Tablig Update24

Tablig Update24 Only news Update of Deen Islam & It's Afford Tablig

মওলানা জালালুদ্দীন রুমী রহ. ও শামস তাবরীযী রহ.এক রাত মওলানা জালালুদ্দীন রুমী রহ. তাঁর উস্তাদ হযরত শামসুদ্দীন তাবরীযী রহ....
05/09/2025

মওলানা জালালুদ্দীন রুমী রহ. ও শামস তাবরীযী রহ.

এক রাত মওলানা জালালুদ্দীন রুমী রহ. তাঁর উস্তাদ হযরত শামসুদ্দীন তাবরীযী রহ.-কে ঘরে দাওয়াত দিলেন।

শামস রহ. চলে এলেন। খাবারের সব আয়োজন সম্পন্ন হলে শামস রহ. রুমী রহ.-কে বললেন:
“তুমি কি আমাকে পান করার জন্য মদ এনে দিতে পারো?”

এ কথা শুনে রুমী রহ. বিস্মিত হয়ে গেলেন:
“কি! উস্তাদও কি মদ পান করেন?”

শামস রহ. বললেন: “হ্যাঁ, অবশ্যই।”

রুমী রহ. عرض করলেন: “আমাকে ক্ষমা করুন, আমি এ কথা জানতাম না।”

শামস রহ. বললেন: “এখন তো জেনে গেছো, তাহলে মদ নিয়ে এসো।”

রুমী রহ. বললেন: “এখন রাত গভীর, কোথা থেকে আনব?”

শামস রহ. বললেন: “তোমার কোনো খেদমতগারকে পাঠিয়ে দাও।”

রুমী রহ. বললেন: “আমার নওকরের সামনে আমার মান-সম্মান শেষ হয়ে যাবে।”

শামস রহ. বললেন: “তাহলে তুমি নিজেই গিয়ে নিয়ে এসো।”

রুমী রহ. চিন্তিত হলেন: “পুরো শহর আমাকে চেনে, আমি কিভাবে গিয়ে মদ কিনব?”

শামস রহ. বললেন:
“যদি সত্যিই তুমি আমার শাগরেদ হও, তবে আমার কথামতোই করবে। নতুবা আজ আমি না খাব, না কথা বলব, না ঘুমাব।”

গুরুর প্রেম ও আনুগত্যে রুমী রহ. চাদর জড়ালেন, বোতল লুকালেন এবং খ্রিস্টান পাড়ার দিকে রওনা হলেন।

যতক্ষণ তিনি পথে ছিলেন, কাউকে সন্দেহ হলো না। কিন্তু খ্রিস্টান পাড়ায় ঢুকতেই মানুষ বিস্মিত হলো এবং তাঁর পিছু নিল।

সবাই দেখল যে রুমী রহ. মদের দোকানে ঢুকে একটি বোতল কিনলেন এবং চাদরের নিচে লুকালেন। তিনি বের হতেই আরও বেশি লোক তাঁর পেছনে পেছনে চলল এবং মসজিদ পর্যন্ত এসে পৌঁছল।

মসজিদের দরজায় একজন চিৎকার করে উঠল:
“হে লোকজন! তোমাদের ইমাম, শেখ জালালুদ্দীন রুমী রহ. খ্রিস্টান পাড়া থেকে মদ কিনে ফিরছেন!”

এ কথা বলে সে রুমীর চাদর সরিয়ে দিল এবং বোতল সবার সামনে বেরিয়ে এল।

ভিড় রাগে ফেটে পড়ল। তারা রুমী রহ.-এর মুখে থুতু মারল, তাঁকে প্রহার করল, এমনকি তাঁর পাগড়িও খুলে গেল।

রুমী রহ. নীরব রইলেন, নিজের পক্ষে কোনো সাফাই দিলেন না।

মানুষ আরও নিশ্চিত হলো যে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। কেউ কেউ তাঁকে হত্যারও ইচ্ছা করল।

ঠিক তখনই শামস তাবরীযী রহ.-এর আওয়াজ ভেসে এল:
“হে নির্লজ্জ লোকজন! তোমরা এক আলেম ও ফকীহ-এর উপর মদ্যপানের অপবাদ চাপিয়েছো। জেনে রাখো, এই বোতলে মদ নয়, বরং ভিনেগার (সিরকা) আছে!”

