06/09/2025
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানার নুরাল পাগলের লাশ পুড়ানোর ঘটানার সারাদেশে একটা বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে।
আমার বাড়ি এই থানাতেই। এই দরবার শরীফ থেকে মাত্র ৪-৫ কি.মি দূর হবে।
এই লোক টাকে আমি অনেকদিন আগে দেখেছি। তাকে ঝাড়ু দিয়ে চিকিৎসা করতে দেখেছি। তার বাড়ি পাশেও আমাদের বেশ কয়েক ঘর আত্মীয়-স্বজনদেরদের বাড়ি। অনেক আগে আগে বেড়াতে যেতাম।
পরে আর দেখি নি বহু বছর, কারণ আমার সেই এরিয়াতে তেমন যাতায়াত নাই।
নিরপেক্ষ ভাবে কিছু কথা বলি, দেখলাম বেশ কিছু মিডিয়া এমন সব হেড লাইন দিয়ে নিউজটা প্রচার করছে, সারা দেশে মানুষের মনে একটা বড় বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
বিষয়টা সম্পর্কে যতদূর জানেছি তা হলো, ১৯৮১ সাল থেকে তিনি নিজেকে 'ইমাম মাহাদী' বলে দাবী করেছিলেন, এবং একটি দরবার শরীর খোলেন । ১৯৯৩ সালের দিকে জনতার চাপে তিনি মুচলেকা দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান এবং পরের বছর আবার ফিরে আসেন।দরবার শরীফের কার্যক্রম চালিয়ে যান।
এই দীর্ঘ কয়েক বছরে তার অনেক ভক্ত-অনুরাগী তৈরি হয়।
২ সপ্তাহ আগে তিনি মারা গেলে তার কবর মাটি থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় দেয়া হয়। এবং অনেকে বলেছেন পবিত্র কাবা শরীফের সদৃশ্য।
মূলত এখানেই বিপত্তি বাধে। বিষয় টা জেলা প্রশাসন পর্যন্ত চলে যায় এবং ২ দফা মিটিং হয়। কবর নিচু করার আল্টিমেটাম দেয় স্থানীয় ধর্মপ্রান মুসুল্লিরা।
পরে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসুল্লিরা একযোগে দরবার শরীরফে ঢুকে পবে কবর থেকে লাশ উঠিয়ে নিয়ে পদ্মার মোড নামের কোন একটা জায়গায় পূরিয়ে ফেলা হয়।
পরে জানা গেছে যে কারনে পোড়ানো হয়েছে সেটা হলো, তাকে যেখানেই কবর দেয়া হত, সেখানেই কিছু ভক্ত গুলো গিয়ে সেই কবর টাকে আবার যেন মাজারে পরিনত করবে, এই আশংকায়।
নিরপেক্ষ ভাবে আসল নিউজ টা তুলে ধরলাম।