পুঁথি

পুঁথি পুঁথি মূলত ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, মিথলজি, অর্থনীতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নন ফিকশন বই এবং বইয়ের সামারি প্রকাশ করে।
(1)

07/08/2025

প্রকাশিত হচ্ছে পুঁথির নতুন বই !
প্রি-অর্ডারের লিঙ্ক কমেন্টে।

25/07/2025

রাশিয়া এবং তার এক স্লাইস পিজ্জা

আজকের আলোচনা "প্রিজনার্স অব জিওগ্রাফি" বই থেকে রাশিয়া অঞ্চল নিয়ে।

এটি একটি বুক ডিস্কাশন সিরিজ, Books and More with Athai এবং পুঁথিএর কোলাবোরেশনে। বই নিয়ে এমন আলোচনা যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে নিয়মিত এমন পোষ্ট করা হবে। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।

18/07/2025

মহাবৃত্তের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংখ্যা নিয়ে উন্মাদের সম্পাদক আহসান হাবীবের মতামত।

চলে এসেছে মহাবৃত্তের  #কৃত্রিম_বুদ্ধিমত্তা_সংখ্যা!
30/06/2025

চলে এসেছে মহাবৃত্তের #কৃত্রিম_বুদ্ধিমত্তা_সংখ্যা!

 #মহাবৃত্ত  পত্রিকার  "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংখ্যা জুন-আগস্ট ২০২৫ "এর সূচিপত্র শেয়ার করছি এবং আশা করছি জুনের ২৫ তারিখের ম...
19/06/2025

#মহাবৃত্ত পত্রিকার "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংখ্যা জুন-আগস্ট ২০২৫ "এর সূচিপত্র শেয়ার করছি এবং আশা করছি জুনের ২৫ তারিখের মধ্যে পত্রিকাটি বাজারে আসবে।

আপনি যদি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গভীরভাবে জানতে চান তাহলে মহাবৃত্তের এই সংখ্যাটি আপনার জন্য।

২০% ছাড়ে মুল্য: ২০০ টাকা

অগ্রিম বুকিং দিতে আজই আপনার ডেলিভারি ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিন, কমেন্ট অথবা ইনবক্সে।

যারা পাইকারি নিতে চান তারা যোগাযোগ করুন এই নাম্বারে- 01950886700 [WhatsApp]।

 #মহাবৃত্ত'র "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংখ্যা" শীঘ্রই বাজারে আসছে।আপনি যদি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গভীরভাবে জানতে চান, জানতে...
17/06/2025

#মহাবৃত্ত'র "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংখ্যা"
শীঘ্রই বাজারে আসছে।

আপনি যদি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গভীরভাবে জানতে চান, জানতে চান AI এর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তাহলে এই সংখ্যাটা আপনার জন্য।

অগ্রিম বুকিং দিতে আজই আপনার ডেলিভারি ঠিকানা ও ফোন নাম্বার কমেন্ট করে জানান অথবা ইনবক্সে পাঠান।

ঠিকানা ও ফোন নাম্বারের সাথে অবশ্যই "মহাবৃত্ত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সংখ্যা" উল্লেখ করতে হবে।

প্রচ্ছদ: আহসান হাবীব, সম্পাদক #উন্মাদ

#মহাবৃত্ত

পুঁথি প্রকাশিত বইগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে  #বাতিঘর_কলকাতা  আউটলেটে।সংগ্রহ করুন ২০% ছাড় সহ ।  ঠিকানা - ১৭/১ ডি সূর্য সেন স্...
14/05/2025

পুঁথি প্রকাশিত বইগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে #বাতিঘর_কলকাতা আউটলেটে।
সংগ্রহ করুন ২০% ছাড় সহ ।

ঠিকানা - ১৭/১ ডি সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার, কলকাতা
অথবা ঘরে বসে ফোনে অর্ডার করুন বাতিঘর কলকাতা : +91 90623 04344 (সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত)


#বাতিঘর_কলকাতা
#অনুবাদ
#পুঁথি

পুঁথি প্রকাশনীর বইগুলো পেয়ে যাবেন বাতিঘর কলকাতার আউটলেটে।
সংগ্রহ করুন ২০% ছাড় সহ

এছাড়াও বাংলাদেশের আরও অন্যান্য প্রকাশনীর বই পাবেন একই ছাদের তলায়, চলে আসুন আমাদের স্টোরে, হাতে নিয়ে বই দেখুন আর কিনে ফেলুন আপনার পছন্দের সমস্ত বই।

