Health & Climate News

Health & Climate News Health and Climate go hand in hand

ওষুধ শিল্পের নিয়ে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন, রেনেটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কায়সার কবির। তার মতে, স্থানীয়...
22/08/2025

ওষুধ শিল্পের নিয়ে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন, রেনেটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কায়সার কবির। তার মতে, স্থানীয় বাজারে ওষুধের দাম বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক কম। তারপরও সরকারের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় তা কমাতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত

Conspiracy Alleged in Pharma Industryওষুধ শিল্পের নিয়ে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন, রেনেটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কায়সার...

বাংলাদেশে ব্যবসায় এখন চ্যালেঞ্জ নাকি সুযোগ? এলপি গ্যাসের দাম কেন কমে না? হাজার খানিক ওষুধের নিবন্ধন কেন জরুরি? এই সব বিষ...
21/08/2025

বাংলাদেশে ব্যবসায় এখন চ্যালেঞ্জ নাকি সুযোগ? এলপি গ্যাসের দাম কেন কমে না? হাজার খানিক ওষুধের নিবন্ধন কেন জরুরি? এই সব বিষয়ে টিবিএস’র সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন, জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবদুর রাজ্জাক।

JMI Group MD Analyzes Bangladesh’s Current Business Climateবাংলাদেশে ব্যবসায় এখন চ্যালেঞ্জ নাকি সুযোগ? এলপি গ্যাসের দাম কেন কমে না? হাজার খানিক ওষুধে....

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): প্রধান উপদে...
20/08/2025

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বাড়াতে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষরিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে তিনি অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা যেমন উন্নত হওয়া জরুরি, তেমনি রোগগুলো যেন কম হয় অথবা না হয়, সেজন্য উপযুক্ত জনসচেতনতা এবং প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। তিনি স্বাস্থ্যকে কেবল চিকিৎসা খাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং এটিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে দক্ষ ও কর্মক্ষম মানব সম্পদ দরকার। দক্ষ ও কর্মক্ষম মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে না পারলে ব্যক্তিগত জীবন থেকে জাতীয় উন্নয়ন- কোনোটাই যথাযথভাবে করা যাবে না। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতেই হোক না কেন এবং যত চ্যালেঞ্জিংই হোক না কেন, আমাদের সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। ৩৫টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে। অনুষ্ঠানে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবগণের হাতে প্রধান উপদেষ্টা যৌথ ঘোষণাপত্র তুলে দেন।

ঘোষণাপত্রে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দক্ষ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ অপরিহার্য। মানবসম্পদ উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অসংক্রামক রোগ। বাংলাদেশে ক্যান্সারসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, যা শুধু স্বাস্থ্য খাত নয় বরং জাতীয় অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের জন্যও বড় হুমকি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই ঘটে অসংক্রামক রোগে এবং এর মধ্যে ৫১ শতাংশ অকাল মৃত্যু ঘটে ৭০ বছরের নিচে। অসংক্রামক রোগ হলে মানুষ উচ্চ চিকিৎসা ব্যয়ের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয় উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এগুলো কেবল স্বাস্থ্য সংকট নয়, বরং জাতীয় অগ্রগতির বড় অন্তরায়। ক্যান্সার বা জটিল অসুস্থতায় আক্রান্ত হলে পরিবারগুলো প্রায়ই আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কেবল স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। খাদ্য, কৃষি, শিক্ষা, ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার, গণপূর্ত—প্রত্যেক খাতেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এজন্য সকল মন্ত্রণালয়কে দায়িত্বশীল হতে হবে এবং কার্যকর কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় নীতি স্বাস্থ্যবান্ধব হতে হবে। শিশু, কিশোর ও নারীর স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নাগরিক সমাজ ও যুবশক্তিকে সচেতনতা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে হবে।

‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়নে অধ্যাপক ইউনূস তিনটি অগ্রাধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রথমত, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবান্ধব নীতি গ্রহণ। দ্বিতীয়ত, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়ানো। এবং তৃতীয়ত, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিং, দক্ষ জনবল ও পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও দায়িত্বশীল নাগরিক আচরণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করা ছাড়া অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ সম্ভব নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষরের মাধ্যমে জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা একসঙ্গে কাজ করতে নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলাম।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন,‘এটি শুধুমাত্র একটি আয়োজনের মধ্যে যেন সীমাবদ্ধ না থাকে। এটি আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস। আমি বিশ্বাস করি, এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। এটি হবে অগ্রগতির একটি নতুন মাইল ফলক। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও এসডিজি পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডাসমূহ অধিকতর দক্ষতার সাথে অর্জনে সহায়ক হবে’।

তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতার প্রশংসা এবং বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আজকের আয়োজনেও তাদের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট পরিচালক ড. থাকসাফন থামারাংসি এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ...

