World bd info

World bd info Recent news, world information.,political issue and international diplomat discuss this page

পরমাণু স্থাপনাসহ ইসরাইলের হাজার হাজার ‘গোপন নথি’ পেয়েছে ইরানইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছ থেকে হাজার...
09/06/2025

পরমাণু স্থাপনাসহ ইসরাইলের হাজার হাজার ‘গোপন নথি’ পেয়েছে ইরান

ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছ থেকে হাজার হাজার অত্যন্ত গোপন ও সংবেদনশীল নথি উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত ডিমোনা পারমাণবিক স্থাপনা সম্পর্কিত উচ্চমাত্রায় গোপনীয় তথ্যও রয়েছে।

এ বিষয়ে অবগত সূত্রগুলো ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থাকে (আইআরআইবি) জানিয়েছে, এটি ছিল দখলদার ইসরাইলের ওপর অন্যতম বড় আঘাত।

সূত্রগুলো শনিবার জানায়, যদিও এই গোপন অভিযানটি কিছু সময় আগেই সম্পন্ন হয়। তবে বিপুল পরিমাণ নথিপত্র ও সেগুলো নিরাপদে ইরানে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কারণে সংবাদ গোপন রাখা হয়েছিল। যাতে সেগুলো নির্ধারিত সুরক্ষিত স্থানে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে।

তারা এ-ও জানায়, নথির পরিমাণ এত বেশি যে এগুলো পর্যালোচনা করা, ছবি ও ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করতেই অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।

এদিকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতারের ঘোষণা দেওয়ার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর এ তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটল।

ইসরাইল পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সিন বেত-এর ২০ মে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, রয় মিজরাহি ও আলমোগ আতিয়াস নামের ২৪ বছর বয়সি দুই তরুণকে এপ্রিলের শেষ দিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিমূলক তথ্য সংগ্রহ করছিল।

ইসরাইলি কর্মকর্তারা দাবি করেন, ওই দুই ব্যক্তি দখলকৃত দক্ষিণাঞ্চলের কফার আহিম এলাকায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজকে অনুসরণ করছিল।

কয়েক সপ্তাহ আগেই ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ইরানের পক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছিল।

ইরানি গণমাধ্যমের দাবি, এ ঘটনা নথি স্থানান্তর সম্পন্ন হওয়ার পরেই ঘটেছে।সূত্র: মেহের নিউজ

#এই #এক #ও

তাইওয়ানের সমুদ্র প্রতিরক্ষায় আত্মঘাতী ড্রোন নৌকা পরীক্ষার প্রস্তুতিতাইওয়ান চলতি মাসের শেষের দিকে একটি নিজস্ব নির্মিত ...
03/06/2025

তাইওয়ানের সমুদ্র প্রতিরক্ষায় আত্মঘাতী ড্রোন নৌকা পরীক্ষার প্রস্তুতি

তাইওয়ান চলতি মাসের শেষের দিকে একটি নিজস্ব নির্মিত আত্মঘাতী সমুদ্র ড্রোন নৌকার পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছে। চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপে নিজেদের নৌ প্রতিরক্ষা জোরদার করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

এটি কুয়াই চি প্রকল্প নামে পরিচিত, যা তাইওয়ানের শীর্ষ অস্ত্র নির্মাতা সংস্থা ন্যাশনাল চুং-শান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনসিএসআইএসটি)–এর তত্ত্বাবধানে উন্নয়নাধীন। সোমবার এক সামরিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসেই এর যুদ্ধ-সক্ষমতা মূল্যায়ন শুরু হবে, এবং বছর শেষে আরও কিছু উন্নত পরীক্ষা চালানো হবে।

সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, আগস্টে দক্ষিণ তাইওয়ানে একটি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ার সময় এই ড্রোনটি লাইভ যুদ্ধ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে।

এই প্রকল্পের জন্য তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৮০০ মিলিয়ন নিউ তাইওয়ান ডলার (প্রায় ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করেছে। নির্মাণ কার্যক্রমের দায়িত্বে রয়েছে লুংতেহ শিপবিল্ডিং কোম্পানি, যাদের তিনটি আক্রমণাত্মক এবং একটি লক্ষ্যবস্তু ইউএসভি নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এনসিএসআইএসটি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করে ২০২৬ সালে বৃহৎ আকারে উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এক সামরিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেনাবাহিনী উপকূলীয় হামলা অভিযানের সহায়তায় ২০০টিরও বেশি নৌ ড্রোন সংগ্রহ করতে চায়।

প্রকল্পসংক্রান্ত নথিপত্র অনুযায়ী, আক্রমণাত্মক নৌযানটির দৈর্ঘ্য ১০ মিটার-এর কম, পূর্ণরূপে বোঝাই অবস্থায় এর ওজন চার টনের কম এবং পানিতে ডুবে যাওয়ার গভীরতা ০.৫ মিটার-এর নিচে থাকবে। লক্ষ্যবস্তু নৌযানটি ১৭ মিটার-এর কম লম্বা হবে এবং ওজন হবে ১৯-২০ টনের মধ্যে।

প্রতিটি আক্রমণ নৌযান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত লক্ষ্যনির্ধারণ ও পরিচালনা ব্যবস্থায় সজ্জিত থাকবে, যা শত্রুপক্ষের নৌযানকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, পরিসর, নির্ভুলতা, গতিশীলতা, স্বয়ংক্রিয়তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—এই উপাদানগুলোই তাইওয়ানের অসমমিত প্রতিরক্ষা কৌশলের মূল অংশ, এবং ২০০ ইউনিট তৈরি কেবল শুরু মাত্র।

এই প্রকল্পের পাশাপাশি, এনসিএসআইএসটি আগামী ১৭–১৮ জুন ইয়িলান কাউন্টির সু’আও উপকূলে একটি দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী আয়োজন করবে। এখানে ইউএসভির স্থির ও লাইভ প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন বহুমুখী সামুদ্রিক কার্যক্রম উপস্থাপন করা হবে—যেমন আক্রমণ, টহল, উদ্ধার অভিযান, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও রসদ সরবরাহ।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, এই প্রদর্শনীতে সাতটি তাইওয়ানি ও পাঁচটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। থান্ডার টাইগার টেকনোলজিস, কার্বন-বেইসড টেকনোলজি, কোরাম ইয়টস ইন্টারন্যাশনাল ও লুংতেহ শিপবিল্ডিং—এই চারটি প্রতিষ্ঠান সাগরে লাইভ ডেমোতেও অংশ নেবে।

পরীক্ষাগুলোর মধ্যে থাকবে ইলেকট্রো-অপটিকাল ইমেজিং, গতি, দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা, স্থল পরিবহনযোগ্যতা, সমুদ্র অভিযোজন, ভার বহনের ক্ষমতা, নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা, কাঠামোর নকশা ও উপাদান গুণগত মানের মূল্যায়ন।

তবে এই ইভেন্টে প্রদর্শিত হবে না সিএসভিসি কর্পোরেশন তাইওয়ানের সামরিক ইউএসভি এন্ডেভার মান্টা ও এনসিএসআইএসটি–এর গোপন কুয়াই চি আত্মঘাতী নৌকা।

এনসিএসআইএসটি জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে শুধু বাণিজ্যিক ও দ্বৈত ব্যবহারের প্রযুক্তি দেখানো হবে, গোপন যুদ্ধ সক্ষমতা নয়। সংস্থাটির সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের কর্মকর্তা সান চুন-চিং বলেছেন, এই নৌকা সম্পূর্ণ পরীক্ষা উত্তীর্ণ হলে সেপ্টেম্বরের তাইপে অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স টেকনোলজি প্রদর্শনীতে তা জনসমক্ষে আনা হতে পারে।

চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে এবং এটি ফিরিয়ে আনতে বলপ্রয়োগের পথ খোলা রেখেছে।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশ—যুক্তরাষ্ট্রসহ, যারা তাইপের প্রধান আন্তর্জাতিক মিত্র—তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তবে ওয়াশিংটন বলপ্রয়োগে দখলের বিরোধিতা করে এবং আইনগত বাধ্যবাধকতায় তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে।

#এই #এই #এই

জার্মান সেনা লিথুনিয়ারhttps://www.facebook.com/share/p/19KaGrtKRm/
25/05/2025

জার্মান সেনা লিথুনিয়ার
https://www.facebook.com/share/p/19KaGrtKRm/

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বিদেশে স্থায়ী সেনা মোতায়েন করল জার্মানি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো জার্মানি অন্য দেশে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করল। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ লিথুয়ানিয়া সফরে গিয়ে ন্যাটোর পূর্ব সীমান্ত রক্ষায় বার্লিনের সাঁজোয়া ব্রিগেডের উদ্বোধন করেন।

গত ২২ মে (বৃহস্পতিবার) চ্যান্সেলর মার্জের সফরে তার সঙ্গে ছিলেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াস। এই সফরের মধ্য দিয়ে লিথুয়ানিয়ায় জার্মান সাঁজোয়া ব্রিগেডের আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন সম্পন্ন হয়।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষাপটে মার্জ বলেন, বাল্টিক অঞ্চলের মিত্রদের নিরাপত্তা মানেই আমাদের নিরাপত্তা। ইউরোপের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য মিত্র দেশগুলোকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

লিথুয়ানিয়ায় জার্মান সেনা মোতায়েন

লিথুয়ানিয়া, যেটি রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ এবং বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে, সেখানে এই ব্রিগেড মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৭ সালে জার্মানি প্রথমবারের মতো লিথুয়ানিয়ায় সেনা মোতায়েন শুরু করে এবং দীর্ঘ এক বছরের প্রস্তুতির পর তা পূর্ণাঙ্গ ব্রিগেডে রূপান্তরিত হয়েছে।

নতুন এই ৪৫তম সাঁজোয়া ব্রিগেডে প্রায় ৫,০০০ জন সদস্য থাকবে, যার মধ্যে ৪,৮০০ জন জার্মান সৈনিক এবং ২০০ জন বেসামরিক কর্মী রয়েছেন। ২০২৭ সালের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ভিলনিয়াসের কেন্দ্রীয় ক্যাথেড্রাল স্কোয়ারের আকাশে বহু সামরিক হেলিকপ্টার প্রদর্শিত হয়, যা এই মোতায়েনের তাৎপর্য তুলে ধরে।

প্রতিরক্ষা কৌশল ও বিনিয়োগ

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছি।

তিনি জানান, রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় ইউক্রেন আক্রমণের পর জার্মানি ন্যাটোর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপির ২% প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যয় করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১১৩ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, লিথুয়ানিয়া ঘোষণা দিয়েছে ২০২৬ সাল থেকে তারা তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির ৩% থেকে বাড়িয়ে ৫–৬% করবে।