আমাদের ঠিকানা - ১৭/১ ডি সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার, কলকাতা
অথবা ঘরে বসে ফোনে অর্ডার করুন বাতিঘর কলকাতা : +91 90623 04344 (সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত)


#বাতিঘর_কলকাতা
#অনুবাদ
#পুঁথি

আজ থেকে প্রায় ৩৫০০ বছর আগে চীন শাসন করতো শাং রাজবংশ। এই সময় চীনে এক ধরনের ভবিষ্যৎ গণনা করার প্রচলন ছিল। ভবিষ্যৎ গণনা করা...
09/05/2025

আজ থেকে প্রায় ৩৫০০ বছর আগে চীন শাসন করতো শাং রাজবংশ। এই সময় চীনে এক ধরনের ভবিষ্যৎ গণনা করার প্রচলন ছিল। ভবিষ্যৎ গণনা করার এই কাজটি করতেন পুরোহিতরা। এজন্য প্রথমে গরুর কাঁধের হাড় বা কচ্ছপের খোলসের উপরের দিকটা মসৃণ করে পরিষ্কার করা হতো। এরপর সেই হাড়ের উপরে লেখা হতো বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন। যুদ্ধের জয় হবে কি’না, বৃষ্টি হবে কি না, রাজকুমার বাঁচবে কি না- যেকোনো ধরনের প্রশ্নই লেখা যেতো। এরপর একজন পুরোহিত সেই হাড়ের উপর গরম কোনো ধাতু দিয়ে স্পর্শ করতেন। এই গরম ধাতুর স্পর্শে হাড়ের উপর ফাটল তৈরি হতো। এরপর জ্যোতিষীদের মত সেই হাড়ের ফাটল দেখে পুরোহিতরা ভাগ্য গণনা করতেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজাদের পর্যন্ত এই ভবিষ্যৎ গণনায় বিশ্বাস ছিল । এই ফাটলের রেকর্ডই চীনের সবচেয়ে প্রাচীন লেখার নিদর্শন। এই লেখাগুলোকে বলা হয় ‘ওরাকল বোন স্ক্রিপ্টস’।

বিশ শতকের গোড়ায়র দিকে এই হাড়গুলো প্রথম আবিষ্কৃত হয় চীনের হেনান প্রদেশের Anyang নামক একটি স্থানে। গ্রামের কিছু লোক এগুলো ওষুধ হিসেবে গুঁড়ো করে বিক্রি করছিল। তারা এটার নাম বলছিল "লং গু"। এই শব্দটির অর্থ ড্রাগনের হাড়! পরে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা যখন বুঝলেন যে এগুলোতে কিছু জিনিস লেখা আছে, তখন তারা এগুলো নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। গবেষণায় দেখা গেল যে, এই হাড়গুলো প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগের। একজন শাং রাজা নিজের সন্তানের জীবন রক্ষা হবে কি’না তা জানার জন্যই কোনো পুরোহিতকে দিয়ে এই হাড় তৈরি করেছিলেন।

থর একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখে তার সুন্দরী স্ত্রী সিফের মাথায় একটি আস্ত টাক। কোনো চুল নেই!  এই টাক মাথা দেখে কে ধারণা করবে ক...
04/05/2025

থর একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখে তার সুন্দরী স্ত্রী সিফের মাথায় একটি আস্ত টাক। কোনো চুল নেই! এই টাক মাথা দেখে কে ধারণা করবে কাল রাতেও কি সুন্দর সোনালি রেশমি চুল খেলা করছিলো সিফের মাথায়। সিফের এই চুলই থরকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করত। শুধু থর নয়, সিফের চুলের সুনাম ছিল সারা ভালহাল্লা জুড়ে। দেবী ফ্রেয়াও সিফের চুল দেখে ইর্ষায় জ্বলত। আর সেই চুল কিনা এক রাতের মধ্যে হাওয়া!

চুল হারিয়ে বেচারা সিফ শোকে পাথর হয়ে গেল। থর সোজা লোকির কাছে গিয়ে ওর টুটি চেপে ধরে হুংকার দিয়ে বলল, “ সিফের মাথার চুল কই গেল? সময় থাকতে বল। নাহয় খবর আছে।”

থরের কথা শুনে লোকি যেন আকাশ থেকে পড়ল। এমন একটা ভাব করল যেন সে কিছুই জানে না। শিশুর মত নিস্পাপ মুখ করে বলল “ কি বল থর! সিফের এমন সুন্দর চুল আমি কাটতে যাবো কেন!”

লোকির কথায় কান না দিয়ে থর বলল, “ আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না। আমি শুধু জানতে চাই কেন তুমি সিফের চুল কাটলে?

