SKY Global Network

SKY Global Network ★ আমরা জানতে এবং জানাতে চাই ★

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ- ১ (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত কেন? রাজধানী...
05/11/2025

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ- ১ (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত কেন? রাজধানীর পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জের ৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও মানিকগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

জানাগেছে, মানিকগঞ্জের ৩টি আসনের মধ্যে এই আসনটি বরাবরই রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিতের যে কেন সংগ্রাম ও আন্দোলনে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের মানুষের ভুমিকা রয়েছে উল্লেখ করার মত।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আসনে শীর্ষ নেতৃত্ব কাকে মনোনয়ন দেবেন তা নিয়ে দ্বিধা থাকায় প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখা হতে পারে।

এই আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন-প্রয়াত বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএ কবির জিন্নাহ, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা কৃষক দল সভাপতি তোজাম্মেল হক তোজা এবং অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। নির্বাচনী মাঠে এরা কেউ-কাউকে ছাড় দিতে নারাজ বলেও এলাকায় বেশ গুঞ্জন রয়েছে।

কঠোর মনোভাপন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশী এরা সকলেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারের এলাকায় ব্যস্ত সময় পাড়ের মধ্যেও সর্বশেষ দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন বলেও দলীয় সুত্র জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এ আসনে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটার ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৭১ জন। নতুন ভোটার প্রায় ২১ হাজার।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করেন বিএনপির তুখোড় ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।
সেই নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন আরেক নেতা তোজাম্মেল হক তোজা। যার ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হতে হয় পাঁচ বারের বিজয়ী দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে।
বিএনপি নেতাদের মতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী তোজার কারনেই ভরাডুবি হয়েছিল সাবেক মহাসচিবের। তবে, এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রয়েছে ভিন্ন মত।

১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ভোট বর্জন করায় এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পূত্র বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু এ আসনে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করলেও আগের রাতে ভোট করার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোট বয়কট করলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী এই আসনে বিএনপির কোন প্রার্থী ছিলনা। তবে, এবার ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন কে পান তা দেখার অপেক্ষায় কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররা।

এবিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই আসনের মনোনয়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা প্রত্যাশা করছেন, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও দলীয় সাংগঠনিক দক্ষতা এবং গ্রহণযোগ্যতার ভারসাম্য বিবেচনায় শিগগিরই এই আসনেও চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা আসবে।

০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার

২৩৭ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত, কোন আসনে কে?আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্র...
03/11/2025

২৩৭ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্ত, কোন আসনে কে?

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রথমবারের মতো

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ফেনী–১, বগুড়া–৭ ও দিনাজপুর–৩ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করবেন বগুড়া-৬ আসনে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে।

এছাড়া আলোচিত ও উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন: ভোলা-৩ আসনে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-১২ সাইফুল ইসলাম নিরব, ঢাকা-৬ ইশরাক, ঢাকা-১৪ সানজিদা ইসলাম তুলি, নেত্রকোণা-৪ লুৎফুজ্জামান বাবর, ঢাকা-১৯ সালাহ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ-২ ইকবাল হাসনা মাহমুদ টুকু, ঢাকা-২ আমান উল্লাহ আমান, কুমিল্লা-১ ড. মোশাররফ হোসেন, চাঁদপুর- ১ এহসানুল হক মিলন, ঢাকা-১৬ আমিনুল হক, লক্ষীপুর-৩ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও চট্টগ্রাম-৭ হুম্মাম কাদের চৌধুরী।

কক্সবাজার-১ সালাহউদ্দিন আহমদ, কক্সবাজার-৪ শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-১৩ সরওয়ার জামাল নিজাম, নোয়াখালী-১ মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-৩ বরকত উল্লাহ বুলু, কিশোরগঞ্জ- ৪ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. ওসমান ফারুক, ময়মনসিংহ-১ এমরান সালেহ প্রিন্স, নরসিংদী- ২ ড. আব্দুল মঈন খান, ফরিদপুর- ২ শ্যামা ওবায়েদ, টাঙ্গাইল-৮ আহমেদ আজম খান।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বগুড়া-৬ আসন থেকে ভোটের মাঠে নামবেন।

০৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার

নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্ত হয়নি বিকাশ, অনুমোদন পায়নি নগদব্যাংক, মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) ও পিএসপির মধ্যে আন্...
02/11/2025

নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্ত হয়নি বিকাশ, অনুমোদন পায়নি নগদ

ব্যাংক, মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) ও পিএসপির মধ্যে আন্তঃলেনদেন সেবা চালু হয়েছে। এ সেবায় অনেক প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলেও শীর্ষ স্থানীয় এমএফএস বিকাশ নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্ত হয়নি। আর নগদকে যুক্ত হওয়ার অনুমোদন দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এনিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, ইন্টারঅপারেবল লেনদেন চালুর জন্য কারিগরি ও অর্থ স্থানান্তরের চার্জ নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকে যেসব বৈঠক হয়েছে সেখানে অন্যদের সঙ্গে বিকাশ এবং নগদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সব প্রতিষ্ঠানের মতামত নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর সার্কুলার দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ব্যাংক, এমএফএস এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে ইন্টারঅপারেবল লেনদেন চালুর জন্য ১ নভেম্বর তারিখ ঘোষণা করে। তবে গত বৃহস্পতিবার এ সেবায় ১০টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলেও নগদকে এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার অনুমোদন দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। আর অনুমোদন পেলেও গত বৃহস্পতিবার অফিস টাইম শেষে ৬টা ৪৪ মিনিটে বিকাশ এ সেবা যুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত নয় জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়।

কী ধরনের নিরাপত্তা ইস্যুর জন্য যুক্ত হয়নি তা জানতে চাইলে বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম আমার দেশকে বলেন, বিকাশ শুরু থেকেই বাংলাদেশে ব্যাংকের আন্ত:লেনদেন সেবা চালুর উদ্যাগের সঙ্গে যুক্ত আছে। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে এই সেবার সর্বশেষ সংস্করণে যুক্ত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এই সুবিধা গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল লেনদেন আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলবে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ইতোমধ্যেই আংশিকভাবে লেনদেন চালু করেছে বিকাশ। তবে গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে কিছু লেনদেন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, কেননা, আন্ত:লেনদেনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা এই ব্যবস্থায় সংযুক্ত অন্যান্য অংশীজনদের উপরও নির্ভর করে। তাই এই মুহূর্তে আমরা শক্তিশালী অথেন্টিকেশন এবং স্তরভিত্তিক (লেয়ারড) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে লেনদেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় এবং এই সংক্রান্ত কোনো বিরোধ (ডিসপিউট) দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধান করা যায়। সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পর, আমরা আশা করি খুব দ্রুতই গ্রাহকরা পূর্ণাঙ্গভাবে সেবাটি ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, মার্কেটে যে যত বড়ই হোক কারো বিষয়ে পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আমরা সবাইকে নিয়ে আন্তঃলেনদেন চালু করতে চেয়েছি। কিন্তু শেষ মুহুর্তে বিকাশ নিরাপত্তা ইস্যুতে তিন মাস সময় চেয়েছে। সেই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে আমরা তাদের ডাকবো কেনো তিন মাস সময় লাগবে সেই বিষয়ে জানতে। আর নগদের আইনি জটিলতা থাকার কারণে অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে গভর্নর সঙ্গে এ বিষয়ে মিটিং হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জানান, নগদ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সেবায় যুক্ত হতে নগদের আইনি জটিলতা থাকার কথা না। কোন কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেদের প্রশাসকের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না তা বোধগম্য নয়।

০২ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েলপ্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প...
31/10/2025

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নিউটন কাউন্টির প্রান্তে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণ করার পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা নলকূপর পানির ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে, বেভারলি (৭১) এবং জেফ মরিস (৬৭) দম্পতির সংকটের কথা উল্লেখ করেছে। তাঁদের বাড়িটি মেটার ডেটা সেন্টার থেকে মাত্র ১ হাজার ফুট দূরে। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কয়েক মাস পরই বাড়ির পানির কল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই দম্পতি ইতিমধ্যে পানির সমস্যা সমাধানে ৫ হাজার ডলার খরচ করেছেন। নতুন নলকূপ বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ২৫ হাজার ডলার জোগাড় করতে পারছেন না।

ডেটা সেন্টার এবং অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির কারণে পানির ব্যবহার যে হারে বেড়েছে, তাতে স্থানীয়দের জীবন ও সরকারি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দুটোই হুমকির মুখে পড়েছে।