একজন বলল: “আমি নিজের চোখে দেখেছি তিনি মদের দোকান থেকে বোতল এনেছেন।”

শামস রহ. বোতল খুললেন এবং কয়েক ফোঁটা লোকদের হাতে দিলেন যাতে তারা শুঁকতে পারে। সবাই বিস্মিত হয়ে গেল যে সত্যিই এটি তো ভিনেগার!

আসলে শামস রহ. আগেই মদের দোকানে গিয়েছিলেন এবং দোকানদারকে বলে রেখেছিলেন—যদি রুমী রহ. বোতল নিতে আসেন তবে তাঁকে মদের পরিবর্তে ভিনেগার দেওয়া হবে।

এখন লোকেরা নিজেদের কপাল চাপড়াতে লাগল এবং লজ্জায় রুমী রহ.-এর পায়ে পড়ে গেল। সবাই ক্ষমা চাইল এবং তাঁর হাত চুমল, তারপর আস্তে আস্তে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল।

রুমী রহ. শামস রহ.-কে عرض করলেন:
“আজ আপনি আমাকে কত বড় পরীক্ষায় ফেললেন, এমনকি আমার মান-সম্মান ও মর্যাদা আমার মুরিদদের সামনে মাটিতে মিশে গেল। এর মানে কী?”

শামস রহ. বললেন:
“যাতে তুমি বুঝতে পারো যে মানুষের দেওয়া সম্মান ও খ্যাতি আসলে এক ভ্রম।
তুমি কি ভেবেছিলে মানুষের এই সম্মান চিরকাল টিকে থাকবে?
তুমি তো নিজেই দেখলে, একটি বোতলের সন্দেহেই তারা তোমার শত্রুতে পরিণত হলো, তোমার উপর থুতু মারল, প্রহার করল, এমনকি প্রায় তোমার জান নিতেই উদ্যত হলো।

এটাই সেই সম্মান যার উপর তুমি গর্ব করছিলে, যা এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল!

আজ থেকে মানুষের সম্মানের উপর নির্ভর করবে না। আসল সম্মান কেবল আল্লাহর কাছে, যা কখনো সময়ের সাথে বদলায় না, মুছে যায় না।
তিনিই ভালো জানেন কে আসলেই মর্যাদাশালী আর কে মিথ্যা সম্মানের লোভী।
অতএব, ভবিষ্যতে তোমার দৃষ্টি কেবল আল্লাহর উপর রাখবে।”

এই ঘটনাটি আমাদের আসলে এই শিক্ষা দেয় যে দুনিয়ার সম্মান ও মানুষের দৃষ্টি মুহূর্তে পাল্টে যায়। আসল সম্মান হল, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়।

বারান্দায় কাপড় শুকোতে দেয়া আমাদের মা-বোনদের নিত্যদিনের অভ্যাস। বিশেষত শহুরে ফ্ল্যাটে বারান্দা ছাড়া উপায়ও নেই যেন। তবে এ ...
20/04/2025

বারান্দায় কাপড় শুকোতে দেয়া আমাদের মা-বোনদের নিত্যদিনের অভ্যাস। বিশেষত শহুরে ফ্ল্যাটে বারান্দা ছাড়া উপায়ও নেই যেন। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেই মস্তবড় ভুলটি করে বসেন। শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় তারা বারান্দায় কাপড় শুকোতে দিয়ে রাখেন, এমনকি পরিধেয় বিশেষ পোশাকটিও তারা বারান্দায় উন্মুক্তভাবে রোদে দেন। এতে কিছু সমস্যা হতে পারে।
যেমন আশেপাশের ফ্ল্যাট থেকে এসব কাপড়ের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেয়া হয়। এরপর এটা সীমা ছাড়িয়ে ইভটিজিংয়ে পরিণত হয়। ইভটিজিং না হলেও দুশ্চরিত্র ব্যক্তিরা এসব কাপড় দেখেই অনেক মাপজোখ করে ফেলে। এরপর থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে বারবার উঁকিঝুঁকি মারতে থাকে।
এ জন্য উত্তম হলো, বারান্দায় বড় কাপড় দিয়ে পর্দা লাগিয়ে দেয়া। কমপক্ষে গাঢ় কালারের নেট-জাতীয় পর্দা হলেও লাগিয়ে নেয়া যেতে পারে। এরপর বারান্দায় কাপড় শুকানো। অথবা বারান্দায় দুই স্তর করে রশি লাগানো। সামনের দিকে পুরুষদের কাপড় দিয়ে ভেতরের দিকে মহিলাদের কাপড় শুকাতে দেয়া। এতে করে বাইরে থেকে শুধু পুরুষদের কাপড়গুলোই দেখা যাবে।
কাপড় শুকানোর পর রশিতে তা ফেলে না রাখা। অনেকেই একদিন গোসল করে কাপড় শুকাতে দেয়ার পর পরদিন গোসলের সময় রশি থেকে কাপড় আনতে যান। আবার কেউ কেউ ছাদেও সারারাত ধরে কাপড় ফেলে রাখেন। এতেও বদজিনের আছর পড়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে।
এ ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কাপড় পরার সময় সব সময় বিসমিল্লাহ বলে পরা। পোশাক-আশাক খোলা ও পরিধানের সময় দুআ পড়া। এবং নিরাপত্তার দুআসমূহের ওপর আমল করা।