লোকি তখন অভিমানের সুরে বলল, “ থর, এই তুমি আমাকে বন্ধু ভাব। মনে বড়ই কষ্ট পেলাম। শুধু শুধু আমাকে সন্দেহ করছ তুমি”

থর এবার আরও রেগে গেল। লোকির গলা এত জোরে চেপে ধরল যে লোকির ভয় হল থর বুঝি ওর গলার সব হাড় ভেঙে ফেলবে। আর কথা না বারিয়ে থরের কাছে সব স্বীকার করল। মুশকিল হল লোকি সিফের চুল একদম গোড়া থেকে উপড়ে ফেলেছে। তাই আর কখনোই ওর মাথায় চুল গজাবে না। ওকে আজীবন টাক মাথায় থাকতে হবে ।

থর মেঘ গম্ভীর স্বরে বলল, “ তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছ আমার স্ত্রী টাক মাথা নিয়ে আসগার্ডে ঘুরে বেরাবে? চুল ছিল ওর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। লোকে এখন ওকে অপবাদ দিবে। বলবে থরের স্ত্রী নিশ্চয়ই এমন কোনো কাজ করেছে যার জন্য ওর চুল কেটে দেয়া হয়েছে।”

লোকি শুষ্ক হেসে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, “ সিফ তো এমনিতেই অনেক সুন্দর। চুল ছাড়াও ওকে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগবে।”

কিন্তু থর লোকির কোনো অজুহাত আমলে নিল না। সে বলল লোকি যদি সিফের চুল ফিরিয়ে দিতে না পারে, তবে সে তাকে এমন যন্ত্রণা দিয়ে মারবে যা লোকি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারবে না।

থরের হাত থেকে বাঁচার আর কোনো উপায় না দেখে লোকি বলল, “ চিন্তার কোনো কারণ নেই থর। আমি বামন কারিগরদের কাছে যাব। বামনরা বানাতে পারে না এমন কিছুই এই জগতে নেই। ওরা এমন সোনার চুল বানিয়ে দিবে যে চুল আপনা আপনি সিফের মাথায় বসে যাবে। আসল চুলের চেয়েও বেশি সুন্দর হবে। ।”

লোকি প্রথমে গেল ইভালদির ছেলে বলে খ্যাত তিন বামন কারিগরদের কাছে। কারিগর হিসেবে ইভালদির ছেলেদের বেশ সুনাম ছিল। ইভালদির ছেলেদের এই নিয়ে অহংকারও কম ছিল না। লোকি ওদের বলল,” তোমরা তো নিজেদের খুব সেরা কারিগর বলে দাবি কর। কিন্তু এদিকে আমি আশেপাশে যাকেই জিজ্ঞাস করলাম সবাই সিনড্রি ও ওর ভাইয়ের কথা বলল। ওদের সামনে তোমরা নাকি কিছুই না”

এই কথা শুনে ইভালদির ছেলেরা ক্ষেপে যায়। ইভালদির ছোট ছেলে বলল,” প্রশ্নই আসে না। আমরা তিন ভাই সবার সেরা। আমাদের ধারেকাছেও কেউ নেই ”

লোকি মুখ ভেংচি দিয়ে বলে, “দাঁড়াও, দাঁড়াও। আমি নিশ্চিত ওরা তোমাদের থেকে বেশি ভালো না হলেও অবশ্যই তোমাদের সমান ভালো। না হলে লোকজন ওদের এত সুনাম করবে কেন?”

একথা শুনে ইভালদির বড় ছেলে বলল,” যা শুনেছ একদম ডাহা মিথ্যা কথা। ওদের দিয়ে আমি ঘোড়ার খুড়ের নাল বানানোর কাজও করাতাম না। সেরা কারিগর আমার মাথা!”

মেঝো ছেলে বলল, “ ওরা যা বানাতে পারে, আমরা তা ওদের থেকে একশগুন ভালো করতে পারি।”

লোকি আর তর্কে গেল না। একটা হাই তুলে উদাস স্বরে বলল, “ ওডিন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। দেবতাদের জন্য তিনটি উপহার বানাতে হবে। যে কারিগরদের দল সবথেকে ভালো উপহার বানাতে পারবে তাদেরকে নয়-রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কারিগর দলের উপাধি দেয়া হবে। এই তিনটি উপহারের মধ্যে একটা হতে হবে সোনার চুল। যে চুল মাথায় লাগালে আসল চুলের মত বড় হয়।”