লিথুয়ানিয়ার প্রতিক্রিয়া

লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবারের মতো জার্মান সেনাবাহিনী দীর্ঘমেয়াদে নিজ দেশের বাইরে অবস্থান নিতে যাচ্ছে।

খোলা আকাশের নিচে যেন বিস্তৃত এক কারাগার ‘পশ্চিম তীর’পশ্চিম তীর আজ আর শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, খোলা আকাশের নিচে এক বিস্তৃত কা...
24/05/2025

খোলা আকাশের নিচে যেন বিস্তৃত এক কারাগার ‘পশ্চিম তীর’

পশ্চিম তীর আজ আর শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, খোলা আকাশের নিচে এক বিস্তৃত কারাগার। যার প্রাচীর দেখা যায় না। কিন্তু আগ্রাসি বিষে বিষাক্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ছোট-বড় প্রতিটি অঙ্গই ইসরাইলের নিষ্ঠুর সামরিক চেকপয়েন্টে বাধা— সব মিলিয়ে ৮৯৮টি। যেখানে দিনের আলো ফোটার আগেই থমকে যায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনির পৃথিবী! চেকপয়েন্টগুলোর সামনে দাঁড়ানো মানেই অনির্দিষ্ট সময়ের অপেক্ষা, ইচ্ছাধীন তল্লাশি, কখনো অপমান, সেই সঙ্গে নির্যাতন। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে ফটকে। স্কুলের সময় পেরিয়ে গেছে, তবুও মেলেনি সেনাদের অনুমতি। সরানো হয়নি বাধা। পশ্চিম তীরজুড়েই ছড়িয়ে আছে এই অদৃশ্য শিকল, যেখানে প্রতিদিনই নিয়ম করে ‘বন্দি’ থাকেন ফিলিস্তিনিরা।

বছরের পর বছর চেকপয়েন্টের নামে ইসরাইলি দখলদারির ভয়ংকর এ কারাগারেই কয়েদি হয়ে আছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর। আলজাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটর, ওয়াফা।

দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিম তীর দখলে বসতি ঔপনিবেশিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে চেকপয়েন্ট স্থাপনকে প্রধান নিয়ন্ত্রণ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।

গত কয়েক দশকে ৫ হাজার ৬৫৫ বর্গকিলোমিটারের পশ্চিম তীরে (অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমসহ) ইসরাইলি বসতি বিস্তার, বাইপাস সড়ক নির্মাণ এবং দখলকৃত এলাকায় প্রাচীর তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক হারে সামরিক চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে দখলদার সেনারা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় গণহত্যামূলক অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে আরও নতুন নতুন মেটাল ডিটেক্টর গেট এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী সামরিক চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে।

ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থার (পিসিএইচআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিম তীরে নতুন ১৭টি মেটাল ডিটেক্টর গেট এবং অসংখ্য অস্থায়ী চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে।

বর্তমানে মোট চেকপয়েন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৮টিতে। যার মধ্যে হেবরনে ২২৯, রামাল্লাহ ও আল-বিরেহেতে ১৫৬, নাবলুসে ১৪৭, জেরুজালেমে ৮২, বেইত লাহমে ৬৫, কালকিলিয়ায় ৫৩, সালফিতে ৫০, তুবাসে ৩৩, জেরিখোয় ৩২, তুলকারেমে ২৭ এবং জেনিনে ২৪টি চেকপয়েন্ট রয়েছে। চেকপয়েন্টগুলো শহর-গ্রামের প্রবেশপথ এবং প্রধান সড়কগুলোয় ছড়িয়ে পড়ায় চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। অঞ্চলগুলো কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিজ শহরেই বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।

শুধু বন্দিত্বই নয়, গাজার মতোই মৃত্যুর আতঙ্কে জীবন কাটছে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদেরও। গাজার মতো বিমান-কামান-ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে না পড়লেও প্রতিদিনই ইসরাইলের সেনা-দখলদারদের বুলেটে ঝরছে পশ্চিম তীরের নিরপরাধ প্রাণ। অধিকার গোষ্ঠীটি আল-হকের বরাতে এদিন আলজাজিরা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মে ১২০ দিনে পশ্চিম তীরে ১৩ শিশু, তিন নারীসহ ৯১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। একই সঙ্গে জেনিন, তুলকারেম, তুবাস ও নাবলুসে ব্যাপকভাবে অবকাঠামো ও ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে। কমপক্ষে ৪৩০টি স্থাপনা ধ্বংস করেছে তারা। উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার বাসিন্দা।

কখনো কখনো ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে থাকি : পশ্চিম তীরে কিছু রাস্তা কেবল ইসরাইলিদের জন্য বরাদ্দ। প্রায় ৭৯ কিলোমিটার রাস্তা আছে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের চলাচল নিষিদ্ধ। কেউ সেখানে গেলে তাকে জরিমানা, গ্রেফতার এমনকি হামলার মুখে পড়তে হতে পারে। বাকি পথগুলো দিয়েও পারাপার সহজ নয়। পশ্চিম তীরের বাসচালক রাকান সাঈদ বলেছেন, আমরা কখনো কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তায় আটকে থাকি। আমরা পুরো দিনের আয় হারিয়ে ফেলি। নাবলুস থেকে রামাল্লাহ যেতে যেখানে এক ঘণ্টা লাগত, সেখানে এখন লাগে ছয় ঘণ্টা। এ সময়ে সেখান থেকে প্যারিসে যাওয়া যায় বলেও আক্ষেপ করেন রাকান। এ ধরনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