ডেটা সেন্টারগুলো শীতল রাখার জন্য দৈনিক বিপুল পরিমাণ পানি ব্যবহার করতে হয়। মেটা যেই আকারের ডেটা সেন্টার ব্যবহার করে তেমন একটি ডেটা সেন্টার সাধারণত দিনে ৫ লাখ গ্যালন পানি ব্যবহার করে। নতুন এআই-ভিত্তিক ডেটা সেন্টারগুলোতে প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন গ্যালন পানি লাগতে পারে। নিউটন কাউন্টিতে এই পরিমাণ পানি সরবরাহ করা অসম্ভব।

একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নিউটন কাউন্টি ২০৩০ সালের মধ্যে গুরুতর পানি সংকটের মুখে পড়তে চলেছে। এরই মধ্যে কাউন্টির ওয়াটার অথোরিটি আগামী দুই বছরের মধ্যে পানি বিল ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা স্বাভাবিক ২ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি। যেখানে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আটলান্টা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টা পূর্বে অবস্থিত এই নিউটন কাউন্টির জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার।

মেটার প্রকল্পটি ছিল জর্জিয়ায় আসা প্রথম বড় ডেটা সেন্টার। ২০১৮ সালে এটির কাজ শুরু হয়, শেষ হয় গত বছর। রাজস্ব বৃদ্ধির আশায় স্থানীয় কর্মকর্তারা এই প্রকল্পগুলোতে উৎসাহ জুগিয়েছেন।

নিউটন কাউন্টি ওয়াটার অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথোরিটির নির্বাহী পরিচালক মাইক হপকিন্স জানান, মেটার ডেটা সেন্টার বর্তমানে কাউন্টির মোট দৈনিক পানি ব্যবহারের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহার করছে। সম্প্রতি, নয়টি কোম্পানি নিউটন কাউন্টিতে ডেটা সেন্টার তৈরির আবেদন করেছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান দিনে ৬০ লাখ গ্যালন পর্যন্ত পানি চেয়েছে—যা কার্যত কাউন্টির পুরো দৈনিক ব্যবহারের সমান।

কাউন্টির পানি সরবরাহ কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্ব্যবহার সুবিধা উন্নত করতে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচের একটি প্রায় অসম্ভব প্রকল্প বাস্তবায়নে তোড়জোড় শুরু করেছে, যাতে এই সংকট মোকাবিলা করা যায়।

অলাভজনক পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা চ্যাট্টাহুচি রিভারকিপার-এর ওয়াটার পলিসি ডিরেক্টর ক্রিস মাংগানিয়েলো জানিয়েছেন, ডেটা সেন্টার কোম্পানিগুলো সাধারণত তাদের পানি ব্যবহারের পরিমাণ প্রকাশ করে না। তিনি একসময় ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, একটি ডেটা সেন্টার কোম্পানি দিনে ৯০ লাখ গ্যালন পানি চেয়েছে, যা প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের দৈনিক ব্যবহারের সমান।

এই চাপের কারণে কিছু আইনপ্রণেতা কর প্রণোদনা বাতিল করার জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অজুহাত দেখিয়ে গভর্নর ব্রায়ান কেম্প সেটিতে ভেটো দিয়েছে।

মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মরিস দম্পতির জমিতে একটি নলকূপ সমীক্ষা করেছে। তারা দেখেছে, ডেটা সেন্টার পার্শ্ববর্তী ভূগর্ভস্থ পানির সরবরাহকে প্রভাবিত করেছে এমন সম্ভাবনা ‘খুব কম’।

৩১ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবেঅবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিরাপত্...
31/10/2025

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং রাজস্ব সুরক্ষা জোরদার করার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই (IMEI) যুক্ত মোবাইল ফোন দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ ডিভাইস ও সিমের মাধ্যমে। অবৈধ হ্যান্ডসেটের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত সুবিধা নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় ও গ্রাহক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সিমের মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি কমিয়ে আনবে।

বিটিআরসি বলছে, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সংক্রান্ত প্রতারণা সহজে শনাক্ত করা যাবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে থাকার কারণে মোবাইল ফোনের দাম কমছে না। এনইআইআর কার্যকর হলে দেশীয় ১৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ফোন বিক্রি করতে পারবে।

নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়:

