18/07/2014
মনযোগ দিয়ে পড়ুন,
গাজা শহরের এক বিশাল
মসজিদ
থেকে ফজরের আযান
ভেসে আসছে।
সেহরী খেয়ে মুসল্লিরা নামাযের
জন্য
ছুটে চলেছে। মুসল্লিদের এই
সারিতে এক
যুবকও রয়েছ, যার নাম আবু
উসামা।
প্রতিদিনের রুটিন মতই আবু
উসামা সেহরী খেয়ে ছোটবোন
আন
নুরকে নিয়ে কতক্ষন
খেলা করে। আবার
আযান হতেই ছোট বোনকে একটু
আদর
করে মসজিদে চলে যায়। আজও
আন
নুরকে আদর করে ফজরের
নামাযের জন্য
মসজিদ পানে ছুটেছে।
আবু উসামার তিন ভাই ও দুই
বোন। তার
মাঝে ছোট বোন আন নুর তিন
বছর
বয়সী ।
পিতা দুদিন আগেই
ইসরাঈলী বিমান
হামলায় শহীদ হয়েছেন।
পরিবারের
সকলের মুখে শোকের চাপ
থাকলেও আবু
উসামা স্বাভাবিক ছিল যেন
কিছুই
ঘটেনি।
এতক্ষণে মসজিদে চলে এসেছে।
সুন্নত
নামাজে দাড়ালো।
মসজিদে মুসল্লী সংখ্যা একেবারে কম।
হামলার ভয়ে গাজার মানুষ ঘর
থেকে বের
হয়না। আবার ঘরেও
তারা নিরাপদ নয়।
তবুও
জীবনের ঝুকি নিয়েই গাজার
মানুষদের
বসবাস। অনবরত
মুজাহিদরা জিহাদ
করেই
যাচ্ছে। মসজিদের
ভেতরে হট্রগোল
শুনে আবু উসামা দ্রুত সালাম
ফিরিয়ে নেয়। সালাম
ফিরিয়েই
শুনতে পায় ইসরাইলী বিমান
হামলায়
আবু
উসামার বাড়ি ঘর মাটির
সাথে মিশে গেছে। কিছুই
অবশিষ্ট
নেই
সবাই শহীদ হয়ে গেছে। তবুও
সে নির্বীক।
ইমাম সাহেবকে নামায শুরু
করতে বলল
সে।
নামাজ শেষ
হলে ধীরে সুস্থে বাড়ি গিয়ে মা ও
ভাই
বোনদের লাশের
পাশে বসে ছোট বোন
আন নুরের
লাশটা কোলে নিয়ে সে দোয়া করে,
"হে আল্লাহ আমার
মা বোনদের না হয়
শহীদ করেছো, এতে দুঃখ
নেই,তবে গাজার
আমার হাজারো মা ও ভাই
বোনদের
হেফাজত করো। আমিন"
আবু উসামা আজ দুঃখ
পায়নি তার
মা ও
ভাই বোন বিশেষ করে আদরের
ছোট
বোন
আন নুর শহীদ হওয়ায়
বরং সে খুশি হয়েছে তার
পরিবারের
সবাই শহীদ হওয়াতে।
যে জাতির মাঝে এমন
নির্বীক
যুবকেরা রয়েছে,
সে জাতি কখনো পরাজিত
হবেনা ।
বিজয়
একদিন আসবেই আসবে।
ইন শা- আল্লাহ.
আজে বাজে পেইজে like না দিয়ে ভাল ও দরকারী কিছু পেতে নিচের পেজ থেকে ঘুরে আসুন। Confirm ঠকবেন না।
★★★ Ashraf Hossain ★★★