বর্তমানে ওষুধের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশই পূরণ করে স্থানীয় কোম্পানিগুলো। তবে গেল ৭ বছর ধরে এর বাজার ৩ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ...
20/08/2025

বর্তমানে ওষুধের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশই পূরণ করে স্থানীয় কোম্পানিগুলো। তবে গেল ৭ বছর ধরে এর বাজার ৩ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এর কারণ কী? অন্যদিকে, কোম্পানিগুলো কেন ওষুধের দাম বাড়াতে পারে না? পাশাপাশি, এই শিল্পের কাঁচামালের জন্য এখনও বাংলাদেশ কেন বিদেশমুখী? এসব বিষয়ে টিবিএস কর্পোরেট টকস অনুষ্ঠানে খোলামেলা কথা বলেছেন, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির।

Bangladesh’s Pharma Industry: How Real Is the Growth Potential?বর্তমানে ওষুধের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশই পূরণ করে স্থানীয় কোম্পানিগুলো। তবে গেল ৭ বছর ধর.....

20/08/2025

দাম কমলো ৩৩টি অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের1

১৪০টির মতো ওষুধ উৎপাদন করে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে (ইডিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমেছে। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য কমানো হয়েছে। তালিকায় অতিপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক এবং নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চরক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানির ওষুধ ও ভিটামিন রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন শাখা থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে আরও পাঁচটি ওষুধের দাম কমানো হতে পারে। প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ওষুধের দাম কমানো হলো বলে ভাষ্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের।

এসেনসিয়াল ড্রাগসের ওষুধ নিবন্ধন খাতার তথ্য অনুযায়ী, অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধে মন্টিলুকাস্ট ট্যাবলেটের দাম পাঁচ টাকা করা হয়েছে। আগে এর মূল্য ছিল ১০ টাকা ৬৭ পয়সা। পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণে ব্যবহৃত ওমিপ্রাজল ক্যাপসুলের দাম পাঁচ পয়সা কমে দুই টাকা ৭০ পয়সা, ব্যথা সারানোর ইনজেকশন কেটোরোলাক ভায়াল ৩০ থেকে কমে ২৩ টাকা হয়েছে। এমিটোজেনিক ক্যান্সার কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে বমি প্রতিরোধী অনডানসেট্রন ইনজেকশন ভায়ালে কমেছে তিন টাকা, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে ব্যবহৃত সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশনের দাম ১১৫ থেকে ৯০ টাকা করা হয়েছে। নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত সেফটাজিডিম ইনজেকশনের দাম কমিয়ে ১৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধী সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন ১৭৫ থেকে ১৬০ টাকা করা হয়েছে। সেফুরোক্সিম ইনজেকশনে কমেছে ১০ টাকা। গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে ব্যবহৃত ইসোমিপ্রাজল ইনজেকশনের দামও ১০ টাকা কমেছে। মেরোপেনের দাম ৪৫০ থেকে ৩৪৩ টাকা করা হয়েছে। ওমিপ্রাজল ইনজেকশনের দাম ৬৪ থেকে কমিয়ে ৫২ টাকা করা হয়েছে।

এদিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ক্লিনিকে তালিকাভুক্ত ৩২টি ওষুধের মধ্যে ২২টির দাম কমেছে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটের দাম ৬৮ পয়সা, প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের দাম এক টাকা ১১ পয়সা এবং সালবিউটামল ট্যাবলেট ১৭ পয়সা করা হয়েছে। অ্যালবেনডাজল ট্যাবলেটে কমেছে এক টাকা। ক্লোরামফেনিকল আই ড্রপ ও প্যারাসিটামল সাসপেনশনে তিন টাকা করে কমেছে। অ্যামলোডিপিন ট্যাবলেট দুই টাকা ৫০ পয়সা থেকে দুই টাকা ৩১ পয়সা, মেটফর্মিন ট্যাবলেট তিন টাকা ২৫ পয়সা থেকে দুই টাকা করা হয়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, এটা ভালো উদ্যোগ। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় যদি ইডিসিএল ওষুধের দাম কমাতে পারে, তাহলে বেসরকারি কোম্পানিগুলোও চাইলে কমাতে পারে। কমানোর ব্যবস্থা যদি সরকার করতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। সরকারেরও লাভ হবে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও এসেনসিয়াল ড্রাগসের যৌথ উদ্যোগে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মূলত ক্রয় প্রক্রিয়ায় পূর্ববর্তী সিন্ডিকেট ভাঙার কারণে দরপত্রে অধিক সংখ্যক দরদাতা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে অংশগ্রহণ করছেন, ফলে কাঁচামাল আগের তুলনায় কম দামে কেনা সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে কর্মঘণ্টা ও কর্মদক্ষতা। এতে আগের বছরের তুলনায় ৫৯ কোটি টাকার ওষুধ বেশি উৎপাদন হয়েছে। একই সঙ্গে উৎপাদন খরচ কমেছে ৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ধীরে ধীরে ইডিসিএলের উৎপাদিত অন্য ওষুধের দামও কমানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, সরকারি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি মেলানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ইডিসিএলে ওষুধের জন্য কোনো বিপণন ব্যয় হয় না। নতুন ওষুধ ও কাঁচামাল উৎপাদন এবং তৈরিতে খরচ করতে হয় না। তাদের ক্রেতাও নির্ধারিত থাকে। ফলে শুধু কাঁচামালের দাম কমার কারণে ইডিসিএল ওষুধের দাম কমাতে পারলেও অন্য কোম্পানিগুলো পারবে না।

হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের স্ক্রিনিং ও টিকাদানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস...
28/07/2025

হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের স্ক্রিনিং ও টিকাদানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ কামরুল আনাম। তিনি বলেন, ‘এই রোগটি প্রায়ই উপসর্গবিহীন থাকে। কাজেই আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ। সর্বোপরি রোগ প্রতিরোধে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ বাড়ানো জরুরি।’

প্রথম আলো ও হেপাটোলজি সোসাইটি ঢাকা বাংলাদেশের উদ্যোগে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

হেপাটাইটিস নির্মূলে প্রয়োজন সচেতনতা২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। যকৃতের এই রোগে প্রতিবছর সারা বিশ্বে কয়েক লাখ মানুষ মা...
27/07/2025

হেপাটাইটিস নির্মূলে প্রয়োজন সচেতনতা

২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। যকৃতের এই রোগে প্রতিবছর সারা বিশ্বে কয়েক লাখ মানুষ মারা যায়। হেপাটাইটিসের কারণ ও প্রতিকারের বিস্তারিত জানাচ্ছেন ডা. মুহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন
২৬ জুলাই, ২০২৫

হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসের আবিষ্কারক বারুচ স্যামুয়েল ব্লুমবার্গের জন্মদিন ২৮ জুলাই। প্রতিবছর এ দিনেই পালিত হয় বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। এ বছর ব্লুমবার্গের শততম জন্মবার্ষিকী। তাই ২০২৫ সালের দিবসটির মর্যাদা আলাদা।

এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘হেপাটাইটিস : বাধা ভাঙ্গি, সমাধান গড়ি’। এর মাধ্যমে হেপাটাইটিস প্রতিরোধে আর্থিক, সামাজিক এবং প্রশাসনিক স্তরে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা ভেঙে ফেলার আহ্বান জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

নীরব ঘাতক

ভাইরাল হেপাটাইটিস একধরনের যকৃতের প্রদাহ, যা হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি ও ই ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ সবচেয়ে মারাত্মক।

এ দুটি ভাইরাস লিভারে দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) সংক্রমণ করে। এর ফলে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধির সৃষ্টি হয়। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং ১৩ লাখ মানুষ ‘হেপাটাইটিস বি ও সি’ ভাইরাসজনিত অসুখে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে ‘হেপাটাইটিস বি’ ও ‘সি’ সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক।

অনুমান করা হয়, দেশের প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসে আক্রান্ত। অনেক রোগীই এ বিষয়টি জানেনই না।

প্রতিরোধ করা শ্রেয়

হেপাটাইটিস একটি ভাইরাসজনিত রোগ, তাই এর কার্যকর ওষুধ নেই। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে এ রোগের ভয়াবহতা অনেকটা কমানো সম্ভব। যেমন—

‘হেপাটাইটিস বি’র টিকা : যেকোনো বয়সী মানুষ ‘হেপাটাইটিস বি’ ভাইরাসের টিকা নিতে পারেন।

প্রথম ডোজের পর ১, ৬ মাস অন্তর মোট তিন ডোজ টিকা নিলেই এই টিকার কোর্স সম্পন্ন হয়। বর্তমানে ‘ইপিআই’ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনামূল্যে নবজাতকদের এই টিকা প্রদান কর্মসূচি চালু আছে।

নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন ও অস্ত্রোপচার : হেপাটাইটিস বি’ ও ‘সি’ ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম রক্ত। তাই রোগীর রক্তের যথাযথ স্ক্রিনিং তথা নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলা : অরক্ষিত যৌন সংসর্গের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’। তাই প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করা উচিত এবং এরই মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গীকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে একে প্রতিরোধ করা যায়।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা : হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম ইনজেকশনের সুচ। মাদকাসক্তদের মধ্যে ইনজেকশন ভাগাভাগির প্রবণতা দেখা যায়। তাই মাদকাসক্তির পাশাপাশি এই চর্চাও বন্ধ করা উচিত। একইভাবে কারো সেভিং রেজর, টুথব্রাশ এবং নেইল কাটারও ভাগাভাগি করা উচিত নয়।

গর্ভবতী মায়েদের স্ক্রিনিং : মায়ের শরীরে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ আছে কি না তা প্রতিটি প্রেগন্যান্সির সময় পরীক্ষা করা উচিত।

চিকিৎসা এখন সহজলভ্য

হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা মূলত লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারে মারা যায়। সিরোসিসে আক্রান্ত লিভার ফাইব্রোসিসের কারণে ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায় এবং কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এর ফলে রোগীর দেহে দেখা দেয় জন্ডিস, পেটে পানি আসে, সংজ্ঞাহীনতা, রক্তবমি হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এসব লক্ষণ প্রকাশ পেতে অনেক বছর লাগে। লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর রোগীদের লিভার সাধারণত চিকিৎসায় আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। তাই লক্ষণ না থাকলেও স্ক্রিনিং করা জরুরি। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করলে সুফল পাওয়া যায়। হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস ওষুধের নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে নির্মূল হয় না। মাত্র ১২ থেকে ২৪ সপ্তাহের চিকিৎসায় হেপাটাইটিস ‘সি’ সম্পূর্ণ নির্মূল হয়।

হেপাটাইটিস নির্মূলে বাধা কী কী

২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ লক্ষ্য পূরণে এখনো রয়েছে অনেক বাধা, যেমন—

♦ সচেতনতার অভাব : হেপাটাইটিস কিভাবে ছড়ায় বা প্রতিরোধের উপায় অনেকের অজানা।

♦ সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি : হেপাটাইটিস রোগীকে অনেক সময় সমাজে বিচ্ছিন্ন করা হয়, যা চিকিৎসা গ্রহণে বড় বাধা।

♦ অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা : অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত স্ক্রিনিং বা চিকিৎসাসুবিধা নেই।

♦ আর্থিক প্রতিবন্ধকতা : দরিদ্র জনগোষ্ঠী পরীক্ষা বা চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারেন না।

বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে প্রতিজ্ঞা হোক এই, আমরা সবাই মিলে এই রোগ নির্মূলে এগিয়ে যাব। এ জন্য চাই—

♦ বিনা মূল্যে স্ক্রিনিং কর্মসূচি

♦ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ

♦ সরকারি ও বেসরকারি খাতে যৌথ উদ্যোগ

♦ গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

হেপাটাইটিস নির্মূলে প্রয়োজন সচেতনতা

হেপাটাইটিস লিভারের এক ধরনের প্রদাহ। লিভার বা যকৃতের প্রদাহ সৃষ্টি করে এমন দুটি ভাইরাস হলো হেপাটাইটিস-বি এবং সি। এ দুই ভা...
27/07/2025