এই কথা বলে লোকি গেলো ব্রোক ও তার ভাই সিনড্রির খোঁজে। ওদের কাছে গিয়েও একি কথা বলল। কিন্তু ব্রোক ছিলো খুবই বুদ্ধিমান বামন। সে লোকির নানা কুকীর্তির কথা আগে থেকেই জানত। সন্দেহের স্বরে সে লোকিকে বলল, “ ওডিন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে আর তোমাকে পাঠিয়েছে এই খবর দিতে। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।”

লোকি বলল, “ তহলে আর কি। ইভালদির ছেলেরাই সেরা কারিগর হিসাবে স্বীকৃতি পাবে। আর আমার মনে হয় না তুমি ওদের সাথে প্রতিযোগিতায় পারবে। ওরা বলেছে তোমাদের নাকি ওদের নখের সমান যোগ্যতাও নেই।”

ব্রোক জানে লোকির কথার উপর ভরসা করা বোকামি। কিন্তু সে ভাবে যদি আসলেই ওডিন এমন কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে তখন কি হবে? সেরা কারিগরের তকমাটা যে তাদেরই প্রাপ্য। তাই লোকিকে বাজিয়ে দেখতে বলল, “ আচ্ছা যাও, আমরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারি। কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে। যদি আমরা জিতি, তবে উপহার হিসেবে আমরা তোমার মাথা চাই।”

লোকি ভাবল কে জেতে কে হারে তা পরে দেখা যাবে। আগে তো বানিয়ে দেখাক। তাই লোকি বামন ভাইদের শর্ত মেনে নিল।

ব্রোক ও সিনড্রি ব্যাপক উৎসাহে কাজ শুরু করে দিল। প্রতিযোগিতায় জিতলে লোকির মুখটা কেমন হবে এই ভেবে সে হাসতে থাকে। ব্রোক নিশ্চিত প্রতিযোগিতায় তারাই জিতবে। তার ভাই সিনড্রির সাথে পাল্লা দেয় এমন কারিগরের এখনো জন্ম হয় নি।

সিনড্রি চুল্লির উপর একটি শুকরের চামড়া রেখে ব্রোককে বলল খুব সাবধানে চুল্লিতে হাপর দিয়ে বাতাস দিতে। একটু ওলট পালট হলে চুল্লিতে তাপের কম বেশি হয়ে যাবে। তখন পুরো কাজটাই পন্ড হয়ে যাবে । ব্রোক সিনড্রির কথামত খুব সতর্কতার সাথে একই তালে হাপর দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ কোথা থেকে যেন একটা বিশাল বড় মাছি উড়ে এসে তার হাতে একটা কামড় বসিয়ে দেয়। ভাগ্য ভাল সিনড্রির কাজ ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে। ব্রোক হাফ ছেড়ে বাঁচল।

প্রথম উপহারটা বানানো শেষ হলে সিনড্রি দ্বিতীয় উপহার বানানোর কাজে হাত দেয়। আগের বারের মত ব্রোক খুব সাবধানে চুল্লিতে হাপর দিতে থাকে। মাছিটা আবার এসে ব্রোকের হাতে কামড় দিলো। ব্রোক দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে হাপর দিয়ে যেতে থাকল। মাছিটা আরও একটা কামড় বসিয়ে দিল ওর হাতে। মাছিটা যেন এসেছেই তার কাজ পন্ড করতে। ব্রোকের সন্দেহ হল মাছিটা আসলে কোনো সাধারণ মাছি নয়। লোকি মাছির বেশ ধরে ওদের কাজ পন্ড করতে এসেছে।

দ্বিতীয় কাজটা শেষ হওয়ার পর সিনড্রি ব্রোককে বলল, “যদি সব কিছু ঠিকঠাক মত হয়, তবে এটা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ট কাজ। তুমি এবার আগের থেকেও বেশি সাবধানে হাপর দিও। একটু ঝামেলা হলে পুরো কাজটাই নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু।”

ব্রোক খুব সাবধানে হাপর দিতে থাকে। মাছিটা এবার সরাসরি ব্রোকের চোখে কামড় বসিয়ে দেয়। যন্ত্রণায় ব্রোক চিৎকার করে ওঠে। রক্তে তার চোখ পুরো ভেসে গেছে। সে কিছু দেখতে পাচ্ছিল না। তবুও সে হাপর দেয়া থামালো না। কিন্তু এতকিছুর পর তার পক্ষে আর একি মাত্রায় হাপর দেয়া সম্ভব হয় না।

ব্রোকের অবহেলা দেখে সিনড্রি খুব বিরক্ত হয়। সে ব্রোককে বলল, “ঠিক মত হাপরটাও দিতে পারলে না তুমি ! আমার পুরো কাজটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যেমনটা ভেবেছিলাম তেমনটা আর হল না। যাইহোক, তুমি এগুলো নিয়ে দেবতাদের কাছে যাও। দেখো ওনারা কি বলেন।”

