05/08/2024
ভাই ও বোনেরা দয়া করে শেয়ার করুন।
- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
দেশে একটা সুস্থ ও গ্রহনযোগ্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রচলন করা দরকার। যে পদ্ধতিতে দেশে আর সৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না। পদ্ধতিগত ভুলের কারণে দেশে গণতন্ত্রের নামে সৈরাচারি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যে কারণে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় না। এই জন্য-ই দেশে গুম, খুন, দূর্নীতি ও গনহত্যা বৃদ্ধি পায়। দেশের আইন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।
এই অসুস্থ গণতন্ত্র ও রাজনীতি থেকে দেশের সাধারণ নাগরিকদের অবশ্যই মুক্তি পেতে হবে। নয়তো কিছুদিন পর পর শত-সহস্র তরুণ-তরুণী ও কিশোর - কিশোরীর জীবনের বিনিময়ে সৈরাচারি সরকারের পতন করাতে হবে। যা কোনো পরিবারের জন্য-ই কাম্য নয়। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আর কতকাল আমাদের সন্তানদের ব্যবহার করবে।
এখন-ই সময় পরিবর্তনের, আসুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে কিছু পর্যালোচনা করি।
১. রাজনীতি করার জন্য নির্দিষ্ট একটি বয়সসীমা থাকতে হবে। যেমন ছাত্র রাজনীতির জন্য বয়সসীমা ১৮ - ২৫ বছর নির্ধারণ করতে হবে। ১৮ বছরের নিচে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. দলীয় রাজনীতির বয়সসীমা ২৬ - ৩৫ বছর নির্ধারণ করতে হবে। সংসদ নির্বাচনের বয়সসীমা ৩০ - ৪৫ বছর করতে হবে। ৫০ - ৬০ বছরের অভিজ্ঞ রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিকে, সরকার প্রধান চাইলে টেকনোক্রেট মন্ত্রী পদে নিয়োগ করতে পারবেন কিন্তু তিনি সংসদে বসতে পারবেন না।
৩. সংসদ সদস্য পদে তিন বারের বেশি নির্বাচন করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী ও রাস্ট্রপতি দুই বারের বেশি হতে পারবেন না। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী দুই বারের বেশি হতে পারবেন না।
৪. সংসদ সদস্যদের মতো প্রধানমন্ত্রী ও রাস্ট্রপতি নির্বাচন ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল থেকে দুই বা তার অধিক প্রার্থী দিতে পারবেন। মাসব্যাপী প্রচার - প্রচারনার পর জনগন তাদের প্রধানমন্ত্রী ও রাস্ট্রপতি নির্বাচন করবে।
৫. মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পদে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের মধ্যে থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিবেন। তাদের দ্বারা রাস্ট্রের বা জনগণের কোনো প্রকার খতি হলে প্রধানমন্ত্রী দায়ী থাকবেন।