হেপাটাইটিস লিভারের এক ধরনের প্রদাহ। লিভার বা যকৃতের প্রদাহ সৃষ্টি করে এমন দুটি ভাইরাস হলো হেপাটাইটিস-বি এবং সি। এ দুই ভাইরাসকে নীরব ঘাতক বলা হয়। ৯০ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও তা জানতে পারে না। তাই এই রোগ প্রতিরোধে সবার আগে দরকার জনসচেতনতা তৈরি করা।

হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই। এই রোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেশেই আছে। এই রোগের বিশ্বমানের ওষুধ দেশের কোম্পানিগুলো উৎপাদন করছে।

ডা. মো. হারুন আর রশীদ বলেন, রাস্তার পাশের খাবার বিশেষ করে ফুচকা জাতীয় খাবার খেয়ে মানুষ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়। এ হার প্রায় শতভাগ। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

হেপাটাইটিস লিভারের এক ধরনের প্রদাহ। লিভার বা যকৃতের প্রদাহ সৃষ্টি করে এমন দুটি ভাইরাস হলো হেপাটাইটিস-বি এবং সি। .....

পাইলসের কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কীপাইলস বা হেমোরয়েড হলে পায়ুপথে বিদ্যমান রক্তনালি ফুলে যায় বা প্রদাহ হয়। অর্শর...
26/05/2025

পাইলসের কারণ, উপসর্গ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কী

পাইলস বা হেমোরয়েড হলে পায়ুপথে বিদ্যমান রক্তনালি ফুলে যায় বা প্রদাহ হয়। অর্শরোগের উপসর্গ এর ধরনের ওপর নির্ভরশীল। সাধারণত অভ্যন্তরীণ অর্শরোগের ক্ষেত্রে মলদ্বারে রক্তপাত হয়, যা বেদনাবিহীন। আর বাহ্যিক অর্শরোগ হলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিতে পারে, থ্রমবোজড হলে তা মলদ্বার অঞ্চলে ব্যথা ও স্ফীতির কারণ হতে পারে। অনেকে পায়ুপথের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলেই তা ‘হেমোরয়েডস’ ভেবে ভুল করেন, আসলে সব সমস্যাই পাইলস নয়।

উপসর্গ

অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হেমোরয়েডস আলাদাভাবে দেখা দিতে পারে; আবার অনেকের দুটিই থাকতে পারে। থ্রমবোজড বা রক্তনালিতে গঠিত হলে হেমোরয়েডস অত্যন্ত বেদনাদায়ক হতে পারে। হেমোরয়েডস বড় আকারের ও অস্বাস্থ্যকর হলে চারদিকের ত্বকে অস্বস্তি ও চুলকানি হতে পারে। অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস হলে সচরাচর বেদনাহীন থাকে, উজ্জ্বল লাল রঙের রক্তপাত বা রেকটাল ব্লিডিং হতে পারে। মল রক্ত দ্বারা আবৃত থাকতে পারে, যে অবস্থাকে হেমাটোকেজিয়া বলে। এ ক্ষেত্রে টয়লেট পেপারে রক্ত দেখা যেতে পারে বা টয়লেটেও রক্তের ফোঁটা ঝরতে পারে। মলের রং সচরাচর স্বাভাবিক হয়। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে শ্লৈষ্মিক স্রাব, মলদ্বারের চারদিকের অংশ পায়ুপথে বেরিয়ে আসা, চুলকানি ও ফিকাল ইনকনটিনেন্স (পায়ুপথে গ্যাস বা মল নির্গমনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণহীনতা)।