বই : পর্দা গাইডলাইন
লেখক : মাওলানা তানজীল আরেফীন আদনান
উমেদ প্রকাশ থেকে প্রকাশিত

ঈদ নিয়ে মিশর-সৌদি আরবের মাঝে আবারো ঝামেলা বেঁধে গেলো। মাঝে সরু Red Sea/লোহিত সাগর রেখে প্রায় পাশাপাশি দুইটি দেশ, সৌদী আ...
30/03/2025

ঈদ নিয়ে মিশর-সৌদি আরবের মাঝে আবারো ঝামেলা বেঁধে গেলো। মাঝে সরু Red Sea/লোহিত সাগর রেখে প্রায় পাশাপাশি দুইটি দেশ, সৌদী আরব আর মিশর। এক ঘন্টার সময়ের পার্থক্য মাত্র।

সৌদি আরব চাঁদ দেখার ঘোষণা করেছে। আগামীকাল রবিবার ঈদ। কিন্তু মিশর ঘোষণা করছে, চাঁদ দেখা যায়নি, আগামী সোমবার ঈদ।

পাশাপাশি দুইটি দেশের ক্ষেত্রে এটা প্রায় অসম্ভব যে, এক দেশ চাঁদ দেখবে, আরেক দেশ দেখবে না।

নোট: গত 2019 সালে সেইম ঝামেলা বেঁধেছিলো। পুরো মুসলিম বিশ্ব সৌদিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলো যে, কোনো ভাবেই সৌদির আকাশে চাঁদ দেখা সম্ভব না।কিন্তু সৌদী আরব ঈদ ঘোষণা করেছিলো। আধুনিক মহাকাশের জ্যোতির্বিজ্ঞান, শক্তিশালী Telescope এ Moon Visibility 0% ছিলো।

পরবর্তীতে সৌদি আরব 160 কোটি রিয়াল কাফফারা আদায় করেছিলো।

আজকেও কোনো ভাবে সৌদি আরবের চাঁদ দেখা সম্ভব না। আমার ক্ষুদ্র অনুসন্ধানে বাকি সব ডকুমেন্টস কমেন্ট বক্সে।

কাফফারার তথ্য:
(https://www.jagonews24.com/m/religion/news/506088?fbclid=IwY2xjawJVLmBleHRuA2FlbQIxMQABHdOo6AgiaQGxegAIWRyXca40HV0fR37sucln44EJdCvVEAOCHuX1D5Gfqw_aem_GmDqx_8ivAxII85FlcFYjw)

Inside the Haramain
دار الإفتاء المصرية

27/02/2025

তাবলীগ নিয়ে ত‌া‌?লিবান প্রজ্ঞাপ‌নের নৈপথ‌্য কা‌হিনী এবং এতাআতী‌দের মিথ‌্যাচার

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম

আ?ফগা?নিস্তানের তাবলীগ জামাত নিয়ে ভুল অনুবাদসহ এক‌টি ভিডিও এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য সহকারে একটি লেখা ফেসবু‌কে ঘুরছে। এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জান‌তে অ‌নে‌কেই আমা‌কে নক ক‌রে‌ছেন। আমি নির্ভর‌যোগ‌্য সূ‌ত্রে যথাসাধ‌্য জানার চেষ্টা ক‌রে‌ছি এবং এখা‌নে তা পত্রস্থ কর‌ছি।