ব্রোক রাগে ফুঁসতে থাকে। তার আর বুঝতে বাকি নেই মাছিটা আসলে কি। মাছির ছদ্দবেশে উড়তে থাকা লোকিকে উদ্দেশ্য করে বলল, “ তোমার ধর থেকে মাথাটা আলাদা না করা পর্যন্ত আমার শান্তি হবে না।”

ইভালদির ছেলেরা ও ব্রোক যথা সময়ে উপহার নিয়ে ওডিনের দরবারে উপস্থিত হল। প্রথমে ইভালদির ছেলেরা এক এক করে তাদের বানানো উপহারগুলো দেবতাদের সামনে তুলে ধরে।

তাদের বানানো প্রথম উপহার ছিল একটি জাদুর অক্ষর খচিত বর্শা। তারা বলল, “এই বর্শা যেকোনো কিছু ভেদ করতে পারে আর কখনোই লক্ষভ্রষ্ট হয় না।” তারা বর্শাটির নাম দেয় গুঙ্গনির। দরবারে উপস্থিত সব দেবতারাই গুঙ্গনিরের প্রশংসা করল। ওডিন বর্শাটি নিজে ব্যবহারের জন্য রেখে দেয়।”

এরপর তারা লোকির কথামত বানানো সোনার চুল বের করে। থর ইশারা করতেই চুলগুলো সিফের মাথায় পরিয়ে দেয়া হয়। সবাই মুগ্ধ হয়ে সিফের নতুন চুলের দিকে তাকিয়ে থাকে। নতুন চুলে সিফ আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠেছে।

ইভালদির ছেলেরা শেষ উপহার ছিল একটি ভাজ করা রুমাল। রুমালটি দেখে দেবতারা বলল, “এই ছোট রুমাল দিয়ে আবার কি হবে?”

রুমালের ভাজ খুলে দিতেই একটি বিশাল বড় জাহাজ বেরিয়ে আসে। এত বড় জাহাজ কেউ আগে কখনো দেখেনি। ইভালদির ছেলেরা বলে, “ এই জাহাজের নাম স্কিডব্লাডনির। সমুদ্রের যেকোনো প্রান্তেই জাহাজটি অনুকুল বাতাস পাবে।” উপহারটি ফ্রে গ্রহণ করে।

এরপর ব্রোকের পালা। ব্রোক প্রথমে দ্রাউপনির নামে একটি সোনার তৈরি বাহুর বালা বের করল। এটি কোনো সাধারণ সোনার বালা না। প্রতি নয় রাত পর পর এই বালা থেকে হুবহু দেখতে আরও আটটি সোনার বালা সৃষ্টি হয়। বালাটি যার অধীনে থাকবে তার সম্পদ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে।” ওডিন বালাটি নিজের বাহুতে পড়ে নেয়।

এরপর ব্রোক একটি শূকর নিয়ে আসে। লোম ও কেশর স্বর্ণ দিয়ে তৈরি এই সুবিশাল শূকরের নাম গুলেনব্রুস্টি। ব্রোক বলে, “ডাঙ্গায়, সাগরে কিংবা আকাশে, সবচেয়ে দ্রুততম ঘোড়াও গুলিনব্রুস্টির সমান জোরে ছুটতে পারবে না।” উপহারটির ফ্রের খুব পছন্দ হয়।

ব্রোক তার শেষ উপহারটি বের করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। লোকি মিচকি মিচকি হাসছে। এই উপহারটি তৈরির কাজেই সে পুরোপুরি ব্যাঘাত ঘটাতে পেরেছিল। ব্রোক উপহারটি বের করে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, “এই হাতুড়িটির নাম মিয়োলনির । দেখতেই পাচ্ছেন হাতুড়িটি ঠিক ভাবে বানানো হয় নি। হাতলটা অনেক ছোট হয়ে গেছে। কিন্তু এই হাতুড়িটি কোনো আঘাতেই ভাঙবে না। যে বস্তুকে লক্ষ করে ছুঁড়ে মারা হোক না কেন, হাতুড়িটি লক্ষভ্রষ্ট হবে না এবং যে ছুড়েছে তার হাতে আপনা আপনি ফিরে আসবে। এই হাতুড়িটি থেকে বজ্রও নির্গত হয়।” থর এগিয়ে এসে মিয়োলনির হাতে তুলে নিল। হাতুড়িটি যেন তৈরিই হয়েছে তার জন্যে।

