, বিশ্বাস হয় না।

ঠিক এগারোটায় বাশারের ডাক পড়ে। দরজায় টোকা দিয়ে ভেতরে ঢোকে বাশার সালাম দেয়। তাজুল ইসলাম গম্ভীরমুখে বলে, 'কী চাই?'

বাশার ভালো করে দেখে। লোকটার মাথায় একটা মস্ত টাক। গোলগাল চেহারা, বেশ স্বাস্থ্যবান। আহারে, লোকটা শিঙাড়া খেয়েই বুঝি এমন নাদুসনুদুস স্বাস্থ্য বানিয়েছেন।

বাশার গলাখাঁকারি দিয়ে বলে, 'স্যার, আমার একটা ফাইল ছিল।'

তাজুল মাথা নেড়ে বলে, 'হ্যাঁ হ্যাঁ। আমি কাজ করে রেখেছি। আপনি শিঙাড়া এনেছেন?'

বাশারের বুক ধুকপুক করে উঠে। অভিযোগ দেখি সত্য। এই লোক আসলেই শিঙারা ঘুষ নেন।

বাশার একটু তোতলানো গলায় বলে, 'না আনিনি স্যার। কয়টা আনব?'

তাজুল ওর ফাইলটা নেড়েচেড়ে বলে, 'বেশি না, আপনি পাঁচটা শিঙাড়া নিয়ে আসেন।'

বাশার রুম থেকে বেরিয়ে নিচে আসে। একটু এগোতেই একটা টং দোকান দেখতে পায়। কড়াইয়ে গরম গরম শিঙাড়া ভাজা হচ্ছে। নিজে দুটো শিঙাড়া খায়। তারপর পঞ্চাশ টাকা দিয়ে পাঁচটা শিঙাড়া কেনে। দোকানি সাথে কিছু কাটা পেঁয়াজ আর বিট লবণ দিয়ে দেয়।

বাশার শিঙাড়া নিয়ে আবার তাজুল ইসলামের রুমে ঢোকে।

বাশার তেলতেলে গলায় বলে, 'এই যে স্যার, একদম গরম গরম শিঙাড়া নিয়ে এসেছি।'

তাজুল হাসে, 'ভাই, আমি সব দোকানের শিঙাড়া খাই না। আপনি এই অফিস থেকে নেমে বাম দিকে দুই মিনিট হেঁটে গেলে একটা রেস্টুরেন্ট দেখবেন। নাম - লাজুকলতা রেস্টুরেন্ট। ওইখানে গিয়ে আমার নাম বললেই ওরা স্পেশাল শিঙাড়া বানিয়ে দেবে। যান, দেরি করেন না। আমার হাতে অনেক কাজ।'

বাশার ভ্রু কুঁচকে তাকায়। তারপর মাথা নেড়ে বাইরে আসে। বাপ রে, একদম নিজের পছন্দ করা আলাদা দোকান থেকে শিঙাড়া আনতে হবে?

অফিস থেকে নেমে বাশার একটু হাঁটতেই লাজুক লতা রেস্টুরেন্টটা পেয়ে যায়। রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই ক্যাশে বসা লোকটাকে উদ্দেশ করে বলে, 'তাজুল স্যারের জন্য পাঁচটা স্পেশাল শিঙাড়া দেন তো।'

ক্যাশে বসা লোকটা একটু নড়েচড়ে উঠে। তারপর নিজে চেয়ার থেকে উঠে এসে ওকে নিয়ে ভেতরে আলাদা একটা খালি টেবিলে বসায়। এক ফাঁকে কাউকে উদ্দেশ করে বলে, 'ওই, পাঁচটা কলিজা শিঙাড়া দে।'

বাশার হাসে। লোকটা বললেই পারত কলিজা শিঙাড়া খাবে।

একটু পর সুন্দর একটা লাল রঙের বাহারি ঠোঙায় শিঙাড়া আসে। বাশার মানিব্যাগ বের করে বলে, 'ভাই, শিঙাড়া কত করে?'

ক্যাশিয়ার লোকটা ভ্রু কুঁচকে বলে, 'আপনি নতুন নাকি? স্যারের শিঙাড়ার রেট জানেন না?'

বাশার মাথা নাড়ে, 'না তো। কত করে বলেন।'

ক্যাশিয়ার গলাখাঁকারি দিয়ে বলে, 'দশ হাজার কইরা। পাঁচটার দাম পঞ্চাশ হাজার।'

বাশারের চোখ বড়ো হয়ে যায়। এতক্ষণে বুঝতে পারে ব্যাপারটা। ঘুষ খাবার একটা অভিনব টেকনিক। তারমানে ছোটখাটো ফাইলে পঞ্চাশ হাজার টাকা। আর ফাইল বড় হলে দশটা শিঙাড়া, মানে এক লাখ টাকা।

বাশার মন খারাপ গলায় বলে, 'ভাই, আমি তো অত টাকা নিয়া আসি নাই। কাইল আবার আসমু।'

ক্যাশিয়ার লোকটা অসন্তুষ্ট গলায় বলে, 'রেট না জাইনা হুদাই শিঙাড়া কিনতে আসেন ক্যান। যান, টাকার বন্দোবস্ত করেন।'

সেদিন অফিসে গিয়ে কফিলউদ্দিনকে পুরো ঘটনা খুলে বলতেই উনি হতভম্ব হয়ে যান, 'কী বলেন! এত্ত বড়ো শেয়ানা। দাঁড়ান, এর ব্যবস্থা নিতেছি।'

পরদিনই লাজুকলতা রেস্টুরেন্টের ক্যাশিয়ার সহ তাজুল ইসলামকে আটক করা হয়। বাশারের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে পাঁচটা শিঙাড়া কেনার দৃশ্যটা গোপনে ভিডিয়ো ধারণ করা হয়। এই শিঙাড়া যে তাজুল ইসলামের জন্য কেনা হচ্ছে সেটাও।

পুরো দেশের মিডিয়া যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তাজুল ইসলাম অনেক দিন ধরেই এমন অভিনব কায়দায় ঘুষ নিচ্ছিলেন। আর লাজুকলতা রেস্টুরেন্টের মালিক উনি নিজেই। এর ক্যাশিয়ার তার স্ত্রীর ছোট ভাই, অর্থাৎ শ্যালক আর দুলাভাই মিলে পুরো ঘুষ বাণিজ্যটা চালাতেন।

তাজুল ইসলামের বক্তব্য নিতে গেলে সে শুধু গম্ভীরমুখে বলেছে, 'শালা আমাকে ডুবিয়েছে।'

সংগৃহীত

গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে?আয় সাধারণত তিন ধরনের হয়:১. একটিভ ইনকাম২. প্যাসিভ ইনকাম৩. পোর্টফোলিও ইনকাম১. একটিভ ইনকাম: একট...
16/04/2025

গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে?

আয় সাধারণত তিন ধরনের হয়:
১. একটিভ ইনকাম
২. প্যাসিভ ইনকাম
৩. পোর্টফোলিও ইনকাম

১. একটিভ ইনকাম: একটিভ ইনকাম মানে হচ্ছে এমন আয় যা আপনি সরাসরি পরিশ্রম এবং সময় দিয়ে উপার্জন করেন। যেমন: চাকরি, ব্যবসা অথবা এমন কোনো কাজ যা আপনি যতটুকু সময় দেবেন, ততটুকু আয় করবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি দোকান চালান, তবে আপনি যতক্ষণ দোকান চালাবেন, ততক্ষণ আয় হবে। কিন্তু যদি আপনি দোকানে না যান, তাহলে আয় হবে না।

এই ধরনের আয় বেশিরভাগ মানুষের কাছে সহজ এবং দ্রুত মনে হয়। এটি সাধারণত সবার কাছে পরিচিত একটি মাধ্যম, এবং বেশিরভাগ মানুষ একটিভ ইনকামের দিকে ছুটে চলে। উদাহরণস্বরূপ, চাকরি করে মাস শেষে বেতন নেওয়া, কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করা। কিন্তু এই ধরনের আয় হয় সীমিত, কারণ আপনি যতটুকু পরিশ্রম করবেন, ততটুকু আয় হবে। আর একজন মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০-১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে পারে, এর বেশি নয়।

যত বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অভিনেতা হোন না কেন, একটিভ ইনকামে আপনি এক সময় আপনি সেই সীমার মধ্যে আটকে পড়বেন। তাই, একটিভ ইনকাম দীর্ঘমেয়াদী ধন-সম্পদ গড়ার জন্য যথেষ্ট নয়।

