Ittehad News

Ittehad News Ittehad News

08/07/2025

পশ্চিমাদের মানবাধিকার কোন মূল্য নেই
মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী
সভাপতি, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ

08/07/2025

হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে স্লোগানে সুর মেলালেন পাবনার যোদ্ধারা ✊

কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ দাদার?

08/05/2025

হাসনাত আব্দুল্লাহর শ্লোগানে প্রকম্পিত আকাশ বাতাস

03/12/2024

শায়খ আঃ হক সাহেব হুজুরের হুফ্ফাজ মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স| আজ ক্লাস ক্লাস নিচ্ছেন হুজুরের ছোট ছেলে তলহা বিন আঃ হক
ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ফাউন্ডেশন অফিস এ যোগাযোগ করুন- ✆ 01303183050
যাতায়াত- ঢাকা খিলক্ষেত, বাস স্টান, নিকুঞ্জ ২, নেমে রিক্সাযোগে ১৪ নং-রোড পশ্চিম মাথায়- পুরান বাজার জামে মসজিদ। এর ৩য় তলা |

24/10/2024

সরকারি চাকরিতে
প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা
৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত

ফররুখ আহমদ জীবন ও সাহিত্যসু ম ন আ মী ন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি ফররুখ আহমদ। তিনি মুসলিম রেনেসাঁর কবি হি...
10/06/2024

ফররুখ আহমদ জীবন ও সাহিত্য
সু ম ন আ মী ন

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি ফররুখ আহমদ। তিনি মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত। কারণ তার কবিতা তৎকালীন বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অনুপ্রেরণা জোগায়। দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের হাহাকার, আর্তনাদ, অনাহার ক্লিষ্টের করুণ পরিনতি, সমকালের সংকট, জরাগ্রস্ত বাস্তবতা, সাম্প্রদায়িকতার হিং¯্রতা দেখে তিনি আঘাত পান। আর সকল অসঙ্গতি-ই তাকে সাহিত্য সাধনায় অনুপ্রেরণা জোগায়। আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ট কবি ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০জুন মাগুরা জেলার মাঝআইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ হাতেম আলী। মাতা বেগম রওশন আখতার। গ্রামের পাঠশালাতেই তার শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে কোলকাতায় এসে তালতলা মডেল এম.ই স্কুলে ভর্তি হন তিনি। তার পর কোলকাতার বিখ্যাত বালিগঞ্জ সরকারি হাই স্কুলে ভর্তি হন। ঐ সময় কবি গোলাম মোস্তফা ছিলেন এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রাথমিক জীবনে কবিত্ব বিকাশে কবি গোলাম মোস্তফা ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেন। ১৯৩৭সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৩৯ সালে কোলকাতার রিপন কলেজ হতে আই.এ পাস করেন। কোলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ ও সিটি কলেজে, প্রথমে দর্শন ও পরে ইংরেজীতে অনার্সে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু পড়াশুনা আর শেষ করতে পারেন নি।

১৯৪৩ সালে আই.জি প্রিজন অফিসে চাকুরীর মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৪ সালে সিভিল সাপ্লাইয়ে এবং ১৯৪৬সালে জলপাইগুড়িতে একটি ফার্মে চাকুরী করেন। ১৯৪৫সালে তিনি মাসিক ‘মোহাম্মদী’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৮সালে কোলকাতা থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা বেতারে যোগ দেন। ঢাকা বেতারে নিয়মিত ষ্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি। ঢাকা বেতারে তিনি ‘ছোটদের খেলাঘর’ অনুষ্টান পরিচালনা করতেন।

কবি ফররুখ আহমদ প্রথম যৌবনে ভারতবর্ষের বিখ্যাত কমরেড এম.এন রায়ের শিষ্য ছিলেন। কিন্তু জন্মসূত্রে ইসলামী আদর্শ ও ঐতিহ্যের অধিকারী কবি একসময় ধর্মীয় চিন্তায় নিমগ্ন হয়ে পড়েন। তার কবিতায় ইসলামী সমাজতন্ত্র মূর্ত হয়ে ওঠে।

কবি ফররুখ আহমদ ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন নিয়ে তার “মধুর চেয়েও মধুর যে ভাই আমার দেশের ভাষা” গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়। পাকিস্তান আন্দোলন চলাকালীন ভাষা বিতর্কের সময় থেকেই তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে জোরদার ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্টার পরপরই তিনি মাসিক সওগাত (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর,১৯৪৭) সংখ্যায় পাকিস্তান: রাষ্ট্রভাষা ও সাহিত্য নিবন্ধে লেখেন: “গণতান্ত্রিক বিচারে যেখানে সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়া উচিত, সেখানে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্র্রভাষাকে পর্যন্ত যারা অন্য একটি প্রাদেশিক ভাষায় রুপান্তরিত করতে চান তাঁদের উদ্দেশ্য অসৎ। পূর্ব পাকিস্তানের সকল অধিবাসীদের সাথে আমিও এই প্রকার অসাধু প্রতারকদের বিরুদ্ধে আমার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”। বায়ান্নর রক্তাক্ত ঘটনার পর রেডিওতে কর্মরত শিল্পী আলতাফ মাহমুদ, আব্দুল আহাদ, আব্দুল হালিম চৌধুরীদেরকে নিয়ে তিনি ধমঘটে যোগদেন। তিনি তদানিন্তন পাকিস্তানী শাসকদের ব্যাঙ্গ করে ‘রাজ-রাজরা’ নামে একটি নাটক লেখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। প্রখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী এতে অভিনয় করেন।

