31/05/2025
একটা ক্লিক,
একটা স্ক্রল,
একটা অর্ডার…
ডিজিটাল দুনিয়ায় সব কিছুই যেন হুট করে ঘটে যায়।
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতেই পণ্য চলে আসে গেটের সামনে।
আর আমরাও ভাবি— আহ্, কী চমৎকার ব্যবস্থা!
কিন্তু গেটের ওপাশে?
সেখানে একটা মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে।
ডিজিটাল দুনিয়ার আদলে গড়া একটা বাস্তব গল্প।
সে কোনো বোতাম নয়, কোনো ফিচার নয়,
সে রক্তমাংসের মানুষ।
একটা গরম দুপুরে বা একপশলা বৃষ্টির ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকা
একটা নামহীন মুখ।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন Currir-এর আমাদেরই
কারো না কারো বাবা বা ভাই বা বন্ধু বা আত্নীয়!
হাতের ব্যাগে বহন করে আপনার আমার অর্ডার,
কিন্তু বুকে বহন করে অসংখ্য অপেক্ষা—
একটা হাসির, একটা ‘ধন্যবাদ’ এর,
আর কখনো কখনো, শুধুই একটু সম্মান পাওয়ার।
এইটা কি আমরা দেখি?
না, আমরা দেখি অ্যাপে টাইমিং মিস হলেই বলি—
“আমি আর নিবো না, দেরি হইছে তো।”
একটা বাক্য…
আরেকজন মানুষের দিনের খাবারটা কমে যায়।
ডিজিটাল দুনিয়ায় হয়তো প্রোডাক্ট একটা "ক্লিকে" ক্যানসেল,
কিন্তু বাস্তবে সেই মানুষটার জীবনের সময়, শ্রম আর ক্লান্তি ফিরিয়ে আনা যায় না।
এই যে গ্যাপ—এই যে ফারাক—
এটাই তো ডিজিটাল আর বাস্তবের পার্থক্য।
এটাই ডিজিটাল যাত্রা,
যেখানে প্রযুক্তি শুধু সুবিধা দেয় না,
মানবিকতা দিয়েও পরীক্ষা নেয়।
আপনি যদি ডিজিটাল লাইফে সত্যিকার মানুষ হতে চান,
তাহলে শুধু অর্ডার করলেই হবে না—
একটু ভালোবাসাও দিতে হবে।
একটু সময়মতো দরজা খুলুন,
একটু হাসিমুখে বলুন—
"ভাই, ধন্যবাদ।"
আর যদি পারেন,
পকেটের অতিরিক্ত ২০ টাকা থেকে একটা ছোট হাদিয়া দিন।
আপনার কিছু যাবে না,
কিন্তু তার চোখে আনন্দের জ্যোতি ফুটে উঠবে—
যেটা কোনো অ্যাপের রেটিং-এ ধরা পড়ে না।
ডিজিটাল জগতে মানবিক থাকা কঠিন,
তাই এইটাই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এটাই আমাদের “ডিজিটাল যাত্রা।”
সেখানে শুধু অর্ডার না,
সম্মানটাও ডেলিভারি হোক।