১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে যাচাই করবেন এবং ক্রয়কৃত হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করবেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।

ধাপ-১:

মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345।

ধাপ-২:

IMEI নম্বরটি লেখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।

ধাপ-৩:

ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া:

বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করার পর শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে।

বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করার পদ্ধতি:

ধাপ-১:

neir. btrc. gov. bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।

ধাপ-২:

পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট-এর IMEI নম্বরটি দিন।

ধাপ-৩:

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটন প্রেস করুন।

ধাপ-৪:

হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে।

মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বাদে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে আরও একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।

স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি (বিদেশ থেকে আনা ফোনের জন্য প্রযোজ্য) :

কেনা ফোন:

১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;

২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;

৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;

৪। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে);

উপহার পাওয়া ফোন:

১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;

২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;

৩। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি; (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে) ;

৪। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;

৫। উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়পত্র (শুধু উপহার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে)

এয়ার মেইলে আনা ফোন:

১। প্রেরকের পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতা অথবা জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি; (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

২। প্রাপকের জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি;

৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;

৪। শুল্ক প্রদানের রসিদের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে)।

ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া:

বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জানতে:

ধাপ-১: মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১ # নম্বরে ডায়াল করুন।

ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে পাঠান।

ধাপ-৩: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।

উল্লেখ্য, neir. btrc. gov. bd লিংকের মাধ্যমে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যে বর্ণিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।

নিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন বাতিল) করার প্রক্রিয়া:

১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি বিক্রয়/হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে হস্তান্তর করা যাবে। De-Registration করার সময় অবশ্যই NID-এর শেষের ৪ (চার) ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে যেভাবে:

ক) Citizen Portal (neir. btrc. gov. bd)

খ) MNO Portal

গ) Mobile Apps

ঘ) USSD Channel (* ১৬১৬১ #)

ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত:

ক) ডি-রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমটি অবশ্যই নিজ NID-তে নিবন্ধিত হতে হবে।

খ) ক্লোন/ডুপ্লিকেট IMEI-সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।

করপোরেট সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:

করপোরেট সিম ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের মধ্যে USSD চ্যানেল অথবা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত NID-এর তথ্য দেওয়ার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। করপোরেট গ্রাহক বর্ণিত তথ্য জমা প্রদান সাপেক্ষে ব্যক্তিগত NID অথবা কি কন্টাক্ট-পয়েন্ট (KCP)-এর NID দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। অন্যথায় শুধু কি কন্টাক্ট পয়েন্ট (KCP)-এর NID-এর তথ্য দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।

ফোন চুরি হওয়া বা হারালে ব্লক করবেন যেভাবে:

গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসমূহ চুরি হওয়া বা হারানো গেলে এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd)-এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক/আনলক করা যাবে।

ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এনইআইআর সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া:

দেশের জনসাধারণ USSD চ্যানেল/এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd) এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে এনইআইআর সিস্টেমের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে যেসব মোবাইল গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাঁরা USSD চ্যানেল/ ১২১ ডায়াল করে/সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এনইআইআর-এর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়:

বর্তমানে কমিশনের নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশের চাহিদার বেশির ভাগ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। এ ছাড়া কমিশনের নিবন্ধিত ভেন্ডর কর্তৃক অল্প কিছু মডেলের (যেগুলো দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়) মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি করে থাকে। হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:

ক) কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করতে হবে।

খ) উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাতকরণের আগে IMEI নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কমিশনে জমা দিতে হবে।

গ) বাজারজাতকরণের আগে IMEI কমিশনে জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।

মোবাইল ফোন বিক্রেতার করণীয়:

মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:

ক) উৎপাদনকারী/আমদানিকারক থেকে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ডেলিভারি নেওয়ার পূর্বে IMEI যাচাই করতে হবে।

খ) ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট (যেগুলো BTRC-এর ডেটাবেইসে নেই) বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।

এনইআইআর সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করে এবং অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যাবে।

৩১ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা — আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমকে সেপ্টেম্বরের...
23/10/2025

অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা — আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা আরও সময় নিতে চান। সরকারের একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আপাতত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখাননি। তিনি সরকারে থেকেই কাজ চালিয়ে যেতে চান। অপরদিকে স্থানীয় সরকার, ক্রীড়া ও যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পদত্যাগ করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদিও কোনো সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