২. প্যাসিভ ইনকাম: প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন আয় যা আপনি কাজ না করেও উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি ঘুমাচ্ছেন, বা অন্য কোনো কাজ করছেন, তবুও আপনার আয় চলতে থাকে। যারা প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করেন, তারা অনেক সময় ধনী হয়ে ওঠেন। কারণ, প্যাসিভ ইনকামের একটা বড় সুবিধা হলো, এটি সময়ের সাথে বৃদ্ধি পায় এবং কখনো থেমে যায় না।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি একটি বাড়ি ভাড়া দেন, তবে আপনি প্রতি মাসে ভাড়া পাবেন, আর আপনাকে বাড়ির দিকে কোনো বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে না। এছাড়া বই লেখা, ইউটিউব চ্যানেল চালানো, ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা, ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়, আপনি যদি বিশেষ কোনো কাজে দক্ষ হন সে বিষয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স তৈরি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ (Cost Per Action) এই সবই প্যাসিভ ইনকামের উদাহরণ।

প্যাসিভ ইনকাম শুরু করা সহজ নয়, কারণ এর জন্য প্রথমে কিছু সময় এবং পরিশ্রম দিতে হয়। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন, তবে প্রথম কয়েক মাস হয়তো আপনি আয় পাবেন না, কিন্তু একসময় যখন আপনার ভিডিওগুলো জনপ্রিয় হবে, তখন আয় আসতে থাকবে। অনেক সময়, এই ধরনের ইনকাম শুরু করতে কিছু পুঁজি এবং পরিকল্পনা প্রয়োজন।

এ কারণে অধিকাংশ মানুষ প্যাসিভ ইনকাম এর প্রতি আগ্রহী নয়, এবং তারা একটিভ ইনকামে আটকে থাকে। তবে যাদের প্যাসিভ ইনকাম থাকে, তারা কখনো অর্থ কষ্টে পড়েন না, কারণ তাদের আয় কখনো বন্ধ হয় না। তাই, যদি আপনি জীবনে সফল হতে চান, তবে একটিভ ইনকাম থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে প্যাসিভ ইনকামের উৎস তৈরি করুন।

৩. পোর্টফোলিও ইনকাম: পোর্টফোলিও ইনকাম হলো সেই আয় যা মূলত ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে আসে। যাদের টাকা আছে, তারা যদি সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে আয় করেন, তখন সেখান থেকে বড় অংকের আয় আসে। এই ধরনের ইনকামের জন্য তাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় না।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি শেয়ার বাজারে বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়া, আপনি যদি কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগে বিনিয়োগ করেন, তবে সেই ব্যবসা থেকে আয় পাবেন, যদিও আপনার কোনও সরাসরি অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই।

ধনী মানুষ সাধারণত এই ধরনের ইনভেস্টমেন্টে অর্থ রাখেন। কারণ, ব্যাংকে টাকা রাখলে, আসল অর্থের মূল্য দিন দিন কমে যায়। অর্থাৎ, সময়ের সাথে সাথে আপনার টাকা ক্ষয় হতে থাকে। তবে, যদি আপনি সেই টাকা স্টক মার্কেট, রিয়েল এস্টেট, ক্রিপটো (Crypto) মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ডে বা কোনো ভালো ব্যবসায়িক উদ্যোগে বিনিয়োগ করেন, তবে আপনার টাকা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি ধনী হতে পারবেন।

যারা পোর্টফোলিও ইনকামে আগ্রহী নয়, তারা হয়তো জানেন না যে বিনিয়োগের মাধ্যমে কীভাবে সম্পদ হাজার গুণ বৃদ্ধি করা যায়।

২০-৮০ সিস্টেমে আটকে যাচ্ছেন না তো?

আপনার যদি প্যাসিভ ইনকাম কিংবা পোর্টফোলিও ইনকামের প্রতি আগ্রহ না থাকে, তাহলে আপনি হয়তো ২০-৮০ সিস্টেমে আটকে যাবেন। এই সিস্টেম অনুযায়ী, ২০% মানুষ সবসময় ধনী হয় এবং ৮০% মানুষ সারাজীবন গরীব থাকে। এই ২০% মানুষ পৃথিবীর মোট সম্পদের সিংহভাগ অংশের মালিক হয়।

