21/04/2023
যদি কারো অনুপস্থিতিতে তার নামে মিথ্যাচার করা হয় তবে এটাকে অপবাদ বলা হয় ।
আল্লাহর বান্দার নামে যে অপবাদ রটাই এবং যে এই অপবাদ শ্রবণ করে তাদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহপাক সূরা আন নূর এ বলেছেন
" -যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল। তোমরা একে নিজেদের জন্যে খারাপ মনে করো না; বরং এটা তোমাদের জন্যে মঙ্গলজনক। তাদের প্রত্যেকের জন্যে ততটুকু আছে যতটুকু সে গোনাহ করেছে এবং তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যে রয়েছে বিরাট শাস্তি"
(Surah an Nur ayat no 11)
অর্থাৎ কারো অনুপস্থিতিতে যদি তার নামে দ্বিতীয় ব্যাক্তি কিছু খারাপ বলে তবে তৃতীয় ব্যক্তি কে প্রথমত বিষয়টি নিয়ে এড়িয়ে যেতে হবে । আর যদি সন্দেহ প্রবল হয় তবে ঘটনা বর্ণনা কারী কে চার জন সাক্ষী পেশ করাতে বলতে হবে যারা এই ঘটনার সময় শরীরের উপস্থিত ছিল অথবা উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে হবে ।
যদি এ সকল ধারাবাহিকতার উপরে নির্ভর না করে কেউ খারাপ কিছু বলে আর শ্রবনকারীরা সেটা বিশ্বাস করে নিয়ে victim এর উপর মতামত পোষন করে তবে এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন " -
তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ঈমানদার পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করনি এবং বলনি যে, এটা তো নির্জলা অপবাদ? "
-তারা কেন এ ব্যাপারে চার জন সাক্ষী উপস্থিত করেনি; অতঃপর যখন তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী " (surah an Nur ayat no -12 , 13 )
নিজেদের লোক সম্পর্কে যাদের উত্তম ধারণা করেনি তারা অবিশ্বাসী , যারা নিজেদের লোকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে ইতিহাস সাক্ষী তারা ঠকেছে ।
বিশ্বাসিরা বোকা হয়না কখনো ঠকেনা , বিশ্বাসীদের সফল করার দায়িত্ব আল্লাহর ।
আর (সাঃ) এর সুন্নত অনুযায়ী "অবশ্যই বিশ্বাসীরা সফল হয়েছে"
আল্লাহ বলেন " হে মুমিনগণ , তোমরা ধৈর্য্য ধর ও ধৈর্যে অটল থাকো এবং পাহারায় নিয়োজিত থাকো ।
আর আল্লাহ কে ভয় কর ,যাতে তোমরা সফল হও"
(Sura Al- Imran ayat 200)
অর্থাৎ ঐ ব্যক্তি যুগলের উপর লানত ।
সন্দেহ বা কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন কথা ছড়ানো যতটা সহজ ঠিক এর প্রভাব ব্যাক্তি জীবনে ব্যপক প্রভাব বিস্তার করে।
এর ছোট্ট উদাহরণ দিলে আমার এলাকায় কারো সরকারি চাকরির সময় এ বোঝা যায় character ভেরিফিকেশন এ আসলেই সরকারি লোকদের বলা হয় যে ছেলে মাদকাসক্ত। এতে করে অনেক সময় হওয়া চাকরি হয় না । শুধু মাত্র ছোট্ট একটি অপবাদের জন্য কারো জীবনে এত বড় ক্ষতি হয়ে যায়।
এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন
"-আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, তোমরা যদি ঈমানদার হও, তবে তখনও পুনরায় এ ধরণের আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না" (surah an Nur )
এছাড়াও আল্লাহ অপবাদ রটনা কারী ও তার উপর একিন কারনে ওয়ালে এদের জন্য রেখেছেন কঠিন শাস্তি।
এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন -
" যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল। " (Surah an Nur )
সন্দেহের কারনে মিথ্যা সত্যি বিবেচনা না করে decision নেওয়া অনেক সময়ই কাল হয়ে দাঁড়ায়
অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন
" ঈমানদার বিশ্বাসীগনের জন্য রয়েছে খুশির খবর এবং খুব শীঘ্রই তাদের কৃতকর্মের জন্য রয়েছে পুরষ্কার"
আর যারা এসকল কাজ করে এবং উৎসাহিত করে তাদের প্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন " লোকের কটুক্তি তে তুমি ধৈর্য ধারণ কর ও সুন্দরভাবে তাদের পরিহার করে চলো " (সূরা আল মুযাম্মিল ৭৩:১০)
আর বলেন " আর তিঁনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন
অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয়েছে কাফের কেউ মু'মিন
তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন " (আত-তাবাগুন ৬৪:২)
"আর অবশ্যই পরবর্তী সময় পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে শ্রেয় , আর অচিরেই আপনার রব আপনাকে অনুগ্রহ দান করবেন , ফলে আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন" ( surah ad-duha : 4,5)
অর্থাৎ আমার যা কিছু হারিয়ে গেছে তার থেকে বেশি কিছুই পাবো সুতরাং ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা টাই উত্তম ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুক এবং হেদায়েতের পথে অবিচল রাখুক ।
-আমীন ❤️🕊️