চেকপয়েন্ট পাড়ি দেওয়া এখন জীবনের বড় যুদ্ধ: আহমেদ হাসান নামের এক নাগরিক ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থার এক গবেষককে বলেছেন, আমি ইসরাইলে কাজ করি, আমার স্ত্রী বেইত হানিনা এলাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। আমর সন্তানরাও ওই স্কুলেই পড়াশোনা করছে। যেটি আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে। অথচ আমরা প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ঘুম থেকে উঠি। ৪টা নাগাদ বাসা ছেড়ে বের হয়ে পড়ি। কারণ, ৫টার পর থেকেই ‘জাবা’ চেকপয়েন্টে ভয়াবহ যানজট শুরু হয়। ১০ মিনিটের পথ পেরোতেই আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়। বাসায় ফিরতে ফিরতে দুপুরের খাবারের সময়ও চলে যায়। শুধু রাতে ঘুমানোর সময়টুকুই বাড়িতে কাটাতে পারি। এ যানজট আমাদের জীবনে এক ধরনের কারাবন্দি দশা এনে দিয়েছে। চেকপয়েন্ট পেরোনো এখন আমাদের জীবনের বড় যুদ্ধ। মানসিকভাবে আমরা সবাই বিপর্যস্ত।

হেবরন যেন গুয়ান্তানামো কারাগার: পশ্চিম তীরের হেবরনের মেয়র তায়সির আবু সনেইহ বলেছেন, এ শহরকে রীতিমতো গুয়ান্তানামো বে কারাগারে পরিণত করেছে ইসরাইল। সাধারণ মানুষকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিচ্ছে তারা। ইসরাইলি সেনারা পশ্চিম তীরের দক্ষিণের শহর হেবরনে সব রাস্তাঘাটে কঠোর চেকপয়েন্ট আর লোহার গেট বসিয়ে ফিলিস্তিনিদের চলাচল সীমিত করেছে। এখন শহরের সব প্রবেশপথ বন্ধ। বাজারগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। পরিবহণব্যবস্থা থমকে গেছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ হয়ে গেছে।

বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঝুঁকি: ফিলিস্তিনিদের চলার পথে শুধু চেকপয়েন্টই বাধা নয়, ইসরাইলি সেনাদের মদদপুষ্ট বসতি স্থাপনকারীরাও তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরাইল যে জমি দখল করেছে, সেখানে বসতি গড়ে তুলেছেন দেশটির নাগরিকরা। এ বসতি স্থাপনকারীরা প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। গাড়িচালক আতিয়াত বলেন, ‘একা চালালে আমরা বেশি বিপদের মধ্যে পড়ি। তিনটি বা এর বেশি গাড়ি একসঙ্গে চললে বসতি স্থাপনকারীরা হামলা করতে সাহস পায় না।’

হামলার ঝুঁকি এড়াতে আতিয়াত ও অন্য চালকরা এখন একসঙ্গে গাড়ি চালান। চেকপয়েন্ট ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে গিয়েও আক্রমণ চালায় বসতি স্থাপনকারীরা। শুক্রবার এএফপি জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের ব্রুকিনে রাতভর আক্রমণ চালিয়েছে সেখানকার বসতি স্থাপনকারীরা। এসময় ফিলিস্তিনিদের বেশকিছু গাড়ি পুড়িয়ে দেয় তারা।

প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা: ওয়ালিদ হুসেইন ছিলেন পশ্চিম তীরের নাবলুসের আইন বেইত আল-মা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা। এখন সেই শিবিরের দেওয়ালে এবং রাস্তাঘাটের কোণে কোণে তার স্মরণে পোস্টার ও ব্যানার ঝুলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি সেনারা ওয়ালিদকে তার গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। ২০২২ সালের শেষদিকে নাবলুস গভর্নরেটের শহর দেইর শরাফে একটি চেকপয়েন্ট বসানো হয়। সেখানে এ ধরনের সহিংসতা সাধারণ সিষয় হয়ে উঠেছে। দেইর শরাফের মেয়র শাদি আবু হালাওয়েহ বলেছেন, এ চেকপয়েন্টে এখন পর্যন্ত দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া সেনাদের সহিংসতায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।

ভয়াবহ হয়রানির শিকার নারী: ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের বিভিন্ন চেকপয়েন্টে প্রতিদিনই ভয়াবহ হয়রানির শিকার হচ্ছেন ফিলিস্তিনি নারীরা। চেকপয়েন্টে নারীদের বারবার তল্লাশির নামে অসম্মান করে বর্বর সেনারা। স্থানীয় নারীরা জানিয়েছেন, শারীরিক ও মৌখিক নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন তারা। তল্লাশির নামে অনেক সময় তাদের পোশাক বা হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয়। জোরপূর্বক নারীদের ব্যক্তিগত ছবি তুলে তাদের হেনস্তা করা হয়। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এ অভিজ্ঞতা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

ভোগান্তি কমাতে অ্যাপের আশ্রয়: ইসরাইলি বাধা আর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিজেদের চলার পথ খুঁজে নিচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। ভোগান্তি কমাতে নিজেদের তৈরি মোবাইল অ্যাপ দরুব ন্যাভিগেটর ও আজমেহ ব্যবহার করছেন তারা। এসব অ্যাপের মাধ্যমে কোন রাস্তায় চেকপয়েন্ট, কোথায় জ্যাম, আর কোনদিকে বিকল্প পথ খোলা আছে এসব তথ্য মুহূর্তেই জানতে পারেন তারা। আর সে পথেই ছুটে চলেন দল বেঁধে। আজমেহ অ্যাপটি ২০১৫ সালে চালু হয়। ইসরাইলের হুমকিতে বন্ধ হলেও ২০২৩ সালের মার্চে আবারও চালু হয় অ্যাপটি। এখন এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ হাজারের কাছাকাছি। যুদ্ধের প্রথমদিকে প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার ফিলিস্তিনি এটি ইনস্টল করেছিলেন।

