বাছবিচার বুকস - পাবলিশার'স পেইজ

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • বাছবিচার বুকস - পাবলিশার'স পেইজ

বাছবিচার বুকস - পাবলিশার'স পেইজ bacbichar.net এর ছাপানো বই বেচার পেইজ।

"ব্রিটিশ বাংলায় গরু জবাইয়ের রাজনীতি" বইটা কিনতে পারবেন রকমারি'তেও
07/08/2025

"ব্রিটিশ বাংলায় গরু জবাইয়ের রাজনীতি" বইটা কিনতে পারবেন রকমারি'তেও

লেখকঃ মোহাম্মদ আবু সাঈদ, ক্যাটাগরিঃ ইতিহাস ও ঐতিহ্য: গবেষণা ও প্রবন্ধ, মূল্যঃ 241, লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/486544/ব্রিটিশ-বাংলা....

বই নাম্বার ১২৪কেটাগরি: নন-ফিকশন বইয়ের নাম: ব্রিটিশ বাংলায় গরু জবাইয়ের রাজনীতিরাইটার: মোহাম্মদ আবু সাঈদকাভার ডিজাইন: শাওন...
06/08/2025

বই নাম্বার ১২৪
কেটাগরি: নন-ফিকশন
বইয়ের নাম: ব্রিটিশ বাংলায় গরু জবাইয়ের রাজনীতি
রাইটার: মোহাম্মদ আবু সাঈদ

কাভার ডিজাইন: শাওন চিশতি
বুক ডিজাইন: হুসাইন হানিফ

পেইজ: ১১২
দাম: ২৫০ টাকা
কুরিয়ার চার্জ: ৫০ টাকা
(অগাস্ট ১৫, ২০২৫'র মধ্যে অর্ডার করলে কুরিয়ার চার্জ দিতে হবে না)

বইটা কিনতে ইনবক্সে আপনার কুরিয়ার এড্রেস জানান। পেমেন্ট করতে পারবেন ক্যাশ অন ডেলিভারি (ঢাকার ভিতরে), বিকাশ ও নগদ অ্যাপে।
..

লেখকের কথাপ্রাক-ব্রিটিশ আমল এবং ব্রিটিশ আমলে বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস পরস্পর বিপরীতমুখী। সুলতানী ও মুঘল আমলে মুসলমান সমা...
28/07/2025

লেখকের কথা

প্রাক-ব্রিটিশ আমল এবং ব্রিটিশ আমলে বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস পরস্পর বিপরীতমুখী। সুলতানী ও মুঘল আমলে মুসলমান সমাজ যতটা অগ্রগতি সাধন করতে পেরেছিলো, ব্রিটিশ আমলে তা থমকে যায়। ব্রিটিশ শাসনের প্রথমার্ধে ব্রিটিশ শাসকদের শাসননীতি সম্পূর্ণভাবে হিন্দু জনগোষ্ঠীর পক্ষে গিয়েছিলো এবং তারা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছিলো। এর ফলে অটোমেটিক বাংলার মুসলমান সমাজের অবস্থান রাষ্ট্রীয় জায়গায় তো বটেই, সামাজিকভাবেও ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছিলো।

রাষ্ট্রে নিজেদের হিস্যা বুঝে নিতে এবং সামাজিকভাবে নিজেদের পুনর্গঠন করতে বাংলার মুসলমানের জন্য জাগরণ / পুনর্জাগরণ ছিল একপ্রকার অনিবার্য। এই অনিবার্য জাগরণের সূচনা হয় ১৮৫৭ সালের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম সিপাহী বিদ্রোহের পর। সশস্ত্র সংগ্রাম সাময়িকভাবে ব্যর্থ হবার পর মুসলমানদের প্রায় সকল পক্ষ একমত হয় যে, সামাজিকভাবে নিজেদের পুনর্গঠন করে রাষ্ট্রীয় হিস্যা নিশ্চিত না করতে পারলে মুসলমানদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই। ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সংগঠন— সর্বোপরি সকল উপায়েই চেষ্টা শুরু হলো। স্যার সৈয়দ আহমদ লিখে, বক্তৃতা দিয়ে মুসলমানদের বোঝানোর চেষ্টা করলেন, ইংরেজদের ভাষা, রাষ্ট্রনীতি কবুল করে নিয়েই মুসলমানদের এগিয়ে যেতে হবে। মুসলমান সমাজে যতজন‌ই ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন ও সরকারের সাথে যুক্ত ছিলেন প্রায় সবাই এই নীতি কবুল করে নিয়েছিলেন। বাংলায় এই নীতির বাস্তবায়নে সিরিয়াসলি কাজ শুরু করেছিলেন নবাব আবদুল লতিফ।

এভাবেই বাংলার মুসলমানদের সামাজিক পুনর্গঠন ও রাষ্ট্রে নিজেদের হিস্যা বুঝে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়, উনিশ শতকের শেষদিকে। ঠিক তখনই হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয় গো-রক্ষিণী সভা, গো-রক্ষা আন্দোলন— গরু রক্ষার কর্মসূচি। হিন্দু সমাজের যে কাস্ট সিস্টেম তাতে তাদের যে কোনো দাবি-দাওয়া সাধারণত উচ্চবর্ণের বাবুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। গরু রক্ষা কর্মসূচিতেও এর কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। এই কর্মসূচি প্রায় পুরোটাই কুক্ষিগত ছিল জমিদারদের মধ্যে, উচ্চবর্ণের বাবুদের সহায়তায়। গরু রক্ষা আন্দোলন মূলত হিন্দুদের ধর্মরক্ষার অংশ হিসেবেই শুরু হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে ধর্মরক্ষার চেয়ে জমিদারদের স্বার্থরক্ষা ও ব্রাহ্মণ্য আধিপত্যবাদের ঢাল হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে।

