Freelancer Wahid

Freelancer Wahid Information Technology Developer

10/04/2025

হারিয়ে যাওয়ার আগে
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

হারিয়ে যাওয়ার আগে বলো,
ক’টা কথা রাখবে মন খোলসা হলেই ভালো?
চোখে চোখ রেখে বলো না কেন,
ভালোবাসা কি হারায় শুধু হাওয়ার মতো হেনে?

তোমার ছোঁয়ায় ছিলো এক আলো,
যেন আঁধারে জ্বলত দীপ শীতের কুয়াশালো।
তুমি ছিলে গানের মতো সুরে,
হঠাৎ কেন গেলে চুপ—বেজে কেবল দূরে?

বাতাসে আজও বাজে তব নাম,
চোখের পাতায় কাঁদে তোমার অলিখিত সন্ধ্যানাম।
তুমি কি বুঝো, বুকের ব্যথা কেমন হয়?
যখন প্রিয়জন হারিয়ে যায়, নিঃশব্দে সময় খায়।

শূন্য এই ঘরে বাজে হাওয়ার সুর,
কান্না লুকানো দেয়ালেরাও করে আজ উঁকিঝুঁকি দূর।
তুমি যদি কাঁদতে, আমি সামলাতাম,
এখন আমি কাঁদি—তুমি দেখো না, শুনো না, জানো না তামাম।

চাঁদের আলোয় তোমার ছায়া দেখি,
স্মৃতিগুলো এসে বলে, “ভুলে যেও না বাকি রেখি।”
হারিয়ে যাওয়ার আগে যদি বলতা,
তবে হয়তো মন আজ এতটা ভাঙতো না, টলতো না।

তবুও প্রার্থনায় তোমায় রাখি,
যেখানে থাকো, থেকো ভালো, দাও যেনো শান্তির পাকি।
আর যদি কখনো ফিরে আসো চুপে,
দেখবে—একজন এখনো বসে, চোখে স্বপ্ন লুপে।

09/04/2025

কবর থেকে চিঠি
(এক মৃত বাবার করুণ আকুতি)
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

যদি কবর হতে চিঠি পাঠানো যেত,
এই নিঃশ্বাসহীন ঘরেও ব্যথা লেগে থাকত চেত।
লিখতাম তোমায়, ওগো প্রিয় কন্যা,
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে যেনো বাঁচি আবার নতুন ব্যঞ্জনা।

আমি তো আজ নিঃশব্দ এক বাসিন্দা,
মাটির নিচে আমার ঠিকানা, নিঃশেষ এক দ্বাররক্ষা।
তবুও শুনি, বুঝি, দেখি —
তোমার পৃথিবীর বর্ণিলা রেখি।

তুমি তো ছিলে আলো আমার,
শীতল সন্ধ্যায় একমাত্র প্রহার।
তোমার লজ্জা ছিল ফুলের গন্ধ,
আজ কেন তুমি সেই সৌরভে অন্ত?

তোমার পর্দা ছিলো আমার গর্ব,
আজ কেনো সেই পথে বাধা সব স্বর্গ?
তুমি হাঁটো রাস্তায় খোলা চুলে,
চোখে চোখ রাখো, হাসো ভুলে ভুলে।

এই কবরঘর, জানো, কাঁদে রাতে,
তোমার বাবার ঘুম হারায় ব্যথার সাথে।
তোমার সাজ-পোশাক দেখেও ব্যথা পাই,
যেনো হাজার পিঁপড়া আমার গায়ে চড়াই।

তুমি কি ভুলেছো মৃত্যুর কথা?
পৃথিবীর মোহে ডুবে গেছো নিরবধি ব্যথা?
একদিন তোমারও ডাক পড়বে হঠাৎ,
সেই মুহূর্তে কি বাঁচবে মোহরঙ্গের পাত?