চল্লিশের দশকে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন তথা স্বাধীনতা আন্দোলনে গনজাগরণ মূলক কবিতা লেখে জনপ্রিয়তা পান কবি ফররুখ আহমদ। তিনি ছিলেন মুসলিম পুনর্জাগরণে বিশ্বাসী। ইসলামী আদর্শ ও আরব ইরানের ঐতিহ্য তার কবিতায় ব্যাঙময় হয়ে উঠে। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা কবিতায় আরবী, ফারসী শব্দের যে স্বার্থক প্রয়োগ শুরু করেন, মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ তা আরও বেগবান করেন। ১৯৪৩ সালে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ নিয়ে ফররুখ আহমদ অসংখ্য কবিতা রচনা করেন। যার সংখ্যা প্রায় ১৯। ১৯৪৩ সালে কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আকাল’ নামে একটি সংকলন প্রকাশ করেন। তাতে কবি ফররুখ আহমদের বিখ্যাত ‘লাশ’ কবিতাটি স্থান পায়। দুর্ভিক্ষ নিয়ে অদ্যবধি বাংলা সাহিত্যে ‘লাশ’ এর মত কবিতা আর কেউ লিখতে পারেন নি। দুর্ভিক্ষ নিয়ে ব্যাথিত কবির উচ্চারণ-

“যেখানে পথের পাশে মুখ গুঁজে প’ড়ে আছে জমিনের ’পর;
সন্ধ্যার জনতা জানি কোনদিন রাখেনা সে মৃতের খবর”।

রেনেসাঁর কবি, জাগরণের কবি, ঐতিহ্যের কবি, জাতিসত্তার কবি ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে মহান উচ্চতায় অধিষ্টিত। জাতীর আগামী স্বপ্নের জাল বুনতে পথ দেখিয়েছেন এই মহান কবি। তার শ্রেষ্ট সৃষ্টি ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্য গ্রন্থের জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ। প্রকাশক ছিলেন কবি বেনজীর আহমদ। প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন। মুসলিম ঐতিহ্যের পুনর্জ্জীবন কামনা করে রোমান্টিকতার আবহে কবি জাতিকে জেগে ওঠার আহবান করেছেন। অন্যরা যখন জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্যে এগিয়ে যাচ্ছে কবি তখন পিছিয়ে পড়া তার নিজ জাতীকে জেগে ওঠার ডাক দেন। কবির আহবান-

“কত যে আঁধার পর্দা পারায়ে ভোর হল জানিনা তা
নারঙ্গী বনে কাঁপছে সবুজ পাতা।
দুয়ারে তোমার সাত সাগরের জোয়ার এনেছে ফেনা
তবু জাগলে না? তবু তুমি জাগলে না?
সাত সাগরের মাঝি চেয়ে দেখো দুয়ারে
ডাকে জাহাজ
অচল ছবি সে, তসবীর যেন দাঁড়ায়ে
রয়েছে আজ।”

‘সাত সাগরের মাঝি’ বিষ্ময়কর এক কবিতা গ্রন্থ। ফররুখ আহমদের শ্রেষ্ট গ্রন্থ এটি। প্রকাশের এত বছর পরও এ গ্রন্থ সমানভাবে জাগ্রত ও প্রাণবন্ত। এ কাব্যগ্রন্থের অন্যতম একটি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত কবিতা হলো ‘পাঞ্জেরী’। মুসলিম জাতীর পিছিয়ে পড়ার, অন্ধকার থেকে পরিত্রাণের কত দেরী তা জানতে কবি উৎসুক।

“রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?
তুমি মাস্তুলে আমি দাঁড় টানি ভুলে;
অসীম কুয়াশা জাগে শুন্যতা ঘেরী।”

কবি ফররুখ আহমদকে চরম দারিদ্রের সাথে জীবন যাপন করতে হয়েছে। কিন্তু অর্থের প্রতি, ক্ষমতার প্রতি তার কোন মোহ ছিল না। দারিদ্রতাকে তিনি সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। ভোগ বিলাসিতা তিনি ঘৃণা করতেন। তার কবিতার মতই ছিল কবির দৈনিক জীবন।

“তোরা চাসনে কিছু কারো কাছে খোদার মদদ ছাড়া
তোরা পরের উপর ভরসা ছেড়ে নিজের পায়ে দাঁড়া।”