কেবল ব্রিটিশ আমলে নয়, বরং এই ভূখণ্ডে মুসলমানরা সংগঠিত হবার শুরু থেকেই গরু জবাই নিয়ে আপত্তির মুখে পড়েছে। বাংলায় সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী সুফি হজরত শাহজালালের আগমন ও সিলেটে বসবাসের পেছনে গরু জবাইয়ের অধিকার হরণের ঘটনা জড়িত। হজরত শাহজালালের‌ও পূর্বে আসা সুফি, বাবা আদম শহীদ রাজা বল্লাল সেনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন, গরু জবাইয়ের ইস্যুতে। এই ঐতিহাসিক সূত্রগুলো তো আগে থেকেই মুসলমানদের মাথায় ছিল, সাথে যুক্ত হয়েছে হিন্দু জনগোষ্ঠীর গরু রক্ষার সাংগঠনিক কার্যক্রম। সময়টাও খেয়াল রাখা জরুরী, যখন মুসলমানরা পুনর্জাগরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নিজেদের হিস্যা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। মুসলমানদের গরু জবাইয়ের অধিকারের বিরুদ্ধে হিন্দু সমাজের যে সাংগঠনিক কার্যক্রম তাকে মুসলমানরাও সিরিয়াসলি নিলো। বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সুসংগঠিত করলো গরু রক্ষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করতে। বিশেষত, মীর মশাররফ যখন হিন্দু সমাজের গরু রক্ষা আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে লেখা শুরু করলেন, তারপর মুসলমান সমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া ছিল ঐতিহাসিক এক ঘটনা। ব্রিটিশ আমলে বোধহয় সেই প্রথম ইভেন্ট, যেখানে মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থান ব্যক্ত করতে পেরেছিলো। যার ফলশ্রুতিতে ব্রিটিশ শাসকরাও মুসলমানদের স্বতন্ত্র স্বার্থ নিয়ে ভাবতে বাধ্য হয়েছিলো।

এই ব‌ইতে আমরা সেই ঐতিহাসিক ইভেন্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিশেষত গরু রক্ষা আন্দোলনে জমিদারদের ভূমিকা এবং তাদের আর্থ-সামাজিক স্বার্থ কিভাবে জড়িয়ে পড়েছিলো। মুসলমানদের অধিকারবিরোধী আন্দোলনে মীর মশাররফের সংহতিকে কেন্দ্র করে মুসলমান মধ্যবিত্তের যে ঐক্যবদ্ধ লড়াই, মামলাসহ, এ বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আমরা দাবি করছি না যে, কোনো ঐতিহাসিক তথ্য আমরা আবিষ্কার করেছি কিংবা নতুন কোনো তত্ত্ব হাজির করেছি। চেষ্টা করেছি, এই ঐতিহাসিক ইভেন্ট নিয়ে যেসব লেখাপত্র পাওয়া যায় তার বিশ্লেষণধর্মী উপস্থাপন করতে। পাঠকরা যেন দলিল থেকে নিজেরাও চাইলে আরো পয়েন্ট আউট করতে পারেন সেজন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংযুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে লেখকের বানান হুবহু রাখা হয়েছে; মীর মশাররফের গো-জীবন’র বানান হুবহু রেখে দিলে পাঠক ক্ষেত্রবিশেষ নাও বুঝতে পারেন এই ধারণায় কিছু বানান চলনসই করা হয়েছে।

ব‌ই করার আইডিয়া মাথায় আসার পরপরই এটা নিয়ে আলাপ করেছিলাম মাহফুজ ভাইয়ের সাথে, তিনি দুয়েকটা লেখাও দিয়েছেন। এই বিষয়ে কাজ করতে নিরন্তর উৎসাহ দিয়েছেন মানজুর ভাই। মনু ভাই এই ব্যাপারে কাজ করছি জানার পর অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে, এই বিষয়ে আমার একটি বক্তব্যের আয়োজন করে ফেলেন, যা ভিডিও রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। ব‌ইয়ের ব্যাপারেও তাঁর আগ্রহ‌ ও প্রচেষ্টাই ছিল সর্বাধিক। এই বিষয়ে আমার বক্তব্য শুনতে বিশেষ আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন কবি হাসান রোবায়েত। ইমরুল ভাই‌ তো ব‌ই প্রকাশের আগেই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাছবিচার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ফেলেছেন। প্রচ্ছদের জন্য যে শাওন ভাইকে কি জ্বালা দিলাম! আর রাকিব ভাই মাঝেমধ্যে খোঁচা দিয়েছেন যা অলসতা কাটাতে কাজে লেগেছে। যাদের নাম উল্লেখ করলাম, তাদের সকলকে কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে স্মরণ করলাম মাত্র; ধন্যবাদ জানিয়ে সম্পর্কের অবমূল্যায়ন করতে চাই না।

মোহাম্মদ আবু সাঈদ
৪/৮/২৫
আজিজ মহল্লা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
[email protected]