মাওলানা সা’দ সা‌হে‌বের অনুসারীরা প্রচার কর‌ছে ইমা?র‌তে ইসলা‌মিয়া তা‌?লিবান সরকার না‌কি আ?ফগা‌নিস্তা‌নে সবাইকে নেজামু্দ্দী‌নের অধী‌নে কাজ করার অধ‌্যা‌দেশ জা‌রি ক‌রে‌ছে। তারা তৃ‌প্তির ঢেকুর তু‌লে আনন্দসহকা‌রে এ খবর প্রচার কর‌ছে এবং শূরায়ী নেজা‌মের অনুসারীদের হেদায়া‌তের জ‌ন্যে খুব দুআ কর‌ছে।

আস‌লে তা‌@লিবান সরকার আ@ফগা‌নিস্তা‌নে এমন কো‌নো প্রজ্ঞাপন জা‌রি ক‌রে‌ছে কি? সেখা‌নে শূরায়ী নেজা‌ম খতম ক‌রে সা’দ সা‌হে‌বের ইমার‌তে সবাই কাজ কর‌ার আদেশ করে‌ছে কি?

উত্তর হ‌ল, না, উপরুক্ত ম‌র্মে তা‌@লিবান সরকার এমন কো‌নো প্রজ্ঞাপন জা‌রি ক‌রে‌নি। যা প্রচারিত হ‌চ্ছে, তা অপপ্রচার মিথ‌্যা ও বিভ্রা‌ন্তিকর। এতে সত্যের অংশ খুব সামান‌্যই।

প্রচা‌রিত প্রজ্ঞাপ‌ন জা‌রির‌ নৈপথ‌্য কা‌হিনী :

মাওলানা সা’দ সা‌হে‌বের চিন্তাগত বিচ‌্যূতি ও কর্মগত স্বেচ্ছাচা‌রিতা‌কে কেন্দ্র ক‌রে তাবলীগবিভ‌ক্তির ধারাবা‌হিকতায় আফগা‌নিস্তা‌নেও এ জামাআত বিভক্ত হ‌য়ে প‌ড়ে। বাংলা‌দে‌শের মত ওখা‌নেও শূরায়ী নেজা‌মের অনুসারী‌দের সংখ‌্যা‌ বে‌শি, প্রায় ৯০ভাগ। বে‌শিরভাগ রা‌জ্যে তাবলীগ শূরার অধী‌নে চল‌ছে। হাঁ, জালালাবাদ, খোস্ত সহ দু’চার‌টি রা‌জ্যে মাওলানা সা’দ সা‌হে‌বের অনুসারী‌দের কিছু প্রভাব র‌য়ে‌ছে। জালালাবা‌দের একজন প্রভাবশালী তাবলীগী আমীর ছি‌লেন খান যামান। স্থানীয় রাজনী‌তি‌তে তার বেশ প্রভ‌াব র‌য়ে‌ছে। এ খা‌নের মৃত‌্যুর পর তারপুত্র কারী আগা যামান‌কে সেখা‌নকার নেজামুদ্দী‌নের অনুসারীরা আমীর বানায়। কিন্তু অল্পবয়সী আগা যামা‌নের নেতৃত্ব মে‌নে নি‌তে নারাজ ছি‌লেন তা‌দের অ‌নে‌কেই। তার ইমারত‌কে চ‌্যা‌লেঞ্জ ক‌রে ইমার‌তে দাবী ক‌রে ব‌সে ভাই রূহুল্লাহ। ‌অর্থাৎ সা’দ সা‌হে‌বের অনুসারী‌দের ম‌ধ্যে নেতৃত্ব নি‌য়ে জালালাবা‌দ মারাত্মক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। স্থানীয় গোত্রীয় রাজনী‌তিতে যা নে‌তিবাচক প্রভাব পড়ে এবং উভয়প‌ক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। অবশ‌্যই এ সংঘ‌র্ষের পেছ‌নে তা‌@লিবা‌ন ও তাবলী‌গের ঘোর শত্রু আ/ই/এসের ইন্ধন র‌য়ে‌ছে। তারা দে‌শে অ‌স্থি‌তিশীল প‌রি‌স্থি‌তি তৈ‌রির জ‌ন্যে আভ‌্যন্তরীন এ ঝগড়ায় ইনভলব হয়, য‌দিও তাবলী‌গের কো‌নো প‌ক্ষের প্রতি তাদের কো‌নো আগ্রহ নেই। তা‌@লিবান সরকার বিষয়‌টি বুঝতে‌ পে‌রে প্রথ‌মে ক‌ঠিন হ‌স্তে দম‌নের উদ্যোগ নেয়। এবং প্রত‌্যক্ষ সংঘর্ষে জ‌ড়িতদের অ‌নেক‌কেই গ্রেফতার ক‌রে। আমীরদা‌বিদার রুহুল্লা‌হসহ তখন অ‌নে‌কেই জে‌লে যায় এবং আগা যামানসহ অ‌নেকেই দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। জালালাবাদ মারকায সাম‌য়িক সম‌য়ের জন‌্য বন্ধ ক‌রে দেওয়া হয়। এসবই হ‌লো গতবছ‌রের সে‌প্টেম্ব‌রের ঘটনা।