আসিফ মাহমুদ গত ১৪ আগস্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তিনি পদত্যাগ করবেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি যে আমি কখন নেমে যাই। মানে আমি কখন নামবো, আমি জানি না।’

‘এনসিপির ঘনিষ্ঠ’ এই দুই উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেওয়ার আলোচনা সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এনসিপি নেতারা বলছেন, উপদেষ্টা পরিষদে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা থাকলেও কেবল ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া অগ্রহণযোগ্য।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ঠিক করা হতে পারে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা পরিষদের রদবদল এখন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে।

বিএনপি উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দলীয় লোকদের অপসারণ চেয়েছে। এনসিপির অভিযোগ, উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কোনো কোনো উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃৃহস্পতিবার

18/10/2025

বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের দৃশ্য।

তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বেপরোয়াভাব চলে আসতে পারে, এমন আশঙ্কাও করেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।১৮ অ...
18/10/2025

তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বেপরোয়াভাব চলে আসতে পারে, এমন আশঙ্কাও করেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।

১৮ অক্টোর ২০২৫, শনিবার

17/10/2025

জুলাই সনদে উত্তপ্ত সংসদ ভবন

১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার

🛑 শাপলার বিকল্প বেছে না নিলে ইসির পছন্দের প্রতীক পাবে এনসিপিনির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘জাতী...
14/10/2025

🛑 শাপলার বিকল্প বেছে না নিলে ইসির পছন্দের প্রতীক পাবে এনসিপি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ১৯ তারিখের মধ্যে অন্য প্রতীকের নাম দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ে নাম না দিলে কমিশন স্বীয় বিবেচনায় একটি প্রতীক বরাদ্দ দেবে।’

আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত তালিকায় না থাকলেও এনসিপি শাপলা প্রতীকের জন্য অনড় অবস্থানে রয়েছে। এর আগে গত জুনে শাপলা বা দোয়েল পাখি প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে নিরাশ হয় নাগরিক ঐক্য। এনসিপির দাবির পর নাগরিক ঐক্য থেকেও পুনরায় ইসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

পরে ২৪ সেপ্টেম্বর এনসিপি নির্বাচন কমিশনের কাছে বিধিমালা সংশোধন করে শাপলা প্রতীক তালিকাভুক্ত করে বরাদ্দ দিতে দরখাস্ত করে।

এরপর গত ৭ অক্টোবর ই-মেইলের মাধ্যমে শাপলার সাতটি নমুনাচিত্র যুক্ত করে কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো চিঠি পাঠায় এনসিপি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়। পরে এনসিপি গত ৩ আগস্ট কমিশনের কাছে চিঠির মাধ্যমে পার্টির অনুকূলে প্রতীক সংরক্ষণের ক্রম হিসেবে ১. শাপলা ২. সাদা শাপলা ও ৩. লাল শাপলা পছন্দ করে। এ ছাড়া ওই চিঠিতে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে শাপলার ভিন্ন ভিন্ন ভার্সন বা আংশিক ‘ডিসটর্টেট’ ভার্সন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এনসিপি সব সময় আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়।

চিঠিতে শাপলার সাতটি নমুনাচিত্র যুক্ত করে বলা হয়, এ পত্রে উপস্থাপিত নমুনার বাইরেও শাপলার আংশিক ভিন্নতর কোনো নমুনার ব্যাপারে আলোচনা করতেও এনসিপি প্রস্তুত রয়েছে।

এনসিপি মনে করে, গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীককেন্দ্রিক তার গভীর সংযোগ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। শাপলা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক, কর্মী ও নেতাদের দেশের জনগণের সঙ্গে চমৎকার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। দেশের মানুষের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার শক্তি এনসিপির নেই। ফলে শাপলা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের পাঠানো ৩০ সেপ্টেম্বরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বেঁধে দেওয়া তালিকা থেকে অন্য কোনো প্রতীক পছন্দ করা এনসিপির জন্য সম্ভব নয়।

১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গরবার

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বেশ কিছুসংখ্যক নারী। এরা রাজনীতিতে এসেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। নির্বাচনে প্রার্থীর ক...
14/10/2025

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বেশ কিছুসংখ্যক নারী। এরা রাজনীতিতে এসেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। নির্বাচনে প্রার্থীর ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতেও উত্তরাধিকার সূত্রে আসা অনেক নারী রয়েছেন।