নিউ বুক এপিয়ারিং ইন অগাস্ট ২০২৫পেইজ ১১২, দাম ২৫০ টাকা।কাভার ডিজাইন: শাওন চিশতি
27/07/2025

নিউ বুক এপিয়ারিং ইন অগাস্ট ২০২৫

পেইজ ১১২, দাম ২৫০ টাকা।

কাভার ডিজাইন: শাওন চিশতি

আমাদের ছাপানো ইন্টারভিউ সিরিজ এর  ১২টা বই একসাথে কিনেন ১০০০ টাকায়। একসাথে বইগুলা কিনলে আলাদা কুরিয়ার চার্জ লাগবে না।বইগু...
21/07/2025

আমাদের ছাপানো ইন্টারভিউ সিরিজ এর ১২টা বই একসাথে কিনেন ১০০০ টাকায়। একসাথে বইগুলা কিনলে আলাদা কুরিয়ার চার্জ লাগবে না।

বইগুলা কিনতে ইনবক্সে আপনার কুরিয়ার এড্রেস জানান।

পেমেন্ট করতে পারবেন ক্যাশ অন ডেলিভারিতে ঢাকা সিটির ভিতরে; অন্য জেলায় বিকাশ, নগদ, রকেট অ্যাপে।
..

১। ইন্টারভিউ সিরিজ ৩৭: আমার প্রশ্ন হইল, কোনো ভাষারে তোমার কিংবা আমার কইরা তুলে আসলে কোন বিষয়টা? - ঝুম্পা লাহিড়ী। তরজমা - অনিন্দিতা চৌধুরী। পেইজ - ৪০, দাম ১০০ টাকা।

২। ইন্টারভিউ সিরিজ ২৮: পলিটিক্স যা করে সাহিত্য তার চাইতেও দীর্ঘস্থায়ী বিষয়ের মামলা - মারিও বার্গাস ইয়োসা। তরজমা - কে এম রাকিব। কাভার ডিজাইন - সাদ্দু হাসান। পেইজ - ৪৮। দাম ১২০ টাকা।

৩। ইন্টারভিউ সিরিজ ১৮: ওরা ভাবে নিজেদের অবস্থার উন্নতি না করতে চাওয়া হইলো এক ধরণের আকাইম্মা আর বেক্কলের মতো কাজ - এলিস মুনরো। অনুবাদ - তাসনিম রিফাত। পেইজ ৪৮. দাম ১০০ টাকা।

৪। ইন্টারভিউ সিরিজ ১৭: আপনি যা লেখেন না, সেইটা বেশিরভাগ সময় আপনি যা লেখেন, তার চাইতে বেশি শক্তিশালী - টনি মরিসন। অনুবাদ - রূপকথা নাওয়ার। পেইজ ৪৮. দাম ১০০ টাকা।

৫। ইন্টারভিউ সিরিজ ১২: লেখকের বড় দায়বদ্ধতা হইলো তার লেখাটা সবচে ভালো উপায়ে শেষ করা - উইলিয়াম ফকনার। তরজমা - হুমায়ূন শফিক। পেইজ ৪০. দাম ১০০ টাকা।

৬। ইন্টারভিউ সিরিজ ১১: একটা ভালো অনুবাদ সবসময়ই অন্য ভাষায় নতুন কিছু তৈরি করে। গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। তরজমা: তৌকির হোসেন। ৪৮ পেইজের বই। দাম ১০০ টাকা।

৭। ইন্টারভিউ সিরিজ ১০: শব্দগুলার সরলতা, রিপিটেশন, অনুপ্রাস এইসবকিছু আপনারে সবচেয়ে বেসিক আর জটিল ইমোশনের কাছে নিয়া যায় - লিডিয়া ডেভিস। অনুবাদ - কে এম রাকিব। পেইজ ৪০. দাম ১০০ টাকা।

৮। ইন্টারভিউ সিরিজ ০৯: সাহিত্য যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল বলার ওয়েটা - হোর্হে লুইস বোর্হেস। তরজমা: মঈন উদ্দিন। ৪৮ পেইজের বই। দাম ১০০ টাকা।

৯। ইন্টারভিউ সিরিজ ০৮: একটা ভালো বই লেখকের চাইতে বেশি ইন্টেলিজেন্ট - উমবের্তো একো। তরজমা - তুহিন খান। পেইজ ৪৮. দাম ১০০ টাকা।

১০। ইন্টারভিউ সিরিজ ০৭: নারীরা এক প্রকারের বান্ধা, সে যা না, তাই তারে অভিনয় কইরা দ্যাখাইতে হবে। সিমন দ্য বোভোয়া'র ইন্টারভিউ। অনুবাদ: তৌকির হোসেন। পেইজ ৩২. দাম ১০০ টাকা।

১১। ইন্টারভিউ সিরিজ ০৬: এই সময়ে যেকোন কিছুর চাইতে ভিডিও গেমস ফিকশনের অনেক কাছাকাছি - হারুকি মুরাকামি। তরজমা: ইমরুল হাসান। ৪০ পেইজের বই। দাম - ১০০ টাকা।

১২। ইন্টারভিউ সিরিজ ০৫: একটা কালচার যদি নিজের ক্রিয়েটিভ শক্তিটারে বাঁচায়ে রাখতে চায়, তাইলে বিদেশি কালচারের ব্যাপারে উদার থাকা লাগবে - ইতালো কালভিনো। তরজমা: তুহিন খান। ৪০ পেইজের বই। দাম - ১০০ টাকা।

আমাদের ছাপানো বাংলাদেশি ফিকশনের ৩টা বই কিনতে পারবেন এখন রকমারি.কম এ১. আবুল মনসুর আহমদ https://www.rokomari.com/book/4821...
21/07/2025

আমাদের ছাপানো বাংলাদেশি ফিকশনের ৩টা বই কিনতে পারবেন এখন রকমারি.কম এ

১. আবুল মনসুর আহমদ
https://www.rokomari.com/book/482134/bangladeshi-fiction-abul-mansur-ahmed

২. সৈয়দ মুজতবা আলী
https://www.rokomari.com/book/482139/bangladeshi-fiction-syed-mujtaba-ali

৩. শাহেদ আলী
https://www.rokomari.com/book/482140/bangladeshi-fiction-shahed-ali

লেখকঃ আবুল মনসুর আহমদ, ক্যাটাগরিঃ প্রসেসিং, মূল্যঃ 145, লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/482134/বাংলাদেশি-ফিকশন-আবুল-মনসুর-আহমদ , সার সংক...

আমাদের ছাপানো বাংলাদেশি ফিকশনের ৩টা বই একসাথে কিনেন ৪৫০ টাকায়। কুরিয়ার চার্জ ৫০ টাকা। টোটাল ৫০০ টাকা। বইগুলা কিনতে ইনবক্...
10/07/2025

আমাদের ছাপানো বাংলাদেশি ফিকশনের ৩টা বই একসাথে কিনেন ৪৫০ টাকায়। কুরিয়ার চার্জ ৫০ টাকা। টোটাল ৫০০ টাকা।

বইগুলা কিনতে ইনবক্সে আপনার কুরিয়ার এড্রেস জানান।

পেমেন্ট করতে পারবেন ক্যাশ অন ডেলিভারিতে ঢাকা সিটির ভিতরে; অন্য জেলায় বিকাশ, নগদ, রকেট অ্যাপে।



আবুল মনসুর আহমদ
। আদুভাই । ফুড কনফারেন্স । গো-দেওতা কা দেশ । গালিভরের সফরনামা । রিলিফ ওয়ার্ক । জমিদারি উচ্ছেদ ।

পেইজ ৭২। দাম ১৫০ টাকা ।



সৈয়দ মুজতবা আলী

। নেড়ে । পাদটীকা । নোনাজল । নোনামিঠা বেঁচে থাকো সর্দিকাশি ।

পেইজ ৬৪। দাম ১৫০ টাকা ।



শাহেদ আলী

।ঐ যে আকাশ নীল । শা-নযর । একই সমতলে । জিবরাইলের ডানা । শহীদে কারবালা । নেপথ্যে । সোনার খনি।

পেইজ ৯৪। দাম ১৫০ টাকা ।
..

পাবলিশার’স নোট

বাংলাদেশি ফিকশন বাংলা-সাহিত্যের একটা ফ্রাকশন বা আঞ্চলিক ঘটনা না, বরং আম্রিকান লিটারেচার এবং ব্রিটিশ লিটারেচার যেইরকম ইংরেজি সাহিত্যের আলাদা আলাদা দুইটা ধারা, অইরকম-ভাবে বাংলাদেশি ফিকশনের একটা ট্রেডিশন আইডেন্টিফাই করা ও এক্সপ্লোর করা পসিবল বইলা আমরা মনে করি

যেইটা খালি পলিটিকাল হিস্ট্রির কারনে ১৯৪৭ বা ১৯৭১ পরবর্তি ঘটনা না, যে, যেহেতু পুব-পাকিস্তান বা বাংলাদেশ স্বাধিন একটা পলিটিকাল আইডেন্টিটি, এখন আমাদেরকে আলাদা ধরনের গল্প-কাহিনি লেখতে হবে! (এখন পলিটিকাল কন্ডিশনগুলা আলাদা কিছু রিয়ালিটি তো তৈরি করেই…) বরং পলিটিকালি আলাদা একটা এনটিটি হওয়ার আগেও এইখানে ‘বাংলাদেশি-সাহিত্যের’ কিছু উদাহারন হাজির ছিল, যেইগুলা এই পলিটিকাল আইডেন্টিটিরে শেইপ-আপ করার কাজটাও করছে একভাবে; আর তারপরে ঘটনাগুলা ঘটছে…

তো, এই জিনিসগুলারে থিওরেটিকালি জাস্টিফাই করার একটা টেনডেন্সি তো আছেই, কিনতু বেটার হয় আসলে যদি কিছু উদাহারন একসাথে রাখা যায়; আর এই রকমের একটা এক্সপেক্টশনের জায়গা থিকা আমরা ‘বাংলাদেশি ফিকশন' সিরিজটার কথা ভাবছি

এই সিরিজে রাখা ফিকশন-রাইটারদের বাইরে যে কোন বাংলাদেশি-গল্পকার নাই বা এই কাহিনিগুলার বাইরে এই রাইটারদের ‘ভালো’ কোন গল্প নাই - তা না, বরং যেই ফিকশনগুলাতে উনাদের লিটারারি এক্সিলেন্সের বাইরেও ‘বাংলাদেশি’ ধারনাটারে উনারা হাইলাইট করতে পারছেন, সেইগুলারে আমরা বাছাই করার চেষ্টা করছি

এখন, ধারনা তো বদলায়, সময়ের সাথে সাথে, বাতিল হয়া যায়, আবার অনেক সময় নতুন কইরা তৈরি হইতে থাকে বা রেলিভেন্ট হইতে থাকে… কিনতু সাহিত্যে বা চিন্তায় এই কেটাগরিগুলারে নোটিশ করতে পারাটা সবসময় অবস্টেকলের ঘটনা না, বরং ফারদার এক্সপ্লোর করার বেইজ হিসাবেও কাজ করতে পারে

চিন্তা ও সাহিত্য-ধারনা ক্রিয়েটিভ-ওয়ার্কের জন্য সমস্যা না, বরং নানান ধরনের এন্থোলজি অনেক সময় কিছু জরুরি জায়গারে সামনে আনার কাজটাও করতে পারে; তো, অইরকম একটা চিন্তার জায়গা থিকা এই সিরিজের বইগুলা আমরা ছাপাইতে চাইতেছি

ডিয়ার রিডার, পইড়া দেখেন!

এডিটর
বাছবিচার

মে, ২০২৫

আবুল মনসুর আহমেদকে প্রথম পড়তে গিয়া আমি অবাক হইছিলাম। দুইটা কারণে, এক—এত দারুণ একজন লেখককে এত দেরিতে পড়া; দুই—আদু ভাই গল্...
09/07/2025

আবুল মনসুর আহমেদকে প্রথম পড়তে গিয়া আমি অবাক হইছিলাম। দুইটা কারণে, এক—এত দারুণ একজন লেখককে এত দেরিতে পড়া; দুই—আদু ভাই গল্পটা উনার লেখা এইটা জানতে পারা। এমন না যে আবুল মনসুর আহমদের কথা শুনি নাই বা তার সম্পর্কে কমবেশি জানি না। কিন্তু কোনোভাবে তার লেখা পড়তে দেরি হয়ে গেছে। যেইটা আমার কাছে সমস্যাজনকই মনে হইল। আর আমাদের দেশে ক্লাস সেভেনে পড়ছেন অথচ আদু ভাই গল্প পড়েন নাই এমন মানুষ বোধহয় পাওয়া যাবে না। কিন্তু ক্লাস সেভেন পাশ করার ১ যুগ পর, গল্পের কথা মনে থাকলেও লেখক কে তা আর মনে নাই। এইটা কি আমার একার ক্ষেত্রেই হইছে, নাকি আরও অনেকেরই এমন হইছে আমি জানি না।

আদু ভাই গল্পটা আমরা যারা সাধারণভাবে পড়ছি, স্কুলে থাকতে, ওইটুকু বয়সে, এরপর আর যদি পড়ে না থাকি, তাহলে ধরতেই পারব না যে এই গল্পটা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করে গেছে। এমনকি আমরা যে আদু ভাইকে বলদ মনে করি সেইটাও ঠিক কি বেঠিক ‘আরেকটা মনোযোগী পাঠের’ আগে তা ধরতে পারার কথা না।

আদু ভাই যে বোকা ছিল, বা কিছুই বুঝত না ব্যাপারটা কিন্তু এমন না। গল্পটা আমরা কমবেশি সবাই জানি।

আদু ভাইয়ের প্রমোশন না পাওয়ার কারণ ৩টা। এক. সততা। দুই. বইয়ের টেক্সট আর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে না পারা। তিন. শিক্ষকদের অযোগ্যতা।

একটা উদাহরণ দেখা যাক। কথক যখন আদু ভাইয়ের প্রতি দরদ অনুভব করে তাকে প্রমোশন পাইয়া দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়া স্যারদের বাড়িতে বাড়িতে গেলেন, তখন মৌলবী স্যারের কাছে প্রথমে গিয়া দেখলেন, ফারসি পরীক্ষার খাতায় ফারসিতে কিছু লেখেন নাই আদু ভাই; ‘তার বদলে ঠাস-বুননে বাংলা হরফে অনেক কিছু লেখা আছে।’ লেখকের ভাষায়, ‘কৌতূহল-বশে পড়ে দেখলাম: এই বঙ্গদেশে ফারসি ভাষা আমদানির অনাবশ্যকতা ও ছেলেদের উহা শিখাবার চেষ্টার মূর্খতা সম্বন্ধে আদু ভাই যুক্তিপূর্ণ একটি ‘থিসিস’ লিখে ফেলেছেন।’
তো যেই লোক প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়া এইরকম চিন্তা করতে পারে, এবং সেই সম্পর্কে নিজের ‘যুক্তিপূর্ণ’ মতামত লিখতে পারে, তাকে আর যাইহোক অযোগ্য বা ‘আদু ভাই’ অথবা বলদ মনে করার আগে দুইবার ভাবা দরকার। আমার মনে হয় এ জিনিসটা আমরা সবাই মিস করে যাই।

মৌলবী স্যার যদি মনে করে থাকেন আদু ভাইয়ের চিন্তা ভুল, উনি কি তা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন? আমার ধারণা করেন নাই। কারণ, ওই যে, আদু ভাই যে ভিন্নরকম চিন্তা করতেন, সেই চিন্তা ধরার মতো বা পাত্তা দেবার মতো মনে করেন নাই শিক্ষকরা।

তো আমার কাছে মনে হইছে, আদু ভাই গল্পটা যে পড়ছে, মনোযোগ দিয়া অথবা মনোযোগ ছাড়াই তার কাছে যেমন এই গল্পটা অবিস্মরণীয়, আবুল মনসুর আহমদ যে পড়ছে, সে যদি মোটামুটি বুঝবান হয়, তাহলে এই লেখকটাও অবিস্মরণীয়ই হয়ে থাকার কথা।

কিন্তু আবুল মনসুর আহমদ তো শুধুই আদু ভাই গল্পের লেখক না। আদু ভাই গল্পের থেকেও উনার আরও ভালো লেখা আছে, যারা ফুড কনফারেন্স পড়ছেন, বা গালিভরের সফরনামা পড়ছেন, অথবা জমিদারি উচ্ছেদ পড়ছেন, তারা হয়তো আমার সঙ্গে একমত হবেন। তবে মনসুর আহমদ বেশি আলোচিত ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইটার জন্য। এইটা উনার জন্য ভালো না খারাপ সেইটা নিয়া আমি কিছু বলব না। তবে উনার গল্প যে বাংলা সাহিত্যের জন্য একটা বিরাট ঘটনা সেইটা বলতে চাই।

আমার পাঠে বাংলা সাহিত্যে রাজনৈতিক স্যাটায়ারে আবুল মনসুর আহমদ এখন পর্যন্ত সেরা লেখক। তার আগে পড়ে কেউ আর তার মতো এমন তীব্র ব্যঙ্গাত্মক কিন্তু সমাজকল্যাণকর গল্প আর লেখেন নাই। আর উনার শ্রেষ্ঠ স্যাটায়ারগুলি শুরুর জীবনে লেখা, যখন তিনি সংবাদপত্রে কাজ করতেন আর সবে রাজনীতিতে নাম লেখাইছেন। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে পালনের সময়ে গালিভরের সফরনামা বইটা লিখছেন। এবং এই গল্পটা দারুণ একটা জিনিস।

আবুল মনসুর আহমদের স্যাটায়ারকে আত্মসমালোচনা বলতে আমার কোনো সমস্যা নাই। স্যাটায়ারের একটা বেসিক বিষয় হইতেছে মানুষের স্টুপিডিটি নিয়া হাসি ঠাট্টা ব্যঙ্গ করার পাশাপাশি ভুলগুলি ধরা এবং সেইখান থেকে শিক্ষা নেওয়া যে এই জিনিস যাতে আর না হয়। আবুল মনসুর আহমদের রচনার প্রধান একটা লক্ষণ হইতেছে নিজ জাতির অনৈতিক কর্মকাণ্ড, অজ্ঞতা, ভণ্ডামি নিয়া ব্যঙ্গ করা। কিন্তু দূর থেকে তাকায়া দেখলে দেখা যাবে, লেখক মনসুর কিন্তু সেই জাতির ভেতরেই অন্তর্ভুক্ত। এইসব ব্যঙ্গাত্মক গল্পগুলি দিয়া তার মেসেজটা হইতেছে, এইযে এই এই জিনিসগুলিকে মার্ক করা দরকার, এবং এইখান থেকে বের হয়ে আসা জরুরি। ফলে জাতিবিদ্বেষী বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠির প্রতি তার কোনো বিদ্বেষ আছে এইটা বলার সুযোগ আসলে থাকে না।

বিশেষ করে যখন তিনি লেখেন—

“ছোটলোকগুলোর উৎপাত থেকেও বাঁচা গেল। এবার আমরা শেরে-বাঙলা সিংগীয়-বাঙলা হাতিয়ে-বাঙলা ও মহিষে-বাঙলা খুব আরামসে হেঁ হেঁ হেঁ...
সবাই সে হাসিতে যোগ দিলেন। শুধু ছাগলে-বাঙলাটা দাড়ি নেড়ে বললেন: তা হল বটে, কিন্তু শেরে-বাঙলা হাতীয়ে বাঙলা প্রভৃতি শুধু জানোয়ারে বাঙলাতেই আমরা বেঁচে রইলাম। মানুষে বাঙলারা যে সবাই মরে গেল।
সে কথায় কেউ কান দিলেন না। বরঞ্চ সকলে সমস্বরে আসমান ফাটিয়ে জয়ধ্বনি করলেন: জানোয়ারে-বাঙলা জিন্দাবাদ।
গড়ের মাঠের অপর পাশের ফোর্টের দিক থেকে প্রতিধ্বনি হল: মানুষে-বাঙলা মুর্দাবাদ।” [ফুড কনফারেন্স]

তখন আমরা তার আত্মার কান্না আর নিষ্ফল ক্রোধ, অসহায় আত্মার আত্মসমর্পণ কিংবা ভাষার বিদ্রুপাত্মক প্রতিবাদ দেখে ফেলি।

অথবা বাওএনের দেশে যখন সবাই উল্টা দিকে চলে, যখন প্রকৃতির সভ্যতার সবকিছুই এখানে বিপরীত দেখতে পায়া উনি লেখেন—