তাই বলি মা, ফিরে এসো দ্বীনের ডাকে,
তোমার বাবার আত্মা একটুখানি শান্তি পাকে।
পর্দা করো, ইজ্জতের মালা পড়ো,
এই মাটির মানুষটার ঘুমটাকে জড়াও স্বর্ণঘোরো।

হৃদয়ে রেখো লজ্জার আলো,
এই আলোকেই পাবে জান্নাতের পালো।
তুমি বাঁচো, হাসো, স্বপ্ন দেখো,
তবে সীমার মাঝে, নফসকে রেখো শেখো।

চিঠি শেষ করছি, চোখে জল ভেসে,
আবার দেখা হবে, আল্লাহ্ যদি চায় মেহেরে বেশি।
জেনো, তোমার চলার পথে আমি পাশে,
তোমার পর্দা হবে আমার কবরের চির শান্তির আশে।

08/04/2025

কবর থেকে চিঠি
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

যদি কবর থেকে চিঠি পাঠানো যেতো,
শুধু একবার মাটি চিরে ভাষা ফোটানো যেতো,
তবে কত বাবা, ভাই, কিংবা স্বামী—
জানাতো হৃদয়ের আর্তনাদ দামি।

একজন বাবা লিখতো কাঁপা হাতে,
"মা, তুমি কেমন আছো এই পৃথিবীর রাতে?
আমি ভালো নেই এই অন্ধকার ঘরে,
প্রতি নিশা কাটে বিষাদ বিষে ভরে।

তোমার চোখে ছিল যেইটা লাজ,
আজ তার অভাবেই জ্বলে আগুন বাজ।
তুমি পর্দা করো, করো সংযমে চলা,
তোমার আভিনন্দে আমার শান্তি জ্বলা।

মা, কসম কোরো এই মৃত বাবার,
যেনো আর না হারাও সেই চিরতরে হারার।
আমার এই ঘুমে যদি শান্তি খুঁজে পেতে,
তবে একটু পর্দায় নিজেকে ঢেকে রেখো মেতে।

আমি দেখছি, জানো! ওপারে থেকেও—
তোমার চলাফেরা, হাসি, মুখরতা বেচেও।
তোমার উন্মুক্ত চলায়, আমি কষ্ট পাই,
অন্তরটা যেনো অশ্রুতে ভিজে যায়।

মেয়ে আমার, পৃথিবীটা ফাঁদ,
তোমার লজ্জাশীলতাই একমাত্র সাধ।
হাসো, চলো, বাঁচো – সব ঠিক,
তবে তোমার হেফাজত যেনো থাকে দৃঢ় ও ঠিক।

এই চিঠি পেলে যদি তুমি কাঁদো,
জেনো, বাবার আত্মা তখন স্বস্তি পায় বাদো।
কবরের ঘুমে আসে একটু নিঃশ্বাস,
যদি তুমি ফিরে পাও তোমার হায়ার স্পর্শ আশ।

স্মরণ রেখো, সময় ফুরায়, মৃত্যু নিশ্চিত—
তোমার পর্দা হবে আমার তরে আশীর্বাদ অমিত।
দেখা হবে একদিন, হয়তো জান্নাতের কোনে,
যদি তুমি চলো হায়ার পথে, এক আলোর চরণে।

07/04/2025

ফিলিস্তিনের ডাকে
লেখা : ফ্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

দামামা বাজে, যদি আসে যুদ্ধের আহবান,
তবে আমরাই হবো প্রথম, শোনাবো– শাহাদাতের আজান।
জুলুম যখন বাড়ে গিয়ে সীমা ছাড়ায় বারংবার,
আমরা দাঁড়াই সত্যের পক্ষে, নিপীড়িতের অধিকার।

ফিলিস্তিনের শিশুর চোখে রোদন নয়, হোক দীপ্তি,
সেই চোখে দেখা স্বপ্নগুলো ফিরিয়ে দিতেই নীতি।
মসজিদে আকসা কাঁদে, রক্তে ভিজে যায় পাথর,
প্রতি ফোঁটা রক্তে ওঠে, মুক্তির একেক জ্বালামুখর।

আমরা বলি—ভয় করি না মৃত্যু, চাই না সুখের লোভ,
মানবতার ডাক এলে, ন্যায়ের পাশে থাকাই রীতির সব।
বুকে কোরআন, হাতে পতাকা, কণ্ঠে প্রতিজ্ঞার গান,
ফিলিস্তিন তুমি একা নও, পাশে আছি– মুসলমান।

আমরা যুদ্ধ করি না হিংসায়, নয় তা দম্ভের ভাষা,
শুধু চাই ন্যায়ের আলো, মুক্ত হোক প্রতিটি আশা।
যদি পড়ে যাই মাটিতে, হাসি মুখেই বলি সে নাম—
এই মৃত্যু নয় শেষ, বরং শহীদের অমর গ্রাম।

