17/10/2023
পরিবারের প্রয়োজনে ১৯ বছর বয়সেই ফ্রিল্যান্সার রাসেল, মাসে আয় ২ লাখ টাকা
রাহিতুল ইসলামঢাকা
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৯: ৩০
নিজের বাড়িতে বসে অনলাইনে বিদেশের কাজ করেন মো. রাসেল
নিজের বাড়িতে বসে অনলাইনে বিদেশের কাজ করেন মো. রাসেলছবি: সংগৃহীত
বাবার সামর্থ্য ছিল না কম্পিউটার কিনে দেওয়ার। এমনকি নিজের গ্রামেও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। তবু থেমে থাকেননি মো. রাসেল। পরিবারের প্রয়োজনেই ১৯ বছর বয়সী রাসেলকে ভাবতে হয়েছে আয়রোজগারের কথা। আর এ জন্য বেছে নিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। প্রত্যন্ত গ্রামে বসে নিজেকে তৈরি করেছেন, সীমিত সুবিধার ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করেছেন। মো. রাসেল ফ্রিল্যান্সিং করে এখন মাসে আয় করেন দুই হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ টাকার বেশি।
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার নদীর তীরের গ্রাম চরমধুয়া (হাতিমারা)। এই গ্রামে বসেই মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন মো. রাসেল। দুই গ্রাম দূরে ইন্টারনেট থাকলেও তাঁদের গ্রামে নেই। তারপরও সেই বাধা দূর করেছেন নিজের আগ্রহে।
রাসেলের বাবা মো. রফিজ উদ্দিন একজন কৃষক। নিজের ও অন্যের জমিতে কাজ করতেন। কষ্টে চলত তাঁদের সংসার। রাসেলকেও পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করতে হতো। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় রাসেল। দারিদ্র্যের কারণে ১৭ বছর বয়সেই রোজগার করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ভাবনা আসে তাঁর মাথায়।
গতকাল রোববার প্রথম আলোকে মুঠোফোনে রাসেল বলেন, ‘২০১৫ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়ে আইসিটির পাঠ্যবইয়ে আর ইন্টারনেট থেকে আউটসোর্সিং বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর এটি সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করি। জেনেবুঝে সিদ্ধান্ত নিই তথ্যপ্রযুক্তির কোনো বিষয়ে কাজ শিখে দক্ষ হব, তারপর ফ্রিল্যান্সিং করব। পরিবারের অভাব দূর করার ইচ্ছা ছিল আমার। নিজের কাছেই শপথ করি, কোনোভাবে হার মানা যাবে না।’ এভাবে স্কুলজীবন কেটে গেল। ২০২০ সালে এসএসসি পাস করার পর রাসেল নিজের মতো করে শুরু করলেন।
নিজের জমানো কিছু টাকা ছিল রাসেলের হাতে। এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ধার নেন আরও কিছু টাকা। ১৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরোনো কম্পিউটার কিনে চর্চা শুরু করেন রাসেল।
আরও পড়ুন
১৩ হাজার মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন শামীম, নিজেও আয় করেন মাসে ৫ লাখ টাকা
১৩ হাজার মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন শামীম, নিজেও আয় করেন মাসে ৫ লাখ টাকা