
06/07/2025
।। জ্ঞা ন স ঙ্গী লে খ ক উ ৎ স ব ২ ০ ২ ৫ ।।
উৎসবে থাকছেন গণমানুষের কবি ইমরোজ সোহেল।
আসুন, পরিচিত হয়ে নিই তাঁর সাংস্কৃতিক যাপনের সাথে;
জন্ম ১৯৫৩ সাল কুষ্টিয়া জেলায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন ১৯৭৬ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় লিখতেন বাংলাদেশের প্রায় সকল পত্রিকায়। কন্ঠস্বর, গণসাহিত্য, বিচিত্রা, পূর্বানী ছাড়াও ইত্তেফাক, সংবাদসহ প্রায় সকল পত্রিকার সাহিত্যপাতা জুড়ে থাকতো তাঁর লেখা কবিতা ও ছোটগল্প।
অনিবার্য কারণে ৪০ বছর লেখেননি তিনি। এরপর আবার লেখালেখি শুরু করলেন ২০১৬ সাল থেকে। তিন বছরে প্রকাশিত হলো ১৫টি কাব্যগ্রন্থ আর তিনটি উপন্যাস। তাঁর কবিতা এখন বাংলাদেশ আর ভারতের অসংখ্য প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পীরা কণ্ঠে নেন প্রায়শই। তাঁর কবিতার সিংহভাগজুড়ে থাকে সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখ ও সামাজিক অসংগতির বিগলিত বিবরণ। এ কারণে বর্তমান প্রজন্ম তাঁকে ‘গণমানুষের কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সাংগঠনিকভাবে তিনি আন্তর্জাতিক শিল্পী সাহিত্যিক সম্মিলিত পরিষদ 'বিশ্বভরা প্রাণ’র আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়াও প্রায় ১০টি কবিতা ও সাহিত্য সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ ২৪টি। কাব্যগ্রন্থ ২১ টি এবং উপন্যাস রয়েছে ৩টি। গত ২৩ ও ২৪ এর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে- ‘আবৃত্তিযোগ্য নির্বাচিত কবিতা’, ‘ইনকিউবেটর’(কবিতা), ‘মানুষের গন্ধ (উপন্যাস)’, এবং ‘হিমঘর (উপন্যাস)’। ২০২৫ সালে জ্ঞানসঙ্গী প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘ইমরোজ সোহেলের নির্বাচিত প্রেমের কবিতা’ গ্রন্থ।
তিনি কবি সংসদ বাংলাদেশ, গাঙচিল সাহিত্য পরিষদ, অন্বয় প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কারসহ প্রায় ৫০টির মতো সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়াও শুধুমাত্র তাঁর কবিতা নিয়ে একক অনুষ্ঠান হয়েছে ৫টি। প্রথমটি ২০১৮ সালে জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে। দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রায়া দেবনাথ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘বিশ্বভরা প্রাণ’ এর আয়োজনে। অন্য কয়েকটি সংগঠনও তাঁর একক কবিতা নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
কর্মময় জীবনে তিনি নদী খনন বিষয়ক ক্যাপিটাল ড্রেজিং ভিত্তিক একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে তিনি পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক।