04/05/2025
থর একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখে তার সুন্দরী স্ত্রী সিফের মাথায় একটি আস্ত টাক। কোনো চুল নেই! এই টাক মাথা দেখে কে ধারণা করবে কাল রাতেও কি সুন্দর সোনালি রেশমি চুল খেলা করছিলো সিফের মাথায়। সিফের এই চুলই থরকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করত। শুধু থর নয়, সিফের চুলের সুনাম ছিল সারা ভালহাল্লা জুড়ে। দেবী ফ্রেয়াও সিফের চুল দেখে ইর্ষায় জ্বলত। আর সেই চুল কিনা এক রাতের মধ্যে হাওয়া!
চুল হারিয়ে বেচারা সিফ শোকে পাথর হয়ে গেল। থর সোজা লোকির কাছে গিয়ে ওর টুটি চেপে ধরে হুংকার দিয়ে বলল, “ সিফের মাথার চুল কই গেল? সময় থাকতে বল। নাহয় খবর আছে।”
থরের কথা শুনে লোকি যেন আকাশ থেকে পড়ল। এমন একটা ভাব করল যেন সে কিছুই জানে না। শিশুর মত নিস্পাপ মুখ করে বলল “ কি বল থর! সিফের এমন সুন্দর চুল আমি কাটতে যাবো কেন!”
লোকির কথায় কান না দিয়ে থর বলল, “ আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না। আমি শুধু জানতে চাই কেন তুমি সিফের চুল কাটলে?
লোকি তখন অভিমানের সুরে বলল, “ থর, এই তুমি আমাকে বন্ধু ভাব। মনে বড়ই কষ্ট পেলাম। শুধু শুধু আমাকে সন্দেহ করছ তুমি”
থর এবার আরও রেগে গেল। লোকির গলা এত জোরে চেপে ধরল যে লোকির ভয় হল থর বুঝি ওর গলার সব হাড় ভেঙে ফেলবে। আর কথা না বারিয়ে থরের কাছে সব স্বীকার করল। মুশকিল হল লোকি সিফের চুল একদম গোড়া থেকে উপড়ে ফেলেছে। তাই আর কখনোই ওর মাথায় চুল গজাবে না। ওকে আজীবন টাক মাথায় থাকতে হবে ।
থর মেঘ গম্ভীর স্বরে বলল, “ তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছ আমার স্ত্রী টাক মাথা নিয়ে আসগার্ডে ঘুরে বেরাবে? চুল ছিল ওর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। লোকে এখন ওকে অপবাদ দিবে। বলবে থরের স্ত্রী নিশ্চয়ই এমন কোনো কাজ করেছে যার জন্য ওর চুল কেটে দেয়া হয়েছে।”
লোকি শুষ্ক হেসে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, “ সিফ তো এমনিতেই অনেক সুন্দর। চুল ছাড়াও ওকে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগবে।”
কিন্তু থর লোকির কোনো অজুহাত আমলে নিল না। সে বলল লোকি যদি সিফের চুল ফিরিয়ে দিতে না পারে, তবে সে তাকে এমন যন্ত্রণা দিয়ে মারবে যা লোকি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারবে না।
থরের হাত থেকে বাঁচার আর কোনো উপায় না দেখে লোকি বলল, “ চিন্তার কোনো কারণ নেই থর। আমি বামন কারিগরদের কাছে যাব। বামনরা বানাতে পারে না এমন কিছুই এই জগতে নেই। ওরা এমন সোনার চুল বানিয়ে দিবে যে চুল আপনা আপনি সিফের মাথায় বসে যাবে। আসল চুলের চেয়েও বেশি সুন্দর হবে। ।”
লোকি প্রথমে গেল ইভালদির ছেলে বলে খ্যাত তিন বামন কারিগরদের কাছে। কারিগর হিসেবে ইভালদির ছেলেদের বেশ সুনাম ছিল। ইভালদির ছেলেদের এই নিয়ে অহংকারও কম ছিল না। লোকি ওদের বলল,” তোমরা তো নিজেদের খুব সেরা কারিগর বলে দাবি কর। কিন্তু এদিকে আমি আশেপাশে যাকেই জিজ্ঞাস করলাম সবাই সিনড্রি ও ওর ভাইয়ের কথা বলল। ওদের সামনে তোমরা নাকি কিছুই না”
এই কথা শুনে ইভালদির ছেলেরা ক্ষেপে যায়। ইভালদির ছোট ছেলে বলল,” প্রশ্নই আসে না। আমরা তিন ভাই সবার সেরা। আমাদের ধারেকাছেও কেউ নেই ”
লোকি মুখ ভেংচি দিয়ে বলে, “দাঁড়াও, দাঁড়াও। আমি নিশ্চিত ওরা তোমাদের থেকে বেশি ভালো না হলেও অবশ্যই তোমাদের সমান ভালো। না হলে লোকজন ওদের এত সুনাম করবে কেন?”
একথা শুনে ইভালদির বড় ছেলে বলল,” যা শুনেছ একদম ডাহা মিথ্যা কথা। ওদের দিয়ে আমি ঘোড়ার খুড়ের নাল বানানোর কাজও করাতাম না। সেরা কারিগর আমার মাথা!”
মেঝো ছেলে বলল, “ ওরা যা বানাতে পারে, আমরা তা ওদের থেকে একশগুন ভালো করতে পারি।”
লোকি আর তর্কে গেল না। একটা হাই তুলে উদাস স্বরে বলল, “ ওডিন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। দেবতাদের জন্য তিনটি উপহার বানাতে হবে। যে কারিগরদের দল সবথেকে ভালো উপহার বানাতে পারবে তাদেরকে নয়-রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কারিগর দলের উপাধি দেয়া হবে। এই তিনটি উপহারের মধ্যে একটা হতে হবে সোনার চুল। যে চুল মাথায় লাগালে আসল চুলের মত বড় হয়।”
এই কথা বলে লোকি গেলো ব্রোক ও তার ভাই সিনড্রির খোঁজে। ওদের কাছে গিয়েও একি কথা বলল। কিন্তু ব্রোক ছিলো খুবই বুদ্ধিমান বামন। সে লোকির নানা কুকীর্তির কথা আগে থেকেই জানত। সন্দেহের স্বরে সে লোকিকে বলল, “ ওডিন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে আর তোমাকে পাঠিয়েছে এই খবর দিতে। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।”
লোকি বলল, “ তহলে আর কি। ইভালদির ছেলেরাই সেরা কারিগর হিসাবে স্বীকৃতি পাবে। আর আমার মনে হয় না তুমি ওদের সাথে প্রতিযোগিতায় পারবে। ওরা বলেছে তোমাদের নাকি ওদের নখের সমান যোগ্যতাও নেই।”
ব্রোক জানে লোকির কথার উপর ভরসা করা বোকামি। কিন্তু সে ভাবে যদি আসলেই ওডিন এমন কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে তখন কি হবে? সেরা কারিগরের তকমাটা যে তাদেরই প্রাপ্য। তাই লোকিকে বাজিয়ে দেখতে বলল, “ আচ্ছা যাও, আমরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারি। কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে। যদি আমরা জিতি, তবে উপহার হিসেবে আমরা তোমার মাথা চাই।”
লোকি ভাবল কে জেতে কে হারে তা পরে দেখা যাবে। আগে তো বানিয়ে দেখাক। তাই লোকি বামন ভাইদের শর্ত মেনে নিল।
ব্রোক ও সিনড্রি ব্যাপক উৎসাহে কাজ শুরু করে দিল। প্রতিযোগিতায় জিতলে লোকির মুখটা কেমন হবে এই ভেবে সে হাসতে থাকে। ব্রোক নিশ্চিত প্রতিযোগিতায় তারাই জিতবে। তার ভাই সিনড্রির সাথে পাল্লা দেয় এমন কারিগরের এখনো জন্ম হয় নি।
সিনড্রি চুল্লির উপর একটি শুকরের চামড়া রেখে ব্রোককে বলল খুব সাবধানে চুল্লিতে হাপর দিয়ে বাতাস দিতে। একটু ওলট পালট হলে চুল্লিতে তাপের কম বেশি হয়ে যাবে। তখন পুরো কাজটাই পন্ড হয়ে যাবে । ব্রোক সিনড্রির কথামত খুব সতর্কতার সাথে একই তালে হাপর দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ কোথা থেকে যেন একটা বিশাল বড় মাছি উড়ে এসে তার হাতে একটা কামড় বসিয়ে দেয়। ভাগ্য ভাল সিনড্রির কাজ ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে। ব্রোক হাফ ছেড়ে বাঁচল।
প্রথম উপহারটা বানানো শেষ হলে সিনড্রি দ্বিতীয় উপহার বানানোর কাজে হাত দেয়। আগের বারের মত ব্রোক খুব সাবধানে চুল্লিতে হাপর দিতে থাকে। মাছিটা আবার এসে ব্রোকের হাতে কামড় দিলো। ব্রোক দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে হাপর দিয়ে যেতে থাকল। মাছিটা আরও একটা কামড় বসিয়ে দিল ওর হাতে। মাছিটা যেন এসেছেই তার কাজ পন্ড করতে। ব্রোকের সন্দেহ হল মাছিটা আসলে কোনো সাধারণ মাছি নয়। লোকি মাছির বেশ ধরে ওদের কাজ পন্ড করতে এসেছে।
দ্বিতীয় কাজটা শেষ হওয়ার পর সিনড্রি ব্রোককে বলল, “যদি সব কিছু ঠিকঠাক মত হয়, তবে এটা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ট কাজ। তুমি এবার আগের থেকেও বেশি সাবধানে হাপর দিও। একটু ঝামেলা হলে পুরো কাজটাই নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু।”
ব্রোক খুব সাবধানে হাপর দিতে থাকে। মাছিটা এবার সরাসরি ব্রোকের চোখে কামড় বসিয়ে দেয়। যন্ত্রণায় ব্রোক চিৎকার করে ওঠে। রক্তে তার চোখ পুরো ভেসে গেছে। সে কিছু দেখতে পাচ্ছিল না। তবুও সে হাপর দেয়া থামালো না। কিন্তু এতকিছুর পর তার পক্ষে আর একি মাত্রায় হাপর দেয়া সম্ভব হয় না।
ব্রোকের অবহেলা দেখে সিনড্রি খুব বিরক্ত হয়। সে ব্রোককে বলল, “ঠিক মত হাপরটাও দিতে পারলে না তুমি ! আমার পুরো কাজটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যেমনটা ভেবেছিলাম তেমনটা আর হল না। যাইহোক, তুমি এগুলো নিয়ে দেবতাদের কাছে যাও। দেখো ওনারা কি বলেন।”
ব্রোক রাগে ফুঁসতে থাকে। তার আর বুঝতে বাকি নেই মাছিটা আসলে কি। মাছির ছদ্দবেশে উড়তে থাকা লোকিকে উদ্দেশ্য করে বলল, “ তোমার ধর থেকে মাথাটা আলাদা না করা পর্যন্ত আমার শান্তি হবে না।”
ইভালদির ছেলেরা ও ব্রোক যথা সময়ে উপহার নিয়ে ওডিনের দরবারে উপস্থিত হল। প্রথমে ইভালদির ছেলেরা এক এক করে তাদের বানানো উপহারগুলো দেবতাদের সামনে তুলে ধরে।
তাদের বানানো প্রথম উপহার ছিল একটি জাদুর অক্ষর খচিত বর্শা। তারা বলল, “এই বর্শা যেকোনো কিছু ভেদ করতে পারে আর কখনোই লক্ষভ্রষ্ট হয় না।” তারা বর্শাটির নাম দেয় গুঙ্গনির। দরবারে উপস্থিত সব দেবতারাই গুঙ্গনিরের প্রশংসা করল। ওডিন বর্শাটি নিজে ব্যবহারের জন্য রেখে দেয়।”
এরপর তারা লোকির কথামত বানানো সোনার চুল বের করে। থর ইশারা করতেই চুলগুলো সিফের মাথায় পরিয়ে দেয়া হয়। সবাই মুগ্ধ হয়ে সিফের নতুন চুলের দিকে তাকিয়ে থাকে। নতুন চুলে সিফ আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠেছে।
ইভালদির ছেলেরা শেষ উপহার ছিল একটি ভাজ করা রুমাল। রুমালটি দেখে দেবতারা বলল, “এই ছোট রুমাল দিয়ে আবার কি হবে?”
রুমালের ভাজ খুলে দিতেই একটি বিশাল বড় জাহাজ বেরিয়ে আসে। এত বড় জাহাজ কেউ আগে কখনো দেখেনি। ইভালদির ছেলেরা বলে, “ এই জাহাজের নাম স্কিডব্লাডনির। সমুদ্রের যেকোনো প্রান্তেই জাহাজটি অনুকুল বাতাস পাবে।” উপহারটি ফ্রে গ্রহণ করে।
এরপর ব্রোকের পালা। ব্রোক প্রথমে দ্রাউপনির নামে একটি সোনার তৈরি বাহুর বালা বের করল। এটি কোনো সাধারণ সোনার বালা না। প্রতি নয় রাত পর পর এই বালা থেকে হুবহু দেখতে আরও আটটি সোনার বালা সৃষ্টি হয়। বালাটি যার অধীনে থাকবে তার সম্পদ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে।” ওডিন বালাটি নিজের বাহুতে পড়ে নেয়।
এরপর ব্রোক একটি শূকর নিয়ে আসে। লোম ও কেশর স্বর্ণ দিয়ে তৈরি এই সুবিশাল শূকরের নাম গুলেনব্রুস্টি। ব্রোক বলে, “ডাঙ্গায়, সাগরে কিংবা আকাশে, সবচেয়ে দ্রুততম ঘোড়াও গুলিনব্রুস্টির সমান জোরে ছুটতে পারবে না।” উপহারটির ফ্রের খুব পছন্দ হয়।
ব্রোক তার শেষ উপহারটি বের করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। লোকি মিচকি মিচকি হাসছে। এই উপহারটি তৈরির কাজেই সে পুরোপুরি ব্যাঘাত ঘটাতে পেরেছিল। ব্রোক উপহারটি বের করে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, “এই হাতুড়িটির নাম মিয়োলনির । দেখতেই পাচ্ছেন হাতুড়িটি ঠিক ভাবে বানানো হয় নি। হাতলটা অনেক ছোট হয়ে গেছে। কিন্তু এই হাতুড়িটি কোনো আঘাতেই ভাঙবে না। যে বস্তুকে লক্ষ করে ছুঁড়ে মারা হোক না কেন, হাতুড়িটি লক্ষভ্রষ্ট হবে না এবং যে ছুড়েছে তার হাতে আপনা আপনি ফিরে আসবে। এই হাতুড়িটি থেকে বজ্রও নির্গত হয়।” থর এগিয়ে এসে মিয়োলনির হাতে তুলে নিল। হাতুড়িটি যেন তৈরিই হয়েছে তার জন্যে।
দেবতারা সবাই এক বাক্যে মেনে নিল মিয়োলনির সব উপহারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। কারণ মিয়োলনির কারণে থর এখন আরও অনেক বেশি বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। অ্যাসগার্ড এখন দানবদের থেকে আরও অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
ব্রোক ও সিনড্রি প্রতিযোগিতায় জয়ী ঘোষিত হয়। ওডিন জানতে চায় তারা পুরস্কার হিসেবে কি চায়।
ব্রোক বলল,”লোকির সাথে আমরা বাজি রেখেছিলাম যে প্রতিযোগিতায় যদি আমরা জিততে পারি, তবে তার মাথা কেটে নিয়ে যেতে পারব। আমার একটাই চাওয়া লোকি যেন এখন তার দেয়া কথা রক্ষা করে।”
ওডিন বলল, “ লোকি যখন নিজের মুখে এই কথা দিয়েছে তখন তো কিছু করার নেই। এই কে আছিস। লোকির মাথা কেটে আন।”
এসব কথা শোনা মাত্র লোকি দরবার ছেড়ে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে কিন্তু থর তাকে ধরে ফেলে। লোকি কাতর কন্ঠে বলতে থাকে তার ভুল হয়ে গেছে। ব্রোক যা চায়, সে তাই দেবে। শুধু এবারের জন্য যেন তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।
কিন্তু লোকির কাকুতি মিনতিতে ব্রোকের মন গলল না। তার এক কথা। লোকির মাথা চাই। সে ছুড়ি লোকির একদম গলার কাছে নিয়ে গেল। গলা কাটতে যাবে এই সময় লোকি বলল,“ কিন্তু একটা ব্যাপার ভুলে গেলে চলবে না। আমি তোমাদের বলছিলাম তোমরা আমার মাথা কাটতে পারবে। কিন্তু গলা কাটার ব্যাপারে কিছু বলি নাই। “
ব্রোক বিরক্ত হয়ে বলল, “ এ কেমন কথা! গলা না কেটে মাথা কিভাবে কাটব? “
লোকি চিৎকার করে বলে, “ সে কিভাবে কাটবে তুমি জানো। কিন্তু আমার গলায় তুমি কোনো ভাবেই ছুঁড়ি চালাতে পারবে না। ওডিন তুমি তোমার নিজের রক্তের উপর শপথ করে আমাকে ভাই বানিয়েছ। তুমি এর সুবিচার কর।”
ওডিনের তখন লোকির পক্ষ নিতেই হল। সে বলল,” লোকির কথায়ও তো যুক্তি আছে। গলায় তো কিছু করতে পারবে না।”
ব্রোক প্রচন্ড রেগে যায়। কিন্তু ওডিনের কথা অমান্য করে এমন সাহস তার নেই। সে বলে,” ঠিক আছে। কিন্তু মাথার ভেতর কিছু করতে তো বাঁধা নেই।” এই বলে একটা সূই এনে সে লোকির মুখ সেলাই করে দেয়।
ব্রোক লোকির মাথা নিতে পারেনি ঠিকই কিন্তু তার মনে হল সে লোকিকে একটি উপযুক্ত শাস্তি দিতে পেরেছে। যে মুখ দিয়ে লোকি জনে জনে কুমন্ত্রণা দিয়ে বেড়ায়, সে মুখ বন্ধ থাকা লোকির জন্য ভীষণ যন্ত্রণার ব্যাপার।
__বামনদের উপহার
নর্স মিথলজি
৪ মে, ২০২৫, পুঁথি
নর্স মিথলজির এই গল্প আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা আমাদের [ পুঁথি ] কে জানাতে পারেন মন্তব্য করে অথবা আমাদের এই WhatsApp নাম্বারে [ 01950-886700 ] মেসেজ দিয়ে, আপনাদের ভালো লাগলে এমন আরও লেখা নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করব।
#নর্স_মিথলজি