“আমি: এ সব যে আপনারা করেন, তাতে আপনেরার শাসনতন্ত্রের বিধান ভাগ হয় নাই?
ওযিরে-আযম: (হো হো করিয়) শাসনতন্ত্র? কিসের শাসনতন্ত্র?
আমি: (বিস্ময়ে চোখের ভুরু কুঞ্চিত করিয়া) কেন, আপনেরার দেশে কোন শাসনতন্ত্র নাই?
ওযিরে-আযম: তুমি কি পাগল হইয়াছ? না আমরারে পাগল ঠাওরাইয়াছ? আমরা শাসনতন্ত্র রচনা করিয়া কি নিজেরার গলার ফাঁসি তৈয়ার করিব? তা আমরা এতদিনেও করি নাই। ভবিষ্যতেও করিব না। শুধু আমরাই ইচ্ছামতো দেশ শাসন করিব, এটাই এ দেশের শাসনতন্ত্র! এটাই এ দেশের আইন।
আমি বুঝিলাম, হাঁ, বুদ্ধিমানের দেশ বটে। আল্লাহ্​এ-দেশবাসীকে কদে ছোট করিয়াছেন বটে, কিন্ত বুদ্ধিতে বড় করিয়াছেন। এদের তালুর চুল হইতে পায়ের নখ পর্যন্ত সবটাই মগজে ভরা। এরা দেহে বাউন হইলেও মনে এরা দেও।
এদেশেই স্থায়ীভাবে বসবাস করা আমি সাব্যস্ত করিলাম। আমার দেশ ভ্রমণের বাতিক স্বায়ীভাবে সারিয়া গেল।
আমি এখন হইতে গৃহী হইলাম।” [গালিভরের সফরনামা]

তখন তার দুঃখটা আমরা বুঝি। আমরা জানি এই দেশটা আমাদের এবং এইখানে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া আমাদের আর করার কিছু নাই। করার থাকলেই বা করব কেন?
আবুল মনসুর আহমদের গল্পগুলি প্রকাশের ৭/৮টা দশক পার করে আসার পর, ২০২৩ সালে একজন পাঠক হিসেবে যখন পড়লাম, মনে প্রশ্ন আসলো, এত বছর পর বাঙালি জাতির চরিত্র রাজনীতি ধর্ম ও তাদের ভাগ্যের গল্পে কতটুকু পরিবর্তন হলো? আমরা কতটুকু বদলাইলাম? আমাদের শাসকরা কুত্তায়ে-বাঙলা শুওরে-বাঙলার কাতার থেকে আগায়া গিয়া মানুষেবাঙলার কাতারে দাঁড়াইতে পারল কি?

উত্থাপিত প্রশ্নগুলির উত্তর আর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে স্যাটায়ারে আবুল মনসুর আহমদের অবদান কতটুকু তার খতিয়ান পাওয়া যাবে এই সংকলনের গল্পগুলি পড়লে।

আমাদের এই দমবন্ধ করা সময়ে আবুল মনসুর আহমদের এই গল্পগুলি কিছুটা হইলেও তৃপ্তি দিবে, যেহেতু আমাদের রসিকতা করার, ঠাট্টা করার, স্বৈরাচারের অবৈধ ক্ষমতার অসারত্বকে ব্যঙ্গ করার সকল মাধ্যমকে ফাঁসির আসামী বানানো হইছে। ফলে নিজেদের বাজে সময় আর বঞ্চনার কালটাকে কষে উপভোগ করার বদলে ৭০/৮০ বছরের পুরাতন স্যাটায়ারেই স্বাদ মিটাইতে হইতেছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, লেখকের নাম বাদ দিয়া যদি সময় আর কিছু পুরাতন শব্দ বদলে নতুন শব্দ বসায়া দেওয়া হয়, আপনি ধরতেই পারবেন না যে এই গল্পগুলি আজ থেকে কয়েক যুগ আগে লেখা হইছে।

এতটাই প্রাসঙ্গিক, আর এতটাই চেনা গল্প যে, ৭০/৮০ বছর আগেকার জঘন্য সমাজ রাজনীতি আর দেশ যেমন ছিল আল্লার অশেষ দয়ায় ঠিক তেমনই আছে। কেয়ামতের আগ পর্যন্ত এই দেশ আর জাতির কোনো পরিবর্তন হবে কিনা তা নিয়া সন্দিহান হওয়ার যথেষ্ঠ কারণ আছে। ফলে আবুল মনসুর আহমদ আমাদের জন্য সবসময়ই প্রাসঙ্গিক।

হুসাইন হানিফ
নভেম্বর, ২০২৩
..

আদুভাই
ফুড কনফারেন্স
গো-দেওতা কা দেশ
গালিভরের সফরনামা
রিলিফ ওয়ার্ক
জমিদারি উচ্ছেদ
..

পেইজ ৭২
দাম ১৫০ টাকা
পেপারব্যাক

পাবলিশার’স নোটবাংলাদেশি ফিকশন বাংলা-সাহিত্যের একটা ফ্রাকশন বা আঞ্চলিক ঘটনা না, বরং আম্রিকান লিটারেচার এবং ব্রিটিশ লিটার...
08/07/2025

পাবলিশার’স নোট

বাংলাদেশি ফিকশন বাংলা-সাহিত্যের একটা ফ্রাকশন বা আঞ্চলিক ঘটনা না, বরং আম্রিকান লিটারেচার এবং ব্রিটিশ লিটারেচার যেইরকম ইংরেজি সাহিত্যের আলাদা আলাদা দুইটা ধারা, অইরকম-ভাবে বাংলাদেশি ফিকশনের একটা ট্রেডিশন আইডেন্টিফাই করা ও এক্সপ্লোর করা পসিবল বইলা আমরা মনে করি