দেবতারা সবাই এক বাক্যে মেনে নিল মিয়োলনির সব উপহারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। কারণ মিয়োলনির কারণে থর এখন আরও অনেক বেশি বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। অ্যাসগার্ড এখন দানবদের থেকে আরও অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে।

ব্রোক ও সিনড্রি প্রতিযোগিতায় জয়ী ঘোষিত হয়। ওডিন জানতে চায় তারা পুরস্কার হিসেবে কি চায়।

ব্রোক বলল,”লোকির সাথে আমরা বাজি রেখেছিলাম যে প্রতিযোগিতায় যদি আমরা জিততে পারি, তবে তার মাথা কেটে নিয়ে যেতে পারব। আমার একটাই চাওয়া লোকি যেন এখন তার দেয়া কথা রক্ষা করে।”

ওডিন বলল, “ লোকি যখন নিজের মুখে এই কথা দিয়েছে তখন তো কিছু করার নেই। এই কে আছিস। লোকির মাথা কেটে আন।”

এসব কথা শোনা মাত্র লোকি দরবার ছেড়ে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে কিন্তু থর তাকে ধরে ফেলে। লোকি কাতর কন্ঠে বলতে থাকে তার ভুল হয়ে গেছে। ব্রোক যা চায়, সে তাই দেবে। শুধু এবারের জন্য যেন তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।

কিন্তু লোকির কাকুতি মিনতিতে ব্রোকের মন গলল না। তার এক কথা। লোকির মাথা চাই। সে ছুড়ি লোকির একদম গলার কাছে নিয়ে গেল। গলা কাটতে যাবে এই সময় লোকি বলল,“ কিন্তু একটা ব্যাপার ভুলে গেলে চলবে না। আমি তোমাদের বলছিলাম তোমরা আমার মাথা কাটতে পারবে। কিন্তু গলা কাটার ব্যাপারে কিছু বলি নাই। “

ব্রোক বিরক্ত হয়ে বলল, “ এ কেমন কথা! গলা না কেটে মাথা কিভাবে কাটব? “

লোকি চিৎকার করে বলে, “ সে কিভাবে কাটবে তুমি জানো। কিন্তু আমার গলায় তুমি কোনো ভাবেই ছুঁড়ি চালাতে পারবে না। ওডিন তুমি তোমার নিজের রক্তের উপর শপথ করে আমাকে ভাই বানিয়েছ। তুমি এর সুবিচার কর।”

ওডিনের তখন লোকির পক্ষ নিতেই হল। সে বলল,” লোকির কথায়ও তো যুক্তি আছে। গলায় তো কিছু করতে পারবে না।”

ব্রোক প্রচন্ড রেগে যায়। কিন্তু ওডিনের কথা অমান্য করে এমন সাহস তার নেই। সে বলে,” ঠিক আছে। কিন্তু মাথার ভেতর কিছু করতে তো বাঁধা নেই।” এই বলে একটা সূই এনে সে লোকির মুখ সেলাই করে দেয়।
ব্রোক লোকির মাথা নিতে পারেনি ঠিকই কিন্তু তার মনে হল সে লোকিকে একটি উপযুক্ত শাস্তি দিতে পেরেছে। যে মুখ দিয়ে লোকি জনে জনে কুমন্ত্রণা দিয়ে বেড়ায়, সে মুখ বন্ধ থাকা লোকির জন্য ভীষণ যন্ত্রণার ব্যাপার।

__বামনদের উপহার
নর্স মিথলজি
৪ মে, ২০২৫, পুঁথি

নর্স মিথলজির এই গল্প আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা আমাদের [ পুঁথি ] কে জানাতে পারেন মন্তব্য করে অথবা আমাদের এই WhatsApp নাম্বারে [ 01950-886700 ] মেসেজ দিয়ে, আপনাদের ভালো লাগলে এমন আরও লেখা নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করব।

#নর্স_মিথলজি

নর্স মিথলজির গল্পঃ আসির-ভানিরের যুদ্ধএকদিন এক রহস্যময়ী নারী আসগার্ডের দরবারে আসে। সে দেখতে এত রূপবতী ছিল যে পুরো রাজ দরব...
29/04/2025

নর্স মিথলজির গল্পঃ আসির-ভানিরের যুদ্ধ

একদিন এক রহস্যময়ী নারী আসগার্ডের দরবারে আসে। সে দেখতে এত রূপবতী ছিল যে পুরো রাজ দরবার যেন তার রূপের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। এই নারী নিজেকে গুভিগ নামে পরিচয় দেয়। যাদুবিদ্যায় সে অসামান্য পারদর্শিতা দেখায় এবং দেবতাদের সম্পদ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। দেবতা জানত জাদুবিদ্যা দিয়ে অনেক কিছু সহজে অর্জন করা যায় ঠিকই কিন্তু এর ব্যবহারের ফলাফল শেষ পর্যন্ত শুভ হয় না। কিন্তু গুভিগের অসামান্য রূপ ও মিষ্টি কথার জালে সবাই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তাকে আসগার্ডে থাকার অনুমুতি দেয়া হয়।