দ্বিতীয়ত, তাবলী‌গের কা‌জের জ‌ন্যে তারা নিজ উদ্যো‌গে বিশ সদ‌স্যের এক‌টি শূরা ক‌ম‌ি‌টি গঠন ক‌রে দেয়। যা‌তে তাবলী‌গের সব প‌ক্ষের নেতৃস্থানীয়‌দের রাখা হয়। সা’দ সা‌হে‌বের অনুসারী যে দুজন নেতৃত্ব নিয়ে মারামা‌রি ক‌রে‌ছিল, তা‌দের কাউকে ইমারত না দি‌য়ে তা‌লিবান নি‌জে‌দের প্রতি‌নি‌ধি এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলিম ও মুবা‌ল্লিগ শাইখুল হাদীস মাওলানা মুহাম্মাদ কা‌সিমকে জালালাবা‌দের শূরাপ্রধান ঘোষণা করা হয়। এবং শৃঙ্খলার স্বা‌র্থে স্থানীয় শূরায়ী নেজামের সাথী ও সা’দ সা‌হে‌বের অনুসারী সকল‌কে এই শূরার অধী‌নে কাজ ক‌র‌তে বলা হয়। এটাই হ‌লো ওই প্রজ্ঞাপন জা‌রির হা‌কিকত ও নৈপথ‌্য কা‌হিনী।

মোটকথা এবং আরও কিছু কথা :

১। এ প্রজ্ঞাপন জা‌রির কারণ জালালাবা‌দে সা’দ সা‌হে‌বের অনুসারী‌দের স্থানীয় নেতৃত্ব‌ নি‌য়ে অন্তর্দ্বনদ্ব ও মারামা‌রি। এর সা‌থে শূরায়ী নেজা‌মের কো‌নো সম্পর্ক নেই।

২। এ প্রজ্ঞাপন কেবলই জালালাবা‌দের জ‌ন্যে প্রযোজ‌্য, সারা আ@ফগা‌নের জ‌ন্যে নয়। সারা দে‌শে আলামী শূরার সাথীসংখ‌্যাই বে‌শি এবং বে‌শিরভাগ মারকায শূরায়ী নেজা‌মের অধী‌নে পরি‌চা‌লিত।

৩। এর কারণ, আ@ফগা‌নের তাবলীগ সরাস‌রি পা‌@কিস্তা‌নের রাইবেণ্ড মারকা‌যের অধী‌নে। আ@ফগা‌নিস্তানের তাবলীগ দেখভা‌লের জ‌ন্যে রাইবে‌ণ্ডে স্বতন্ত্র জামাআত র‌য়ে‌ছে। রাইবেন্ড মুরুব্বী মাওলানা নযরুর রহমান হা‌ফি. আফগান তাবলী‌গের প্রধান ফয়সাল। উনার অনুপ‌স্থি‌তি‌তে যথাক্রমে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খুর‌শিদ হা‌ফি., মাওলানা আহমাদ বাটলা হা‌ফি. ফয়সাল হ‌বেন।