কারণ

হেমোরয়েডসের পেছনে যেসব কারণ দায়ী বলে ধারণা করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে: ১. দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা ২. পুরোনো ডায়রিয়া ৩. মলত্যাগের সময় দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ৪. আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারী মালপত্র বহন করা, স্থূলতা, কায়িক শ্রম কম করা, ৫. অন্ত্রের সমস্যা (কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া), ব্যায়াম ও পুষ্টি উপাদানে ঘাটতি (স্বল্প আঁশসমৃদ্ধ খাবার), পেটের ভেতরে চাপ বৃদ্ধি (দীর্ঘায়িত চাপ), ৬. গর্ভাবস্থা ৭. জন্মগত, হেমোরয়েড শিরায় কপাটিকার অনুপস্থিতি ও বার্ধক্য। গর্ভাবস্থায় তলপেটের ওপর ভ্রূণের চাপ ও হরমোনের পরিবর্তনের ফলে হেমোরয়েড রক্তনালি বর্ধিত হয়। প্রসবের কারণেও পেটের ভেতরে চাপ বৃদ্ধি পায়। তবে প্রসবের পর সচরাচর উপসর্গ আর থাকে না।

রোগনির্ণয়

শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে পায়ু ও এর আশপাশের এলাকা ভালোভাবে পরীক্ষা করে বাহ্যিক বা স্থানচ্যুত হেমোরয়েড নির্ণয় করা যেতে পারে। মলদ্বারের টিউমার, পলিপ, বর্ধিত প্রস্টেট বা ফোড়া শনাক্ত করতে মলদ্বার পরীক্ষা করতে হবে।

মলত্যাগের সময় জোরে চাপ না দেওয়া, আঁশযুক্ত খাদ্য ও প্রচুর তরল বা আঁশের সম্পূরক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া এড়িয়ে চলা এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা। মলত্যাগকালে অল্প সময় ব্যয়, টয়লেটে বসে পড়া বন্ধ করা এবং অতিরিক্ত ওজন থাকলে ওজন কমানো, ভারী বস্তু উত্তোলন পরিহার করা উচিত।

চিকিৎসা কী

● এক্সিশনাল হেমোরয়েডেক্টমি/ওপেন হেমোরয়েডেক্টমি।

● ট্রান্সানাল হেমোরয়েডাল দিয়ার্তেরিয়ালাইজেশন।

● স্টেপলড হেমোরয়েডেক্টমি, স্টেপলড হেমোরয়েডোপেক্সি—এগুলো ব্যবহৃত পদ্ধতি।

লেখা: রতন লাল সাহা, কনসালট্যান্ট, জেনারেল এবং ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর ৬
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫
সূত্র: প্রথম আলো

প্রি-একলাম্পসিয়া যাঁদের বেশি হয়ডা. ফারজানা ইসলামপ্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রথমবার সন্তান ধারণের সময়ই প্...
14/05/2024

প্রি-একলাম্পসিয়া যাঁদের বেশি হয়
ডা. ফারজানা ইসলাম
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪

একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রথমবার সন্তান ধারণের সময়ই প্রি-একলাম্পসিয়া হতে পারে আর যাঁদের আগের সন্তান ধারণের সময় প্রি-একলাম্পসিয়া হয়েছিল, তাঁদের ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে পুনরায় এটি হতে পারে। যেসব মা উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা কিংবা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রি–একলাম্পসিয়া হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এ ছাড়া একাধিক গর্ভধারণ, পলিহাইড্রামনিওস প্রি-একলাম্পসিয়ার কারণ হতে পারে।

প্রি-এক্লাম্পসিয়া হচ্ছে গর্ভবতী নারীদের এক ধরনের রোগ, যাতে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে প্রচুর প্রোটিন নির্গত হয় বা অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

উপসর্গ

প্রি-একলাম্পসিয়া দুই ধরনের। মাইল্ড বা মৃদু ও সিভিয়ার বা তীব্র। মৃদু প্রি-একলাম্পসিয়ার ক্ষেত্রে রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিমি মারকারির বেশি থাকে, কিন্তু ১৬০/১১০ মিমি মারকারির কম থাকে। তীব্র প্রি-একলাম্পসিয়ার ক্ষেত্রে রক্তচাপ ১৬০/১১০ মিমি মারকারির বেশি থাকে। সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ থাকে, যেমন মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া, ঝাপসা দেখা, পেটব্যথা, প্রস্রাব কমে যাওয়া, পুরো শরীরে পানি আসা ইত্যাদি।