কবি ফররুখ আহমদের কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪), ‘সিরাজাম মুনিরা’ (১৯৫২), ‘নৌফেল ও হাতেম’ (১৯৬১), ‘মুহুর্তের কবিতা’ (১৯৬৩), ‘ধোলাই কাব্য’ (১৯৬৩), ‘হাতেম তায়ী’ (১৯৬৬), ‘নতুন লেখা’ (১৯৬৯), ‘কাফেলা’ (১৯৮০), ‘হাবিদা মরুর কাহিনী’ (১৯৮১), ‘সিন্দাবাদ’ (১৯৮৩), ‘দিলরুবা’ (১৯৮৪)।

শিশু সাহিত্যেও তিনি অতুলনীয় ছিলেন। তার রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ হলো- ‘পাখির বাসা’ (১৯৬৫), ‘হরফের ছড়া’ (১৯৭০), ‘চাঁদের আসর’ (১৯৭০), ‘ছড়ার আসর’ (১৯৭০), ‘ফুলের জলসা’ (১৯৮৫)।

বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত মহাকাব্য ‘মেঘনাদ বধ’ এর পরে অন্যতম সফল মহাকাব্য ফররুখ আহমদ রচিত ‘হাতেম তায়ী’। মুসলিম কবিদের মধ্যে কাব্যনাটক রচনার পথিকৃত তিনি। তার ‘নৌফেল ও হাতেম’ একটি সফল ও জনপ্রিয় কাব্যনাটক। সনেট রচনায়ও সফল তিনি। বাংলা সাহিত্যে মাইকেলের পরে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে আর কোন কবি এত বেশি সফল সনেট রচনা করতে পারেন নি। তার সনেট গ্রন্থের মধ্যে- ‘মুহুর্তের কবিতা’, ‘দিলরুবা’, ‘অনুস্বার’ প্রধান। গদ্য কবিতা রচনায় সিদ্ধহস্ত কবি ফররুখ আহমদ। তার গদ্য কবিতার সংকলন-‘হাবেদা মরুর কাহিনী’ লিখে সফল তিনি। গীতিনাট্য ‘আনার কলি’ (১৯৬৬)।

কবি ফররুখ আহমদ কবি স্বীকৃতি স্বরুপ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। অন্যতম হলো- বাংলা একাডেমী (১৯৬০), প্রেসিডেন্ট পদক ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স’ (১৯৬৫), আদমজী পুরস্কার (১৯৬৬), ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৭৭-মরনোত্তর), স্বাধীনতা পদক (১৯৮০-মরনোত্তর)।

কবি ফররুখ আহমদ ১৯৭৪ সালের ১৯শে অক্টোবর ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তিনি তার কবিতায় সমাজের অবহেলিত মানুষের কথা লিখে গেলেও তার জীবনে তাকে বহু দুঃখ কষ্ঠের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে হয়েছে। মূলত ইসলামী আদর্শ লালন করার কারনেই তাকে এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ঢাকা বেতার থেকে তার চাকুরী চলে যায়। তার এক ছেলে ডাক্তারি পড়ছিল, টাকার অভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়। চিকিৎসার অভাবে এক মেয়ে মারা যায়। তখন রমজান মাস ছিল। টাকার অভাবে ও শারীরিক অসুস্থতার কারনে না খেয়েই রোজা রাখতেন তিনি। ২৭শে রমজান ইন্তেকাল করেন কবি। তাকে কোথায় দাফন করা হবে তা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। প্রখ্যাত সাংবাদিক আসাফউদ্দৌলা রেজাসহ অনেকেই সরকারিভাবে কোন জায়গা পাওয়া কিনা চেষ্টা করলেন। কিন্তু সরকারিভাবে কোন জায়গা পাওয়া যায়নি। অবশেষে কবি বেনজীর আহমদ তার শাহজাহান পুরের পারিবারিক গোরস্থানে কবিকে দাফন করার জায়গা দান করেন। কবি ফররুখ আহমদের করুণ পরিণতি দেখে আহমদ ছফা লেখেন- “আজকের সমগ্র বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদের মত একজনও শক্তিশালী স্রষ্টা নেই। এমন একজন স্রষ্টাকে অনাহারে রেখে তিলে তিলে মরতে বাধ্য করেছি আমরা। ভবিষ্যত বংশধর আমাদের ক্ষমা করবে না।”

বর্তমান বাংলা সাহিত্যে কবি ফররুখ আহমদ এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি বেঁচে থাকবেন তার অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।

অনিবন্ধিত কওমি মাদরাসারনিবন্ধনে বেফাকের সঙ্গে কাজ করা হবে-শিক্ষামন্ত্রীশিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, অ...
03/03/2024