06/04/2025

🌑 কবরের ডাক 🌑
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

শুনছি যেন দূর হতে, কবরের এক সাড়া,
নিস্তব্ধ রাতে বাজে, মৃত্যুর বাঁশি ধারা।
কে ডাকে সেথা? আমি নাকি, তুমি?
সবারই আসবে দিন, পেরোবে নিশি-ভুমি।

জীবন যেন নদী, সময় তার স্রোত,
দুনিয়ার মোহে ভুলি, সত্য কতো ক্ষণস্থায়ী মোট।
হাসি-কান্না মিলেমিশে চলে দিনের খেলা,
তবু একদিন থামবেই সব, চুপ হবে কোলাহলা।

হৃদয়ের ধুকপুক থামবে, দেহ যাবে থেমে,
কবরের গভীর অন্ধকারে নিঃশ্বাস যাবে রেমে।
সাথে যাবে না টাকা, না যাবে মান-সম্মান,
শুধু যাবে আমলখাতা, সৎ কাজের প্রমাণ।

দেখো তো ফিরে, কী করেছো আজ?
ভেবে দেখো, কী আছে তোমার জীবনের সাজ?
ঈমান কি জ্বলে? আছে কি তুমি সৎ?
নাকি দুনিয়ার ধুলোর মাঝে হারিয়ে ফেলেছো পথ?

যার অন্তরে আল্লাহ, যার মুখে দোয়া,
তার কবর হয় জান্নাতের ফুলে ভরা ছোঁয়া।
যে পথ চলে খাঁটি প্রেমে, তার জন্য খোলা দরজা,
রহমতের ছায়ায় সে পায় চিরতরে সাজা।

কবর মানে অন্ধকার নয়, যদি হয় আলো হৃদয়ে,
জীবনের প্রতিটি কাজ যদি হয় সত্যর মধুস্বরে।
সততা যার পাথেয়, ইবাদত যার ছায়া,
তার জন্য কবরও হাসে, দেয় শান্তির মায়া।

তবু মানুষ ব্যস্ত শুধু দুনিয়ার হিসেবেতে,
ভুলে যায় সে, একদিন যাবে কবরের গভীর পথে।
আয়না ধরে জীবনটাকে একটু দেখে নাও,
কোন পথে হাঁটছো তুমি, সেই প্রশ্নে দাঁড়াও।

আজো সময় আছে, মৃত্যুর আগে ফেরো,
হৃদয়ে কাঁপন ধরাও, আল্লাহর প্রেমে ভেসে পড়ো।
বদলাও নিজেকে, সাজাও হৃদয় বাগান,
যেন কবর হয় না শাস্তির, হয় জান্নাতের প্রাঙ্গণ।

শেষে শুধু এটুকুই—কবরের ডাক শোনো,
ভয়ের নয়, এটি শিক্ষা—আত্মা জাগাও, বোঝো।
যদি প্রস্তুতি থাকে, তবেই শান্তি পাবে,
অন্ধকারের অন্তে এক স্নিগ্ধ আলো জ্বলে যাবে।

06/04/2025

🔥 "Dhaka to Brooklyn" একটি শক্তিশালী bilingual rap যেটি Bangla এবং English-এর সংমিশ্রণে তুলে ধরে স্ট্রিট লাইফ, সংস্কৃতি এবং গ্লোবাল ভিশন। এই গানটি একজন বাঙালি র‍্যাপারের আত্মপ্রকাশ, যার মাইক্রোফোন থেকে উঠে আসে আগুনের মতো লাইন – Dhaka’র রিকশা থেকে Brooklyn-এর block পর্যন্ত।

🎤 গানের ভেতর you'll feel:

East meets West
Culture fusion
Real lyrical fire
এবং bilingual বাঙালি ভাইয়ের স্ট্রেট মাইন্ডেড অ্যাটিটিউড!