আসগার্ডে আসার পর গুভিগ পুরোদমে তার জাদুবিদ্যার চর্চায় লেগে যায়। দেবতারা তার জাদু দিয়ে উপকৃত হতে থাকে। কেউ রূপের জন্য, কেউ শক্তির বা সম্পদের জন্য গুভিকের শরণাপন্ন হতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যে গুভিকের সুখ্যাতি পুরো আসগার্ডে ছড়িয়ে পড়ে। গুভিকের আগমনে পুরো আসগার্ডই খুশি। শুধু একজনকেই চিন্তিত দেখা গেল। সে আর কেউ নয়, সর্বজ্ঞানী দেবতাদের রাজা ওডিন। জাদুবিদ্যা তার জন্য অজানা কিছু ছিল না। তার মনে হতে থাকে সামনে খুব খারাপ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু সেটা ঠিক কি তা সে জানে না।

কিছুদিনের মধ্যেই জাদু ব্যবহারের কুফল স্পষ্ট হতে শুরু করে। গুভিগ নিজে থেকে কারো ক্ষতি করল না ঠিকই। কিন্তু জাদুবিদ্যার ফলে হঠাৎ করে পাওয়া সম্পদ, রূপ ও জ্ঞান একে অন্যের মধ্যে ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গুভিক সবাইকেই তার জাদুবিদ্যা দিয়ে সাহায্য করত ঠিকই কিন্তু সবাইকে সমানভাবে লাভবান করত না। যে তাকে বেশি পরিমান অর্থ দিত তাকে বেশি ভাল কিছু দিত। এই কারণে সবার মধ্যে হিংসা ও অবিশ্বাস আরও বেড়ে যেতে থাকে।

এভাবে একপর্যায় দেবতাদের একজনের সাথে আরেকজনের তুমুল বিবাদ লেগে যায়। ওডিনের দরবারে একের পর এক নালিশ আসতে শুরু করে। ওডিন সবাইকে দরবারে হাজির হওয়ার হুকুম দেয়। ওডিন দেবতাদের হুঁশিয়ার করে বলল, “ তোমরা কি উম্মাদ হয়ে গেছো? তোমরা জানো না জাদুবিদ্যা ব্যবহারের ফলাফল কি ভয়ঙ্কর হতে পারে? নিজেদের মধ্যে একতা না থাকলে দানবরা যেকোনো সময় আসগার্ড দখল করে ফেলবে।

ওডিনের কথায় কাজ হল। দেবতারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে সবাই সবার সাথে বিবাদ মিটমাট করে নেয়। কিন্তু এবার সবার রাগ গিয়ে পড়ল গুভিকের উপর। সবাই বলতে থাকে গুভিকই সব নষ্টের গোড়া। সে না এলে তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগত না। সবাই মিলে গুভিককে মৃত্যুদন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু গুভিককে কোনো ভাবেই মারা গেল না। তারা তাকে আগুনে পোড়াতে গেলে আগুন পানি হয়ে যায়, পাথরে পিষে মারতে গেলে পাথর তুলো হয়ে যায়। ছুঁড়ি, তলোয়ার, বর্শা যাই ছুঁড়ে মারা হয় কোনো কিছুই তাকে স্পর্শ করতে পারে না। গুভিকের জাদুর সামনে সবাই অসহায় হয়ে পড়ে। এমনকি লোকির কূটবুদ্ধিও কোনো কাজে আসল না।

গুভিককে মারার চেষ্টা করে দেবতাদের কোনো লাভ তো হলই না, উল্টো তারা গুভিকের স্বজাতিদের রোষানলে পড়ে যায়। জাদুকরী গুভিক আসলে ভানির দেবী ফ্রেয়া। গুভিক ছদ্মনাম নিয়ে সে আসগার্ডে এসেছিল।

উর্বরতার দেবতা হিসেবে পরিচিত ভানিররা ভানাহাইমে বাস করত। স্বভাবগত দিক দিয়ে তারা অনেক শান্তিপ্রিয়। কিন্তু যখন শুনলো আসিররা তাদের প্রিয় ফ্রেয়াকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে, তারা আর চুপ করে থাকতে পারল না। আসিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল।