অনিবন্ধিত কওমি মাদরাসার
নিবন্ধনে বেফাকের সঙ্গে কাজ করা হবে
-শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, অনিবন্ধিত কওমি মাদরাসার বিষয়টি উঠে এসেছে। নুরানী মাদরাসার নামে যেগুলো খোলা হয়েছে সে বিষয়ে আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি। মাদরাসার শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের বাইরে যারা খুলেছেন তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত নয়। সেক্ষেত্রে কীভাবে বেফাক তাদের ছয়টি বোর্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হবে। একটি বয়সসীমা পর্যন্ত সেখানে যাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা হয়। নয়তো শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না। এজন্য বেফাকের সঙ্গে কাজ করব। নিবন্ধনের বিষয়টাও যাতে মাঠ প্রশাসনের সাথে এবং আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথেও তারা সারা দেশে সার্ভে করেছে, সেটি নিয়েও আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করব।
রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪-এর প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যত্রতত্রভাবে হওয়ায় সরকারের যে প্রাথমিক শিক্ষা সেখানে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও উপস্থিতির কমতে দেখা যাচ্ছে। এটি সকলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, এটি নিরসন করতে হবে। যে সময়ে সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেই সময়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায় কিনা সে আলোচনা আমরা ভবিষ্যতে করব। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার বাড়বে, নিবন্ধিত, সরকারের শিক্ষাক্রম অনুসারে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি কমবে সেটি কখনো কাঙ্ক্ষিত নয়, এ বিষয়ে আমরা মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করব।
তিনি আরো বলেন, গতবছর কওমি মাদরাসার নেতা ও বোর্ডগুলোর সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রমের আলোকে যে শিখনফল অর্জন করার কথা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় তাদের প্রতিষ্ঠানে নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা। এজন্য এনসিটিবি থেকে তাদের কালিকুলামে প্রণীত বই পাঠিয়েছি, সেগুলো নিয়ে যাচাই বাছাই হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে সেই শিক্ষার্থীরা সেই যোগ্যতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদ্যালয় পর্যায়ে কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা যোগ্যতা না পেলে মাস্টার্স পর্যায়ে কীভাবে ধরে রাখতে পারবে

13/02/2024
13/02/2024

হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ কার থাকবে?ভারতের না কি বাংলাদেশের?ভারত সরকার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই...
11/02/2024

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ কার থাকবে?
ভারতের না কি বাংলাদেশের?

ভারত সরকার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে সনদ দেওয়ার পর থেকে দুই বাংলায় এ নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন আলোচনার পালে নতুন হাওয়া লাগালো বাংলাদেশ সরকার। আটই ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশ করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দু’টো দেশ থেকে একই পণ্য জিআই সনদ পেতে পারে কি-না। কিংবা, ভারত যদি এখন ডিপিডিটি থেকে প্রকাশিত এই জার্নালের বিরোধিতা করে, তাহলে কী হবে? অথবা, টাঙ্গাইল শাড়ি’র জিআই ফিরে পেতে বাংলাদেশের করণীয় কী হবে?

জিআই জার্নাল নং ৩২
এইসব প্রশ্নের উত্তর জানার আগে একটু জেনে নেয়া প্রয়োজন, সেই জার্নালে আসলে কী কী আছে। কোনো পণ্যের জিআই সনদ পেতে হলে কোনও একটা সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে ডিপিডিটি বরাবর আবেদন করতে হয়। তাই, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে গত ছয়ই ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ডিপিডিটি’র কাছে আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনে সাড়া দিয়েই ডিপিডিটি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। এই শাড়ির ইতিহাস, ঐতিহ্য, বুনন পদ্ধতি ও নিজস্বতা তুলে ধরে প্রকাশ করে জার্নাল নং ৩২।

জেলা প্রশাসকের করা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে যে টাঙ্গাইল শাড়ি মূলত চার প্রকার এবং এখানে এই শাড়ির বৈশিষ্ট্যকে মোট ছয়টি ভাগে ভাগ ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো- টাঙ্গাইল শাড়ি সম্পূর্ণ হাতে বোনা হয়। তবে বর্তমানে মেশিন তাঁতেও বুনন করা হয়ে থাকে। টাঙ্গাইল জেলা যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পাশে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার জলবায়ু শাড়ি বোনার উপযোগী। নদীর পানির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য সুতার প্রক্রিয়াজাতকরণ (যেমন- সুতা রঙ করা, মাড় দেওয়া) ভালো হয় এবং রঙের স্থায়িত্বের পাশাপাশি কাপড়ের স্থায়িত্ব ও গুণগতমান বৃদ্ধি পায়। শাড়ির পাড়ের নকশায় বৈচিত্র্য রয়েছে। পুরো বুননের পর পাড়ের ও জমিনের কিছু কিছু নকশা আলাদাভাবে হাতে বুনন করা হয়। আরামদায়ক একটি পরিধেয় বস্ত্র, যা যেকোনও ঋতুতে পরার উপযোগী। টাঙ্গাইল শাড়ি মার্জিত, রুচিশীল ও আভিজাত্যপূর্ণ। টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য ও শাড়ির বর্ণনা দেয়ার জন্য এই আবেদনপত্রে ঐ অঞ্চলে প্রচলিত বিভিন্ন প্রবাদও উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, ‘নদী চর খাল-বিল গজারির বন; টাঙ্গাইল শাড়ি তার গরবের ধন’ বা, ‘চমচম, টমটম, তাঁতের শাড়ি; এই তিনে মিলে টাঙ্গাইলের বাড়ি’।