05/04/2025

🎶 বিষয়বস্তু: আত্ম-অনুসন্ধান, সৃজনশীলতা, সংগ্রাম, এবং বিজয়ের কাহিনি।

🔥 গানটি নিয়ে কিছু কথা:
"Vibe on Fire" একটি নতুন ধরণের বাংলা র‍্যাপ ট্র‍্যাক, যা আত্মবিশ্বাস, স্বপ্নপূরণ আর রাস্তায় চলার গল্পে মোড়ানো। এই গানটির প্রতিটি শব্দ ও বিট তরুণ প্রজন্মকে আগুনের মতো জ্বলে ওঠার অনুপ্রেরণা জোগাবে। নতুন পথ, নতুন গতি আর একটানা ছুটে চলা—এটাই আমাদের vibe!

🎧 ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না!

05/04/2025

✨ হৃদয়ের আলো ✨
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

জীবন এক পথিক, অনন্তের খোঁজে,
স্বপ্ন নিয়ে হাঁটে, আশা নিয়ে বোজে।
দিন যায়, রাত আসে, সূর্য ওঠে ধীরে,
তারাও জ্বলে ভরাতে মন নিরবে নিরে।

হাসির আড়ালে লুকানো কত ক্ষত,
ভালোবাসার মাঝে বেজে ওঠে রথ।
তবু মানুষ চায়, একটু আলো-ছায়া,
মনের আকাশে শান্তির দুলুনি মায়া।

সময়ের পালক উড়ে যায় হাওয়ায়,
যে পায় না, সে শুধুই পেছনে চায়।
আজকের দিনেই লুকিয়ে আছে ধন,
যে বুঝে, সে-ই পায় জীবনের পণ।

সৎ পথে চললে থাকে না ভয়,
সত্যের ছায়ায় হয় অন্তর অমলময়।
দুঃখের ঢেউ আসবে, তবু ভাসে না মন,
যদি থাকে হৃদয়ে দয়ার পবন।

আলো জ্বালাও তোমার প্রাণের ঘরে,
ভালোবাসা দাও সবার অন্তরে।
একটি হাসি, একটি হাত ধরা,
এই তো জীবনের প্রকৃত সোনা ধরা।

নয়ন ভেজে না শুধু কান্নার ছোঁয়ায়,
ভেজে যখন হৃদয় ভালোবাসায়।
দাও যে ভালোবাসা, ফিরে তা আসে,
এই নিয়ম চলে, যুগ থেকে যুগ হাসে।

তাই বন্ধু, থেমো না, এগিয়ে চলো,
ভালোবাসার ভাষা ছড়িয়ে দাও সবখালো।
তুমি এক দীপ্তি, তুমি এক গান,
তোমার আলোয় জ্বলুক পৃথিবীর প্রাণ।

🕯️ কবরের কথা 🕯️✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।চুপচাপ শুয়ে আছে একটি ঘর,নেই আলো, নেই কারো কোলাহল পর।চারপাশে নিস্তব্ধ, ধু...
04/04/2025

🕯️ কবরের কথা 🕯️
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

চুপচাপ শুয়ে আছে একটি ঘর,
নেই আলো, নেই কারো কোলাহল পর।
চারপাশে নিস্তব্ধ, ধুলো আর মাটি,
এই তো কবর—শেষ ঠিকানাটি।

বহু গানে, বহু রঙ্গে জীবন যায় কেটে,
কিন্তু কবর ডাক দেয়, একদিন চুপিচুপিতে।
কে বলবে তুমি কে? ধনীর না গরিব?
সবাই সমান কবরেতে, নেই জাতির ভরসার সারিব।

পাঁজরের নিচে থেমে যাবে নিশ্বাস,
জীবন বইটি পড়া শেষ, বন্ধ হবে পাশ।
থাকবে না মোবাইল, না থাকবে আলো,
যা ছিলো সৎ—সেই তো একমাত্র ভালো।

কী করেছি দুনিয়ায়? ভাবা কি হয়?
সত্যের পাশে দাঁড়িয়েছি? নাকি ছিলাম ভয়?
আমল রেখেছি কী পরিমানে?
না কেটেছে সময় শুধু বাহারি সাজ-গানে?