দুই দলের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। আসিরদের পক্ষে অনেক বেশি দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ছিল। কিন্তু ভানিরদের সাথে ফ্রেয়ার জাদু ছিল। দুই দল সমানে সমান লড়ে গেল। কোনো পক্ষই একে অন্যকে কাবু করতে পারে না।

এদিকে তাদের যুদ্ধের ফলে পুরো মহাবিশ্ব ধ্বংস হতে বসেছিল। তারা দেখলো এভাবে চলতে থাকলে তারা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিয়ে চিরশত্রু দানবরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তাই এক পর্যায়ে দুই পক্ষই আর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইল না। তারা নিজেদের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অনেক আলোচনার পর দুই পক্ষ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে তারা পরস্পরের সাথে সদস্য বিনিময় করবে। কিছু ভানির আসিরদের সাথে এসে থাকবে ও কিছু আসির ভানিরদের সাথে। চুক্তি অনুযায়ী ভানির দেবী ফ্রেয়া, তার ভাই ফ্রে ও বাবা নিওর্দ আসিরদের আসগার্ডে আসে। বিনিময়ে আসির দেবতা মিমির ও হনিরে ভানিরদের রাজ্যে যায়।

আসিররা ফ্রেয়া, ফ্রে ও নিয়র্দকে পেয়ে খুবই খুশি হয়। তিনজনই অমিত ক্ষমতার অধিকারী। তাদের আগমনে আসগার্ড আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কিন্তু মিমির ও হনিরকে নিয়ে ভানিররা সন্তুষ্ট থাকতে পারল না। হনির দেখতে খুব সুদর্শন ছিল। তার কথা বলার বাচন ভঙ্গিও খুব চমৎকার। ভানিররা হনিরকে তাদের রাজ্যের রাজা বানায়। কিন্তু তারা খেয়াল করে মিমির যখন হনিরের পাশে থাকে তখন সে রাজা সুলভ আচরণ করে ও যেকোনো সমস্যা নিয়ে তার কাছে এলে সঠিক পরামর্শ দেয়। কিন্তু মিমির না থাকলে সে বোকার মত আচরণ করে।

ভানিররা বুঝতে পারে আসিররা তাদের ঠকিয়েছে। ফ্রেয়া ও ফ্রের মত শক্তিধর দেবতার বদলে তারা একজন অন্তসারশূন্য রাজা পেয়েছে। আসিরদের শিক্ষা দিতে তারা হনিরকে না মেরে মিমিরের মাথা কেটে ওডিনের কাছে পাঠায়।

মিমিরের কাঁটা মাথা দেখে ওডিন প্রচন্ড দুঃখ পায়। কারণ মিমির তার দরবারের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও বিজ্ঞ সভাসদদের একজন ছিল। কিন্তু সে ভানিরদের উপর কোনো রকম প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করে না। ততদিনে ওডিন ফ্রেয়ার কাছ থেকে বেশ কিছু জাদুবিদ্যা শিখে নিয়েছিল। সেই জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করে মিমিরের মাথা সংরক্ষণ করে তাতে আবার প্রাণ দেয়। কথিত আছে, সেদিনের পর থেকে ওডিন যেখানেই যায় মিমিরের মাথা সঙ্গে নিয়ে যায় এবং কোনো সমস্যায় পড়লে মিমিরের মাথার সুচিন্তিত পরামর্শ নেয়।

নর্স মিথলজির এই গল্প আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা আমাদের [ পুঁথি ] কে জানাতে পারেন মন্তব্য করে অথবা আমাদের এই WhatsApp নাম্বারে [ 01950-886700 ] মেসেজ দিয়ে, আপনাদের ভালো লাগলে এমন আরও লেখা নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করব।

বাতিঘর রাজশাহীতে পাওয়া যাচ্ছে বইটি, বাতিঘরের ওয়েবসাইট এবং WhatsApp এ ও অর্ডার করা যাবে।
29/03/2025

বাতিঘর রাজশাহীতে পাওয়া যাচ্ছে বইটি, বাতিঘরের ওয়েবসাইট এবং WhatsApp এ ও অর্ডার করা যাবে।

ইসরায়েল ও সভ্যতার সংঘাত
জনাথন কুক
ভাষান্তর : সাদিক মাহবুব ইসলাম
৳ ৪৫০.০০ (২৫% ছাড়ে)

বইটি অর্ডার করতে সরাসরি মেসেজ করুন অথবা এই লিংকে ক্লিক করুন :
https://baatighar.com/shop/9789848993162-102846

হোয়াটসঅ্যাপ করুন : +8801761304344

Address

Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পুঁথি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category