এই কারণে, আপনি যে প্রফেশনেই থাকেন না কেন, চেষ্টা করুন প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে। আপনি যদি শুধুমাত্র একটিভ ইনকামে আটকে থাকেন, তবে আপনার আয় একসময় সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। আর প্যাসিভ ইনকাম অথবা পোর্টফোলিও ইনকাম না থাকলে, আপনি সেই ৮০% মানুষের মধ্যে পড়ে যাবেন, যারা সারাজীবন অর্থ কষ্টে ভুগবে।

তাই, আজ থেকেই আপনার আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করুন এবং একটিভ ইনকাম থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে প্যাসিভ ইনকাম অথবা পোর্টফোলিও ইনকাম তৈরি করুন। এতে আপনার ভবিষ্যত সুরক্ষিত হবে এবং আপনি ধনী হতে পারবেন। জীবনে সফল হতে এবং ধনী হতে হলে, একটিভ ইনকাম ছাড়াও প্যাসিভ ইনকাম এবং পোর্টফোলিও ইনকামের প্রতি মনোযোগ দিন।

#গরীব_কেন_গরীব_থাকে #শিক্ষনীয়_পোস্ট #বাতায়ন_টিভি #ব্যাসায়ীক_আইডিয়া #ধনী

বাংলাদেশ ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক হয়তো অবশেষে খারাপের দিকেই যাচ্ছে । ভারতীয় ভূখণ্ডকে ব্যবহার করে এতদিন নেপাল, ভুটান, মায়া...
10/04/2025

বাংলাদেশ ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক হয়তো অবশেষে খারাপের দিকেই যাচ্ছে ।

ভারতীয় ভূখণ্ডকে ব্যবহার করে এতদিন নেপাল, ভুটান, মায়ানমারে পণ্য রফতানি করতো বাংলাদেশ।

ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার করে পণ্য রফতানির চুক্তি হয়েছিলো ২০২০ সালের ২৯ জুন ।

কিন্তু— এবার ঘোষণা দিয়ে সেই রাস্তা বন্ধ করে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ।

অর্থাৎ এখন আর শুল্কবিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে ভারতের বন্দর, বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে না বাংলাদেশ । সীমান্ত পেরিয়ে কন্টেনার, বন্ধ ট্রাক আর প্রবেশ করতে পারবে না। ( তথ্যসূত্র- ১)

এরকমটা হুট করে কেনো করলো নরেন্দ্র মোদি?

ইউনুস সরকারের চীন সফর নিয়ে ভারত যথেষ্ট অসন্তুষ্ট ছিলো ।

কেনো?

বিশ্লেষকরা বলতেছে — এতে ভারত নির্ভরতা কমতেছে, তাই ।

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ মানুষ ভারতে চিকিৎসা নিতে যায় । কিন্তু হাসিনা সরকার পতনের পর - মোদি চাইছিলো সে চিকিৎসা বন্ধ করে বাংলাদেশকে কিছুটা চাপে রাখতে ।

ভারতের ভিসা ইতোমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে না ।

ইউনুস সাহেব বিকল্প খুঁজে নিলেন চীনকে ।

চীনের কুনমিং এ বাংলাদেশের জন্য চারটি হাসপাতাল বরাদ্দ করা হয়েছে ।

চীনের উদ্যোগে ঢাকায় কিছু হাসপাতাল গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে রোবটিক ফিজিও থেরাপির, কার্ডিভাস্কুলার , ভেহিকল সাপ্লাই দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।

( তথ্যসূত্র- ২)

মোদিজি এসব সহ্য করলেন । কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলো ইউনুস সরকার যখন বিবৃতি দিয়ে বসলেন —

"সেভেন সিস্টার ল্যান্ডলক - আর আমরা সেভেন সিস্টারের অভিভাবক। "

এই বিবৃতি ভারতে তুমুল আলোচনার ঝড় তুলে রীতিমত ।

এরই প্রেক্ষ্মিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চাপ দিয়ে ভারতীয় ভূখন্ড বন্ধ করে দেয় আজ ।

এর বিপরীত পরিস্থিতি কি হতে পারে?

বাংলাদেশ মংলা সমু্দ্র বন্দর বন্ধ করে দিবে ভারতের জন্য?

এরকমটা হতে পারে ভেবেই , ভারত কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর ও মংলা আগের থেকেই দাবি করতেছে ।

কিছুদিন আগেই ভারতীয়রা হাঁক দিচ্ছিলো , আমরা চট্টগ্রাম আমাদের মানচিত্রে যোগ করবো । আর চট্টগ্রাম বাসী আওয়াজ দিচ্ছিলো —

" আমরা ভারতের সব গরু দিয়ে মেজবান খাবো। "

এই সপ্তাহে ত্রিপুরার মহাপাত্র প্রদ্যোৎ মানিক্য আবার হুঁশিয়ারি দিলেন -

"উই উইল ডু ইট, এট এনি কস্ট। ১৯৪৭ এ আমাদের চট্টগ্রাম হাতছাড়া করা উচিত হয় নি ।

এই ভুল আমাদের ভোগাচ্ছে । "

কথা হলো , তারা মংলা কেনো চায়? চট্টগ্রাম বন্দর কেনো চায়?

ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন।

বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধায় মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য সহজে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরামে যায় ।

ভারতের সেভ হয় ৩০% অর্থ , সাথে সময় ।

কিন্তু বাংলাদেশ যদি এই পথ বন্ধ করে দেয়?

এর বিকল্প হিসেবে ভারত ২০০৮ সালে মায়ানমারের সাথে " Kaladan Multi-Model Transit Transport project ( KMTTP) চালু করে ।

কিন্তু এই প্রজেক্ট কার্যকরী না একদমি ।

প্রথমত , যে রাজ্য দিয়ে এই ট্রানজিট চালু হয়েছে মায়ানমারের সে রাখাইন রাজ্য এখন রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভুগছে । এ পথ নিরাপদ না ।

দ্বিতীয়ত , একই রাজ্যকে চীন " Belt And Road Initiative (BRI) ব্যবহার করছে । যা ভারতের KMTTP এর অঞ্চলকে ছেদ করে ।

কিন্তু মায়ানমারের উপর চীনের প্রভাব এতো বেশি —
ভারত সেখানে পাত্তা পাবে না ।

তৃতীয়ত, সময় বেশি যাবে । ব্যয় বেশি হবে। লস প্রজেক্ট ।

অর্থাৎ মংলা বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দর যদি বন্ধ করা হয় , ভারত মারা খাবে ।

এতদিন শেখ হাসিনা শুধু দিয়েই গিয়েছিলেন —
" তাই ভারত আমাদের বন্ধু ছিলো । "

যখন ভাল্লুক ইউনুস সরকার আসলো —

সেই বন্ধু গাছে উঠে গেলো ।

হাসিনা একবার গর্ব করে ভারতের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন - ভারত কখনোই বলতে পারবে না আমরা ভারতকে ঠকিয়েছি । বরং ভারতকে বেশিই দিয়েছি।

এই ২০২৪ সালের অর্থবছরেও ভারত আমাদের দেশে রফতানি করে ১২.৯০ মার্কিন ডলার। আর আমরা?
১.৮ বিলিয়ন ।

কিন্তু সেই ভারতই এখন বোল পাল্টাচ্ছে ।

আমের আঁটির রস শেষ? না তেতো লাগছে?

যারা আওয়ামীলীগ করেন — আপনি আমারে বিএনপির দালাল বইলা গালি দিতে পারেন । ইউনুসের দালাল বইলা গালি দিতে পারেন ।

কিন্তু বিএনপির যখন জন্ম হয় নি - ইউনুসের ও যখন জন্ম হয় নি , তখন দেশের কোনো একজন দালাল বলে গিয়েছিলেন —

"ভারত বাংলাদেশের কখনো বন্ধু হইতে পারে না । এই সত্য তুমি যতো তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবা, ততোই ভালো। "

বছর বছর যে বন্যার পানি বাংলাদেশে আসে , তারা কখনো আওয়ামীলীগ বিএনপির ঘর বাড়ি চেক করে মানুষদের ভাসিয়ে নিয়ে যায় নি ।

নিয়েছে বাংলাদেশীদের, যে সীমান্ত কাঁটাতারে ফেলানীর লাশ ঝুলে ছিলো - ঠিক তার ওপারে বসে হেসেছে —

ভারত!

৩,৫০০ বছরের পুরনো মিশরে সংরক্ষিত ফিরাউনের মমি
10/04/2025

৩,৫০০ বছরের পুরনো মিশরে সংরক্ষিত ফিরাউনের মমি

Address

Debidwar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভবঘুরে posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ভবঘুরে:

Share

Category