24/07/2023
কলা এমন একটি ফল, যা প্রায় সব জায়গাতেই সব ঋতুতেই পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর এ ফলটি পৃথিবীর প্রায় ১০৭ দেশে পাওয়া যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এ ফল একটি মহৌষধ বলে দাবি পুষ্টিবিদদের।
কলায় রয়েছে- প্রায় ৯০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২১০ ক্যালোরি, ৫৪ গ্রাম শর্করা, ২ গ্রাম ফাইবার, ২৮ গ্রাম সুগার আর ৬ গ্রাম প্রোটিন।
এ ছাড়া কলায় রয়েছে- ২ শতাংশ ভিটামিন-এ, ৩৪ শতাংশ ভিটামিন-সি, ২ শতাংশ আয়রন, ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি-৬, ১৬ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম।
তাই আমাদের শরীরের নানা সমস্যার মোকাবেলায় সাহায্য করে কলা। কলায় থাকা পটাশিয়াম আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা আমাদের প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম জমতে দেয় না। ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
কলা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এই উপাদান আমাদের স্নায়ুকে শিথিল করে। ফলে ঘুম ভালো হয়।
কলায় থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা এবং সল্যুবল ফাইবার শরীরে শক্তির জোগান দেয়। পাকা কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খেতে পারলে আমাদের হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সুস্থ বা সচল থাকবে। ফলে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কলার জুড়ি মেলা ভার। কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে বিটামিন বি-৬, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সৃষ্টি করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কলা অব্যর্থ টোটকা।
শহরজুড়ে বিষাক্ত কলা! পাকা কলাগুলো দেখতে হলুদ রঙের হলেও গন্ধ নেই। ঢেকে রাখা কলার স্তূপে আগুন জ্বালিয়ে তাপ দপোড়ানোর আগে কাঁচা কলার ছড়া রাইপেন বা ক্যালসিয়াম কার্বাইড-মিশ্রিত পানিতে ডোবানো হয়। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পাকানো হয় কলা।
কৃত্রিমভাবে পাকানো কলা খুব দ্রুত পচেও যায। বিষাক্ত কলা ১২ ঘণ্টার বেশি রাখলে পচে যায়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও প্রপিট দিয়ে কলাসহ বিভিন্ন ফল পাকানো হচ্ছে। দ্রুত ফল পাকানোর জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা কলাসহ আম, কাঁঠাল, কমলা, আঙুর ও আনারসে কার্বাইড ব্যবহার করছেন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অরূপ দত্ত বলেন, অতিরিক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করলে ফলের স্বাদ নষ্ট হয়। বিষ মেশানো ফল পেটে গেলে লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এসব ফল মারাত্মক ক্ষতিকর।