24/05/2024
আমি ব্যক্তিগতভাবে গিয়াসউদ্দিন তাহেরীকে পছন্দ করি বর্তমানে যারা ভাইরাল তাদের তুলনায় উনি প্রায় সবসময়ই হক কথা বলে থাকেন, একটু হলেও হুংকার দেন ওয়াজের মাহফিলএ অনিয়ম অবিচারের বিরুদ্ধে।কোনো মানুষ ই শতভাগ সঠিক নয়, একটু ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় বক্তা শায়েখ আহমাদুল্লাহ, আবরারুল হক আসিফ(রিলেশন এক্সপার্ট) যাদেরকে কোনোদিন দেখলাম না যে ওয়াজের মাঠে গর্জন দিতে।ওনারা পারেন শুধু মিষ্টি মিষ্টি ওয়াজ করতে, মনে হয় মধু মেশানো ওয়াজ।এছাড়াও ওনারা পারেন বিভিন্ন মাস'আলার উত্তর দিতে।যেমনঃ ১। মুরগীর ডিম খাওয়া জায়েজ কিনা? মুরগী ত পায়খানা করে পানি নেয় না।
২। দিনের বেলা সহবা* করা যাবে কিনা?
৩। স্বামীর ডানপাশে স্ত্রীর ঘুমানো যাবে কিনা?
৪। অন্যের গাছের নিচে বসা যাবে কিনা?
৫। ভাত খাওয়ার আগে পানি খাওয়া যাবে
কিনা?
৬। গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা বলা যাবে কিনা?
৭। গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যাওয়া যাবে কিনা?
ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর এদিকে
দেশ ভরে গেছে অনিয়ম, অবিচারে, বাংলাদেশ - ভারত সীমান্তে নিয়মিত মারা হচ্ছে বাংলাদেশের বর্ডারগার্ডদের। কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, ঘুষ, দুর্নীতি ভরে গেছে। প্রতি সেক্টরে হচ্ছে অরাজকতা, দুর্নীতি আর ধর্ষন তো হরহামেশাই নিত্যদিনের ঘটনা। এসব নিয়ে,কোনোদিন তাকে কথা বলতে দেখিনি।
ওনাদের মতো যদি আমাদের জনপ্রিয় বক্তা দেলোয়ার হোসেন সাইদী, মামুনুল হক মিষ্টি মিষ্টি ভাষায় কথা বলতো তাহলে তাদের আর জেলে যাওয়া লাগতো না।
আমির হামজার মতো বক্তাকে কারাগারে থাকা লাগতো না। সাইদী হুজুর যদি সরকারের গোলামী করতো তাহলে তিনি থাকতো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পেশায়।একই কালিমার দাওয়াত দিয়ে কেউ খায় পোলাও বিরিয়ানি আবার কেউ পায় বেতের বাড়ি, দেশ ছাড়ার হুমকি আবার আবার এমন বক্তাও আছে যারা হত্যার হুমকিও পেয়ে থাকেন।
এসব ভাইরাল বক্তাদের মানে
ওনাদের কখনো দেখলাম না রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে!! আমাদের নবী কি রাজনীতি করেননি? সমাজ, দেশ পরিচালনা করেন নি?