৪। জালালাবাদের জন‌্য গ‌ঠিত এ শূরায় এককভা‌বে কারও অধী‌নে ছে‌ড়ে দেওয়া হয়‌নি। নিজামুদ্দী‌নের অ‌ধি‌নে ছে‌ড়ে দেওয়ার গুজব সম্পূর্ণ মিথ‌্যা। বরং ২০সদ‌স্যের এ শূরায় সবপ‌ক্ষের লোক র‌য়ে‌ছে। সা’দগ্রু‌পের উভয়পক্ষ এবং শূরায়ী নেজা‌মের সাথী‌দের নি‌য়ে এ শূরা গ‌ঠিত হ‌য়ে‌ছে। এর প্রমাণ হ‌লো, গত সপ্তা‌হে ২০‌ফেব্রুয়ারী তা‌রি‌খে শবগুজা‌রি‌তে বয়ান ক‌রে‌ছেন রাইবে‌ন্ডের মু‌কিম মাওলানা আবদুর রহীম সা‌হেব।।
এই শূরার ম‌ধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী আলিম মাওলানা শরীফুল্লাহ ও মাওলানা মাদানী সা‌হেবও র‌য়ে‌ছেন। ‌তারা ওখানকার শূরায়ী নেজা‌মের পরি‌চিতমুখ। প্রচা‌রিত ভিডিও‌তে ওই দুইজ‌নের সাক্ষাতকার ‌দি‌তে দেখা যায়।

৫। শূরার প্রধান শাইখুল হাদীস মাওলানা কা‌সেম সা‌হেব সম্প‌র্কে ওরা প্রচার কর‌ছে, তি‌নি না‌কি এতাআতী এবং মাওলানা সা’দ সা‌হে‌বের হা‌তে বায়আত। আমি এর সত‌্যতা খুঁ‌জে পাইনি। বরং তি‌নি রাইবে‌ণ্ডের অধী‌নে সালওয়ালা আলিম এবং শূরায়ী নেজা‌মের জিম্মাদার সাথী ব‌লেই জে‌নে‌ছি। তাঁ‌কে বিশসদ‌স্যের শূরার আমির হ‌য়ে‌ছে। তি‌নি এতাআতী ব‌লে তা‌কে শূরাপ্রধান করা হয়‌নি; বরং তি‌নি তা‌লিবান‌দের মুখপাত্র সবপ‌ক্ষের মান‌্য ও শ্রদ্ধেয় আলি‌মে দীন।

৬। বাংলা‌দে‌শে এতাআতীরা প্রচা‌রিত টি‌ভিসংবা‌দের যে অনুবাদ ক‌রে‌ছে, একজন পশতুভাষা বোদ্ধা আমা‌কে ব‌লে‌ছেন, ভি‌ডিওবার্তার সা‌থে ও‌দের অনুবাদ ও ক‌্যাপশ‌নের বহুলাং‌শের মিল নেই। অ‌নেক কথাই মনগড়া।
অনুরূপভা‌বে জালালাবা‌দের স্থানীয় প্রশাস‌নের জা‌রিকৃত প‌রিপ‌ত্রের যে অনুবাদ তারা প্রচার কর‌ছে, তা‌তেও অর্ধাঅ‌র্ধি কথা বাড়া‌নো হ‌য়ে‌ছে, তারপর তা‌দের মন্ত্রণাল‌য়ের সাক্ষর যুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে। এভা‌বে তারা তা‌দের বা‌নোয়াট কথাগু‌লি‌কেও তা‌লি‌বানের ভাষ‌্যব‌লে প্রচার কর‌ছে, যা স্পষ্ট খেয়ানত। এই প‌রিপত্রকে সমস্ত আফগা‌নিস্তা‌নের ব‌লা প্রচার করা তো আরও বড় মিথ‌্যা ও খেয়ানত।

মোটা‌মো‌টি আমি আমার সামর্থ‌্যম‌তে যতটুকু জান‌তে পে‌রে‌ছি, তা এখা‌নে উল্লেখ করলাম। আমার উপস্থা‌পিত ত‌থ্যের প‌ক্ষে আমার কা‌ছে অ‌নেকগু‌লো অ‌ডিও রেকর্ড আছে। আমানত রক্ষা‌র্থে তা পাব‌লিক করা গেল না। প্রকৃত সত‌্য আল্লাহ তাআলাই ভা‌লো জা‌নেন।
সা ই ফু দ্দি ন গা জী
২৬।০২।২৫

Address

Dhaka

Telephone

+8801672530626

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tablig Update24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tablig Update24:

Share