তারাও আসন্ন নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য কাজ করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইতোমধ্যেই তারা ভোট চাইছেন দাঁড়িপাল্লায়। তবে জামায়াত থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নারীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতিতেও এসেছেন অনেক নারী। তারাও প্রার্থী হবেন নির্বাচনে। তবে এই নারীরা উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে আসেননি, তারা এসেছেন জুলাই-বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়ে। এছাড়া জাতীয় পার্টিসহ অন্য দল থেকেও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। এই নারীরাও রাজনীতিতে এসেছেন, হয় পিতা কিংবা স্বামীর পরিচয়ে।

রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র নতুন কিছু নয়। উপমহাদেশের রাজনীতি পর্যালোচনা করলে এর অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। যারাই রাজনীতিতে সফল হয়েছেন, তারা পিতৃতান্ত্রিক বা পরিবারতান্ত্রিক পরিচয়েই হয়েছেন। এর বাইরে সফল হয়েছেন এমন সংখ্যা খুবই বিরল। যেমন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েক ও চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো। তেমনি ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট কোরাজন একুইনো। এক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রম ইন্দিরা গান্ধী। রাজনীতিতে তার পরিচয় শুধু উত্তরাধিকার সূত্রেই নয়, তিনি বাবা জওহরলাল নেহরুর মেয়ে হওয়ার সুবাদে দীর্ঘ সময় রাজনীতি শেখা বা চর্চা করার সুযোগ পেয়েছেন। অক্সফোর্ডে পড়েছেন এবং উপমহাদেশের রাজনীতিতে একজন দক্ষ রাজনীতিক হয়ে উঠেছিলেন। বেনজীর ভুট্টোর বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭২ সালে পাকিস্তান-ভারত সিমলা চুক্তি করার সময় মেয়েকে সঙ্গে করে ভারতের সিমলায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনিও রাজনীতিতে বাবার সান্নিধ্য পেয়েছেন।

বাংলাদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ব্যতিক্রম। স্বামীর পরিচয়সূত্রে রাজনীতিতে এলেও তিনি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকাকালে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে তিনি রাজনীতির মাঠে এসেছেন। রাজপথে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন করার মাধ্যমে। তিনি সক্রিয় কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপিকেও শক্তিশালী দলে পরিণত করেছেন। এর ফলে তিনি রাজনীতিতে নিজের একটি স্বকীয় পরিচয় দাঁড় করাতে সক্ষম হন। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতি আলোকিত এবং আলোড়িত করেন। অন্যদিকে ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকারী হিসেবে রাজনীতিতে আসেন এবং ক্ষমতা লাভ করেন। তিনি যতদিন রাজনীতি ও ক্ষমতায় ছিলেন, বাবার রাজনীতিকে পুঁজি করেই ছিলেন। বাবার জয়গান গেয়েই তিনি বছরের পর বছর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তরাধিকার ও পারিবারিকসূত্রে অনেক নারী এসেছেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যারা এসেছেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন—

প্রবীণ রাজনীতিক ও ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদের মেয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সরাইল আসন থেকে নির্বাচন করতে চান।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব এবং সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদ। তিনি ফরিদপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রয়াত উপদেষ্টা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। তিনি হাটহাজারী আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তার বাবাও এই আসন থেকে চারবার এমপি হয়েছিলেন।

বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী হারুণার রশীদ খান মুন্নুর বড় মেয়ে আফরোজা খানম রিতা মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের মেয়ে সালিমা তালুকদার আরুনী জামালপুর-৪ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমানের মেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরামর্শ কমিটির বিশেষ সহকারী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলও মনোনয়ন চাইছেন। বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা সিলেট-২ থেকে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। এছাড়া প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি স্বামীর আসন ঢাকা থেকে ভোট করতে চান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তার স্ত্রী ও মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের জন্য মনোনয়ন চাইছেন ঢাকা-৯ আসন থেকে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান তার মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী মাহরীন খানের জন্য নরসিংদীর একটি আসনে মনোনয়ন চাইছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) থেকে নির্বাচন করবেন, তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ কক্সবাজার-১ থেকে নির্বাচন করতে চান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নির্বাচনি এলাকা সিরাজগঞ্জ-২, তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মামলার কারণে অংশ নিতে পারেননি। সেই সময়ে তার সহধর্মিণী রুমানা মাহমুদ এই আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। তাই টুকুর নিজের আসন নিশ্চিত হলে নিজের সহধর্মিণীর জন্য এবার তিনি আরো একটি আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন।