জার্নাল প্রকাশ হওয়া মানেই জিআই সনদ প্রাপ্তি নয়
শিল্প মন্ত্রণালয় ডিপিডিটি-তে জার্নাল প্রকাশের মাধ্যমে টাঙ্গাইল শাড়িকে প্রাথমিকভাবে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও এই স্বীকৃতি পাওয়া মানেই সনদ পাওয়া না। টাঙ্গাইল শাড়ি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত দুই মাস।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, সনদ পাওয়ার জন্য এই পাবলিকেশন পর্যাপ্ত না। জার্নালে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এটা এখন প্রাথমিক স্বীকৃতি পেলো। এরপর কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তাদের আপিল করার সুযোগ থাকবে। আপিল না করলে দুই মাস পর টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই সনদ পাবে। কিন্তু আপাতত স্বীকৃতিটা আমরা দিয়ে দিয়েছি। অর্থাৎ, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জার্নাল প্রকাশ হওয়ার পর সর্বোচ্চ দুই মাস সময় থাকে। এই সময়ে ঐ পণ্যের সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনও দেশ বা জেলা, এমনকি প্রতিষ্ঠানও অভিযোগ জানাতে পারে।

কিন্তু, বিরোধিতা করার জন্য দুই মাস থাকা সত্ত্বেও ভারতের আবেদনের বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে কেনো কোনো অভিযোগ জানানো হলো না; ঘুরে-ফিরে এই প্রশ্নটি বারবার সামনে আসছে।

আগে আবেদন না করার পেছনে সরকারের যুক্তি
এ প্রসঙ্গে ডিপিডিটি জানিয়েছে, এই বিষয়টির ওপর জেলা প্রশাসনের লক্ষ্য রাখা উচিৎ ছিল। তবে ভারতে জার্নাল প্রকাশের বিষয়টি জানা ছিল না উল্লেখ করে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, জার্নালে (ভারতের) প্রকাশ হওয়ার বিষয়টা আমার জানা নেই। ভারত স্বীকৃতি দিয়েছে, আমি জানতে পারি দোসরা ফেব্রুয়ারি। তাদের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে।

কিন্তু তাড়াহুড়ো করে তারা এখনই কেন আবেদন করলো, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, “টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে আমাদের ডকুমেন্টেশন রেডি হয়ে গেছিলো। রেফারেন্সিংয়ের কাজ চলছিলো। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মাঝে আমরা এমনিতেই এটি জমা দিতাম।”

ইসলাম জানান, শুধুমাত্র টাঙ্গাইল শাড়ি না, টাঙ্গাইলের আরও কিছু পণ্যের জিআই স্বীকৃতির জন্য টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন অনেকদিন ধরেই কাজ করছে।

এদিকে ভারত সরকারের টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই সনদ দেয়া প্রসঙ্গে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডিপিডিটি মহাপরিচালক মো. মুনিম বলেছিলেন, জি আই সার্টিফিকেশনটাকে একটা পণ্য হিসেবে দেখতে পারেন। এখন আপনি (কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান) যদি আমার (ডিপিডিটি) কাছে না আসেন, তাহলে আমি তো আপনাকে দিয়ে দিতে পারবো না।

যদিও দেশের সকল ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জিআই রক্ষার জন্য একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ডিপিডিটি।

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই রক্ষার্থে বাংলাদেশ কী করবে
আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও)-এর বিধিমালা মেনে একটা দেশ তাদের নির্দিষ্ট কোনও পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেয়া হয়।

ডব্লিউআইপিও হলো- ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন’ (ডব্লিউটিও)-এর অধীনস্থ একটি সংস্থা। বর্তমানে ডব্লিউআইপিও’র সদস্য দেশ ১৯৩টি। সব সদস্য দেশের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য।

ভারতের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস রেজিস্ট্রি থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্কস বিভাগের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ১০ বছরের জন্য সনদ দেওয়া হয়। এই সনদ প্রাপ্তির জন্য ভারত আবেদন করেছিলো ২০২০ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। এখন টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ ফিরে পেতে হলে বাংলাদেশকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।

বিভিন্ন পণ্যের ন্যায্য সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু আন্তর্জাতিক আইন আছে। সেগুলো হলো- প্যারিস কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোপার্টি (১৮৮৩), মাদ্রিদ এগ্রিমেন্ট অন ইনডিকেটর অব সোর্স (১৮৯১), লিসবন এগ্রিমেন্ট ফর দ্য প্রোটেকশন অব অরিজিন অ্যান্ড দেয়ার ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন (১৯৫৮) এবং ডব্লিউটিওর বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব আইন (ট্রিপস-১৯৯৪)। কিন্তু সমস্যা হলো, বাংলাদেশ মাদ্রিদ এং লিসবন চুক্তির সদস্য না।

এমনটাই জানিয়ে ডিপিডিটি’র পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) আলেয়া খাতুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ লিসবন চুক্তির সদস্যভুক্ত দেশ না। আবার, মাদ্রিদ প্রটোকল চুক্তিতে ইন্ডিয়া মেম্বার, কিন্তু আমরা না। তাই ডব্লিউআইপিও-তে তারাও জানাতে পারবে না, আমরাও পারবো না।

তবে অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আইনগতভাবে টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই প্রাপ্তি সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়নি। এই বিষয়টির সুরাহা করতে হলে বাংলাদেশকে ভারতের আইনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং ঐ দুই যুক্তি ব্যবহার না করা গেলেও অন্য চুক্তিগুলো বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পারবে। ভারতের আইনের অধীনে তিন মাসের ভেতরে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এখনও আইনি সুরক্ষা চাইতে পারে। জানুয়ারি তো চলেই যাচ্ছে। ঐ আইনের অধীনে আগামী তিন মাসের মাঝে অ্যাপিল করতে হবে। দিল্লি বা ভারতে বাংলাদেশি হাইকমিশনের মাধ্যমে আইনজীবী নিয়োগ করে দ্রুত ভারতের আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন তিনি। সেইসাথে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থিত ডব্লিউআইপিও’র সঙ্গে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা প্রয়োজন। একইভাবে বাংলাদেশ সরকারের দ্রুতই একটি টাস্কফোর্স গঠন করা উচিৎ যেখানে নৃতত্ব, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, অর্থনীতি, ইতিহাস; সব ধরনের বিশেষজ্ঞ থাকবেন। এটা না করলে জার্নাল আধাখেচড়াভাবে হওয়ার সুযোগ থাকবে, যা আমাদের আবার বিপদে ফেলবে।

ভারত বিরোধিতা করলে কী হবে?
এখন ভারত যেহেতু ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে সনদ দিয়েছে, তাই ভারত সরকার চাইলে বাংলাদেশের ডিপিডিটি থেকে প্রকাশিত এই জার্নালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারে।

ভারত বিরোধিতা জানালে বাংলাদেশ কী করবে, এটা জানতে চাইলে ডিপিডিটির পরিচালক আলেয়া খাতুন বলেন, ভারত বিরোধিতা করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করবে। সেক্ষেত্রে আপত্তির নথিপত্র দেখাতে হবে, হিয়ারিংহবে। তারপর আমরা দুই পক্ষের ডকুমেন্টস দেখে সিদ্ধান্ত দেবো।

প্রায় একই কথা জানিয়েছেন সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানাও। তবে, ভারত বিরোধিতা করলে বাংলাদেশের সামনে ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বাইরে অন্য কোনো পথ খোলা নেই আপাতত।

ভারত বিরোধিতা করলে বাংলাদেশ ডব্লিউআইপিও-তে যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ বিতর্কে আমরা যাবোই না। এখন আমরা প্রাথমিক স্বীকৃতি দিয়েছি। দুই মাস পরে আমরা সার্টিফিকেশন দিবো। লিগ্যাল প্রসিডিওর বলতে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাইল্যাটারাল নেগোসিয়েশনে যাবো। কারণ, মাদ্রিদ প্রটোকলে আমরা এখনও স্বাক্ষর করি নি। এই কারণে আমাদের একমাত্র সমাধানের উপায় হলো বাই ল্যাটারাল। তারপরেও না হলে ডব্লিউআইপিও-তে যাবো।

তবে তিনি গত ৮ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, ভারত যদি আমার জিআই-কে হ্যাম্পার করে, তখন আমরা ইন্টার্ন্যাশনাল ডিসপিউট সেটেলমেন্টে যাবো। মানে, তখন আমাদেরকে ডব্লিউআইপিও’র মাধ্যমে ডিসপিউট সেটেলমেন্ট করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের ট্রেডমার্কস অ্যাক্ট সংশোধন করা হচ্ছে।

তবে ইন্ডিয়া যদি অভিযোগ করে, তবে তারা ডব্লিউটিও-তে করবে। আমাদের কাছে করবে না। তাই, এই বিষয়টা যদি ইন্টার্ন্যাশনাল হয়, তখন আমরাও ডব্লিউটিও-তে যাবো।”

একই কথা জানালেন সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানাও। তিনি বলেন, ভারত যদি আমার জিআই-কে হ্যাম্পার করে, তখন আমরা ইন্টার্ন্যাশনাল ডিসপিউট সেটেলমেন্টে যাবো। মানে, তখন আমাদেরকে ডব্লিউটিও’র মাধ্যমে ডিসপিউট সেটেলমেন্ট করতে হবে। অর্থাৎ, ডব্লিউআইপিও'র বিধিমালা মেনে একটা দেশ নিজেই তাদের নির্দিষ্ট কোনও পণ্যকে জি আই সনদ দেয়।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ডব্লিউআইপিওর নিয়ম মেনে বাংলাদেশের ডিপিডিটি জিআই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে। তবে অন্য কোনও দেশ যদি সেই পণ্যের বিরোধিতা জানিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও’র কাছে অভিযোগ করে, তখন সেখানে ডব্লিউটিও’র হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়।

একই জিআই পণ্য দুই দেশে থাকতে পারে?
ডব্লিউআইপিও'র বিধিমালা মেনে একটা দেশ নিজেই তাদের নির্দিষ্ট কোনও পণ্যকে জি আই সনদ দিতে পারলেও ঐ একই পণ্যকে যখন অন্য কোনও দেশ নিজেদের বলে দাবি করে, তখন সমস্যা তৈরি হয়। এমনটাই ঘটেছে টাঙ্গাইল শাড়ি ও সুন্দরবনের মধুর ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ এর আগে ২১টি পণ্যকে জিআই সনদ দিয়েছে। কিন্তু কখনও তাকে এমন অবস্থার মাঝে পড়তে হয়নি। অবশ্য, এর আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিলো। ২০১৭ সালে রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্র ফজলি আমের জিআই সনদের জন্য আবেদন করে। কিন্তু সেখানে অভিযোগ জানিউএ চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশন বলে, ফজলি আম তাদের পণ্য।

ডিপিডিটি পরিচালক আলেয়া খাতুন বলেন, তখন আমরা দুই পক্ষের বক্তব্য, ডকুমেন্ট, মাটি ইত্যাদি পরীক্ষা করলাম। তারপর সেগুলোর ফলাফল দেখে নাম দিলাম রাজশাহী-চাঁপাই ফজলি আম।

জিআই স্বীকৃতি নিয়ে দু'টো দেশের দ্বন্দ্বের উদাহরণ দিতে হলে বাসমতি চাল নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।

ভারতের জিআই আইন অনেক পুরনো। ১৯৯৯ সালে ভৌগোলিক নিদর্শন জিনিসপত্র (নিবন্ধকরণ এবং সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করে দেশটি। সেখানে পাকিস্তানে জিআই আইন করা হয়েছে ২০২০ সালে।

ভারত তাদের আইন অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাসমতি চালকে 'বাসমতি' নামে জিআই পণ্য হিসেবে সনদ দেয়। যদিও এর জন্য আবেদন করা হয়েছিলো ২০০৮ সালে। এই চাল তাদের ১৪৫তম জিআই পণ্য।

এদিকে, পাকিস্তানের 'ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন অব পাকিস্তান' নামক ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সনদ দেওয়ার পাঁচ বছর পর ২০২১ সালে পাকিস্তানও এটিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটিই পাকিস্তানের প্রথম জিআই পণ্য।

এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই দেশে একটি সমনামীয় পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেতে পারে। ডব্লিউআইপিও আইন অনুযায়ী, এগুলো তখন ক্রস বর্ডার জিআই হিসেবে পরিচিতি পায়।

ভারত টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পেতে পারে কি না
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতিতে ভারত এর নাম উল্লেখ করেছে টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল। বাংলাদেশের এই খাত সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ভারত আইনত টাঙ্গাইল নামটা ব্যবহার করতে পারে না।

বাংলাদেশের ডিপিডিটি'র পরিচালক আলেয়া খাতুন বলেন, ভারতে টাঙ্গাইল নেই, আমাদের টাঙ্গাইল আছে। তাদের শাড়িটার ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই বলেছে যে বাংলাদেশের তাঁতিরা সেখানে গিয়ে শাড়ি বানায়। আর, তারা একটা হাইব্রিড শাড়িকে টাঙ্গাইল শাড়ি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু হাইব্রিড কখনও জিআই হতে পারে না। জিআই হতে হলে একটা নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে এটা উৎপাদিত হতে হবে। তার একটা ঐতিহাসিক পটভূমি থাকতে হবে। টাঙ্গাইল শাড়ির ঐতিহ্য আমাদের টাঙ্গাইল জেলাতেই আছে।

ভট্টাচার্যও বলেন, যে টাঙ্গাইল শাড়ি কখনওই ভারতের জিআই পণ্য হতে পারে না।

কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতির জন্য তার ভৌগোলিক উৎস, মান এবং সুরক্ষার বিষয় জড়িত। আবেদনপত্রে বলেছে, টাঙ্গাইল শাড়ি যারা উৎপাদন করতেন, তারা হিন্দু ছিলেন এবং তারা অনেকেই দেশ ভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গ চলে গেছেন। কিন্তু তাঁতির বৈশিষ্ট্য পেশাভিত্তিক, ধর্মভিত্তিক না। আর তাঁতীরা ভারতে যাওয়ায় এই শাড়ির ভৌগোলিক পরিচয় তো তাতে পাল্টে যেতে পারে না। এই শাড়িকে জিআই করতে গিয়ে ভারত তথ্যের অপব্যবহার করেছে। তারা বক্তব্য বিভ্রান্তিকর, অসত্য ও অর্ধ সত্য। তাই এই আবেদনও বিবেচনা করার বিষয়।

তবে টাঙ্গাইল শাড়ির ক্ষেত্রে ভারত এমন দাবি করতে না পারলেও সুন্দরবনের ক্ষেত্রে পারে উল্লেখ করে আলেয়া খাতুন বলেন, কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে হতে পারে। যেমন, সুন্দরবন। তাদের সুন্দরবন আছে, আমাদেরও আছে। তাদের মনিপুরী শাড়ি আছে, আমাদেরও আছে। তাদেরটা তাদের, আমাদেরটা আমাদের।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া বলেন, যার যার টেরিটরি অনুযায়ী, সে জিআই দিতে পারে। ভারত তার টেরিটরিতে দিয়েছে। আমরা আমাদেরটা দিবো...সুন্দরবনের মধুর ক্ষেত্রে আমরা বলবো বাংলাদেশের সুন্দরবনের মধু, তারা বলবে ভারতের সুন্দরবনের মধু। এখানে কোনও সমস্যা নেই।