যার হৃদয়ে ঈমান, যার মুখে দোয়া,
তার কবর হয় শান্তির, রহমতের ছোঁয়া।
যে প্রতিদিন ভাবে মৃত্যুর ঠিকানা,
তার জন্যই বাগান ফোটে, কবর হয় জান্নাতের জানালা।

এ ডাক ভয় নয়, এ এক শিক্ষা,
প্রস্তুতির নাম মৃত্যু—চূড়ান্ত দীক্ষা।
তাই আজো সময়, ফিরে আসো পথ ধরে,
আল্লাহর প্রেমে গড়ো জীবন, সত্যর ছায়া ধরে।

হাসি-কান্না, দুঃখ-সুখ সবই যাবে পেরিয়ে,
কবরের ঘর ডাকবে চুপিচুপি, নিঃশব্দের ভেতরে।
যদি থাকে আলো তোমার আমলের পালকে,
তবে সেই অন্ধকারও হাসবে মিষ্টি আলোকে।

03/04/2025

মানবতার মৃত্যু কোথায়?
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

আর কত গুম, আর কত হাহাকার,
বুক ফাটিয়ে কাঁদে জনতার আহ্বান,
বিচারের কাঠগড়ায় ন্যায়ের সুর,
তবু শোনে না অন্ধ প্রশাসন!

রক্তের দাগ মুছে ফেলো কিসে?
কান্নার স্রোত কি থামে বৃষ্টি জলে?
মায়ের চোখে শুকনো অনল,
প্রতিবাদ ওঠে কেবল শোকসভায় বলে!

নদীর বুকে লাশের স্রোত,
শহরের দেয়ালে অশ্রুর ছাপ,
স্বপ্নগুলো শুয়ে আছে নির্বাক,
কেউ তো জানে না তাদের পাপ!

ঘাতকের হাতে বুদ্ধির প্রদীপ,
বিচার কি তবে নিভিয়ে গেল?
স্বপ্নের দেশে, সত্যের শপথ,
আজ কি তবে হারিয়ে ফেল?

তবে মনে রেখো, এই আঁধারে,
আলোর মশাল জ্বলবেই আবার,
ন্যায়ের রথ চলবেই সমুখে,
ভেঙে দেবে সকল অত্যাচার!

যতই আসুক ভয় আর শঙ্কা,
সত্যের কণ্ঠ রুদ্ধ কি হয়?
রক্তের প্রতিটি ফোঁটায় লেখা,
শহীদের নাম, অমর পরিচয়!

তাই বলি আজ, বলবো চিরকাল,
মানবতার মৃত্যু কোথায়?
যদি জেগে থাকে, এই জনতা,
ন্যায়ের মশাল তখনো রয়!

02/04/2025

🔥 বাজারের হাল 🔥
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

বাজারে গিয়ে দেখি হাল,
সব জিনিসের আকাশ দাম!
হাতের টাকায় কিছু নাই,
কেমনে চালাই সংসার ভাই?

চালের বস্তা হলো সোনা,
তেলের বোতল কেনা বারণা!
নুনের দামে জ্বলে চোখ,
সব কিনলে হবে শূন্য পক!

মাংস তো নয় সাধের জিনিস,
দাম শুনলেই মাথা খারাপ ঠিক!
হাড়ই ভরা, মাংস কম,
তবু কেজি হাজার টন!

মুরগির হাল লন্ডভন্ড,
একদিন কেনার পরে বন্ধ!
সবজি নিতে গেলে ভাই,
বিক্রেতা বলে, "টাকা চাই!"

পটল, বেগুন, লাউ আর কদু,
শুনে দাম, লাগে রোদ্দু!
মরিচ কিনতে গেলে দেখি,
হাজার টাকা দামেই ট্যাঁক ফুঁকি!

বউ বলে, "নিলে কি মাছ?"
"নেইতো টাকা, বুঝো যাচ!"
চিংড়ি, রুই, কাতলা দাম,
বাজেট শুনে হাঁপায় প্রাণ!

এক মুঠো ভাত চাই যে পাতে,
তাতেও লাগে কঠিন শাপে!
সবাই কষ্টে দিনটা কাটায়,
বাজার শুনলেই মাথা ঘুরায়!

আল্লাহ তুমি করো দয়া,
গরিব মানুষ রাখো বাঁচায়!
রিজিক দাও, করো সহায়,
জীবন থাকুক সুখের ছায়!