যেইটা খালি পলিটিকাল হিস্ট্রির কারনে ১৯৪৭ বা ১৯৭১ পরবর্তি ঘটনা না, যে, যেহেতু পুব-পাকিস্তান বা বাংলাদেশ স্বাধিন একটা পলিটিকাল আইডেন্টিটি, এখন আমাদেরকে আলাদা ধরনের গল্প-কাহিনি লেখতে হবে! (এখন পলিটিকাল কন্ডিশনগুলা আলাদা কিছু রিয়ালিটি তো তৈরি করেই…) বরং পলিটিকালি আলাদা একটা এনটিটি হওয়ার আগেও এইখানে ‘বাংলাদেশি-সাহিত্যের’ কিছু উদাহারন হাজির ছিল, যেইগুলা এই পলিটিকাল আইডেন্টিটিরে শেইপ-আপ করার কাজটাও করছে একভাবে; আর তারপরে ঘটনাগুলা ঘটছে…

তো, এই জিনিসগুলারে থিওরেটিকালি জাস্টিফাই করার একটা টেনডেন্সি তো আছেই, কিনতু বেটার হয় আসলে যদি কিছু উদাহারন একসাথে রাখা যায়; আর এই রকমের একটা এক্সপেক্টশনের জায়গা থিকা আমরা ‘বাংলাদেশি ফিকশন' সিরিজটার কথা ভাবছি

এই সিরিজে রাখা ফিকশন-রাইটারদের বাইরে যে কোন বাংলাদেশি-গল্পকার নাই বা এই কাহিনিগুলার বাইরে এই রাইটারদের ‘ভালো’ কোন গল্প নাই - তা না, বরং যেই ফিকশনগুলাতে উনাদের লিটারারি এক্সিলেন্সের বাইরেও ‘বাংলাদেশি’ ধারনাটারে উনারা হাইলাইট করতে পারছেন, সেইগুলারে আমরা বাছাই করার চেষ্টা করছি

এখন, ধারনা তো বদলায়, সময়ের সাথে সাথে, বাতিল হয়া যায়, আবার অনেক সময় নতুন কইরা তৈরি হইতে থাকে বা রেলিভেন্ট হইতে থাকে… কিনতু সাহিত্যে বা চিন্তায় এই কেটাগরিগুলারে নোটিশ করতে পারাটা সবসময় অবস্টেকলের ঘটনা না, বরং ফারদার এক্সপ্লোর করার বেইজ হিসাবেও কাজ করতে পারে

চিন্তা ও সাহিত্য-ধারনা ক্রিয়েটিভ-ওয়ার্কের জন্য সমস্যা না, বরং নানান ধরনের এন্থোলজি অনেক সময় কিছু জরুরি জায়গারে সামনে আনার কাজটাও করতে পারে; তো, অইরকম একটা চিন্তার জায়গা থিকা এই সিরিজের বইগুলা আমরা ছাপাইতে চাইতেছি

ডিয়ার রিডার, পইড়া দেখেন!

এডিটর
বাছবিচার
মে, ২০২৫
..

বইয়ে রাখা গল্প:

নেড়ে
পাদটীকা
নোনাজল
নোনামিঠা
বেঁচে থাকো সর্দিকাশি
..

শাহেদ আলী’র ( ১৯২৫ - ২০০১) জন্ম সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানায়। ১৯৪০ সালে উনার পয়লা ফিকশন ছাপা হয়। ৬টা ছোটগল্পে...
07/07/2025

শাহেদ আলী’র ( ১৯২৫ - ২০০১) জন্ম সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানায়। ১৯৪০ সালে উনার পয়লা ফিকশন ছাপা হয়। ৬টা ছোটগল্পের বই, ৩টা উপন্যাস, ১৫টার বেশি নন-ফিকশন ও বাচ্চাদের জন্য ৩টা বই উনি লেখছেন। উনার অনুবাদ করা মুহাম্মদ আসাদের ‘মক্কার পথে’ (১৯৯৩) বইটা পপুলার। এর বাইরে আরো কিছু বই অনুবাদ করছেন। ১৯৬৪ সালে উনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার পাইছিলেন।

১৯৫১ সালে কলেজে পড়ানোর ভিতর দিয়া শাহেদ আলী উনার প্রফেশনাল লাইফ শুরু করছিলেন, পরে ১৯৫৪ সালের ইলেকশনে খেলাফতে রব্বানী পার্টি থিকা এমপি হইছিলেন; ১৯৬২ সাল থিকা ১৯৮২ পর্যন্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন।

উনার গল্পের বইগুলা হইতেছে - জিবরাইলের ডানা (১৯৫৩), একই সমতলে (১৯৬৩), শা'নযর (১৯৮৫), অতীত রাতের কাহিনী (১৯৮৬), অমর কাহিনী (১৯৮৭), নতুন জমিদার (১৯৯২)।
..

বইয়ে রাখা গল্প:

ঐ যে আকাশ নীল
শা-নযর
একই সমতলে
জিবরাইলের ডানা
শহীদে কারবালা
নেপথ্যে
সোনার খনি
..

পেইজ ৯৪
দাম ১৫০ টাকা
কাভার ডিজাইন: সাদ্দু হাসান

নিউ বুক এপিয়ারিং ইন জুলাই
04/07/2025

নিউ বুক এপিয়ারিং ইন জুলাই

Address

বাসা ২৮, রোড/০৩, ব্লক/ডি, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
Dhaka
1207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাছবিচার বুকস - পাবলিশার'স পেইজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বাছবিচার বুকস - পাবলিশার'স পেইজ:

Share

Category