ফিল্ড মার্শাল না করে তাকে ‘রাজা’ ঘোষণা করা উচিত ছিল: ইমরান খানপাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল র...
23/05/2025

ফিল্ড মার্শাল না করে তাকে ‘রাজা’ ঘোষণা করা উচিত ছিল: ইমরান খান

পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল র‌্যাংক পেয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান আসিম মুনির। ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অপারেশন বুনইয়া-নুম-মারসুসে নেতৃত্বের জন্য দেশটির মন্ত্রিপরিষদ মঙ্গলবার তাকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে।

তবে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল করার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর ডনের।

তিনি বলেন, ভালো হতো ফিল্ড মার্শাল না করে বরং তাকে ‘রাজা’ ঘোষণা করা উচিত ছিল। কারণ এখন দেশে জঙ্গলের আইন চলছে, আর জঙ্গলের আইনে তো রাজাই থাকে।

আদিয়ালা জেলে প্রতিষ্ঠিত ট্রায়াল কোর্টে আইনজীবী, পরিবারের সদস্য এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বৃহস্পতিবার ইমরান খান এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, খাইবার পাখতুনখাওয়ার অঞ্চলে ড্রোন হামলাগুলোর বিস্তারিত তথ্য আমার জানা আছে। আমি ড্রোন হামলায় নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যুতে অত্যন্ত দুঃখিত এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সেনাপ্রধানের ফিল্ড মার্শাল উপাধি প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, মাশাআল্লাহ, জেনারেল আসিম মুনির ফিল্ড মার্শাল হয়ে গেছেন।যদিও এটা ভালো হতো যদি তিনি ফিল্ড মার্শালের বদলে নিজেকে রাজা হিসেবে ঘোষণা দিতেন। কারণ এখন দেশে জঙ্গলের আইন চলছে, আর জঙ্গলের আইনে তো রাজাই থাকে।

এ সময় সরকারের সঙ্গে সমঝোতার বিষয় অস্বীকার করেন ইমরান খান। বলেন, আমার সঙ্গে যে চুক্তির গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কোনো চুক্তি হয়নি এবং চুক্তি সম্পর্কে আলোচনাও চলছে না, এগুলো সবই মিথ্যা।

বেলুচিস্তানের বোমা হামলায় কেঁপে উঠল স্কুলবাস, তিন শিশুসহ নিহত ৫পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের খুজদারে বুধবার জিরো পয়েন্টের ...
21/05/2025

বেলুচিস্তানের বোমা হামলায় কেঁপে উঠল স্কুলবাস, তিন শিশুসহ নিহত ৫

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের খুজদারে বুধবার জিরো পয়েন্টের কাছে একটি স্কুলবাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতের সন্ত্রাসী রাষ্ট্রীয় নকশা ও তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে বেলুচিস্তানে পরিকল্পিতভাবে একটি স্কুলবাসকে লক্ষ্য করে এই কাপুরুষোচিত ও ঘৃণ্য হামলা চালানো হয়েছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, বুনয়ানুম মারসুস অপারেশনে ব্যর্থ হয়ে, ভারত এখন সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত করেছে। শিশু ও নিরীহ নাগরিকদের মতো সহজ লক্ষ্যে হামলা চালিয়ে দেশজুড়ে ভয় ও বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত সরকার এভাবে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মানবতা ও নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন করছে। এই জঘন্য হামলার পরিকল্পনাকারী, সহযোগী ও বাস্তবায়নকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং ভারতের মুখোশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্মোচন করা হবে।

খুজদারের ডেপুটি কমিশনার জানান, আহতদেরকে সিএমএইচ খুজদারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, নিরীহ শিশু ও শিক্ষকদের ওপর হামলা এক বিভৎস ও অমানবিক কাজ। এই কাপুরুষোচিত হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন এবং শহিদ শিশুদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভিও হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা এই ঘৃণ্য কাজ করেছে, তারা মানুষ না— তারা জানোয়ার। স্কুলবাস লক্ষ্য করে হামলা চালানো একটি নিন্দনীয় ষড়যন্ত্র, যা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের হামলা জাতির মনোবল ভাঙতে পারবে না। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।

মন্ত্রী আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং দোষীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন

ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত ...
21/05/2025

ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, সেই যুদ্ধের অর্থ, অস্ত্র সরবরাহ, পুনরায় সরবরাহ-সবটাই করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যান্য মিত্ররাও নিজেদের মতো করে কোনও না কোনওভাবে ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছে।

হামাসের হামলায় যে ১২০০ জনকে হত্যা করা হয় (যাদের বেশিরভাগই ইসরাইলের বেসামরিক নাগরিক ছিলেন) এবং ২৫১ জনকে গাজায় জিম্মি করার পর ইসরাইলের তরফে নেওয়া পদক্ষেপের প্রতি প্রতি সহানুভূতি ও একাত্মতাও প্রকাশ করেছিল মিত্র দেশগুলো।

কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ইসরাইল সেই সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে। অন্তত ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডার কথা মাথায় রাখলে বিষয়টা তাই দাঁড়াচ্ছে। গাজায় ইসরাইল যেভাবে যুদ্ধ চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা করেছে এই তিন দেশ।

তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলকে নতুনভাবে আক্রমণ করা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছিলেন, তার এই পদক্ষেপ হামাসকে ধ্বংস ও অবশিষ্ট জিম্মিদের উদ্ধার করতে এবং পুরো গাজাকে সরাসরি ইসরাইলি সামরিক নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিন দেশের বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সেই যুক্তিকে খারিজ করার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।

একইসঙ্গে ওই তিন দেশের সরকার বলেছে তারা ‘গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের তীব্র বিরোধিতা করে’। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গাজার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের মাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়েছে।

দেশগুলোর তরফে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির আহ্বানও জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি তারা ইসরাইলকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে সাতই অক্টোবরের ‘জঘন্য আক্রমণের’ পরে তারা (দেশগুলো) মনে করেছিল ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটা একেবারে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় ‘ন্যূনতম’ খাবার প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সেখানকার মানুষদের জন্য ‘সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত’ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, লন্ডন, অটোয়া এবং প্যারিসের নেতারা সাতই অক্টোবর ইসরাইলে গণহত্যা হামলার জন্য ব্যাপক পুরষ্কার দিচ্ছেন এবং এই জাতীয় নৃশংসতাকে আরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

তিনি জোর দিয়ে জানিয়েছেন, হামাস যদি তাদের হেফাজতে থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়, অস্ত্র সমর্পণ করে, তাদের নেতাদের নির্বাসনে যাওয়ার কথা মেনে নেয় এবং যদি গাজাকে বেসামরিকীকরণ করা হয় তবেই যুদ্ধের অবসান হতে পারে।

তিনি বলেছেন, কোনও দেশই এর চেয়ে কম কিছুতে সম্মত হবে বলে আশা করা যায় না এবং ইসরাইলও মানবে না।

আন্তর্জাতিক জরিপের উপর ভিত্তি করে গাজায় আসন্ন দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা জারি করার পর সেখানে চলমান সংঘর্ষ শেষ করার জন্য ইসরাইলের উপর ব্যাপক পরিমাণে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের ওয়ারেন্টও রয়েছে যা তিনি "ইহুদি-বিদ্বেষী" বলে খারিজ করেছেন।

লন্ডনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা গাজার মানবিক সংকটকে এমন ‘এক ট্র্যাজেডি যেখানে আন্তর্জাতিক আইন পদ্ধতিগতভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে এবং পুরো জনগোষ্ঠীকে অসম সামরিক শক্তির শিকার হতে হচ্ছে’ বলে বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেছিলেন, মানবিক সহায়তার জন্য নিরাপদ, দ্রুত ও অবাধ প্রবেশাধিকার থাকতে হবে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষা ব্যবহার করেছে। ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা বলে মনে করা হয়।

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের চিহ্ন যেভাবে বহন করছে কাশ্মীর সীমান্তের মানুষষোল বছরের নিমরার ঘুমটা কয়েক মুহূর্ত আগেই ভেঙ্গে গিয়...
20/05/2025

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের চিহ্ন যেভাবে বহন করছে কাশ্মীর সীমান্তের মানুষ

ষোল বছরের নিমরার ঘুমটা কয়েক মুহূর্ত আগেই ভেঙ্গে গিয়েছিল একটা ভারতীয় মিসাইলের শব্দে। বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিল সে। পা যেন আর নড়ছিল না নিমরার।

পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে নিমরাদের বাড়ির কয়েক মিটার দূরের মসজিদে ততক্ষণে আঘাত করেছে ওই ভারতীয় মিসাইলটা। চোখের সামনেই সে দেখেছিল যে মসজিদের একটা মিনার ভেঙ্গে পড়েছে মিসাইলের আঘাতে। আঘাত যে ওর নিজের বুকেও লেগেছে, সেটা বুঝতেই পারে নি নিমরা।

বিবিসিকে নিমরা বলছিলেন, আমার খালা তো আঁতকিয়ে উঠেছিল। আমার জামায় তখন রক্ত। আসলে জামার রঙটা ছিল সাদা আর গোলাপী, কিন্তু ততক্ষণে জামাটা যেন কেউ লাল রঙে চুবিয়ে দিয়েছে। আমি আগে কখনো দেখি নি এরকম।

নিমরার কথায়, আমিও দৌড়চ্ছিলাম, কিন্তু পুরো সময়টা বুকে একটা হাত চেপে রেখেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল হাতটা সরালে ভেতর থেকে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। পরে জানা গিয়েছিল যে ওর হৃদপিণ্ডের খুব কাছে একটা ধারালো টুকরো গেঁথে গেছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান যে গোলাবর্ষণ শুরু করেছিল, তা থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুঞ্চে অন্য একটি পরিবার।

সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ৭২ বছর বয়সী এমএন সুধান বিবিসিকে বলছিলেন, যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সবাই প্রাণ বাঁচাতে দৌড়চ্ছিল- শিশুরা ভয়ে তাদের বাবা-মাকে আঁকড়ে ধরে ছিল। কয়েকটি পরিবার গাড়িতে করে জম্মুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। আমরাও সিদ্ধান্ত নিলাম পালিয়ে যাবো। কিন্তু আমরা রওনা হওয়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে একটি শেল এসে পড়ল আমাদের গাড়ির খুব কাছে। ধারালো টুকরোগুলো গাড়ির ভেতরে ছিটকে এসেছিল। আমার নাতি ওখানেই মারা যায়।