01/04/2025

ফিরে আয় বসন্তবেলা
✍️ লেখকঃ ফ্র্রিল্যান্সার ওয়াহিদ।

নাহ! চৈত্রে বহে খরতাপে,
পাতাঝরা পথে বিষণ্ণ ছাপে,
শহর জুড়ে নীরবতা বাজে,
স্মৃতিরা কাঁদে একাকী সাজে।

ধুলো মেখে হাঁটে রোদচশমা,
বাতাসে মিশে ক্লান্ততমা,
নিস্তব্ধ পথে গরমের রেষ,
হারিয়ে গেছে কোলাহল বেশ।

কোথায় সেই দুরন্ত ছায়া?
যে শহর জুড়ে ছিলো মায়া!
সন্ধ্যা এলে গল্প গাঁথা,
বৃষ্টি এলে ছুটে চলা!

কোথায় গেলো ব্যস্ত ভিড়?
হাসির খিলখিল, দৃষ্টির তীর?
সাইকেলের চাকা ঘুরতো যত,
আজ পিচের বুকে কেবলই ক্ষত!

মাস্ক বনাম ধোঁয়া-ধুলো,
স্বপ্নগুলো হল কি ভুল?
নির্বাক বসে রঙ্গিন বট,
ফুটপাতে নেই প্রাণের ছট!

দূর আকাশে ওড়েনা ফানুস,
নদীর জলে বাজেনা ঢেউ,
বসে আছে শহর জুড়ে,
চৈত্রমাসের ক্লান্ত নৌ।

আয় ফিরে আয় বসন্তবেলা,
ভরে দে প্রাণ, তুলির খেলা,
রঙিন করো শহর গ্রাম,
জাগিয়ে তোলো সুরের ধাম।

আবার ছুটুক দুরন্ত প্রাণ,
ফিরে আসুক বাঁধনহারা গান,
ফুটুক শাখায় নতুন পাতা,
চৈত্র শেষে আশার বারতা!

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Freelancer Wahid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Freelancer Wahid:

Share

আমার সম্পর্কে কিছু শব্দ

� আমি একটু আত্মকেন্দ্রিক এবং ইমোশনালি !! কাছের মানুষ গুলো একটূএকটু করে কথা বললে নিজেকে আর সহ্য করতে পারিনা ।তখন চোখ দিয়ে অঝর শ্রাবন বয়ে যায়।তবুও সব নিরবে সহ্য করে যায়,কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলি না। � মনের কষ্ট কাউকে বুঝাতে পারি না। কেননা বুঝিয়ে বা কি লাভ ? সেই হইত একটু সান্ত্বনার বাণি শুনাবে এই আর কি ?কিন্তু আমার মত তো তার অনুভুতি হবে না। � আমি নিজেকে খুব গর্বিত মনে করি,এমন একজন জননীর সন্তান হয়ে।আমার মা আমার সব। দুনিয়াতে মা ছাড়া আমি আর কিছু বুঝি না। আমার মা আমার খুব ভাল বন্ধু।আমার মনের সব কথায় তাকে বলি। �আমি খুব প্রাচীন মনস্ক। আধুনিকতার নামে নষ্টামো আমি দু চোখে দেখতে পারিনা, তবে আমি নিজে যে মহাপুরুষ গোছের কিছু, তা না, তবে আমি অন্য দশ জনের চেয়ে আলাদা, সেটা আমি বলতে পারি । � নিজেকে নিজেই ভালমত চিনি না । মন যে কখন কি চায় তা মনই ভাল জানে । আমাকে কিছু বলে না । আমার মনটা বড়ই বেপোরোয়া, আমার কথা মোটেই শুনতে চায় না । মনটারে বলি যত সে চলেছে তার নিজের মত.. � অনেক সময় চেনা মানুষের ভিরেও নিজেকে অনেক অচেনা মনে হয় । একা একা লাগে.. � বাড়লে বয়স সবাই মানুষ হয় কি, বাড়ালে হাত বন্ধু পাওয়া যায় কি ?? চাইলেই কেউকে বন্ধু বানানো যায় না । আমি আমার চারপাশের মানুষগুলো থেকে ভাল কিছু আশা করি । কখনও পাই, তবে বেশিরভাগ সময় পাই না । হয়ত এ জন্যই আমার বন্ধু সংখ্যা কম, নিতান্ত কম । যাদের সাথে আমার মনের মেলে তাদের সাথেই আমার বন্ধুত্ব হয় । আর সমাজে বাস করি তাই সবার সাথে ভাব বজায় রেখে চলতে হয় । � মানুষ কে সহজে বিশ্বাস করে ধোঁকা খাই । আমি বুদ্ধিমান-বোকা, তবে মাঝে মাঝে ঝামেলা লাগিয়ে, নিজে ঠিকই ঝামেলা এড়িয়ে চলি !! � আমি ভালোবাসার কাঙাল । একবুক ভালবাসা নিয়ে ঘুরে ঘুরে মরি । কিন্তু আমার ধারণা, আমাকে কেউ ভালবাসে না বা, আমার কথা কেউ চিন্তাও করে না, আমি মরে গেলে বোধয় কেউ কাঁদবেও না !! হা হা !! � আমি বই পড়তে একদম ভালোবাসি না । আমার স্বভাব পাখির মত । যদি ওদের মত উড়তে পারতাম !! ঘুরতে আমার খুব ভাল লাগে । প্রকৃতি অপরূপ সৌন্দর্য আমি দেখেছি, যা আমাকে পাগল করে ফেলে । যদিও তেমন ঘোরাঘুরি সুযোগ পাই না, তবে সময় পেলেই বাংলার অপরূপ নদীগুলোর টানে নেমে পড়ি । � আমি নিজেকে আর ১০টা মানুষের মতো ভাবি না । নিজেকে আমার special মনে হয় । অবশ্য সেটা আর ১০টা মানুষের মতোই একটা ফালতু ভাবনা । আসলে আমি একজন তুচ্ছ মানুষ । তবে আমি আমার মত, সবাই আমার থেকে ভাল বা খারাপ, কিন্তু কেউ আমার মত না । আমি অনন্য এবং খুব আত্মবিশ্বাসী, তবে মাঝে মাঝে হতাশায় ভুগী ।। � মানুষ বলে, ''যে যত কম জানে, সেই তত সুখি !!'' আমার ধারণা, আমি একজন মানসিক রোগী, অবশ্য শুনেছি যে পৃথিবীর সকল লোকের মাথায়ই কিছু না কিছু disturb থাকে !! আমি নিজেকে নিজে চিনতে চেয়েছিলাম, একটা সময় মনে হত, ধুর্ এখনো, নিজেকেই চিনতে পারলাম না ! অবশ্য এখন তা মনে হয় না । � আমাকে যতটা happy দেখায়, আমি কিন্ত ততটা না !! পুরাতন প্যাচাল !! কিন্তু আসলেই সেটা আমার জন্য সত্য !! আমি নিজের মাঝে নিজেকে চেপে রাখি !! মনের কথা গুলো কে প্রকাশ করি না !! ভালবাসার জন্য তাজমহল আমি বানাতে পারব না ঠিকই তবে আমার হৃদয়ে যে তাজমহল, তোমার জন্য তা কি দেখে কখনো শেষ করতে পারবে ? সম্রাট এডওয়ার্ডের মত কখনোই আমি সিংহাসন ছেড়ে দেব না বরং তোমার জন্য তার এক পাশে জায়গা করে দেব । দান্তের মত হয়ত ডিভাইন কমেডি লিখে দিতে পারব না অথবা কবি ইকবালের মত প্রেমের কোন মহাকাব্য তবে হৃদয় নিঙরানো অনুভূতি ঠিকই বোঝাতে পারব তোমাকে| তোমাকে কোটি কোটি টাকা হয়ত দিতে পারব না ঠিকই তবে কখনো তোমাকে কোন অভাবে রাখব না অন্তত ভালবাসার অভাব তো নয়ই| তোমার জন্য মায়ের শাসন, বাবার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করতে পারব এক কাপড়ে রাস্তায় এসে দাড়াতে পারব পুরোটা মেঘনাদবধ মুখস্ত শোনাতে পারব আশি পৃষ্ঠার একটা রোমান্টিক প্রেমপত্র লিখেদিতে পারব ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারব তুমি যদি বল, হেরে গলায় তোমাকে গানও শোনাতে পারব শীতের রাতে সাঁতরে পুকুর পাড়ি দিতে পারব দু’পায়ে ভর করে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ঘুরে আসতে পারব ঘন্টার পর ঘন্টা অপলক তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারব সারাজীবন তোমার অপেক্ষায় থাকতে পারব ভালবাসার জন্য আমি কিন্তু অনেক কিছুই করতে পারব, করবোও তবে ভালবাসাহীন কোন মানুষের জন্য, এক বিন্দুও নয় । I just want an honest relationship . No lies . No mind games no cheating.