নরসিংদী-১ আসনের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। তার সহধর্মিণী বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা। তিনি মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকার যে কোনো একটি আসনে মনোনয়ন চাইছেন।

আওয়ামী লীগেরও অনেক নারী রাজনীতিবিদ আছেন যারা বাবা বা স্বামীর উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে এসেছেন। কিন্তু দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় সম্ভবত তারা এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের ঢাকায় উত্তরা থেকে প্রার্থী হবেন।

ভারতের জওহরলাল নেহরুর কথা আগেই উল্লেখ করেছি। নেহরু ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, যিনি পরবর্তীকালে ভারতীয় অধিরাজ্য ও পরে প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার পর দলে নেহরু পরিবারের আধিপত্য ছিল, যার মধ্যে ছিলেন তার মেয়ে ইন্দিরা গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে রাজীব গান্ধী। একইভাবে পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজীর ভুট্টো দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ঠিক একইভাবে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পিতংতার্ন সিনাওয়াত্রাও স্বাদ পান ক্ষমতার।

রাজনীতিতে নারীর সংখ্যা বাড়লে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ২০২১ সালের কোলোরাডো বোলডার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সংসদে নারীরা প্রভাবশালী হলে সাধারণত দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ বাড়ে। একইভাবে ২০২০ সালের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর সংসদে নারীদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় বৃদ্ধি এবং শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের সম্পর্ক পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার কারটিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সুপারিশ করেছিলেন, যেসব সংসদে নারীর সংখ্যা বেশি, সেসব সংসদ শক্তিশালী জলবায়ু নীতিমালা তৈরি করতে পারে। তবে মার্কিন থিংক ট্যাঙ্ক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের (সিএফআর) উইমেন্স পাওয়ার ইনডেক্সের নোয়েল জেমস সতর্ক করে বলেন যে, নারীদের নির্বাচিত করাই এই ফলাফলের নিশ্চয়তা দেয় না। তার যুক্তিতে, নারীরা কোনো সমজাতীয় গোষ্ঠী না– ফলে সবাই লিঙ্গ সমতা, শান্তি বা সহযোগিতার পক্ষে সমর্থন করবে না। তবে পরিবারতন্ত্র থেকে আসা এই নারী নেতৃত্ব ইতিবাচক রাজনীতির ধারা তৈরি করে রেখে যেতে সক্ষম হলে ভবিষ্যতে এই ধারার বাইরে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়তে পারে।

এদিকে, উইমেন্স পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ১৯৪৬ সাল থেকে বিশ্বের ৮০টি দেশের রাষ্ট্রপতি বা সরকার প্রধান নারী ছিলেন, যা মোট দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ। ১৯৬০ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের সবাই ছিলেন শাসকগোষ্ঠীর কেউ যারা উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতা পেয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল চেঞ্জ ডেটা ল্যাবের প্রকল্প প্রধান বাস্টিয়ান হের বলেন, তারপর থেকে আরো অনেক দেশ তাদের প্রধান নির্বাহী হিসেবে নারীদের পেয়েছে। এটি এমন একটি প্রবণতা যা মূলত গণতন্ত্র দ্বারা চালিত। তবে, সর্বোচ্চ পদের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদের সংখ্যা এখনো অনেক কম। প্রায় সব প্রধান রাজনৈতিক পদগুলো পুরুষরা দখল করে আছেন।

আফরোজা খানম

বাবা বিএনপির সাবেক এমপি হারুণার রশিদ খান মুন্নু। বাবার পথ ধরে তিনিও মানিকগঞ্জের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী বাবার মেয়ে হওয়ার দরুন তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন, মানুষের উপকার করতে হলে প্রয়োজন সততা। তিনি সৎ থেকে মানুষের উপকার করে যেতে চান।

শামা ওবায়েদ

রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদ রাজনীতির পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। তিনি ২০০৮ সালে ফরিদপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। বর্তমানে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবার পরিচয়ে পরিচিত হলেও তিনি নিজের নেতৃত্বগুণে এগিয়ে যাচ্ছেন। সংসার, ব্যবসার পাশাপাশি বৈশ্বিক অঙ্গনে বিএনপির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।