তার কথায়, আমরা তো সব হারালাম, দুঃখ পাওয়া ছাড়া আর তো কিছুই রইল না আমাদের। আমি ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে দুটি যুদ্ধ দেখেছি, কিন্তু এত তীব্র গোলাবর্ষণ আগে কখনো দেখি নি।

ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক কালে তীব্রতম সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গিয়েছিলেন যে গ্রামবাসীরা, নিমরা আর বিহান তাদের মধ্যেই দুজন।

বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করেছে দুই সরকারই, তবে ওই অঞ্চলে বিবিসির সংবাদদাতারা খোঁজ নিয়েছেন সংঘর্ষের মাঝে পড়ে যাওয়া পরিবারগুলোর।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার দু দিকেরই অনেক মানুষই বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, তাদের প্রিয়জনকে যেমন হারাতে হয়েছে, তেমনই ক্ষতি হয়েছে সম্পত্তিরও। ভারতের দিকে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে আর পাকিস্তান দাবি করেছে যে ৪০ জন বেসামরিক মানুষের প্রাণ গেছে। তবে এটি নিশ্চিত করা যায় নি যে সরাসরি গোলার আঘাতে ঠিক কতজন মারা গেছেন।

বিহানের দাদু সুধান বলছিলেন, আগে থেকে তো সতর্ক করা হয় নি যে বাড়ির ভিতরে থাকতে হবে বা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে! আগে থেকে কেন আমাদের জানানো হলো না? আমরা, সাধারণ মানুষরা তো গোলাগুলির মাঝে পড়ে গেলাম।

ভারত সরকার সম্ভবত আগে থেকে সাধারণ মানুষকে এলাকা খালি করতে বলেনি এই কারণে যাতে সামরিক হামলার বিষয়টা গোপন রাখা যায়।

তবে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা কিন্তু এপ্রিল মাসে পেহেলগামের হত্যাকাণ্ডের পরেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সাধারণ মানুষকে গ্রামের বাঙ্কারগুলো পরিষ্কার করে রাখতে বলেছিলেন। ভারত যেদিন প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল, তার পরের দিনই দুই দেশের তরফেই ড্রোন হামলা শুরু হয়ে যায়। এরপরেই নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতের দিক থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে দিতে শুরু করে সরকার।

সেদিনই রাত নটা নাগাদ ভারত শাসিত কাশ্মীরের উরির বাসিন্দা খান পরিবার ঠিক করে যে তাদেরও বাড়ি ছাড়তে হবে। বেশিরভাগ প্রতিবেশীই ততক্ষণে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় একটি গোলা থেকে ছুটে আসা ধাতব টুকরো ৪৭ বছরের নার্গিসের গায়ে বিঁধে যায়। তার আরেক আত্মীয় হাফিজাও গুরুতর আহত হন। গাড়ি নিয়ে তারা সোজা চলে যায় কাছের হাসপাতালে। কিন্তু দেখা যায় হাসপাতালের দরজায় তালা দেওয়া।

হাফিজা বলছিলেন, আমি কোনমতে হাসপাতালের পাঁচিল টপকিয়ে ভেতরে গিয়ে সাহায্য চাই। ওদের বলি যে আমাদের সঙ্গে আহত মানুষ আছেন। তখন একজন এসে দরজা খোলে। গোলাবর্ষণের ফলে ডাক্তাররা ভয় পেয়ে গিয়ে সব বন্ধ করে ভেতরে বসেছিলেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।

পাকিস্তানের যে তিনটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত, তারই মধ্যে অন্যতম ছিল রাওয়ালপিন্ডির বিমান ঘাঁটিও। ওই শহরেই পাকিস্তানের সেনা সদর দফতর।

পাকিস্তানী সামরিক অফিসার বলছিলেন, সীমারেখাটা সেদিনই অতিক্রম করা হয়েছিল।

পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল। অন্যদিকে কূটনৈতিক স্তরে চলছিল চূড়ান্ত ব্যস্ততা।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলছেন, একের পর এক বৈঠক, সমন্বয়, নানা দেশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এবং তারপরে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করা হচ্ছে, তারাও আবার ফোনে কথা বলছেন অন্য দেশের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব বা ইরান – যে কোনও দেশই মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিলে আমরা স্বাগত জানাই যাতে উত্তেজনা প্রশমন করা যায়।

ওদিকে ততদিনে, পহেলগামে ২২ শে এপ্রিলের হামলার পর থেকেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অন্তত ১৭ জন বিশ্ব নেতা এবং কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলে ফেলেছেন। এইসব বিশ্ব নেতাদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাজ্যের বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামি এবং রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

এই সব আলোচনা নিয়ে জয়শঙ্কর যেসব টুইট করেছেন, তাতে তিনি জানিয়েছিলেন যে 'সীমান্ত পারের উগ্রপন্থী হামলা'র ওপরে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনই পহেলগামের হামলার মূল চক্রীদের নির্দিষ্টভাবে দায়ী করতে চেষ্টা চালানো হয়েছে।

দুই তরফে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরেই সেই শনিবার বিকেলেই কূটনৈতিক সাফল্য আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন যে পর্দার আড়ালে মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব সহ আঞ্চলিক শক্তিগুলির কূটনৈতিক মধ্যস্থতা উত্তেজনা প্রশমনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বলছিলেন, আমরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অনেকটা ভেতরে সেদেশের কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে আঘাত করতে পেরেছি দেখেই সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল।