ভট্টাচার্যও তার বক্তব্যতে তুলে ধরেন যে ভারত যেমন টাঙ্গাইল শাড়িকে বাংলার শাড়ি বলতে পারে না, তেমনকি তাদের সুন্দরবনের মধুকেও শুধুমাত্র সুন্দরবনের মধু বলতে পারে না। কারণ এতে সমগ্র বাংলা বা সুন্দরবনকে বোঝায়, যা বিভ্রান্তিকর। উল্লেখ্য, এবছর টাঙ্গাইল শাড়ির পাশাপাশি সুন্দরবনের মধুকেও জি আই সনদ দিয়েছে ভারত। যদিও সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ পড়েছে বাংলাদেশের ভেতরে।

জিআই কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ
কোন পণ্য কেনার সময় ক্রেতাদের নানা দিক ভাবতে হলেও জিআই পণ্য কেনার সময় তাদেরকে পণ্যের মান নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ জিআই পণ্যকে মানসম্পন্ন বলে ধরে নেয়া হয়। ভৌগোলিক গুণ, মান ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকায় ক্রেতারা পণ্যটির ওপর আস্থা রাখতে পারেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের কৃষিপণ্য, প্রকৃতি থেকে আহরিত সম্পদ ও কুটির শিল্পকে এই সনদ দেয়। কারণ একটা পণ্য যখন জিআই স্বীকৃতি পায়, তখন সেটিকে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়। শুধু তাই নয়, সনদ প্রাপ্তির পর ওই অঞ্চল বাণিজ্যিকভাবে পণ্যটি উৎপাদন করার বিশেষ অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পায়। অন্য কোনও দেশ বা অন্য কেউ তখন আর সেই পণ্যের মালিকানা বা স্বত্ব দাবি করতে পারে না। টাঙ্গাইল শাড়ি যদি পাকাপাকিভাবে জিআই সনদ পেয়ে যায়, তখন ডিপিডিটি একে একটি জিআই ট্যাগ দিবে। যারা এই শাড়ির আসল উৎপাদনকারী, তারা দেশে বিদেশে সব জায়গায় ঐ ট্যাগটি ব্যবহার করতে পারবেন।

09/02/2024

কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা বন্ধ না হলে
আমরা অশান্ত হতে সময় লাগবে না

-মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব
সহ সভাপতি, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ

পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতেরাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিলকাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা...
09/02/2024

পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে
রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল

কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের কথিত সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (০৯ ফেব্রুয়ার) শুক্রবার, বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম উত্তর গেইটে এ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে পল্টন মোড় ঘুরে, নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে বিজয়নগর মোড়ে এসে শেষ হয়। দু'আ পরিচালনা করেন সদস্য সচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।

সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশের আহবায়ক মাওলনা আবদুল হামীদ মধুপুরী বলেন, পঞ্চগড়ে ‘তথাকথিত আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ কাদিয়ানি সম্প্রদায় কর্তৃক আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি সালানা জলসার নামে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের মঞ্চ করার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে তাদের অবৈধ সালানা জলসা বন্ধ করে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি সরকার তাদের জলসা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশের শীর্ষ মুরব্বি আলেম উলামা ও ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পরিষদের সদস্য সচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, জাতীয় সংসদে নবগঠিত সরকারের চলতি অধিবেশনে অন্যান্য মুসলিম দেশের ন্যায় এদেশেও যেন কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার প্রস্তাব তুলে বিল পাস করা হয়। এজন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এটা এদেশের সাধারণ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার। এছাড়া এদেশে কাদিয়ানিরা তাদের ধর্মীয় পরিচয়ে বসবাস করবে। এই অধিকার সংবিধান তাদেরকে দিয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের পরিভাষা ও পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দেওয়ার অধিকার সংবিধান তাদেরকে দেয়নি। তাই পঞ্চগড়ে মুসলমানদের পরিভাষা ও পরিচয় ব্যবহার করে তাদের সালানা জলসা করা একটি অসাংবিধানিক কাজ। তাছাড়া বিগত বছর সেখানে তাদের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিলো। এবারো যদি তাদের জলসার কারণে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের দাবি হলো পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের সালানা জলসা বন্ধ করতে হবে। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্বের সকল মুসলিমের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাদিয়ানিরা অমুসলিম। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলিম পরিচয়ে এবং মুসলমানদের পরিভাষা ব্যবহার করে কোনো জলসা করার অধিকার কাদিয়ানীরা রাখে না। বক্তারা কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং কাদিয়ানীদের অর্থ যোগানদাতা প্রাণ, আর এফ এল, ভিশনসহ তাদের দোসর সকল কোম্পানীর পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে মাওলানা এনামুল হক মুসার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য প্রদান করেন, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা নাজমুল হক, মুফতি নূর হোসেন নূরানী, মুফতি শুয়াইব ইবরাহীম, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মুফতী আলী আকরামসহ প্রমুখ।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ittehad News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share