ফারজানা শারমিন পুতুল

উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে আসেন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও প্রয়াত ফজলুল রহমান পটল তার বাবা।

তিনি আমার দেশকে জানান, নিজের দায়বদ্ধতা থেকে রাজনীতিতে আসেন। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পেছনে পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। বাবার শূন্যস্থান পূরণ এখন তার ইচ্ছা। তবে সেটি তিনি করতে চান নিজ যোগ্যতায়।

নিপুণ রায় চৌধুরী

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। শ্বশুর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের এ অগ্রসৈনিক ঢাকা-৩ আসনে নানা জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছেন। নিপুণ এখান থেকেই নির্বাচন করতে চান।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

রাজনীতিবিদ অলি আহাদের মেয়ে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ২০১৮ সালে তিনি ছিলেন সংরক্ষিত আসনের এমপি। টকশোতে আওয়ামী সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। তবে তার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যের কারণে রাজনীতিতে কিছুটা বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন।

বিএনপির এই নেত্রী আমার দেশকে বলেন, পরিবারতন্ত্র থেকে আমি আজকের এই অবস্থানে আসিনি। কারণ আমার বাবার রাজনীতির আদর্শ ও দল ছিল ভিন্ন। বলা যায়, একেবারেই শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে। এজন্য আমাকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সাবিহা ইসলাম রোজীর দৃষ্টিতে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়। তিনি আমার দেশকে বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের মেয়েরা রাজনীতিতে আসছেন—বিষয়টিকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। এতে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। আমার মনে হয়, বাবা বা স্বামী যদি দক্ষ রাজনীতিবিদ হন, তবে সন্তানরা তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। তারা যদি পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসতে পারেন তবে সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে।

নারীদের রাজনীতিতে আসতে উৎসাহ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবিহা ইসলাম আরো বলেন, তারা রাজনীতিতে আসতে যদি উৎসাহবোধ করেন পরিবার থেকে তাদের বাধা না দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। বর্তমানে রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে নারীর সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। জাতীয় সংসদে নারী নেত্রীরা অনেক ক্ষেত্রেই ভালো কাজ করছেন। যতটুকু সম্ভব কাজ করছেন।

জামায়াতের নারী নেত্রী

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের স্ত্রী ডা. আমেনা দলের সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি। তিনি বর্তমানে সিলেট মহানগরী জামায়াতের মহিলা শাখায় কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের স্ত্রী ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট মহিলা জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও শূরা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া মহিলা জামায়াতের বর্তমান সেক্রেটারি নুরুন্নিসা সিদ্দিকার স্বামীও জামায়াতের একজন রোকন বলে জানা গেছে।

জামায়াত নেতাদের পরিবারের এসব সদস্য ছাড়াও মহিলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা সারা দেশে দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে জামায়াতের নারী নেতাদের সরাসরি প্রার্থী করার কোনো নজির এ পর্যন্ত নেই। আগামীতে তাদের প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এনসিপির নারী প্রার্থীরা

নাগরিক জাতীয় পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩০ শতাংশ নারী-নেতৃত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৫ জন নারী স্থান পেয়েছেন, যার মধ্যে শীর্ষ ১৯ পদের ৬টিতেই রয়েছেন নারী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী প্রার্থী দিতে চায় এনসিপি। দলটির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ১৫ শতাংশ নারীকে দলীয় মনোনয়ন

দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে। আমাদের নারী নেত্রীদের দেখে অনেক নারী রাজনীতিতে আগ্রহী হচ্ছেন।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা ঢাকা-১৭ আসন থেকে, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলা-১ বা ঢাকা-৯ আসন থেকে, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম কুষ্টিয়া-১ থেকে, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন নওগাঁ-৫ থেকে, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু বরিশাল-৫ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এ ছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন—এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, যুগ্ম সদস্য সচিব হুমায়রা নুর, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মনজিলা ঝুমা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাদিয়া ফারজানা দিনা, সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) শিরিন আকতার শেলী, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক দিলশানা পারুল।

১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার

Address

Agargaon
Dhaka
1207

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SKY Global Network posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to SKY Global Network:

Share