ঝুঁকি

প্রি-একলাম্পসিয়ায় প্রেগন্যান্সি হয় ঝুঁকিপূর্ণ। প্রি-একলাম্পসিয়া মারাত্মক পর্যায়ে গেলে একলাম্পসিয়া বা খিঁচুনি হয়, যা মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর একটি বড় কারণ। কম ওজনের শিশুর জন্মদান, সময়ের আগে প্রসব, মাতৃগর্ভে শিশুমৃত্যু, এন্টিপারটাম হেমোরেজ ইত্যাদি সমস্যা প্রি-একলাম্পসিয়ায় আক্রান্ত মায়েদের ক্ষেত্রে সচরাচর ঘটে থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এর জটিলতা হিসেবে কিডনি ও লিভার ফেইলর কিংবা ব্রেন হেমোরেজও হতে পারে। কিছু রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণসহ অন্যান্য জটিলতা হয়।

চিকিৎসা

অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রি-একলাম্পসিয়া নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে।

মৃদু প্রি–একলাম্পসিয়ার ক্ষেত্রে রোগীকে বাসায় রাখা যেতে পারে; কিন্তু মারাত্মক প্রি-একলাম্পসিয়ায় রোগীকে বাসায় রাখার সুযোগ নেই।

মারাত্মক প্রি-একলাম্পসিয়ায় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে মা ও শিশুর নিয়মিত ও সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।

প্রতিরোধ

যেহেতু প্রি-একলাম্পসিয়ার সঠিক কারণ জানা যায়নি, তাই এর প্রতিরোধেরও নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে যাঁরা এর ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট জাতীয় ওষুধ প্রতিরোধক হিসেবে দেওয়া যায়।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপের মাধ্যমে প্রি-একলাম্পসিয়া প্রতিরোধ ও এর জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

ডা. ফারজানা ইসলাম, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার লি., মিরপুর ৬, ঢাকা

14/05/2024
Experts for taking programmes to prevent NCD-linked deathsDHAKA, May 9, 2024 (BSS) - Health experts at a workshop today ...
13/05/2024

Experts for taking programmes to prevent NCD-linked deaths

DHAKA, May 9, 2024 (BSS) - Health experts at a workshop today laid emphasis on taking health promotion programmes to prevent deaths caused by Non-Communicable Diseases (NCDs)

"The numbers of patients suffering from Non-Communicable Disease (NCDs) are increasing alarmingly in the country due to unhealthy lifestyle," he told the workshop titled: "Health Promotion in healthcare promotion: Bangladesh Perspective" here.

The workshop was organised by research and advocacy organisation PROGGA (Knowledge for Progress), a press release said.

According to the health experts, 70 percent of deaths in the country are now attributed to Non-Communicable Diseases (NCDs), including heart diseases, cancer and diabetes and kidney ailment.

NCDs, such as heart diseases, stroke, cancer, kidney diseases, respiratory diseases, diabetes, and hypertension are the most prevalent causes of death in Bangladesh and account for 70 percent of the total deaths, they added,

While addressing the workshop, eminent economist Professor Dr. Qazi Khaliquzzaman Ahmad said the government is collecting Taka 300 crore as surcharge for healthcare development.

This collected money is not being spent for healthcare purposes of the people, he said, adding that an independent health promotion institution should be established to spend the money as surcharge to provide healthcare support to the people.

At the workshop, Dr. Md. Enamul Haque, director general (Additional Secretary) of Health Economics Unit said different public-run organisations have been implementing healthcare promotion programmes.

He stressed the need for taking concerted efforts to support the people for improving their healthcare services.

Other speakers said the World Health Organization recommends countries to allocate at least 15 percent of their total budget to the health sector.

The health budget has remained within five percent over the past few years, they said, adding that it is necessary to increase the budgetary allocation to combat the NCD-linked diseases.

The speakers said: "Many lives can be saved and the risk of serious non-communicable diseases such as heart attacks and strokes can be reduced to a great extent by allocating necessary funding to ensure availability of anti-hypertensive medicines in community clinics alone."

Executive Director of PROGGA ABM Zubair, healthcare professionals and officials of different relevant organisations, among others, addressed the workshop while head of the programme of the PROGGA Hasan Shahriar placed the keynote paper.

DHAKA, May 9, 2024 (BSS) - Health experts at a workshop today laid emphasis  on taking health promotion programmes to prevent

Address

39/B, Rasulpur, Dhoniya, Jatrabari
Dhaka
1236

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health & Climate News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share