দুই দেশের এই সর্বশেষ সামরিক অভিযানের শুরুটা যেখানে, সেই পহেলগামের হামলাকারীদের খোঁজ এখনও চলছে।

পেহেলগামের হামলায় নিহত ভারতীয় নৌবাহিনীর ২৬ বছর বয়সী অফিসার বিনয় নারওয়াল সেখানে গিয়েছিলেন মধুচন্দ্রিমা সারতে। হামলার মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন।

হামলার পর নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশী স্বামীর দেহের পাশে বসে আছেন, এমন একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। নারওয়ালের দাদু হাওয়া সিং নারওয়াল হত্যাকারীদের ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ চান।

তিনি বলছিলেন, এই সন্ত্রাসের অবসান হওয়া উচিত। আজ আমি আমার নাতিকে হারালাম। আগামীতে অন্য কেউ তার প্রিয়জনকে হারাবে।

ছবির মতো সুন্দর কাশ্মীরে পর্যটন নিয়ে সরকার যে ব্যাপক প্রচার করছিল, তার মধ্যেই পেহেলগামের ওই হামলা ভারতের সরকারকে প্রবল ধাক্কার মুখে ফেলে দিয়েছে।

ভারত সরকারের একটি সূত্র বলছে, কাশ্মীর নিয়ে পর্যটকদের উৎসাহ দেখে আমরা বোধহয় উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলাম। আমরা ভাবতে শুরু করেছিলাম যে চড়াইটা পেরিয়ে এসেছি, কিন্তু আমরা ভুল ভেবেছিলাম।

চার দিনের এই সংঘাত আবারও দেখিয়ে দিল দুই দেশের মধ্যে শান্তি কতটা ভঙ্গুর হতে পারে।

ভারতের হুমকির জবাবে পাকিস্তানে বাঁধ নির্মাণে গতি আনছে চীনভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধের হুমকির প্রেক্ষাপ...
20/05/2025

ভারতের হুমকির জবাবে পাকিস্তানে বাঁধ নির্মাণে গতি আনছে চীন

ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধের হুমকির প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোহমান্দ বাঁধ নির্মাণকাজে গতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিসিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পেহেলগাম ঘটনার পর দেশটি বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এরপরই চীন এই পদক্ষেপ নেয়, যা অনেকটা প্রতিক্রিয়ামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন ২০১৯ সাল থেকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মোহমান্দ হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্পে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা এখন বাঁধের কংক্রিট ভরাটের কাজ শুরু করেছে যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা যায়।

মোহমান্দ বাঁধ একটি বহুমুখী প্রকল্প, যার লক্ষ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃষিকাজে সেচ ও শহরে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এটি ৮০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং প্রতিদিন ৩০ কোটি গ্যালন পানি সরবরাহ করবে খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে।

চীন ও পাকিস্তান একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পেও একযোগে কাজ করছে, যার মধ্যে রয়েছে শিল্প খাত, কৃষি ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ। এই প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) এর অংশ।

এ ছাড়া দিয়ামার-ভাশা বাঁধ প্রকল্প, যা পাকিস্তানে থ্রি গর্জেস প্রকল্প নামে পরিচিত, চীন-পাকিস্তান সহযোগিতার অন্যতম বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

গাজায় ইসরাইলি হামলা বৃদ্ধি, কাতারে ফের শুরু যুদ্ধবিরতির আলোচনাকাতারের দোহায় নতুন করে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়েছে...
18/05/2025

গাজায় ইসরাইলি হামলা বৃদ্ধি, কাতারে ফের শুরু যুদ্ধবিরতির আলোচনা

কাতারের দোহায় নতুন করে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরাইল ও হামাস-উভয়পক্ষই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা।

শনিবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, দোহায় হামাস প্রতিনিধিদল ‘জিম্মি চুক্তির বিষয়ে’ আলোচনায় ফিরে এসেছে।

কাটজের মতে, ইসরাইল কোনও শর্ত ছাড়াই আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নোনো সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানান, কোনো শর্ত ছাড়াই গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন দফা নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, হামাসের প্রতিনিধিদল তাদের অবস্থান, যুদ্ধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা, বন্দি বিনিময়, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, মানবিক সাহায্য এবং গাজার জনগণের সমস্ত চাহিদা পূরণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে।

এদিকে, কাতারের দোহায় যখন নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়েছে তখন গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। উপত্যকাটির একটি চিকিৎসা সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, শনিবার ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, তারা গাজাজুড়ে হামাসের ওপর আক্রমণ তীব্রতর করছে এবং ‘প্রচণ্ড চাপ’ প্রয়োগ করছে। জিম্মিদের ফেরানো এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে পুরোপুরি ভেঙে না ফেলা পর্যন্ত তারা থামবে না।

কাটজ বলেছেন, ‘অপারেশন গিডিয়ন রথ’ প্রচণ্ড শক্তির সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে।

গত তিন দিনে গাজায় ইসরাইলি হামলা বৃদ্ধির ফলে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই উত্তর গাজার, যার মধ্যে রয়েছে বেইত লাহিয়া এবং জাবালিয়া।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ২০ হাজার।

দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরাইল। কিন্তু দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের অভিযান শুরু করে দখলদার বাহিনী। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত প্রায় দুই মাসে নিহত হয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি।

Address

Dhaka-1216

Telephone

+8801939648515

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when World bd info posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to World bd info:

Share